![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
কী হাসিখুশি একটা পরিবার, তাই না? চোখেমুখে কত আনন্দ, যেন দুনিয়ার সব সুখ ঐ চোখগুলি থেকে ছিটকে পড়ছে! এই আনন্দ বৃটিশ সিটিজেন হওয়ার, এই সুখ উন্নত ও নিরাপদ জীবনযাপনের হাতছানির।
কিন্তু হায়, এই আনন্দ আর এই সুখ তাদের কপালে সইলো না ৩০ সেকেন্ডও! উড্ডয়নের মাত্র ৩০ সেকেন্ড পরেই তাদের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আর বেঁচে নেই কেউ..
প্রতীক জোশি বিগত ৬ বছর ধরেই লন্ডনে বাস করছিলেন। তিনি একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলী, অনেক বছর ধরেই স্বপ্ন দেখেছিলেন পরিবার নিয়ে বিদেশে সেটেল করার, যেখানে তাঁর পরিবার তথা স্ত্রী ও বাচ্চারা পাবে উন্নত ও নিরাপদ জীবন!
বছরের পর বছর ধরে সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন। এজন্য যত পেপারওয়ার্ক করা লাগে, তা করেছিলেন। ধৈর্য ধরে বসেছিলেন দেশ থেকে পরিবার নিয়ে চলে আসার, যারা ভারতে ছিলেন।
মাত্র দুদিন আগেই প্রতীকের স্ত্রী ডা: কোমি ভায়াস চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন, লাইফ রিস্ক নিয়েছিলেন সেই স্বপ্নকেই চূড়ান্ত রূপ দেয়ার আশায়। ব্যাগগুলো গোছানোই ছিলো, অপেক্ষায় ছিলো সুন্দর একটা ভবিষ্যত।
কিন্তু কী থেকে যে কী হয়ে গেলো!
আজ সকালে, পরিবারের ৫ জনই একটা প্লেনে উঠে পড়লেন। আপনারা এতোক্ষণে বুঝতে পেরেছেন প্লেনটা টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার-১৭১। আত্মীয়-স্বজনদের থেকে বিদায় নিয়ে হাত নেড়ে স্বপ্নের বিমানে উঠলেন তাঁরা নতুন জীবনের খোঁজে, নতুন এক ভবিষ্যতের হাতছানিতে সাড়া দিয়ে।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, ড্রিমলাইনারটি তাঁদের ড্রিমটাকে উড্ডয়নের ৩১ সেকেন্ডও আকাশে ধরে রাখতে পারলো না! উড্ডয়নের মাত্র ৩০ সেকেন্ড পরেই বিমানটিতে বিকট এক শব্দ হলো, যখন বিমানটি মাটি থেকে মাত্র ৭০০ ফুটের মতো উপরে; আর তারপরেই বিমানটি উপরে ওঠার পরিবর্তে নিচে নামতে শুরু করলো! তারপর সেটা গিয়ে আছড়ে পড়লো সামনের লোকালয়ের এক মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে!
আহা, জোশি পরিবারের 'ড্রিম' সেই ড্রিমলাইনারের সাথেই জীবন্ত ভস্মীভূত হয়ে গেলো মুহূর্তেই। এখন নিশ্চয়ই তাঁদের পরিবার-আত্মীয়-স্বজন তাঁদের ভস্ম সামনে রেখে ভাবছে, 'কী দরকার ছিলো উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখার? দেশেই তো ভালো ছিলে!' টাটা গ্রুপের থেকে এই পরিবারটির স্বজনরা ৫ কোটি রূপি পাবে। মৃত প্রত্যকেই এক কোটি করে পাবে। কী করবেন তাঁরা এই টাকা দিয়ে? ফিরে আসবে কি জীবন? না।
এই ঘটনা আমাদেরকে কি শিক্ষা দিলো? এই শিক্ষা দিলো যে, আমরা যারা ভেবে বসে আছি যে আমাদের জীবনে অনেকটা সময় আছে নতুন স্বপ্ন দেখার, নতুন করে জীবন শুরু করার, নতুন পথে চলার, তারা আসলে ভুল করছি। যেকোনো মুহূর্তই হয়ে যেতে পারে আমাদের শেষ মুহূর্ত! তাই যতক্ষণ আছে প্রাণ, জীবনটাকে উপভোগ করুন।
আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, ১৯৭১ এর বদলা নিয়েছে প্রতিবেশীরা ১৭১ নম্বরের বিমানটিতে সুইসাইড বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে। উড্ডয়নের ৩০ সেকেন্ড পর সেই বিকট শব্দই হয়তো পেয়েছেন বেঁচে ফেরা একমাত্র যাত্রীটি!
