নুর হাসান সন্দ্বীপী\'র সংক্ষিপ্ত জীবন

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:২৪

আমি নুর হাসান সন্দ্বীপী একজন সহজসরল ও খোলামেলা ভাবে চিন্তাভাবনা করার মানুষ। বিশেষ করে মানুষকে খুব সহজে ভালোবাসি এবং বিশ্বাস করি। যাকে একবার মনথেকে বিশ্বাস করে বসবো তার জন্যে সবকিছু করতে প্রস্তুত। টাকাপয়সা থেকে শুরু করে আরো নানান কিছু করতে প্রস্তুত। তবে আবার যাকে একবার মনথেকে ঘৃণা করবো তার সাথে কথাবার্তাতো দূরের কথা তার আশপাশেও যেতে রাজি নই।

আমি ছোটবেলা থেকে বিশেষ করে যখন থেকে আমি মোটামুটি ভালোমন্দ বুঝি। ঠিক তখন থেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে পরিচালনা করার চেষ্টায় বিভোর থাকতাম। তবে কোন মানুষের মন্দ কথাবার্তা শুনার মানুষ আমি নই। আমার জানা মতো বর্তমানে কেউ আমার কাছে কোনপ্রকার টাকাপয়সা থেকে শুরু করে কোন জিনিসপত্র পাবে না। বরং আমি মানু্ষের কাছে এখনো টাকাপয়সার পাশাপাশি আরো নানান কিছু পাবো।

ছোট্টখাট্টো এই জীবনে কমবেশি মানুষের উপকার করার চেষ্টা করেছি এবং এখনো করতেছি। উপকারে বিনিময়ে কারো কাছে কখনো দুই টাকা নিয়েছি এমন কোন বাপের ছেলে বলতে পারবে না। আমি কাউকে দানখয়রাত করলে বা উপকার করলে সেটা ফেসবুকে বা নানান জায়গায় বলে বেড়ানোর মত বদভ্যাস গড়ে তুলি নাই।

ছোটবেলা থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল — বিএনপি'র রাজনীতি চর্চা করি। এই রাজনীতি চর্চা করতে গিয়ে কখনো কারো কাছ থেকে কোনপ্রকার টাকা পয়সা নিয়েছি এমন প্রমাণ দিতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। যতটুকু সাধ্য ছিলো নিজের পকেট থেকে খরচ করেছি। সাধ্যের বাহিরে হলে সম্ভব হয়নি।

তবে আমার কিছু অভ্যাস আছে। সেসব অভ্যাস অনেকের হয়তো পছন্দ নাও হতে পারে। তাতে আমার কিছুই যায় আসে না। কেন না আমি আমার মত। আমার চিন্তাভাবনায় যেটা ভালো মনে হয় আমি সেটাই করি। তাতে কার ভালো লাগলো কার খারাপ লাগলো এগুলো আমি ভাবি না। বিশেষ করে কেউ যদি কোন কিছু বা কোন বিষয় নিয়ে আমার সাথে বেইমানি করে। আমি সেই বেইমানকে শায়েস্তা করার জন্যে যা যা করা দরকার তা করতে প্রস্তুত কেন না বেইমানদের ছাড় দেওয়ার মতো মন মানসিকতা আমার নেই। জীবনে বহু বেইমান শায়েস্তা করেছি। আরো অনেক করার বাকি আছে।

আমি ২০০৭ সাল থেকে কবিতা লিখার চেষ্টা করি এবং লিখি। ব্যবসাবাণিজ্য করার চিন্তাভাবনা অনেক আগ থেকে। তবে লাইফে কমবেশি অর্থ উপার্জন করেছি ব্যবসা করে। এরপরে ২০১৯ সালের ১৪ই মার্চ জীবিকার তাগিদে গেলেও ৪মাস ১৫দিন থেকে প্রতারণার শিকার হয়ে আবার ২০১৯ সালের ১৯ই জুলাই বাংলাদেশে ফিরে আসি।

মাঝের কিছুসময় বেকার জীবনযাপন করলেও আবার কিছুদিন পরে নিজের পুরাতন ব্যবসা চালু করি। এ-র কিছুদিন পরে সেই ব্যবসার পাশাপাশি আরেকটা নতুন ব্যবসা যোগ করি। সেটা হলো গোল কাঠের ব্যবসা। সেই ব্যবসা করেও আল্লাহর রহমতে সকলের দোয়াতে মোটামুটি সফল হলেও। পারিবারিক চাপে আবার প্রবাসের জীবন বেচে নিয়েছি।

আল্লাহর রহমতে করোনাভাইরাসের এই কঠিন সময়ে এখনো সুস্থ ও নিরাপদে প্রবাসে আছি। ইনশাআল্লাহ আরো থাকার ইচ্ছে আছে।

এতক্ষণ হয়তো ভাবতে পারেন। এত বিস্তারিত লিখার কারণ কি? গত দুইদিন আগে একজন মানুষ আমার ফেসবুকের একটা পোষ্টের কারণে অভিযোগ করেছে। আমি নাকি মানুষকে অপমান করে কথা বলি। আমি জানিনা কেমন অপমান করে কথা বলেছি। তবে আমি আবারো বলতেছি অপমান হয় কি হয় না সেটা জানি না। তবে আমার দৃষ্টিতে হক হলে সেটা যদি গালিগালাজ হয় তাও আমি করি এবং করতে প্রস্তুত এতে কার কি আসবে যাবে আমার মাথাব্যথা নাই। কারণ আমি আমার মতো ঠিক আছি।

সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

(ফাইল ছবি)

০ টি +০/-০