নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গলায় জমে থাকা এক দলা ব্যাথা কে গিলে ফেলার জন্য গ্যালাক্সি নামক পানশালাতে মাত্রাতিরিক্ত ভোদকা পান করে বাহ্যজ্ঞান শূন্য দানিয়েল আবিস্কার করলো তার পেছনের পকেটের মানিব্যাগ স্থানচ্যুত।অর্থাভাবে বাড়ি ফেরার ব্যাপারে অনিশ্চয়তাগ্রস্ত দানিয়েল মিরপুর রোডের নিয়ন বাতি আর জোছনা'র সম্মিলিত আলোতে নিজস্ব ছায়া দেখে সে এমনভাবে হুমড়ি খেয়ে পড়লো যেন ভূত দেখেছে।নেশাজাত চিন্তাসমুদ্রে এক অপরিচিত নারীর অবয়ব আবিস্কার করে কিছুটা স্বস্তি লাভ করলো।শরীরঘেঁষা নগরবেশ্যাদের এড়িয়ে দানিয়েল রাস্তা থেকে উঠে দাঁড়ালো স্বাভাবিকতা নিয়ে।খুঁতসমৃদ্ধ চাঁদের শীতল আলো'তে দানিয়েল নিজস্ব বর্ণান্ধতা সমন্ধে জ্ঞাত হয়ে চোখ বন্ধ করে অপরিচিতার অবয়ব পুনরায় খুঁজে পেলো।মস্তিষ্কজাত সকল মনোযোগ কেন্দ্রিত করে অপরিচিতা কে না চেনার ব্যর্থতা কাটিয়ে তোলার জন্য দানিয়েল চোখ খুলে আজিমপুরের পথে এগোতে থাকে।কিংবা দানিয়েল দাঁড়িয়ে থাকে,এগোতে থাকে আজিমপুর রোড।
বলাকা সিনেমা হলের সামনে দাঁড়িয়ে একটু জুড়িয়ে নেয় দানিয়েল।ঠিক সেই সময় দানিয়েলর চোখ'বেলাশেষে' ছবির পোষ্টারে থেমে যায়।যেখানে সৌমিত্র বাবু ঠিক আগের মত ই মোহনীয়। দানিয়েলের অভ্যন্তরীণ ব্যর্থ ল্যান্ডস্কেপ আর গ্রে কালারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার মুখ থুবড়ে পড়ে অপরিচিতার নগ্ন বক্ষে।মদ্যপ প্রতিভার খন্ড সমূহ একত্রিত হয়ে উঠে লোকাল বাসের হর্ণে।নির্ধারিত চিন্তার পেছনে থাকা গল্পগুলো নিজস্বতা হারিয়ে বিলীন হয়ে উঠে বি-মানবিক শিল্পকলায়।যেখানে লাল হলো একমাত্র রং আর যেকোন সমস্যার সমাধান হচ্ছে মৃত্যু।
©somewhere in net ltd.