নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে সেনা ক্যু এর আশংকায় কি আছে ভারত?

১৮ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪৩


বাংলাদেশে সেনা ক্যুর আশংকায় কি ভারত?

সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে বাংলাদেশীরা বরাবরের মতই দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। জুলাই থেকেই 'দিল্লী না ঢাকা' স্লোগানে প্রকম্পিত হয় রাজপথ। এই যুদ্ধে বাংলাদেশ নিবাসী পাকিস্তানের সমর্থকরা মানসিকভাবে পাকিস্তানকে সাপোর্ট দেয়। এই সাপোর্ট কি সামরিকভাবেও দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো কেউ কেউ? তিস্তাপাড়ে ভারতের সামরিক মহড়া কি তাদেরকে আরও উস্কানি দিচ্ছিলো বা উদ্বুদ্ধ করছিলো দিল্লী অভিমুখে মার্চের?

সেনাবাহিনীর বর্তমান প্রধান এমন কিছু করতে চাওয়ার কথা না। তবে কি ভেতর-বাইরের কেউ-কেউ তাঁকে সরিয়ে দিয়ে এমন কিছু করতে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলো?

সম্প্রতি একজন সৈনিকসহ ৩ জন আর্মি স্টাফকে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া শাস্তিপ্রাপ্ত আর্মি অফিসাররাও শাস্তি মওকুফ ও চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন জানিয়েছেন, যাদের অনেকেই এই সেনাপ্রধানকে মন থেকে হয়তো মেনে নেন না।

এসব কারণে এটা ধারণা করাই যায় যে, সিভিলিয়ানদের সাথে মিলে তারা একটি বড় সমাবেশ বা মব ভায়োলেন্স করতে পারে সেনানিবাস অভিমুখে। তাই হঠাৎ সেনানিবাস ও আশপাশের এলাকায় সব ধরণের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলো কি?

একই সাথে ভারত গতকাল এক সরকারি সিদ্ধান্তে তাদের সকল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের সকল পণ্য আমদানি বন্ধ করলো। ভিসা এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে অনেক কম দিচ্ছে, এরপর ট্রান্সশিপমেন্টও বন্ধ হলো আফ গতকাল বন্ধ হলো স্থলপথে রপ্তানি।

তাহলে কি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ভেতরের ও বাইরের এই ঘটনাপ্রবাহ আমলে নিয়ে সেনা ক্যু ঘটিয়ে ট্যাংক-কামান নিয়ে সামরিক-বেসামরিক লোকদের দিল্লী বা তিস্তা অভিমুখে লং মার্চের আশংকা করছে ভারত?

এমনটা নাহলেই ভালো। প্রতিবেশী দেশগুলোর মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান থাকলেই সকলের জন্য মঙ্গল। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চাই উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে। সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়। এটা আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। ভারতেরটাও প্রায় একই-- 'সব কা সাথ, সব কা বিকাশ'।
দেব দুলাল গুহ -- দেবু ফরিদী

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:৩৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি কি চিন্তিত?

২| ১৮ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:৪২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমরা অপেক্ষা করব,
প্রকৃতি নিজ থেকেই ইতিহাসের পথ
প্রদর্শন করে ।

৩| ১৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩১

নতুন বলেছেন: এই রকমের ইন্টেলিজেন্ট এজেন্সি নিয়া র কিভাবে এতো ভাব দেখায়?

এতো গুরুত্বপূর্ন তথ্য আপনার কাছেও চলে এসেছে। ;)

৪| ১৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৪০

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: নতুন বলেছেন: এই রকমের ইন্টেলিজেন্ট এজেন্সি নিয়া র কিভাবে এতো ভাব দেখায়?এতো গুরুত্বপূর্ন তথ্য আপনার কাছেও চলে এসেছে।

- কারণ উনি নিজেই "র " এর একজন স্থানীয় এজেন্ট :)

৫| ১৮ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

ঊণকৌটী বলেছেন: ভারত কে নিয়ে এতো চিন্তা না করলেও চলবে কারন ভারত বাংলাদেশ মাইনাস নীতি নিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের বাজেটে বাংলাদেশ কে বাদ দিয়েই নূতন পরিকল্পনা নিয়েছে আস্তে আস্তে একটা একটা করে গেট বন্ধ করে চলেছে, পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে যেমন a-z বাণিজ্য বন্ধ তেমন টাই হতে চলেছে শুধু বাংলাদেশের খেয়াল রাখতে হবে যে উগ্রপন্থী হামলা যেন আপনাদের দেশের পক্ষ থেকে না আসে! তাহলে সব শান্তি ভারত, বাংলাদেশ যে যার মতো শান্তিতে থাকবে |

