নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা গড়পড়তা দিন কে বিশেষ ভেবে হিসেবে উৎযাপন করার পেছনের সরল যুক্তি হতে পারে - স্মরণ,বরণ নয়তো সংখ্যাগুরুকে সচেতন করা।বাউন্ডারিহীন দিবসগুলোর মধ্যে নারী দিবসের সাথে পাল্লা দিয়ে 'আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস' -এ গদগদ হওয়াটা বাল্যখিল্য ভিন্ন আর কিছুই নয়।এই দিনটা কে সেলিব্রেট করার মধ্যে দোষের কিছু নাই।কিন্ত বিপত্তি বাধে নারী দিবসের সাথে পাল্লা দিয়ে একটা বিশেষ দিনে 'পৌরষ্য' কে অযাচিত গ্ল্যামার দেয়ার মধ্যে।
'নারী দিবস' পালন করা পেছনের সহজ ইন্টেশন টা ছিল সবাই কে মনে করিয়ে দেয়া যে, আমাদের মায়েরা বোনেরা প্রেয়সীরা আমাদের সমানে নেই।নারী দিবস কে কেন্দ্র করে যদি আমরা একটু সচেতন হই!তাদের প্রাপ্যটা সমন্ধে আমরা ছেলেরা যেন তাদের একটু সচেতন করে দেই।আর আমরা নিজেরাও সচেতন হই তাদের সন্মান দেয়ার জন্যে।
তাদের একটু সাহস দেই এই বলে যে - না তোমার পথ টা আমি হেটে দিবো না।না তোমার সহায় হবো।আমি বড়োজোর ভালোবেসে তোমার সঙ্গীটা হবো।কিন্তু একই প্রাসপেক্টিভ থেকে বিশ্ব পুরুষ দিবস পালনটা একটা উৎকট রসিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়।কারণ সভ্যতার ইতিহাসটা পুরুষদের হাতে লেখা।স্বাভাবিক ভাবেই দেখার চোখটাও পুরুষেরই হবে।আর দেখানোর ভঙ্গিটাও।
ঐতিহাসিক ভাবে নারীদের যে পরাজয়ের ইতিহাস তাতে নারীদের অক্ষমতা কিংবা অযোগ্যতা থেকে ও বেশি দায়ী মানুষের 'সম্প্রদায়' হিসেবে সবাই কে সাথে নিয়ে সমানভাবে,সময় সাথে প্রকৃতির সাথে ঠিক ভাবে তাল মেলাতে না পারা।তাই নারী - পুরুষ কে সমান করার জন্যে, নারীদের কে পুরুষদের থেকে বেশী সুবিধে দেয়া জরুরী।
নারী - পুরুষ নির্বিশেষে সবাই কে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা!
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো কথা লিখেছেন।
এই সব দিবস টিবস দিয়ে আসলে কোনো উপকার হয় না।
নারী পুরুষ দুজনেই সমান। একজন আরেকজনের পরিপূরক।
নারীকে সম্মান করতে হবে, শ্রদ্ধা করতে হবে। ভালোবাসতে হবে। নারী ভালো থাকলে, ভালো থাকবে দেশ।