নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তা প্রসবের বেদনা মগজব্যাপী স্থায়ী হওয়ার আগেই কলম ধরতে হতো। মাথার মধ্যে জমে থাকা ভয়ংকর সব চিন্তাগুলোকে পরিণতি দেয়া মত শব্দ কোনো কালেই ছিল না।তারপরও সেই সব গল্প লেখতেই হতো,যেগুলো লেখার পর শান্তিতে ঘুমানো যায়।

নির্বাক স্বপ্ন

নির্বাক স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি অমীমাংসিত ডেইলি সোপ

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

বিয়ের কয়েকটা দিন তোমার খারাপ কাটবে না।নানা ব্যস্ততা আর আনুষ্ঠানিকতায় চব্বিশ ঘন্টা ছোট হয়ে আসবে বিজ্ঞাপন বিরতিতে ভরা কোন ডেইলি সোপের আধ ঘন্টাতে।বান্ধবীদের হাসি ঠাট্টাতে তোমাদের ছোট্ট ফ্ল্যাট টি হয়ে উঠবে স্টার জলসার' সেট।দুই মিনিটে তিন বার ফোন করবে তোমার হবু বর।বিউটি পার্লারের মিথ্যে প্রলেপ ছাপিয়ে প্রকাশ পাবে তোমার লজ্জিত গালের রক্তিম প্রভা ।তোমার মা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকবে তোমার দিকে।ভাববে,"ফ্রক পড়া মেয়েটা হঠাৎ করেই বড় হয়ে গেল প্রচলিত বাংলা সিনেমার মত!"তোমার ব্যস্ত বাবা পর পর তিন রাত না ঘুমানোর পর ও আড়ালে তোমায় ডেকে বলবে,"কুঞ্জে যাওয়ার আগে এক বার বাথরুম হয়ে আসিস।"ছোটকালে স্কুলে যাওয়ার সময় যেমন বলতো।"বিয়ের ব্যাপার কতক্ষণ লাগে কে জানে?"তুমি রাগতকণ্ঠে বলবে,"অসুবিধা হবে না।"

দেখতে দেখতে বরপক্ষ এসে পড়বে।।বরের বন্ধুরা হইচই করবে।খাবার টান পরবে।চিৎকার হবে।চেঁচামেচি হবে।এর মাঝে তোমার বিয়ে টা হয়ে যাবে হুট করে।কোন কিছু বুঝার আগেই।আমার সাথে সম্পক ছিন্ন করে দিয়েছিলে যেমন ভাবে।কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই।
তোমার দেয়া প্রতিশ্রুতির দশ ভাগ ও যদি তুমি রক্ষা করতে তাহলে হয়তো বিয়ের পিড়িতে আমি থাকতাম।পৈতাধারীর মন্ত্র আউড়ে যেতাম ক্লান্তিহীন ভাবে। পিছন বাজতো আমাদের পছন্দের হিন্দি গান টি।মদ্যপ রনির তান্ডব দেখে হাসি হয়তো আটকে রাখতে পারতাম না বিয়ের কুঞ্জে বসেও।দীপু ধমকে রনি কে ঠান্ডা করলেও,দশ মিনিট পর আবার পাগলামী শুরু করতো।হুট করেই বিয়ে হয়ে যেত আমাদের।পরিচিত মুখগুলোকে সাক্ষী রেখে।আমি মনে মনে বলতাম"পাইলাম,আমি ইহা কে পাইলাম"।

কিন্তু এমনটা তো হল না।তুমি আগ্রহী ছিলে না আমার দুই রুমের ছোট্ট বাসায় ভালাবাসা খুঁজে নিতে।আসলে তুমি কি চেয়েছিলে আমি নিজেও বুঝি নি।আমি চেয়েছিলাম ভালোবাসা দিয়ে ঘর বানাতে।আর তুমি আগ্রহী ছিলে বানানো ঘরের ভালোবাসা লুফে নিতে।কিন্তু তুমি কি আসলেই ভালোবাসা চেয়েছো নাকি অন্য কিছু?আমার জানা নেই।আর এখন আমি জানতে চাইও না।শুধু আমাদের পথ যে এক ছিল না এটা বুঝতে পারেছিলেম অনেক দেরী তে।এ ব্যাপার টি বুঝতে অনেকটাই সময় লেগে গেছে।এতোটাই সময় লেগেছে যে এখন তোমাতে' হারিয়ে যাওয়া আমিটা' কে খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।

চেষ্টা করলে তোমার অস্তিত্ব থেকে রেহাই পাওয়া অসম্ভব হতো না।হয়তো অন্যকোন যুবতীর থেকে পাওয়া হাসিগুলো কথাগুলো মুক্তি দিবে তোমার দেয়া ক্ষত আর ব্যাথাগুলো থেকে।কিন্তু যে মোহ,যে বিষ,যে দহন আমার রক্তের বিন্দুতে বিন্দুতে শিরায় শিরায় মিশিয়ে দিয়েছ সেগুলো থেকে মুক্তি পাবো কি উপায়ে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.