হঠাৎ দেখা

১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৮

হঠাৎ দেখা,

দমকা হাওয়ার মত

চোখে চোখ আটকে গেলো।

চোখ দিয়েই আটকে রাখলে!

“যে পথ পেরিয়ে এসেছ

সে পথে একটুও চোখ ফেরাতে পারতে না?”

অভিমানের ক্লান্ত ছোঁয়া কণ্ঠজুড়ে ।

জবাব দেওয়ার ইচ্ছাকে

মনের বদ্ধঘরে কঠিন তালাবদ্ধ করে বললাম, ‘না’

তোমার দু চোখের ক্লান্তিটুকুই ধরা পরল।

তোমার হৃদয়-নীড়ের বিহবলতা আমাকে আর স্পর্শ করেনা!

শুধু বললে, “এমনই হয় জানতাম!”

পরাজয়ের দীর্ঘশ্বাসটুকুই শুনতে পেলাম ।

উদাসীন নিমগ্নতায় শোধালাম,

“সুখের সন্ধানরত ছিলে, পেয়েছ খানিকটা। তোমার বিকিকিনিতে ক্ষতিতো কিছুই হয়নি ।

তবুও লোভাতুরের মত কেন এমন হা-পিত্যেশ?”

“ক্ষুরধার ব্লেডের মত নিঃশব্দ, নির্বিকারভাবে আঘাত করার স্বভাবটুকু তোমার এখনও যায়নি! এখনও অভিশাপের আগুনে পোড়াও বুঝি?”

“না, এখন আর পোড়ায় না !”

“কিন্তু, তোমার কথা ছিল চিরদিন মনে রাখার”

কথা তো দেয়া হয় ভেঙ্গে ফেলার জন্যই । তাছাড়া, মনে রাখার যন্ত্রণাটুকু যে আমার ভীষণ হয়ে গিয়েছিল!”

“তাই বুঝি কবর দিয়ে দিয়েছ সব স্মৃতিকে?”

(আহ! একটি অতি সাধারণ মানব সন্তানেরও স্মৃতির ক্যানভাসে ধুলোহীন রয়ে যাওয়ার কী আকাঙখা !)

তার এমন আকুতিময় কণ্ঠ ধ্বনিতে অবাক হয়নি । মানুষ মাত্রই...। কথার খেলায় রক্ষনাত্মক সুরে বললাম,

“তুমি বাঁচিয়ে রেখেছ বুঝি?”

“রক্তের সাথে মিশে যাওয়া কাউকে কি বুঝি মেরে ফেলা যায়?”

“অনুভূতিগুলোকে তীব্র বেদনায় রাঙিয়ে কষ্ট পাওয়ার কোন মানে হয়?

মেরে ফেল, মুছে ফেল, প্লীজ । কারো হৃদয় গহীনে স্মৃতির আবর্জনা রূপে থাকতে চাইনা আমি ।”

বললে, “ জীবনটাকেই যে বিসর্জন দিতে হয় তাহলে ।”

জানি কথার খেলায় তুমি কখনো পরাজিত হওয়ার নও । রক্ষণব্যুহ তোমার ইস্পাতসম !

১ টি +১/-০