নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়ার চেয়ে পরিষ্কার না বলে দেয়া উত্তম”

জয় মজুমদার তন্ময়

মুরুক্ষ বুঝদার।

জয় মজুমদার তন্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে হিন্দুদের ক্ষেত্রে যা ধ্রুবসত্য!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২০


আমাদের দেশের কোন হিন্দু যদি গুরুতরভাবে বিএনপির সাপোর্ট করে, বিএনপির রাজনিতির সাথে যুক্ত থাকে,দেশের মঙ্গল কামনাকারী দেশভক্ত হয়,কোন একজন হিন্দু যদি ধর্মে অবিশ্বাসী হয়ও এদেশ তাকে আওয়ামী সাপোর্টকারী বলবে কেননা এদেশে হিন্দু মানেই আওয়ামিলীগ!

মোদ্দাকথা হিন্দুরা দেশপ্রেমিক, জাতীয়পার্টি,বিকল্পধারা সাপোর্টকারি যাই হোক না কেন- ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশ বলা কারী এদেশের মুসলিমদের বড় একটা অংশের মানুষ আছে যারা তাঁদের পূর্বপুরুষ থেকে জেনেটিকালি এক নিন্ম মানসিকতা পেয়েছে যা হল হিন্দুদেরকে ঘৃণাকরা এবং কটাক্ষ করা,আজও তাই এই অংশের মানুষগুলো হিন্দুদের এদেশের মানুষ দূরের কথা তাদেরকে মানুষই মনে করেনা।

উল্লেখ্য আলোচ্য এখানে আমি শুধুমাত্র হিন্দুবিদ্বেষী জামাত ম্যানটালিটির একটা অংশের মুসলিমদের কথা বলেছি,আর ঐ অংশের নিন্ম মানসিকতা সম্পন্ন মানুষদের উদ্দেশ্যে বলছি-

"আমি একজন জন্মগতভাবে বাংলাদেশী এদেশের একটি হিন্দুসম্প্রদায়ে জন্মগ্রহন করেছি কিন্তু আমার ভিতর এক বিন্দুও আমার ধর্মের উপর কোন প্রকার বিশ্বাস ও আস্থা নাই এবং আমি সব ধর্মকেই এক দৃষ্টিতেই দেখি,আমার দৃষ্টিতে সবকিছুর আগে আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে আমি একজন গর্বিত বাংলাদেশী বাঙালি মানুষ,তেমনি এই দেশের মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান,উপজাতি প্রত্যেকটা সম্প্রদায়ের প্রতিটা মানুষের প্রথম পরিচয় হচ্ছে তাঁরা একজন বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া বাঙালি মানুষ,এই পরিচয়কে অসম্মান করার যোগ্যতা আপনাদের পূর্ব পুরুষরাও অর্জন করতে পারেননি,আপনারাও পারবেন না কারণ এই দেশ কারো পূর্ব পরুষদের ক্রয় করে রেখে যাওয়া ব্যাক্তিগত সম্পদ এইরকম চিন্তা ভাবনাগুলু সময় থাকতে তাড়াতাড়ি ভুলে জান।কারণ,

বর্তমানে শিক্ষার প্রসার এর সাথে সাথে ৯০% বা কোন ধর্ম এদেশের মালিক এই নিন্ম মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসছে এবং ভবিষ্যতে আরও পরিবর্তনের দিন আসবেই আমার বিশ্বাস সেদিন,

“এদেশের প্রতিটা মানুষ একে অপরকে কোন সম্প্রদায়ে,জাত,বর্ণগোত্র দিয়ে নয় শুধু মানুষ দৃষ্টিতে দেখবে ও মানুষ বলেই বিবেচনা করবে এবং এদেশের প্রত্যেক বাঙ্গালী একে অপরকে একজন বাংলাদেশী বাঙালি মানুষ এই দৃষ্টিকোন থেকেই দেখবে এবং মানুষ হয়ে মানুষকে ভালবাসবে"।


বিঃদ্রঃ মূলত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বা হিন্দুরা সব সরকার আমলেই নির্যাতিত হয় তুলনামূলক হারে আওয়ামী আমলে বেশি হয়।

লেখাটির ফেইসবুক লিংকঃবাংলাদেশে হিন্দুদের ক্ষেত্রে যা ধ্রুবসত্য!

