নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!
ভার্সিটি ভর্তির আগে আগে একটা মেয়ের সাথে আমার প্রেম প্রেম ভাব ছিলো। লোপা, ভালো নামটা মনে নেই। প্রেম প্রেম ভাব বলছি এজন্য যে তার বাবা-মা পর্যন্ত জানতো সে আমাকে ভালোবাসে, আর সে পালিয়ে গিয়েছিলো আমার ভাইয়ের ভার্সিটিতে পড়া এক ছেলের সাথে!
লোপার সাথে আমার প্রায়ই মান-অভিমান হতো। এই মান-অভিমান আমাকে মাঝে মধ্যে কল্পনা করতে বাধ্য করতো যে সে আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু তার সৌন্দর্য্য আমাকে সব সময় এটা মানতে বাধ্য করতো যে, উই আর যাষ্ট ফ্রেন্ডস!
লোপা কখনও আমার উপরে রাগ করলে কেজি খানেক বাদাম কিনে জেলখানা ফেরিঘাটে বসে বসে বাদাম ছিলতো। ওর বাদামে এলার্জি ছিলো, আর বাদাম খেতেও তার অপছন্দ ছিলো। এ কারণে তার ধারণা দুনিয়ার সবাই (ইনক্লুডিং আমি) বাদাম অপছন্দ করে। আর আমার জন্য ঐ ছেলা বাদাম খাওয়া শাস্তি হিসাবে ছিলো। কিন্তু আমি বাদাম পছন্দ করতাম তা হয়তো লোপা জানতো না (অথবা জানতো)!
বিয়ের পর আমি আবিস্কার করলাম আমার বউ টমেটো খায় না, এমনকি ছোয় না। আর আমি টমেটোর পাগল! টমেটো ছাড়া খাওয়া দাওয়া ভালো লাগে না! মাঝে মধ্যে টমেটো কেটে ঝাল আর চানাচুর দিয়ে মাখা আমার পছন্দের খাবার ছিলো। ততদিনে বউকে ভালোবেসে ফেলেছি। ভেবেছিলাম টমেটো খাওয়া ছেড়ে দিবো। কিন্তু আমি পরিবর্তন হওয়ার আগে সে পরিবর্তন হয়ে গেলো। সে আমাকে নিজ হাতে টমেটো কেটে মেখে দিতো। বছর ৮ যেতে না যেতে সে এখন বেশ ভালোই টমেটো খায়। তার ভালোবাসা খুব সম্ভবত আমার ভালোবাসার থেকে বেশী।
ব্লগে এটি আমার মাল্টি নিক গুলির একটি। তবে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি যে আমি কাউকে আক্রমণ করবার জন্য আমার অন্য কোন আইডি ব্যবহার করতে পারি না, মডু স্বাক্ষী! আমার মূল আইডিতে লেখা প্রায় বন্ধই করে দিয়েছি। কেন দিয়েছি? কে জানে?
এই আইডিতে আমি আমার জীবনাদর্শ, চলাফেরা ইত্যাদি বিষয়ে লিখি। মাঝে মধ্যে ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট নিয়ে লিখি। আমার লেখার কোয়ালিটি ভালো না এটা আমি জানি ও মানি। তারপরও আমার কেন যেন মনে হয় মানুষ এগুলি পড়তে চায় না। আমার নিজের একটা ছোট্ট উদ্যোগ আছে, যেখানে আমি মূলত মানুষকে বিভিন্ন জিনিষ করতে ডিমোটিভেট করি। ইচ্ছা আছে একদিন ডিমোটিভেশনাল স্পীকার হবো সেই উদ্যোগের একটা অংশই হচ্ছে এই ডেভলপমেন্ট রিলেটেড লেখা লেখি।
বহু আগে হুমায়ুন আহমেদের তৈরী একটা বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম। একটা চেয়ারের সাথে বাঁশ বেধে সেই চেয়ারে একজন বসে চারজনের কাঁধে করে যাচ্ছে। তাকে অন্য একজন প্রশ্ন করে, "ভং ধরছো ক্যান?" সে উত্তরে বলে "ভং না ধরলে মানুষ কথা শোনে না!"
মানুষ কেন সেলফ ডেভলপমেন্ট সম্পর্কে পড়তে চায় না জানেন? কারণ প্রত্যেকটা মানুষই চেঞ্জকে ভয় পায়। কেউ কম, কেউ অতিরিক্ত বেশী। সেলফ ডেভলপমেন্টের বিষয় গুলি পড়তে গেলে নিজের অনেক ফল্ট বের হয়ে আসে। এরপর সেই ফল্ট তাকে ধাওয়া করে বেড়ায়। কেউ কেয়ার করে, কেউ করে না। যারা কেয়ার করে, তাদের এক দল চেঞ্জ হয় (খুব কম লোক), আর একদল চেঞ্জ হয় না, কিন্তু সারাক্ষণ দ্বিধাগ্রস্থ থাকে।
জনগন যা খায়, রাধুনীর তাই রান্না করা উচিৎ! জনগন যা পড়ে, একজন লেখকের তাই লেখা উচিৎ। নামকরা লেখকেরা এটাই করেন। কিন্তু দিন শেষে তারা ভদ্রতা দেখান, বলেন আমি নিজের মন মত লিখি, জনগন পছন্দ করে, এই ক্রেডিট জনগনের। এই ভদ্রতা আসলে একপ্রকার ভন্ডামী। কিন্তু আমরা তাই মেনে বসে থাকি। বেশী উচ্চ-বাচ্য করি না। আর ভাবি, আহা, উনি কত ভালো!