কেননা ভারতের পাইলটরা অনেক দক্ষ হয়। এটা স্বাভাবিক কোনো দুর্ঘটনা হওয়ার কথা না। আমার অভিজ্ঞতা এমনটাই বলে।
ভারতে একবারই বিমানে ওঠার সুযোগ হয়েছিলো আমাদের। চেন্নাই থেকে নয়াদিল্লী ট্রানজিট নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সাথে দেখা করে সেখান থেকে কলকাতা এসেছিলাম ২০২২ সালে। বিমানটি ছিলো স্পাইসজেটের, পাইলটের দুজনই ছিলেন নারী। একটুও টার্বুলেন্স হয়নি।
আমার মা জীবনে সেই প্রথম বিমানে উঠেছিলো, একটুও ভয় পায়নি, বমিও করেনি। আমি রীতিমতো অবাক হয়েছিলাম নারী পাইলটদের দক্ষতা দেখে। ডমেস্টিক ফ্লাইটের পাইলটরাই যদি এতটা দক্ষ হয়, তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের পাইলটদের ভুলে টাটা গ্রুপের মতো বিশাল গ্রুপের বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে এটা আমি বিশ্বাস করি না।
এটা অবশ্যই অস্বাভাবিক কিছু। আশা করি ব্ল্যাকবক্স থেকেই প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে। বন্ধুদেশ দুটির নিহত নাগরিকদের আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি।
দেব দুলাল গুহ -- দেবু ফরিদী
Pratik Joshi had been living in London for the past six years. A software professional, he had long dreamed of building a better future abroad for his wife and their three young children, who were staying back in India.
After years of planning, paperwork, and patience, that dream was finally coming true. Just two days ago, his wife, Dr. Komi Vyas, a medical professional, resigned from her job in India. The bags were packed, the goodbyes said, the future waiting.
This morning, all five of them, filled with hope, excitement, and plans, boarded Air India flight 171 to London. Clicked this selfie, sent it to relatives. A one-way journey to begin a new life.
But they never made it. The plane crashed. None of them survived.
In a matter of moments, a lifetime of dreams turned to ash.
brutal reminder, life is terrifyingly fragile. Everything you build, everything you hope for, everything you love, it all hangs by a thread. So while you can, live, love, and don’t wait for happiness to start tomorrow.
২| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১২:৩৪
আমি নই বলেছেন: আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার যে বোয়িং বিমানটি ভেঙ্গে পড়েছে, তার ডানাতে কোনো সমস্যা হয়ে থাকতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা বিবিসিকে জানিয়েছেন।
বিবিসি ভেরিফাই একটি ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে, বিমানটি নেমে আসছে এবং মাটি ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরণ ঘটছে।
বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ জেফরি টমাস বলছেন, “আমি যখন এই ভিডিওটি দেখছি, তাতে বিমানের চাকা সহ নিচের দিক, অর্থাৎ আন্ডারক্যারেজটা তখনও নামানো অথচ ডানার ফ্ল্যাপ গুটিয়ে ছিল।“
বিমানের ডানায় যে ফ্ল্যাপ থাকে, সেগুলো খুলে বা বন্ধ করে আকাশে ওড়া বা মাটিতে নামার সময় বিমানের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
মি. টমাসের কথায়, ডানা আর ফ্ল্যাপগুলো একই সমতলে ছিল। আকাশে ওড়ার পরে ওই সামান্য সময়ের মধ্যে এরকমটা খুবই অস্বাভাবিক।
তার কথায়, “আন্ডারক্যারেজ, অর্থাৎ চাকা সাধারণত ১০-১৫ সেকেন্ডে গুটিয়ে নেওয়া হয়, তবে ফ্ল্যাপগুলো অনেকটা সময় নিয়ে ১০-১৫ মিনিট ধরে গুটিয়ে নেওয়া হয়।“
আরেকজন বিশেষজ্ঞ টেরি টোজার বলছেন, “এই ভিডিওটি দেখে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না, তবে মনে হচ্ছে না যে ফ্ল্যাপগুলো খোলা রয়েছে এবং এটা স্পষ্ট বোঝা যায় যে বিমানটি টেক অফ ঠিক মতো করতে পারে নি।“
“ফ্ল্যাপগুলো যদি ঠিক না থেকে থাকে, তাহলে মানুষের ভুলে সম্ভাবনা থাকে,” বলছিলেন প্রাক্তন পাইলট ও বাকিংহামশায়ার নিউ ইউনিভার্সিটির জ্যেষ্ঠ লেকচারার মাকোরআ চান। তবে তিনি এটাও বলছেন, “ভিডিওটির রেজলিউশন এতটাই খারাপ যে এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না।“
৩| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১২:৪৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মনে হচ্ছে যান্ত্রিক ক্রুটির কারণেই দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
৪| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১:২২
রবিন_২০২০ বলেছেন: আপনি মিয়া গুজবের ডিব্বা।
পাইলটের ভুল কিংবা যান্ত্রিক ত্রুটির কথা কি ভেবে ডেকেছেন ? নাকি ভারতীয় পাইলটরা সকল ভুল ত্রুটির উর্দ্বে ?
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫৮
আমি নই বলেছেন: এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী ফ্লাইট এআই-১৭১ আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি তখন প্রায় ৮২৫ ফুট উচ্চতায় ছিল। হঠাৎ করেই এটি নিচে নামতে শুরু করে।
পাইলট দুর্ঘটনার ঠিক আগে ‘মে ডে’ সংকেত পাঠিয়েছিলেন। এরপরেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং একটি বিশাল বিস্ফোরণের মাধ্যমে আকাশে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়ে। ---- কালবেলা
বরাবরের মতই আপনি মনে মনেই মন কলা খাচ্ছেন। বিমানটি আকাশে বিস্ফোরিত হয় নাই, আস্তে আস্তে নেমে একটি ভবনের উপর আছরে পরার পর বিস্ফোরিত হয়েছে।