নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!
গত কয়েকমাস ধরে হঠাৎই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের বিষয়ে বেশ কথা হচ্ছে। এমন না যে এর আগে হতো না, তবে গত কয়েক মাসে ChatGPT এর কারণে কথা বেড়েছে।
কেউ কেউ তো ঘোষণা দিয়েই দিয়েছে যে গুগলের দিন শেষ। এখন মানুষ ChatGPT দিয়েই কাজ চালাবে। ওদিকে সেই আগুনে ঘি ঢেলেছে মাইক্রোসফট, যখন তারা ঘোষণা দিয়েছে যে তারা বিং এর সাথে এআই সম্পৃক্ত করেছে।
ওপেন এআই সহ বেশ কয়েকটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ওয়েব সাইট ও এ্যাপ এখনও সৌদী আরবে সাপোর্ট করে না (ক্রিয়েটরদের পক্ষ থেকে)। এ কারণে আমি এগুলি খুব একটা ব্যবহার করতে পারছিলাম না। তবে বিং এ সাইনআপ করবার পর কয়েক দিনের মধ্যে পেয়ে গেছি।
প্রথম কয়েকদিন কেটেছে হুদাই গুতাগুতি করে। গত সপ্তাহের মাঝামাঝি একটা কাজ করে বসেছি। আমরা কয়েকজন মিলে সিভি ও কাভার লেটার সার্ভিস দেই। অর্থাৎ কারও যদি সিভি তৈরী করা লাগে, বা কাভার লেটার লেখার কাজ করা লাগে, আমরা সেগুলি করে দেই। তো আমি একজন ক্লায়েন্টের কাভার লেটার তৈরী করেছি প্রায় ৯০% বিং এর এআই দিয়ে!
নানান তথ্য দিয়ে দিয়ে পুরা কাভার লেটার কয়েক দফা রিফাইন করিয়েছি, তারপর সেটার আউটপুট দিয়েছি। টিম মেম্বারদের কিচ্ছু বলি নি। সবাই দেখে শুনে কোন পরিবর্তন ছাড়াই ছাড়পত্র দিয়েছে। ভদ্রলোকও সেই কাভার লেটার সাবমিট করেছে। আজকে জানতে পারলাম তাকে ইন্টারভিউতে ডেকেছে!
এই খবর আসবার পর ও ক্লায়েন্ট পেমেন্ট ক্লিয়ার করবার পর সবাইকে যখন পুরা বিষয়টা জানালাম, হা হা করে সবাই তেড়ে আসছে আমার দিকে!
--------------------
আমি যে অফিসে কাজ করি, সেই অফিসেও বেশ কথা চলছে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে। কয়েকজন তো খুব বেশী চিন্তিত এগুলি নিয়ে। এগুলি আসলে আমাদের চাকরী থাকবে কি থাকবে না সেটা নিয়েই তারা চিন্তিত। আমাদের অফিসে বেশ বয়স্ক একজন মানুষ আছেন, তিনি এসবের ধার ধারেন না। তার কথা প্রতিষ্ঠান তাকে ছাড়া চলবে না!
গতকাল একটা ট্রেনিং ছিলো, ট্রেনিংটা মূলত Safer Internet Day উপলক্ষে। সেখানেও যথারীতি এআই নিয়ে কথা হয়েছে। সবাই দেখলাম বেশ ভয় ভয় অবস্থায় রয়েছে। আমার ম্যানেজার আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো যে ওর থেকে শোনা যাক; ওর ভিউ গুলি সাধারণত একটু অন্য রকম হয়।
সবাই আমার দিকে তাকিয়ে। আমি একটু হেসে বললাম, উইন্ডোজ ১১ রিলিজ হয়েছে আজ থেকে প্রায় দেড় বছর আগে। আর উইন্ডোজ ৮.১ এর সাপোর্ট শেষ হয়েছে মাত্র এক মাস আগে। আমরা এখনও উইন্ডোজ ১০ এ আপগ্রেড করছি। ১১তে যাবো কবে তার ঠিক নাই। সো সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী-কর্মকর্তারা আগামী ৪/৫ বছর এআই নিয়ে চিন্তা না করাটাই আমার কাছে শ্রেয় মনে হয়। ট্রেনিং এর মধ্যে সবাই হাহা করে হেসে দিলো!