মাঝে একজন ব্লগার অহংকার করেছিলেন তার পোষ্টে মন্তব্যের সংখ্যা নিয়ে। তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে আইনস্টাইন যদি এই ব্লগে লিখতেন, তাহলে আইনস্টাইন এত কমেন্ট পেতেন কি না। ঐ ভদ্রলোক সেটা এড়িয়ে এমন ভাবে উত্তর করেছিলেন যেটা পড়ে মনে হয়েছিলো যে আইনস্টাইনের ব্লগে এত কমেন্ট আসতো না!
রাত না থাকলে দিনের সৌন্দর্য থাকতো না। আজকে শুক্রবার, সুন্দর সুন্দর পোষ্ট আসতে শুরু করেছে। তার মধ্যে গোঁজামিল মার্কা একটা পোষ্ট না আসলে আসলে সুন্দর পোষ্ট গুলির দাম থাকতো না; তাই এই গোঁজামিল মার্কা লেখা লিখলাম।
ভালো থাকবেন!
Photo by Gaelle Marcel on Unsplash
১০ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: দার্শনিক শ্রেণীর লেখকেরা পাঠকের জন্য লেখে না। তারা যেটা লেখা প্রয়োজন মনে করে সেটাই লেখে। - আমিও তাই মনে করি। কিন্তু দুঃখ, এনাদের লেখা সাধারণত পড়া হয় না!
হুমায়ূন আহমেদ দুইটার সংমিশ্রণ করতেন। - আমার মাঝে মধ্যে এই বিষয়ে ডাউট হয়। মাঝে মধ্যে মনে হয় উনি শুরু করেছিলেন নিজের মত করে, কিন্তু পরে একই ধারায় লিখে গেছেন জনগন পছন্দ করে বলে।
অনেক বিখ্যাত কবি বা লেখকের লেখা তার মৃত্যুর পরে জনপ্রিয় হয়েছে। - এনারা দুর্ভাগা!
ভালো রান্না জানা মেয়ে বিয়ে করা উচিত। তাহলে ভালো ভালো খাবার খাওয়া যায়। - আমার পুরাপুরি দ্বিমত। ভালো মেয়ে বিয়ে করা উচিৎ। ভালো খাবার তো রেষ্টুরেন্ট থেকেই খাওয়া যায়। কিন্তু ভালো রাধুনি যদি অহঙ্কারী হয়, তাহলে বিপদ।
রান্না একটা শিল্প চাইলেই যে কেউ ভালো রাঁধুনি হতে পারে না। - হুম....
২| ১০ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আজকে আপনার এই লেখাটা কিন্তু ভালই লেগেছে। আজকে ফার্স্ট খিচুড়ি রান্না করলাম ব্লগে দিতে চাইলাম। কিন্তু মোবাইল থেকে ব্লগিং করা একটু ঝামেলার বিশেষ করে ছবি আপলোড হওয়া। চেষ্টা করে বিফল হয়ে ভাবছি আরেকদিন না হয় লিখব।
১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৩৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: লেখা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
মোবাইল থেকে ব্লগিং যেমন কঠিন, তেমন সহজ। গুগুলের জিবোর্ড ব্যবহার করুন। এরপর বলে বলে লিখুন। দুর্দান্ত জিনিষ। প্রথম কয়েকদিন একটু কষ্ট হয়, এরপর দেখবেন গুগল বুঝে নিবে আপনার কথাবার্তা।
আমি খুব সম্ভবত ২ অথবা ৩টা পোষ্ট সম্পূর্ণ মোবাইল থেকেই করেছি।
৩| ১০ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০২
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: টমেটো ছাড়া এই সিজনে মানুষ কেমনে তরকারি খায় আমি এটাই বুঝিনা। যারা টমেটো পছন্দ করে না আমার কাছে এদের সবসময় বিরক্তিকর মানুষ মনে হয়।
পোষ্ট তো ভালোই লেখেন।
১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৩৭
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: সৌদী আর দুবাইয়ের কিছু ভিডিওতে দেখি এই ভাবে বলে, "হাবিবি, কাম টু সৌদী আরবিয়া/দুবাই"। তেমন ভাবেই দাওয়াত দিলাম। সৌদীতে সারা বছর টমেটো পাওয়া যায়।
কেউ কোন খাবার অপছন্দ করলে আমি তাকে বিরক্তিকর মনে করি না; কারণ আমি নিজেই অনেক খাবার পছন্দ করি না, যার কোন কোনটা আমার খুব প্রিয়জনদের খুব পছন্দের খাবার। আমি কোন ভাবে ভাবতেই পারি না যে আমার এই প্রিয়জনরা আমাকে "বিরক্তিকর মানুষ' মনে করবে।
৪| ১০ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ভাই টমেটো নাকি পুরুষের পৌরুষিকতা ( ) কমিয়ে দেয় , আমি কই নাই এডা অনলাইনে পাইছি । আবার বাদাম নাকি পৌরুষিকতা বৃদ্ধি করে । আপনার পোস্টে এখন এই দুটির মধ্যে কোন সংগতি আছে কি না তাই নিয়ে ভাবছি !!
