নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!
ঝিগাতলায় চায়ের দোকানে দাড়িয়ে ছিলাম, চায়ের জন্য অপেক্ষা। সাথে পুডিং খোর আহসান। ওর কাছে একটা ফোন আসে, কোথাও যেতে বলে।
আহসান সহজে কোথাও যেতে চায় না। আমি ওকে পুডিং এর লোভ দিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম, তবে সবাই সেই কায়দাটা জানতো না। তাই আসানই ঐ ছেলেকে ঝিগাতলায় আসতে বললো।
ছেলেটি আমাদের কাছে পৌঁছালো প্রায় ৩০ মিনিট পর। সে আসা বাবদ আর এক রাউন্ড চায়ের অর্ডার পড়লো। কথায় কথায় ঐ ছেলেটি হটাৎ বলে বসলো, যদি একটা স্টুডেন্ট পেতাম, পড়াতাম। পাশ থেকে এক ভদ্রলোক জিজ্ঞাসা করলেন কোথায় পড়ো, কোন ক্লাস পড়াতে পারবা ইত্যাদি ইত্যাদি। ফাস্ট ফরওয়ার্ড, ঐ ছেলের তিনটা টিউশনির ব্যবস্থা করে দিলেন ভদ্রলোক। যেখানে সে একটা পচ্ছিলো না, সেখানে এক চায়ের আড্ডা থেকে তিনটা টিউশনি!
এমন ভাবে আমাদের জীবনে আচানক বহুত কিছুই ঘটে। আমরা তা ধারণাও করতে পারি না। বুঝতেও পারি না যে কখন কি ঘটবে।
আর একটা ঘটনা বলি। আমরা কয়েকজন টিম মেম্বার মিলে আমাদের অফিসের একটা প্রোডাক্টকে সেই একটা লেভেলে নিতে পেরেছি। পুরা অফিসে আমাদের জয়-জয়াকার। তবে অফিসের ভিতরেই বিপরীত একটা টীম আমাদের সহ্য করতে পারে না। তারা তিনগুনেরও বেশী জন-শক্তি নিয়েও আমাদের সাথে পারে নি।
হঠাৎ একদিন অফিসে এসে দেখি আমার কার্ড কাজ করছে না; কার্ড পাঞ্চ করলেই বলে ইনভ্যালিড কার্ড। ম্যানেজারকে ফোন দিলাম, হাসতে হাসতে জিজ্ঞাসা করলাম, চাকরী আছে তো আমার? সে একটু রেগে গিয়ে বললো, তুমি ও তোমার টিম যে পারফরমেন্স দেখিয়েছো, তাতে চাকরী যাবে কেন, খুব শিগ্রহী একটা প্রমোশন আশাকরো। আমি এই পজিশন থেকে সরছি শিগ্রহী, তোমার নাম সাজেষ্ট করেছি।
মাত্র ৩মাসের মধ্যে আমার ঐ ম্যানেজার অন্য একটা প্রতিষ্ঠানে চলে গেলো, আর আমার প্রমোশন দূরে থাক, আমার টিমের সবারই চাকরী নিয়ে টানাটানি পড়ে গেলো। এমনকি পারলে সবাই মিলে আমাদের প্রতিষ্ঠিত করা প্রোডাক্টটিকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে!
------------------
সজীব ওয়াজেদ জয়ের একটা বক্তৃতা শুনছিলাম একদিন। উনি গুগল তৈরীরও আগে সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে কাজ করছিলেন। কিন্তু গুগল এলো, এবং ওনার স্টার্টআপটিকে "মাইর দিয়ে দিলো"। এই ভিডিওটির ১০ মিনিট ২৮ সেকেন্ড থেকে দেখা শুরু করলে পাবেন।
উনারাও হয়ত চিন্তা করতে পারেন নি যে এমন হঠাৎই সব পরিবর্তন হয়ে যাবে।
------------------
গতকাল ভারত চন্দ্রপৃষ্ঠে তাদের যান নামিয়েছে, ভারতকে অভিনন্দন।
কিন্তু এই একটা ঘটনা আমাদের দেশের একজনের জন্য বিপাক ডেকে নিয়ে এসেছে। মানুষ কোথায় হাততালি দিবে, তা না করে সবাই স্পারসো এর প্রধানের দিকে চোখ! এটা নিয়ে সুন্দর একটা কথা লিখেছেন ব্লগার শ।মসীর। তার কথাটা কোট করছিঃ
জাতি হিসেবে মহাকাশ নিয়ে আমাদের কোন কালেক্টিভ স্বপ্ন আছে কিনা সেটা যেমন জানিনা, তেমনি এই বিলাশিতা আমাদের করার উপায় যে নাই সেটা বুঝি । সব কিছু মিলাইয়া স্পারসো তার নিজের মতই ছিল, ঝামেলাবিহীন দিনকাল ।
সব ঝামেলা লাগিয়ে দিল ভারতের সফল চন্দ্রাভিযান !! সুই আর চালুনি থিউরী অনুযায়ী সবার হঠাত মনে পরল আরে আমাদের তো স্পারসো ছিল, একটু খোজ নিয়া দেখি তারা কি করে । কিছুই যখন পাওয়া গেলোনা, তখন সবাইকে বাঁচিয়ে দিতে ফেসে গেলেন স্পারসো প্রধান
-------
এমন ঘটনা আরও বহু মানুষের সাথে ঘটেছে। প্রথম আলো নাম পেয়েছে মতি আলো, প্রথমালোর কাকে কাকে যেন টুপি পরে মাফ চাইতে হয়েছে, আরও কত মানুষের জীবনে।
-------
হঠাৎ একটা বড় সমস্যা। এর জন্য কোন প্রস্তুতিও নেওয়া যায় না।
Photo by Jeremy Bishop on Unsplash
২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হুম, নামটা দুর্দান্ত। স্কুলের বইতে যখন পড়েছিলাম, তখনই ভালো লেগেছিলো।
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: সোনাগাজী বলেছেন, সায়েন্স, টেকনোলোজী, দেশ, জাতি নিয়ে আমাদের যা জ্ঞান, চাঁদে যাওয়া হবে না।
উনি একদম সঠিক কথাই বলেছেন।
২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: জ্বী, ব্লগীয় দরবেশ বাবা যা বলবেন, তাই ঠিক।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: স্পারসো নামটা কিন্তু আমার কাছে বেশ লাগে। নামটি কে দিয়েছে কিছু জানেন?