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: এদেশের মুসলিমদের বড় একটা অংশের মানুষ আছে যারা তাঁদের পূর্বপুরুষ থেকে জেনেটিকালি এক নিন্ম মানসিকতা পেয়েছে যা হল হিন্দুদেরকে ঘৃণাকরা এবং কটাক্ষ করা,আজও তাই এই অংশের মানুষগুলো হিন্দুদের এদেশের মানুষ দূরের কথা তাদেরকে মানুষই মনে করেনা।

তাই নাকি?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০০

জয় মজুমদার তন্ময় বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর তো পোস্টের লেখার মধ্যেই আছে ।

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

গ্রিন জোন বলেছেন: “এদেশের প্রতিটা মানুষ একে অপরকে কোন সম্প্রদায়ে,জাত,বর্ণগোত্র দিয়ে নয় শুধু মানুষ দৃষ্টিতে দেখবে ও মানুষ বলেই বিবেচনা করবে এবং এদেশের প্রত্যেক বাঙ্গালী একে অপরকে একজন বাংলাদেশী বাঙালি মানুষ এই দৃষ্টিকোন থেকেই দেখবে এবং মানুষ হয়ে মানুষকে ভালবাসবে"।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৩

জয় মজুমদার তন্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

ধ্রুব নয়ন চৌধুরী বলেছেন: আমরা নিজেদের মানুষ হিসেবে বিবেচনা করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১০

জয় মজুমদার তন্ময় বলেছেন: নিজেকে মানুষ বিবেচনা তো আমরা সবাই করি আমার মতে সাথে যেটা করতে হবে অপকথা,অপকর্ম মোদ্দাকথা নিজেকে মানুষ ভেবে বিবেচনা করে অমানুষের ন্যায় কাজগুলো করা যাবে না।

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪২

মিতক্ষরা বলেছেন: হিন্দুদের বিষয়ে অরাজনৈতিক যেসব কথা বলেছেন তা যে কেউই মেনে নেবে (গুটিকয়েক নিতান্ত সংকীর্নমনা সাম্প্রদায়িক ব্যতিরেকে)। হিন্দুদের মধ্যে শিক্ষার হার অনেক বেশী, যার ফলে তারা মোটামুটি ভাবে ধর্মীয় গোড়ামিকে পেছনে ফেলতে পেরেছে। কিন্তু রাজনৈতিক সম্পৃক্ততায় সাধারন মানুষ এখনও হিন্দুদের আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক মনে করে। যা অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুর ক্ষেত্রে সেভাবে প্রযোজ্য নয়।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১২

জয় মজুমদার তন্ময় বলেছেন: মন্ত্যব্যের জন্য ধন্যবাদ,আপনার প্রতিটা কথার সাথে একমত পোষণ করছি।

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: এই হিন্দু-মুসলিম সমস্যা ভারতীয় উপমহাদেশের একটি প্রাচীনতম সমস্যা। সেটা উপমহাদেশের ইতিহাস ঘাটলেই জানতে পারবেন, কেন এই দুরত্ব? ভালো খারাপ দুই শ্রেণির লোক দুই গোত্রেই বিদ্যমান। আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি এর বাইরে কিনা! যদি বাইরে হোন তাহলে অনেক কিছুই সহজ মনে হবে। কারণ সমস্যাটা যতটা না ধর্মীয় তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক। এখানে অনেক কিছু জড়িত। আশা করি ব্যাখ্যা দিতে হবে না।
“এদেশের প্রতিটা মানুষ একে অপরকে কোন সম্প্রদায়ে,জাত,বর্ণগোত্র দিয়ে নয় শুধু মানুষ দৃষ্টিতে দেখবে ও মানুষ বলেই বিবেচনা করবে এবং এদেশের প্রত্যেক বাঙ্গালী একে অপরকে একজন বাংলাদেশী বাঙালি মানুষ এই দৃষ্টিকোন থেকেই দেখবে এবং মানুষ হয়ে মানুষকে ভালবাসবে"।-এটাই সারকথা।

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনুগ্রহ করে ব্লগ পোস্টে ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলের লিংক অথবা ব্যক্তিগত কোন ব্লগের লিংক সংযুক্ত করা থেকে বিরত থাকুন।

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

অেসন বলেছেন: হিন্দু মানেই আওয়ামী লীগ ভাবে, এটা ৯০% সত্য। হিন্দু দের কাছে আর বিকল্প কই ? আওয়ামী লীগে মৌলবাদী ভাবনার লোকের সংখ্যা অন্যান্য প্রধান দলের চেয়ে কোন অংশে কম নই। কিন্তু দলটি নিতিগত ভাবে অসাম্প্রদায়িক। অন্যরা তো তাও না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.