নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেটুকু পাও ছোট্ট সময়/কাজ করে যাও রবের তরে/ক্ষনিক সময় বিস্রাম নিও/ঘুমিও না তুমি অলসতা ভরে//
অাগেকার দিনের মতো অার হাতে তৈরী ব্যবহারিক সামগ্রী এখন অার লক্ষ্য করা যায়না। অাধুনিকতার নামে অামরা ব্যবহার করছি বিষাক্ত প্লাষ্টিক ও এলুমিনিয়াম সামগ্রী। যা অনেক মারাত্মক রোগের অন্যতম কারণ বলেও বিশেষজ্ঞগন বার বার সতর্ক করে চলেছেন। সামান্য মুনাফার অাশাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভালোমন্দো চিন্তা না করে অামরা উৎপাদন বিপনন ও ব্যবহার করে চলেছি ক্ষতির প্লাষ্টিক ও এলুমিনিয়াম সামগ্রী।
শুধু পলিথীন বিরধি অাইন করলেই হবে না। প্লাষ্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহারের উপর অাইন করতে হবে। কারণ বর্তমান সময়ে প্লাষ্টিক ব্যাতিত সহজ কিছু কল্পোনা করা কঠিন। তাই অাইন করে যতটুকু ব্যবহার না করলেই নয় ততটুকু ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে।
বাংলাদেশে পলিথিন বিরোধী অাইন থাকলেও অহরহ পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহার হচ্ছে। এক্ষেত্রে সুুবিধা ভোগী মহল প্রভাব খাটিয়ে ও অাইনের বিভিন্ন ফাককে কাজে লাগিয়ে এবং অাইনের চোখে ধুলা দিয়ে তৈরী করছে বিষাক্ত পলিথিন। পলিথিন ও প্লাষ্টিক তৈরীতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ক্যামিক্যাল ও রাশাইনিক পদার্থ মানব দেহের কিডনি লিভার ইত্যাদির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এমনকি কিডনি ও লিভার নষ্টের অন্যতম কারন এই সমস্ত ক্যামিক্যাল।
অপর দিকে পলিথিন পচনশীল না হওয়ায় তা পরিবেশ দুষণ করছে। বিশেষ করে মাটি ও পানি দুষণ করছে। বারবার সরকারের পক্ষ থেকে দৃষ্টি ভঙ্গি দেওয়া সত্তেও পলিথিন উৎপাদন অব্যাহত অাছে।
এছাড়াও প্লাষ্টিক পন্য বাজার জাত করনে ব্যব্যহার করা হচ্ছে চমৎতকার বিজ্ঞাপ। যা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।এবং দামে সস্তা হওয়াই তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র মানুষ বেশি পলিথিন ব্যবহার করছে। অাবার দেখতে চমৎতকার হওয়ায় অনেকে সখের বসে ব্যবহার করছে।
পাটজাত পন্যকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের সরকারি নির্দেশ থাকার পরও এর তেমন ব্যবহার নেই। সর্বত্রই প্লাষ্টিক ও প্লাষ্টিকজাত দ্রব্যের অাধিক্য।
প্লাষ্টিক ও এলুমিনিয়াম জাতিয় দ্রব্যের ব্যবহার কমিয়ে।অামাদেরকে অবশ্যই কুটিরশিল্পজাত দ্রব্য ব্যবহার করা উচিৎ। কারণ এলুমিনিয়াম একটি ক্ষয় জাত দ্রব্য। যা ক্রমান্বয়ে ক্ষয় হয়ে অামাদেন স্টমাকে জমা হয়েে নানা রোগের সৃষ্টি করছে।
সর্বোপরি, দেশীয় কুটিরশিল্পজাত দ্রব্যাদি স্বাস্থ্যসম্মত। এটা ব্যবহার করলে সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান। বৃদ্ধি পাবে দেশের প্রবৃদ্ধি। অামাদের সকলকেই এগিয়ে অাসতে হবে। অালোচ্য বিষয়কে ছোট করে দেখলে সামগ্রিক ভাবে মানব জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উন্নত বিশ্বের দেশ গুলিতে প্লাষ্টিকেের ব্যবহার নেই বললেই চলে।
অার অামরা কম দামে যেটা পাওয়া যায়।
কম্পানি গুলো চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত চিংড়িমাছে সামান্য ক্ষতি কর পদার্থের উপস্থিতি লক্ষ্য করে, সমস্ত অর্ডার ক্যানসেল করে দেয়। এবং সেই চিংড়ী ফেরত পাঠাই। অার অামাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে জীবনের যেন কোন মূল্যই নেই।
অাসুন অামরা অাগামীর পৃথিবিকে একটু হলেও সুন্দর করার চেষ্টা করি...
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
সহমত।
অামরা এমন এক পরিস্থিতিতে অাছি, অামরা সম্মিলিত ভাবে যদি সচেতন না হয়ই তবে, সবাইকেই ক্ষতিপুরন দেওয়া লাগবে।
যদি লক্ষ্য করেন, তবে দেখা যাবে উন্নত বিশ্বের দেশ গুলিতে প্লাষ্টিকের ব্যবহার অনেক কম।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২
আহা রুবন বলেছেন: এই প্লাস্টিক জঞ্জালের নিচে একদিন আমাদের ডুবতে হবে। গ্রামে ক্ষেতের ধারে দোকান হলে দেখা যায় বছর খানিকের ভেতরে চিপস্, চানাচুরের ঠোঙ্গায় সব ঠাসা। ক্ষেতগুলো দ্রুতই উৎপাদনশীলতা হারিয়ে বসবে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
প্লাষ্টিক পরিবেশ ও মানব দেহের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ।
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমাদের বোধ শক্তি এতো যে কমে যাচ্ছে কি আর বলবো!
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
অামাদের মুখ খোলা উচিৎ। কেও বুঝুক বা না বুঝুক। অামরা যদি কথা না বলি তবে কে কথা বলবে।
অামাদের ভাবা উচিৎ
কথা বলা উচিৎ
চেষ্টা করা উচিৎ
তারপর ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেওয়া...
৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে বেশী সম্পদ ব্যবহার করছে, তাই প্লাস্টিক বাড়ছে
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩২
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
তা সঠিক জানি না।
তবে অামরা ভুল করছি ...
৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮
মেহেদী রবিন বলেছেন: এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী !
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭
আখেনাটেন বলেছেন: পরিবেশ নিয়ে খুব কম মানুষের মাথাব্যথা। এটা যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা আমাদের এখনও ভাবনাতেই আসে নি। হয়তবা যখন উপলব্ধি হবে তখন কিছুই করার থাকবে না।