৬| ১৮ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৫৭

কামাল১৮ বলেছেন: ভারত অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ আগবাড়িয়্ কিছু করে কিনা।যেমন জংগী কোন আক্রমন।যেটা পাকিরা করে ছিলো।ভারত প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষা করছে।আগবাড়িয়ে কিছু করবেনা ভারত।

৭| ১৯ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:১৮

...নিপুণ কথন... বলেছেন:

৮| ১৯ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:১৮

...নিপুণ কথন... বলেছেন: আমার লেখাটি আবারও সত্যি প্রমাণিত হলো: https://www.facebook.com/share/p/19DLy3pv2s/

৯| ১৯ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি অতি চিন্তা ভাবনা বাদ দেন।
অযথা নিজের প্রেসার বাড়াবেন না।

১০| ১৯ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


মব করার জন্য তো কালামিয়া/কালাপাডা খাড়াই থাকেন সব সময়।
তিনায় কৈ?

১১| ১৯ শে মে, ২০২৫ রাত ১০:১৭

জ্যেষ্ঠ পান্ডব বলেছেন: আপনার লেখাগুলো পড়লে একধরনের সূক্ষ্ম ভারতপ্রীতির আভাস পাওয়া যায়—এটা অনেকটা সেই অনুভূতির মতো, যেমন জামায়াতপন্থীদের লেখা পড়লে একটি সুপ্ত পাকিস্তানপ্রীতির গন্ধ টের পাওয়া যায়।

@ঊণকৌটী: ভারত বাংলাদেশে মাইনাস করার নীতি নিয়েছে!!! হোহোহোহাহাহাহা। নিজের পাছার কাপড় নেই অন্যকে বলে ঘোমটা দিতে। ভারত পুরো দক্ষিন এশিয়াতে যেভাবে মাইনাস হয়ে গিয়েছে সেটা ভারতের রাজনীতির সবচেয়ে কলংক। কি দেশ কি হয়ে গেলো? সেই ভারত করবে বাংলাদেশকে ব্যবসা বানিজ্য দিয়ে ক্ষতি!!! এই স্বপ্নের নাম স্বপ্ন দোষ।

আপনাদের বর্তমান ভারতীয় সরকার খুবই বিপজ্জনক এবং ছ্যাঁচড়া ধাঁচের একটি সরকার—এটা ইতিমধ্যেই বিশ্ববাসী টের পেয়েছে। দেখা যাবে, কোনো একদিন কলকাতায় নিজেরাই হামলা চালিয়ে বলবে, ‘বাংলাদেশ থেকে হামলা হয়েছে’, আর সেই অজুহাতে তারা নিজেদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করবে, বিশাল ‘হ্যাডমের’ গল্প বলবে।

অবশ্য, ভোটের রাজনীতিতে বোকা ও উগ্র মানসিকতার জনগণকে টার্গেট করা সহজ—যেমনটা বিজেপি করে আসছে। পাকিস্তান বা চীনের কাছে প্যাদানী খেয়ে, নিজেদের অপমান ঢাকতে যদি তারা বাংলাদেশে এসে ‘অপারেশন মাঙ’-জাতীয় কিছু চালায়, তবুও আমরা অবাক হবো না। আমাদের প্রতিবেশীকে আমরা চিনে ফেলেছি। ফলে বাসার টয়লেটের সেফটি ট্যাংক লন্ডভন্ড হলে আমরা এখন আর অবাক হয়ে খুঁজতে যাবো না কে করেছে।

ভারতবাসীর জন্য আমার সত্যিই দুঃখ হয়—সেখানে অনেক ভদ্র, সভ্য মানুষ আছেন, যারা ইতিবাচক চিন্তা করেন। কিন্তু কিছু উগ্র রাজনীতিবিদদের কারনে পুরো দেশটি আজকে এশিয়ায় বেইজ্জত হচ্ছে। অথচ ভারত এই অঞ্চলের নেতা হতে পারত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.