![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঊড়ছি কেন!!!!!!!!!!!!! কেউ জানেনা!!!!!!!!!!!!
-হ্যালো?
-হ্যা, বলো।
-বলো মানে! তুমি এখনো উঠনি ঘুম থেকে?আর মাত্র ১৫ মিনিট আছে!
-আচ্ছা, তুমি বের হও, আমি আসছি।
প্রতিদিনই সাতসকালে সারার ফোন পেয়েই আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।চারটি বছর ধরে সে এভাবেই আমাকে ক্লাসের আগে ডেকে দিয়েছে।কিন্তু আজকের দিনটি সম্পুর্ণ ভিন্ন। সারা এখন ডিপার্টমেন্টের টিচার হয়েছে, সে আজ আমার ক্লাস নিবে!সে ডিপার্টমেন্টের ফার্স্ট ছিল, আমি প্রতি সেমিস্টারেই দুই-তিনটা সাবজেক্টে ফেল করতাম।এত ব্যাকলগ কোর্স জমে গেছে যে, সেগুলোর জন্য আবার নাকি কয়েকটা ক্লাস করতে হবে চার বছর জুনিয়রদের সাথে। তারই একটি ক্লাস নিবে সারা!সারা মেঘকে নাকি 'মেকানিক্স' শেখাবে।
সারার সাথে আমার প্রথম দেখা হয় ট্রেনে।ও তার বাবার সাথে ভার্সিটিতে ভর্তি হতে আসছিল।আমিও একি কাজে আসছিলাম তবে একা।আমার ঠিক সামনে জানালার পাশের সিটটাতে বসেছিল ও। আমার ঠিক মনে আছে ওই আটটি ঘন্টা আমি সিট থেকে উঠিনি। আমি সিগারেট ছাড়া এক ঘন্টার বেশি থাকতে পারিনা।পেরেছিলাম সেদিন, পুরো আট ঘন্টা সিগারেট না খেয়ে ছিলাম।যাকে আমি আজ এত ভালবাসি, যে আমাকে আজ এত ভালবাসে তার সাথে আমার প্রথম কথার স্মৃতিটা ভাবলে আজও নিজেকে গাধা মনে হয়।
-আপনার কাছে কি এক্সট্রা পানির বোতল আছে?
-আমাকে বলছেন?
-হু, আপনাকেই।
-আছে। দাড়ান একটু দিচ্ছি।
-থ্যাঙ্কস
-থাক, ধন্যবাদ দিতে হবে না। এই নিন।
ব্যস, এইটুকুই। এরপর ওর বাবা এসে হাজির। আর ওই লোকের যে রাগী চেহারা আমি আর সাহস করিনি।পানির বোতলটা ব্যাগ থেকে বের করে দিয়ে আবার মুখ গুজে বই পড়তে শুরু করল!
যাহ্, ওর নামটাই জানা হল না! আমার নামটাও বলা হল না।কি আর করা। ভেবে নিয়েছিলাম ক্ষণিকের অতিথি হয়েই এসেছিল সে।কিন্তু সেদিন আমার চোখের তৃষ্ণা এক ফোটাও মেটেনি।কিছুক্ষণের জন্য তাকে সারাজীবনের জন্য পেতে খুব ইচ্ছা করছিল। মনে হচ্ছিল ট্রেন থেকে নামলেই বুঝি তাকে আর কখনও এইভাবে দেখতে পারব না। আমার ধারনা ভুল হয়েছিল।
ক্যাম্পাসে সারার সাথে প্রথম দেখা হয় পুকুরপাড়ে। আমি আর এক বন্ধু মিলে গিটার বাজিয়ে গান গাইছিলাম। হঠাৎ কোথা থেকে সে এসে বলল,
-হাই! আমি সারা। তোমরা কি অঞ্জন দত্তের সবাই গানটা গাইতে পারবে একটু?
আমি একটু হকচকিয়ে গিয়েছিলাম। ক্যাম্পাসে সাধারণত মেয়েরা যেচে ছেলেদের সাথে কথা বলে না। এ ত দেখি পুরোই নিজের মত চলে!
-আমি মেঘ, আর ও আমার বন্ধু রাফা। তুমি বস, আমি চেষ্টা করছি।
এরপর থেকে চার বছরের প্রতিটি সন্ধ্যায় তাকে আমার গান শোনাতে হয়েছে।ইদানিং অবশ্য আর বসা হয় না। সারা এখন টিচার হয়েছে। সে কি আর তার ছাত্রের সাথে ক্যাম্পাসে বসে প্রেম করতে পারে!এটা নিয়ে দিন দুয়েক আগেও ওর সাথে অনেক ঝগড়া হয়েছে।
-দেখ সারা, তুমি যদি আমাকে নিয়ে ঘুরতে সঙ্কোচ বোধ কর, তাহলে তুমি তা সরাসরি বলতে পার।
-আমি কি তাই বলেছি নাকি?
