![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।
প্রফেসর ইউনূস স্যার যে উচ্চতায় দেশকে ওঠানোর কথা বলে তাঁর বক্তব্য শেষ করলেন, একইরকম করে আমাদের বিসিএস ৩৫ ব্যাচকে অনন্য উচ্চতায় ওঠানোর স্বপ্ন দেখে ও দেখিয়ে আমি ২০১৮ সালে 'অনন্য ৩৫' প্যানেল করে ব্যাচের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হয়েছিলাম। সুষ্ঠু ভোট হয়নি, আমাকে হারিয়ে দিয়েছিলেন গোপালগঞ্জের বাসিন্দা ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ কুতুব ভাই। তবুও আমি মোট ভোটারের ১/৩ অংশ ভোট পেয়েছিলাম।
.
আমি পারিনি, কিন্তু ইউনূস স্যার পারলেন। তিনি এত প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে জুলাই সনদ সাক্ষর করাতে পারলেন। আলী রিয়াজ স্যার আসলেই এক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি অনেক বিষয়েই একমত হয়েছে, যা ছিলো অকল্পনীয়। এখন এর কতটা বাস্তবায়িত করে যেতে পারেন, সেটাই দেখার। কারণ আওয়ামী লীগ, এনসিপি, বাম জোটসহ কিছু দল এই সনদে এখনও সাক্ষর করেনি।
.
ডক্টর ইউনূস বঙ্গোপসাগর নিয়ে অনেক কথা বললেন। তিনি আবারও বঙ্গোপসাগরের সাথে নেপাল, ভুটান ও সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করে লাভবান হওয়ার কথা বললেন। 'সেভেন সিস্টার্স' আর 'ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলো' বলার মাঝে পার্থক্য আছে। তিনি বঙ্গোপসাগরকে বাংলাদেশের অংশও বললেন। এখন মনে হচ্ছে ভারতও এতে আপত্তি তুলবে।
.
তবে তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন, আমাদের কারো কাছে মাথা নত করে চলতে হবে না, অন্যরাই আমাদের দেখে মাথা নত করবে। তিনি নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে বললেও নির্বাচন কোন প্রক্রিয়ায় হবে তা নিয়ে দলগুলোকে আবার আলোচনায় বসতে বললেন, কমিশন গঠনের কথা বললেন। এখন এই আলোচনা ফেব্রুয়ারীর আগে শেষ হবে কিনা সেটা বলা মুশকিল।
.
তবে আজকের এই বৃষ্টিকে তিনি যেমন 'আল্লাহর রহমত' বললেন, এনসিপিসহ জুলাইযোদ্ধারা যারা আজ সংসদ ভবনের সামনে পুলিশের মার খেলো তারা এটাকে 'প্রকৃতির কান্না'-ও বলতে পারে। আওয়ামী লীগ এটাকে বলতে পারে মুক্তিযোদ্ধাদের কান্না, কারণ জুলাই সনদে নাকি থাকছে না মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্র। সব মিলিয়ে এক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন ড. আলী রিয়াজ ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
.
এখন এটা বাস্তবায়নের বিষয়টাই মুখ্য। কেউ কেউ এই সনদকে সংবিধানের উপরে স্থান দেওয়ার দাবি তুলছে। তবে আমি মনে করি, এটা সম্ভব না। কারণ এটা বিপ্লবী সরকার নয়। এটা সংবিধানের ১০৬ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গঠিত সরকার, আবার জুলাই সনদে নাকি ১০৬ অনুচ্ছেদের কথা উল্লেখই নাই। যদিও সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়ার আগেই সরকার গঠন হয়ে গিয়েছিলো, পরে মত নেওয়া হয়েছে। আর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা সব মবের মুখে একযোগে পদত্যাগ করেছিলেন। পদত্যাগ করেছিলেন স্পিকারও। তাই রাষ্ট্রপতিকে ইচ্ছা থাকলেও পদত্যাগ করানো যায়নি। কারণ করতে হলে স্পিকারকে থাকতে হতো। আবার সংবিধান সংশোধনের দায়িত্ব সংসদের। স্পিকার না থাকলে সেটাও সম্ভব না। এমপিরা অধিকাংশই অথবা সবাই পলাতক। তাই সংসদ বসিয়ে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পাওয়া সম্ভব না, সংবিধান সংশোধনটাও সম্ভব না।
.
আরও সিরিয়াস বিষয়, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে যাননি, তিনি সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ভারতে চলে গেছেন। তিনি পালিয়ে গেছেন এটাও বলা যাচ্ছে না। কারণ পালিয়ে গিয়ে থাকলে যে সেনাসদস্যরা তাঁকে ভারতে নামিয়ে দিয়ে এসেছেন, তাঁদের কি কোর্ট মার্শাল হয়েছে? জানামতে হয়নি। তিনি যদি ফিরে আসেন, যদি বলেন প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ স্থানে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং তাঁকে রুখে দাঁড়ানোর বা তাঁর বৈধতাকে প্রশ্ন করার কেউ যদি না থাকেন, তবে গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে তিনি ফেরা পর্যন্ত যা যা সাইন হয়েছে, সব তিনি এক সাইনেই বাতিল করর দিতে পারবেন।
দেব দুলাল গুহ -- দেবু ফরিদী
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সব ঠিক ভাবেই হবে আশা করি । এটার কারণে ইলেকশন আটকিয়ে আছে ।
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মাথা পাগলা বলেছেন: গোপালগঞ্জের বাসিন্দা ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ কুতুব ভাই
আমি তো ভাবলাম আমাদের কুতুব ভাই।
লীগ ছাড়া নির্বাচন পসিবল না। লীগে যারা অপকর্ম করেছে তাদের শাস্তি দিতে পারেন কিন্তু লীগকে ব্যান করার কোন গ্রাউন্ড নাই। কিন্তু জামাত-শিবিরকে পুরোপুরি ব্যান করার কারন আছে।
এই মুহুর্তে বিএনপির উচিত হবে লীগের ভেতর যারা অপকর্ম করেছে তাদের বিচার জানিয়ে লীগের কর্মীদের রাজনীতি করার সুযোগ দেবার - নয়তো বিএনপির ভবিষ্যতে আসাটা খুব কঠিন হয়ে যাবে। বিশেষ কিছু বিতর্কিত কারনে তারেক জিয়া দেশে এখনো দেশে ফিরতে পারছেন না - যা ভবিষ্যৎ সংকটের এক বড় ইঙ্গিত।
৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
কামাল১৮ বলেছেন: আপনার বক্তব্যে যুক্তি আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জামাত নাকি সাইন করবে না ? চালবাজিতে জামাত সেরা ।