নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বয়ঃসন্ধিতে একটা ছেলে যখন প্রথম শরীর বুঝতে শেখে তখন কিন্তু সে তার সমবয়সী মেয়ের প্রেমে পড়ে না!কামনা করে না তার বয়সী কোনো মেয়ে কে..শরীরের গোপন ভাজে গোজানো নতুন যৌন কেশ ছাপিয়ে ছেলেটি কামনা করে পূর্ণাঙ্গ নারী শরীরের।অধিকার চায় প্রাপ্তবয়স্ক শরীরের।তাই যখন একটা ছেলে প্রশ্ন করা হয় তার প্রথম আকাঙ্ক্ষিত নারী কে?সে ক্ষেত্রে সরল সত্য স্বীকারোক্তি হয়,'আমি তো প্রথমে আমাদের বাংলা ম্যাডামের প্রেমে পড়েছিলাম।নয়তো,'ঐ যে সে আন্টি টা যে আমাদের পাশের ঘরে থাকতো..
কল্পিত সম্ভোগের একটা পর্যায়ে কিশোর মনে অপরাধ জন্ম নেয়।শরীরের কাছে হেরে যাওয়া কিশোর ছেলেটার মনে জন্মানো অপরাধের চারা গাছ; ধর্মীয় গোড়ামী,জাতিগত ভণ্ডামি আর সামজিক অপরিপক্বতার বাতায়নে মনের মাটি দখল করে নেয় নিষ্ফল দেবদারু।
একটা সময়ের পরে শরীর তার আকৃতির' সাথে সাথে চাহিদার মোড় পরিবর্তন করে।যে কোন ধরণের পরিবর্তনের শুরুর দিকটায় মানিয়ে নেয়া খুব বেশী সহজ হয় না।এই কথাটি কিশোর শরীরের ক্ষেত্রেও সত্যি।এইখানে এগিয়ে আসার সুযোগ ছিল আমাদের স্কুলগুলোর।(আমি এখানে পরিবারের কথা আলাদা করে বলতে চাইছি না কারণ পরিবার এমন একটা সামাজিক প্রতিষ্ঠান যার দায়িত্ব কোনো সময় ই ফুরিয়ে যায় না।কিন্তু স্কুলের ক্ষেত্রে তো এই যুক্তি খাটে না!)কথা ছিল স্কুলের মাস্টার মশাই পেটে বিদ্যে এমন ভাবে ঢুকিয়ে দিবে যেন আমরা বড় হয়ে মগজ খাটিয়ে মনের বড়াই করতে পারি।কথা ছিল পঠনের -পাঠনের উপযুক্ত সেই বইগুলো কেই আমাদের পাঠ্য করা হবে যে বইয়ের বিদ্যে আওড়ালে মোরাল ডিসিশন(moral decision),ইথিকাল ডিসিশন(ethical decision)নেয়া সহজ হবে।অব্যশই নৈতিকতা,দৃষ্টিভঙ্গি,ফিলোসফি পারসন টু পারসন ভ্যারি করে।তবে সামষ্টিক ভাবে চিন্তা করলে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে মানুষের সিদ্ধান্ত নেয়া কিংবা বিকল্প নির্বাচনের প্রক্রিয়া এক রকম।শাসন দন্ড ঘুরানো মানুষগুলো কখনো ভেবেই দেখে নি প্রচলিত 'শিক্ষাব্যবস্থা'য়(!) আমাদের মানসিক অবস্থা'র গুনগত পরিবর্তন আসলেই ঘটে কিনা।কিশোর মনে মুক্ত বাতায়নের পথ বানানোর দায়িত্ব যেমন পরিবারের।ঠিক তেমন ভাবে পরিবার কে সুস্থ ভাবে চিন্তা করতে দেয়ার দায়িত্বও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে নিতে হবে।
যৌনতা শুধুমাত্র শরীরের স্বাভাবিক অবস্থা ই নয় বরং পৃথিবী তে নতুন একটা জীবন আনার একমাত্র উপায় এই ব্যাপার টি স্বীকার করতে হবে।বয়ঃসন্ধিতে থাকা ছেলে মেয়েগুলো কে জায়গা করে দিতে নিজের ভাবনা চিন্তাগুলো যেন ক্লাসমেট বন্ধুদের জন্য ই শুধু জমা করে না রাখে তারা যেন পরিবারের মধ্যেই একটা মেন্টর(mentor)খুঁজে পায়।যার কাছে সমস্যাগুলো খুলে বলতে পারে।
পুনশ্চ-১:ব্লগের নাম টি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'সরল সত্য' উপন্যাস থেকে ধার করা।
পুনশ্চ-২:এই ব্লগে আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরেছি।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৩৭
নির্বাক স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সময় নিয়ে পড়ার' জন্য।
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
লিখেছেন, ভালো হলো; না লিখলেও ক্ষতি হতো না, তেমন গুরুত্বপুর্ন ভাবনা নয়।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৩৯
নির্বাক স্বপ্ন বলেছেন: হ্যা,তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভাবনা নয়।তবে আপনাকে ধন্যবাদ সময় পড়ার' জন্য।
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯
নির্বাক স্বপ্ন বলেছেন: ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
কানিজ রিনা বলেছেন: শিশুরা যখন হামাগুড়ি দেওয়া শিখে তখন
চুলার আগুন বা মমের আগুন দেখতে
তাদের কাছে ভাল লাগে ধরতে চেষ্টাও
করে কিন্তু বাবা মা শিশুকে পুড়তে দেয়না।
ঠিক বয়সন্ধি বা কিশোর কালে তাদের ভাবনা
থেকে সুচ্ছৃংখ্যল পরিবারের শিক্ষাই একটা
সুন্দর সত্য পথ অবলম্বনে শিক্ষাই প্রথম
একটি কিশোরকে সুষ্ঠ পথ বাতলে দেয়।
সেই সাথে স্কুল শিক্ষক অভিভাবক দায়ীত্ব
নিয়ে কিশোর কিশোরীর বন্ধুরপে মনের
ভাবভালবাসায় গড়ে দিবে একটি সত্যিকার
সুষ্ঠ সরল পথ। ধন্যবাদ।