-তুমি যাই বল।তোমার আচরণ আমাকে তাই বলে দিচ্ছে।
-বাহ! তুমি এতই বোঝ নাকি? কই তখন তো বোঝনি তোমার জন্য সারারাত জেগে নোট বানিয়েছি।
-আমি তো কবেই বলেছি ,আমার পড়তে আর ভালো লাগে না।
-তো, আমার জন্য পড়তে!তোমার সকালের ক্লাস যাতে মিস না হয়, তোমাকে ডেকে দেয়ার জন্য চারটি বছর যে আমি রাতে ঘুমাইনি, তা কি আমি নিজের ভালর জন্য করেছি!অথচ তবুও তুমি ক্লাস করলে না! আবার ক্লাস করে পরীক্ষা দিতে হবে, তা কি আমার দোষ?
আমি আর কিছু বলতে পারিনি।পণ করেছিলাম ওই অপ্সরীকে কাদাব না কোনদিন। এটাও রাখতে পারিনি। সেদিন সারার চোখে প্রথম জল দেখতে হয়েছিল আমাকে।
আজ আমার আরো ক্লাসে যেতে ইচ্ছে করছে না।সারা ক্লাস নিবে আর বাকিরা মাঝে মাঝে আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসবে এটা আমি সইতে পারব না। তার চেয়ে আরও এক বছর পরেই না হয় বের হলাম। এটা সেটা যখন ভাবছি তখন ওর ম্যাসেজ এল "মেঘ, জানি তুমি আসবে না। ঠিক ৫ টায় মেইন গেট এ থেকো। পারলে ওই কালো পাঞ্জাবিটা পড়ে এসো।"
আমি আবার একটা ঝগড়ার প্রস্তুতি নিয়ে ঠিক সময়ে যথাস্থানে পৌছালাম।গিয়ে দেখি সারা আমার আগে এসে দাঁড়িয়ে আছে। এই মেয়েটার সাথে জীবনের কোন অংশেই আমি জিততে পারলাম না। সে যত ছোট কাজই হোক না কেন? সে ঠিকই আমার আগে সেটা করে ফেলবে।
-চল
-কোথায়?
-জানি না
-মানে?
-মানে কিছু না। তোমার টিচার হয়ে আমিও কখনও তোমার ক্লাস নিতে পারব না। এও কি সম্ভব!আমি পারব না। মেঘের কাছে সারা আজ থেকে জীবন শিখবে।
-আমার তো কোন জীবনই নাই, তুমি বলতে!
-জানি না। চল, হাঁটা শুরু করি। আর ফিরে চাইব না পিছন পানে।
-চল। আজ তোমাকে জীবন শেখাব।মেকানিক্স তুমি যতই পারো, জীবনের পাঠশালায় তুমি জিরো। হা হা হা...
-অকে, মহাগুরু। মহাময়ী মেঘকে আমি জীবনের পাঠশালার একমাত্র গুরু মেনে দীক্ষা গ্রহণ করিলাম।
-হয়েছে।আচ্ছা তুমি এত পড়াশোনা করে শেষ পর্যন্ত আদু ভাই টাইপের একজনের সাথে ভবঘুরে হচ্ছ! তোমার ডিগ্রিগুলো তো বৃথাই গেল।টিপ্পনি কাটলাম আমি।
-যাক। তাতে তোমার কি!
নিজের উপর খুব রাগ হচ্ছিল। এই মেয়েটাকে এত কষ্ট দেয়া ঠিক হয়নি।আমি সারার হাত ধরলাম।বোকা মেয়ে ভ্যা করে কেঁদে দিল!আমরা হাঁটা শুরু করলাম।আমি চাইছি এ পথ যেন আর শেষ না হয়।পথের শেষে আবার এই হাত ছাড়তে পারব না আমি।
-আর কাঁদাবে না তো আমাকে?
-কক্ষনো না
-আমার সব কথা শুনবে?
-সব
-আমায় প্রতিদিন গান শোনাবে?
-প্রতিদিন....
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৬
নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: ্লেখার হাত ত অত ভাল না বাইসাব
যত আবেগ আছিল হগলে দেখাইতে পারিনাই
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১০
বজ্জাদ সাজ্জাদ বলেছেন: ভাইয়ে কি এম আই এস টিতে পরেন নাকি???
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৫
নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: না
তয় অইরকম কিছু একটাই
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০০
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনুসরন লিস্ট থেকে লেখাটি পৈড়ালাইলাম! বেশ লাগলো দেশী!! ভাল লাগা নিবেন! ++
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০০
নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: থ্যাঙ্কু বড়ভাই
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: ++++
-আর কাঁদাবে না তো আমাকে?
-কক্ষনো না
-আমার সব কথা শুনবে?
-সব
-আমায় প্রতিদিন গান শোনাবে?
-প্রতিদিন....
খুব সুইট গলপো! বাট নায়িকার বর্ননা আরেকটু বেশি আসলে ভালো হত যেকারনে লাভ আ্যাট ফার্স্ট সাইট হলো !!
১নং কমেন্টের সাথে একমত
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৩১
নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: গপ্ল লিখতারিনা
আরও অনেক পড়িতে হইবেক
দোয়া রাখবেন
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০১
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: গল্প ভাল হইছে, মাগার হেডলাইন(বেশি আবেগী গল্প
অনেকদিন আবেগ নিয়ে খেলা করা হয় না :-*) অনুযায়ী আবেগ কম পড়ছে