-----------------------
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করবার সময় দেখেছি, মানুষের অদেখার প্রতি একটা বিশাল ভয় কাজ করে। অদেখা, নতুন কিছু, অজানা; এগুলির বিষয়ে মানুষের ভয়টা অমূলক বলবো না। তবে সাধারণত মানুষ এগুলি নিয়ে বেশীই টেনশন করে ফেলে।
----------------------
এআই এর প্রচার ও প্রসারের সাথে সাথে নিচের ছবিটা বেশ ঘুরছে নেট দুনিয়ায়। দুইজন মানুষের ভাবনা একই; তবে একজন ভয় পাচ্ছে, অন্যজন খুশি হচ্ছে।
একটা সময় ম্যাস প্রোডাকশন বলতে কিছু ছিলো না। মানুষ প্রথম যখন ম্যাস প্রোডাকশন শুরু করলো, তখন বলাই হয়েছিলো যে প্রচুর মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। আসলে এই ধারণাটাই ভুল। মানুষের একটা জিনিষ সহজ হলে তখন অন্য জিনিষের চাহিদা বাড়ে।
তবে হ্যাঁ আমাদের অবশ্যই উচিৎ প্রযুক্তি ও সময়ের সাথে তাল মেলানো।
--------------------
তাই, এআই নিয়ে হুদাই চিন্তা না করে, নিজের স্কিলসেট বাড়ানোর দিকে নজর দিন। সেটাই বরং বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ছবিঃ টুইটার
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: চিন্তার কিছু নাই। যে তিনভাগের চাকরী নাই, তাদের জন্য অন্য অনেক সেক্টর খোলা আছে।
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬
অধীতি বলেছেন: AI এর ফলে মানুষের চিন্তা করার সময় কমে যাবে। এখন যেরকম বাংলাদেশে গবেষক ও বিজ্ঞানীর অভাব তেমনি পৃথিবীতেও এরকম হবার সম্ভাবনা হতে পারে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আদৌ কি এমন হবে? আমারতো মনে হয় না।
৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১০
রানার ব্লগ বলেছেন: AI আসলে কিছুটা সমস্যা হবে কিন্তু প্রশ্ন হলো বাংলাদেশে এর প্রভাব কেমন হবে? লবডঙ্কা হবে !! কারন এই দেশের অধিকাংশ মালিকপক্ষ কম্পিউটার কি করে চালাতে হয় তাই জানে না । আর AI তো তাদের কাছে চাঁদের দেশের বুড়ি !!
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বাংলাদেশের বিষয়টা সব সময়ই আলাদা। গতকাল দেখলাম এটিএম কার্ডের পিন ছাড়া ব্যবহার নিয়ে তুলকালাম করে ফেলছে লোকজন। এদিকে সারা বিশ্ব এই পদ্ধতি আরও অনেক আগেই রপ্ত করে বসে আছে!
৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সবেমাত্র আমরা এইআই যুগে প্রবেশ করছি, এটাকে পজেটিভলি দেখতে হবে, এআই এর জন্য মানুষ বেকার হবে না বরং এআই মানুষের জীবনকে অনেক সহজ করবে সময়কে বাঁচিয়ে দিবে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এআই এর ভয়ঙ্কর বিষয় আছে, তবে সেটা চাকরী হারানো নয়। অন্য কিছু।
৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০০
Rehan বলেছেন: আমি বলবো AI হচ্ছে মানুষের বুদ্ধিমত্তার এখনকার মত সর্বোচ্চ প্রকাশ। মানুষের বুদ্ধিমত্তার শেষ নাই। দেখবেন একদিন AI আবার হয়ে যাবে উইন্ডোজ 8.1 এর মত ব্যাকডেটেড।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হলেও হতে পারে।
৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২
নতুন বলেছেন: আমি এই বছর চ্যাপজিপিটি দিয়ে আমার টিমের এপ্রেসালের কমেন্ট লিখতে সাহাজ্য নিয়েছি। ইম্প্লই অফ দি মান্থ এর মনোনয়নের জন্য ফরমে তার সম্পর্কে বর্ণনা করতে সাহাজ্য নিয়েছি, ভালো মানের কন্টেন্ট লিখতে পেরেছি, সময় বেচে গেছে অনেকটাই।
অলস মানুষদের জন্য AI অবশ্যই ভয়ের সংবাদ, কিন্তু মানুষ AI ব্যবহার করে নতুন নতুন কাজ করবে,
রোবট আসার পরে অনেকেই মনে করেছিলো শ্রমিকদের দরকার পড়বেনা। কিছু ক্ষেত্রে রোবট মানুষের চেয়ে ভালো কাজ করে ঠিক আছে কিন্তু মানুষও নুতুন কাজের ক্ষেত্র তৌরি করে নেবে।
আগামীর বাচ্চাদের সৃজনশীল কাজে দক্ষতা বাড়াতে হবে, সেটাই দরকার হবে ভবিষ্যতে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: .......কিন্তু মানুষও নুতুন কাজের ক্ষেত্র তৌরি করে নেবে......... - এইটাই হচ্ছে মূল কথা।
আগামীর বাচ্চাদের সৃজনশীল কাজে দক্ষতা বাড়াতে হবে, সেটাই দরকার হবে ভবিষ্যতে। - বাচ্চারা কিন্তু সেভাবেই গড়ে উঠছে!
৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: বিজ্ঞান মানুষকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে!!!!
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কথাটা চরম ভুল। মানুষ বিজ্ঞানকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানকে ছেড়ে দিলে বিজ্ঞান কোন কিছুই করতে পারবে না।
৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: কিছু মানুষ সমস্যায় পড়বে কারো কারো কপাল খুলবে।
পার্সোনাল কম্পিউটার আসার পরেও এমন কথা শোনা গিয়েছিল। সবাই জুজুর ভয়ে অস্থির হয়ে ছিল!!!!
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: সবাই জুজুর ভয়ে অস্থির............
৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমার মনে হয় বিপর্যয় একটা ঘটবেই !!
কারণ অনেক কাজ সোজা হয়ে যাচ্ছে । এই যে আপনি সিভি তৈরী করলেন , এখন এই কাজ এ আই দিয়ে গ্রহক নিজে তৈরী করতে শুরু করলে মনে হয় না এমন কাজ আপনাদের কাছে আর আসবে ! মানে প্রচলিত অনেক কাজ থিতিয়ে পড়বে অথবা হারিয়ে যাবে !
চট করে স্কিল বাড়ানো যায় না , তাই বিপর্যয় হবেই । কারণ আমাদের মত স্বল্প আয়ের ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির দেশে স্কিল বাড়ানোটাও একটা হ্যাপা ! তাই বিপর্যয় হবেই । করোনার সময় আমরা অনেকেই বলেছিলাম এমন অনেক মহামারির গুজব বহুত উঠেছিল কিন্তু শেষমেশ করোনা আমাদের বেহাল করে দিল ! সুতরাং .........................................।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কোন বিষয়ই এত সহজ নয়।
একটা সিচুয়েশন ধরেন। আপনি যা কল্পনা করছেন, এআই তা ছবি আকারে বের করে দিচ্ছে। আপনার চিন্তা করা ছবির থেকে কি অন্য একজন আর্টিষ্টের ছবি সুন্দর হবে না? সেটার কি কদর থাকবে না?
সুতরাং........................
১০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৮
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি বিপর্যয়টা কোন দিক থেকে আসবে বলে আমি মনে করি তা তুলে ধরেছি । এর মানে এই নয় যে আমি এ আই এর ভালো দিককে এড়িয়ে যাচ্ছি । আপনার বলা কথা ঠিক আছে । সেক্ষেত্রে শিল্প সম্পর্কে জানবার ও দক্ষতা বাড়াবার যে প্রবৃত্তি মানুষের মধ্যে আছে তা দিনকে দিন কমে যাবে , আমার চিন্তার নিরাপত্তা থাকবে কিন্তু চিন্তা বাস্তবায়নে অন্য আর দশটা মানুষ ও অর্থনৈতিক যে প্রভাব পড়ত তা আর হবে না । এটা তো একটা বিপর্যয় নাকি ? রোবটিক্স বিপ্লব বিপুল হারে ঘটলে আপনার আমার চিন্তারও নিরাপত্তা থাকবে না !! এ আই সেই বিপ্লবের দিকে নিয়ে যাবে ধীরে ধীরে !!
একটা কথা বলি ? প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিছুকাল ধরে ধ্বংসাত্মক না হলে আসছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও যে ধ্বংসাত্মক হবে না এমন কিন্তু নয় ! ভালোর চাইতে খারাপের পরিমাণ বেশি হলে সেই ভালো দিয়ে কী শহীদ আল বোখারির নিয়ম মেনে দৃষ্টিভঙ্গির বদল ঘটানো যায়........................
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৪৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আগেই বলেছি, কোন বিষয়ই এত সহজ নয়।
১১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: কথাটা চরম ভুল। মানুষ বিজ্ঞানকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানকে ছেড়ে দিলে বিজ্ঞান কোন কিছুই করতে পারবে না।
১০০% ভুল কথা বললেন।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৪৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আহ, দ্বিতীয়বার ভুল কথা বললেন!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫৩
সোহানী বলেছেন: ভয় নির্ভয় দুটোই আছে। যে যার মতো বেঁছে নিবে। তবে আমি যে কোন কিছু পজিটিভলি নিতে পছন্দ করি। যদিও বাস্তবতা কিছুটা কঠিন। যেমন, সুপারশপগুলোতো আটো স্ক্যান ও পেমেন্ট ব্যবস্থার কারনে চারভাগের তিনভাগের চাকরী নেই। সেরকম যে কিছু যে হবে তা তো দেখায়ই যাচ্ছে।