একমণ দুধ যেই ময়লায় নষ্ট হয় ৫ই জানুয়ারি পর বর্তমান সরকারের প্রতিটা নির্বাচন বিজয়ে সেই ময়লা জড়িত আছে ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৭

দুই দিন আগে প্রধানমন্ত্রী বললেন দেশে জঙ্গি বিরাজামান অবস্থায় ‘থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন' না করতে,এর কয়েক দিন আগে পৌর নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী দেয়ার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন প্রধান বললেন সেনাবাহিনী দেয়ার মত কোন অবস্থা দেশে হয় নাই তাই সেনাবাহিনী দেয়া হবে না।

কিন্তু,গতকালের বিএনপি মেয়র প্রার্থী এবং তাঁর সমর্থিত বিএনপি কাউন্সিলর পদপ্রার্থী যেভাবে মারধরের শিকার হলেন,কারা মারধর করলো সেটা সবাই জানে। নির্বাচনের দিন মেয়র এবং কাউন্সিলর পদপ্রার্থী এভাবে মারধর হওয়ায় গণতন্ত্র নামক মূল জুতার বাড়ি টা কিন্তু নির্বাচন কমিশন সহ সরকারের মুখের উপর পড়লো(অবশ্য এটাও ঠিক ক্ষমতায় থাকার স্বার্থে এই বাড়ি কই পড়লো এসব চিন্তা ক্ষমতাবানেরা মাথায় রাখেন না)। দেশে জনগন ”থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন” না করলে হলে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হবে না বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী অথচ নির্বাচন চলাকালে ফেনীর বিএনপি পদপ্রার্থী কে মারধর করে তাঁর গায়ের পাঞ্জাবি ছিরে এবং কাউন্সিলর পদপ্রার্থীকে কে যারা এভাবে যারা মারলো তাঁদের দমন করার জন্য নির্বাচনে নিরাপত্তার দেয়ার জন্য সেনাবাহিনী দেয়ার কিংবা পুলিশের সময়োপযোগী একশান প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য যেন এই ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো না হয় এই প্রয়োজনখানা নির্বাচন কমিশন বা সরকার কেহই মনে করেন নি,হয়তো প্রয়োজনে বিচ্ছিন্ন ঘটনা করে হলেও নির্বাচনে জিততে হবেই সেই ব্যাবস্থার প্রয়োজন মনে করেছেন ইহা তাঁরাই জানেন।

বিঃদ্রঃ মেয়র এবং কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বিএনপি ছিল না অন্য কোন দলের ছিল আমার কাছে মুখ্য নয়,আমার কাছে মুখ্য হল তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সবরকম ট্রায়টেরিয়া পূরণ করেই নির্বাচন করার জন্য যোগ্যতা নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন তাই তাঁদের নির্বাচনে হারানোর জন্য এভাবে লজ্জাজনক ভাবে মারধর করে-ই ক্ষমতাবানেরা প্রমান দিল কিভাবে গনতন্ত্রের নামে ক্ষমতাতন্ত্র চালাতে হয়,৫ই জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত কোন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকারের কোন নেতাকে মারধর বা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে এমন কোন সংবাদ কোন মিডিয়ায় এসেছে বলে শোনা যায় নি,কয়েকদিন আগেও পটুয়াখালিতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রি তাঁর স্ত্রিসহ বিএনপি মেয়র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা থেকে আসার সময় সরকারী দলের ক্যাডাররা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়িতে হামলা করে যে ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রি সহ ১০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।


" জোর খাঁটিয়ে ক্ষমতায় থাকার নিয়ম শিখাচ্ছে এক সরকার যার পুনরাবৃত্তি করবে আরেক সরকার আর তাঁদের ক্যু-ফল ভোগ করবে শুধু জনগন"

০ টি +০/-০