লোপার আর খবর নাই ? নাকি সে লোপাট হয়ে গেছে ??
১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৩৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: টমেটো ক্ষমতা কমায় এমন কথা প্রথম শুনলাম। বাদামের বহু বহু গুন আগে শুনেছি।
লোপার বিষয়ে আগ্রহ লোপ পেয়েছে সেই পলায়নের পর থেকে। এখন কোথায় আছে, কেমন আছে কিছুই জানি না।
৫| ১০ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
সোনাগাজী বলেছেন:
কমেন্ট নিয়ে গর্ব নয়, ভালো ব্লগারদের কমেন্ট দিয়ে আমি পোষ্ট ও ব্লগারদের দক্ষতার ধারণা করতে পারি। কমেন্টের সংখ্যা দিয়ে আমি নিজের পোষ্টের অবস্হা বুঝার চেষ্টা করি।
১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৪১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমার ব্লগে খুব কম কমেন্ট আসে। আমার ব্লগিং এর দক্ষতা সেই হিসাবে কম। কিন্তু এই আমিই আবার গত ১০/১২ বছর থেকে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করি। বেশ নিয়মিত একটা টাকা ইনকাম করি। আমার লেখা কন্টেন্ট ফেসবুকে পোষ্ট করে অনেকে অনেক মন্তব্য পেয়েছেন।
এক্ষেত্রে আমি আপনার থেকে আলাদা। আমি নিজের পোষ্টের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করি যে আমি লিখে স্যাটিসফেকশন পেলাম কি না সেটার হিসাবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৬| ১০ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আইনস্টাইন পোস্ট লিখলে কমেন্ট ডেসিমাল সিস্টেমে যেতো না, নিরস ও উচ্চমার্গীয় লেখা হতো। ব্লগে একজন আইনজীবি আইনকানুন নিয়ে লিখে, কমেন্টের দিকে তাকানো যায় না।
১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৪২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আইনস্টাইন লিখলে লোকে তাকে পাগল বলতো, কমেন্ট ০ থাকতো ৯৯% সময়। আমারও এমনই মনে হয়।
আইনজীবির ঐ পোষ্ট গুলি দেখেছি। আসলেই তাকানো যায় না।
৭| ১০ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১
বিষাদ সময় বলেছেন: লেখাটি পড়ে গোঁজামিল মনে হয়নি বরং ভাল লেগেছে । অবশ্য কিছু ক্ষেত্রে লেখার সাথে দ্বিমত আছে..........
১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৪৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: গোঁজামিলকে কেন গোজামিল মনে হলো না?
দ্বিমত থাকাই কি স্বাভাবিক নয়? সবাই একই রকম চিন্তা করলে দুনিয়ায় কেউ খিচুড়ি ছাড়া অন্য খাবার খেতো না; কারণ আমি খিচুড়ি পছন্দ করি।
৮| ১০ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
দারাশিকো বলেছেন: এই যুগে - যখন ডিজিটাল কন্টেন্টই বেশি - তখন পাঠক যা চায় তা নিয়ে বেশি লেখা হবে এটাই স্বাভাবিক। পাঠকের চাহিদার বাইরেও কেউ কেউ লিখবে, তবে তারা পাঠকপ্রিয় হবে বলে মনে হয় না।
১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৪৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হুম, কথা সত্য।
৯| ১০ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫৫
শায়মা বলেছেন: গোঁজামিল লেখা মজা লেগেছে।
১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৪৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: মজা লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
১০| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:০১
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টা পড়ে ভালো লাগলো।
১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দার্শনিক শ্রেণীর লেখকেরা পাঠকের জন্য লেখে না। তারা যেটা লেখা প্রয়োজন মনে করে সেটাই লেখে। হুমায়ূন আহমেদ দুইটার সংমিশ্রণ করতেন। অনেক বিখ্যাত কবি বা লেখকের লেখা তার মৃত্যুর পরে জনপ্রিয় হয়েছে।
ভালো রান্না জানা মেয়ে বিয়ে করা উচিত। তাহলে ভালো ভালো খাবার খাওয়া যায়। রান্না একটা শিল্প চাইলেই যে কেউ ভালো রাঁধুনি হতে পারে না।