নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তা প্রসবের বেদনা মগজব্যাপী স্থায়ী হওয়ার আগেই কলম ধরতে হতো। মাথার মধ্যে জমে থাকা ভয়ংকর সব চিন্তাগুলোকে পরিণতি দেয়া মত শব্দ কোনো কালেই ছিল না।তারপরও সেই সব গল্প লেখতেই হতো,যেগুলো লেখার পর শান্তিতে ঘুমানো যায়।

নির্বাক স্বপ্ন

নির্বাক স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুরাকামির নোবেল

০৩ রা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

ম্যাসেঞ্জার একটা বাজে এ্যাপ।এখানে মেয়েদের ম্যাসেজ দিলে সীন করে না।তাই এই বৃষ্টিতে অনেকটা অভিমান করেই ভিক্টোরিয়া পার্কে গেলাম।উদ্দেশ্য- স্কুল ফেরত,কলেজ ফেরত মেয়েদের দেখে যদি মনটা ভালো হয়।
ভিক্টোরিয়া পার্কে গিয়ে আক্কেলগুড়ুম।দেখি এই ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতেই হারুক মুরাকামি আর হূমায়ন আহমেদ বসে গল্প করছে।আমি তাদের সামনে গিয়ে হাত কচলে মুরাকামির দিকে তাকিয়ে চাঁদবদন মুখ করে বললাম- স্যার আমি আপনার বিরাট বড়ো ফ্যান।আপনার লেখায় বিষন্নতা যেভাবে ফুটে উঠে তা অন্যদের লেখায় পাওয়া যায়।এছাড়াও আপনি খুব সাটেল ওয়েতে একটা কল্পনার এবং বাস্তবের মাঝে পাঠককে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।
বুকে দম নিয়ে আরো বললাম- এবার সাহিত্যে নোবেলটা আপনিই পাবেন!আমরা তরুণ বুদ্ধিজীবি যারা আছি এর সপক্ষে গণস্বাক্ষরের ব্যবস্থা করেছি।এর কাজ ঠিক ভাবে সম্পাদনের জন্য ইতিমধ্যেই একটা সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মুরাকামি দাঁত খিঁচে বললেন- নাটক কম করো পিও।মাইয়াগো কাছে পাত্তা পাওনের লাইগা যে ঠেকায় পইরা আমার দুই চারটা বইয়ের নাম মুখস্থ করসো সেটা জানি।
এই কথা শুনে তো আমি হতভম্ব।মুরাকামি থোতা মুখ ভোঁতা করে বললেন- এই সব ভন্ডামী বাদ দিয়া যা আমার লাইগা একটা ক্যামেল ধরাইয়া নিয়া আয়।আমি সাহস করে বললাম- স্যার আমি তো জানতাম আপনি খুব স্বাস্থ্য সচেতন।বিড়ি সিগারেট খান না।এই কথা শুনে জাপানি লেখক তেড়ে আসলেন- বানচোদ! বৃষ্টির মধ্যে ভিক্টোরিয়া পার্কে বইসা যদি তোর লগে বাংলায় কথা কইতে পারি, তবে ক্যামেল খাইতে পারুম না ক্যান?
কথায় যুক্তি আছে।আমি চুপ করে গেলাম।এতক্ষণে গল্পের যাদুকর হূমায়ন আহমেদ মুখ খুললেন- আহা!হারু ভাই রাগ কইরেন না।সেক্সুয়ালি ফ্রাস্ট্রেটেড ছেলে।আপনার নাম ভাঙিয়ে একটু এটেনশন চায় আরকি!
এবার হূমায়ন স্যার চশমার ফাঁক দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন- তুমি বাবা আমার অপেক্ষা উপন্যাসটা নিয়ে একটা ছবি তুইলা পোস্ট কইরো।ইদানীং এই বইটা নতুন করে মার্কেটে খাচ্ছে।একটা এস্থেটিক ব্যাপার আছে।বইটা তো সাথে থাকলে একটা অটোগ্রাফ দিতে পারতাম।
আমি আর ভয়ে বললাম না যে,অপেক্ষা উপন্যাসটা তো আমি পাইরেটেড পিডিএফ পড়েছি।হূমায়ন স্যার পকেট থেকে বেনসনের প্যাকেট বের করে হারুকি মুরাকামি দিকে এগিয়ে ধরলেন- নেন হারু ভাই বেনসন খান।
মুরাকামি সিগারেটে ছোট একটা টান দিয়ে গান ধরলেন- 'একটা ছিল সোনার কন্যা,মেঘ বরণ কেশ/ ভাটি অঞ্চলে ছিল সেই কন্যার দেশ'। হূমায়ন স্যারও গলা মিলালো।আমি শুধু গাইলাম অন্তরার শেষ দুইটা লাইন- 'ভুল করা কন্যার লাগি মন আনচান করে/আমার মন আনচান করে'। (রম্য)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.