নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কর্মীরা কমছে, বাচালরা বাড়ছে

আমি শিক্ষানবীশ এবং কর্মী । সবার কাছ থেকেই শিখছি । সারা জীবনই হয়ত শিখে যাব।

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ

ঊড়ছি কেন!!!!!!!!!!!!! কেউ জানেনা!!!!!!!!!!!!

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধুত্বের অঙ্গীকার আমাদের "স্পৃহা" ......বিপদগ্রস্তদের জন্য হাতে হাত মিলিয়ে আজীবন লড়ে যাওয়ার প্রত্যেয়ে..... :)

১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৯



২০১১ সালের নভেম্বর মাস।আমরা সবাই তখন এইচ এস সি পরীক্ষায় পাশ করে ভর্তি যুদ্ধে অংশ নিয়ে বেড়াচ্ছি। কয়েকজন ইতোমধ্যে তাদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে নাম লিখিয়ে ফেলেছে। অনেকেই আবার তখনও কোথাও চান্স পায়নি। কিন্তু আমরা কয়েকজন ছিলাম যারা ভাল-খারাপ সবদিনেতেই রংপুরের রেলগেটে আড্ডা মারতাম। তাদের মধ্যে থেকেই এই চিন্তার উদ্ভব যে "দেশের জন্য কিছু করতে পারব না তো কি হইছে? দেশের মানুষের জন্য তো আমরা কিছু করতে পারি!" সেখান থেকেই শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর একটা প্রস্তাব আসে। ব্যস, তারপর দিন থেকেই কাজ শুরু করা হয়। আরও কয়েকজনকে ডেকে তাদের উপরও কিছু দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। সবার উপর মোটামুটি নির্দেশনা এরকম ছিল যে, সবাই সবার পাড়া থেকে পুরাতন শীতবস্ত্র এবং কিছু নগদ টাকা সংগ্রহ করবে সাথে নিজেও ২০০ টাকা করে দিবে।



কাপড়ের কালেকশন যেরকম হলো তা দেখে চক্ষু চড়ক যাবার উপক্রম। বাসার ১২০ বর্গফুটের একটা রুমের প্রায় পুরোটাই ভর্তি হয়ে গেল সপ্তাহখানেকের মধ্যে।

কাপড় কালেকশনের সময়কালের একটা কাহিনী বলি, "এক চাচা পাড়ার চায়ের দোকানে বসে ছিল। হাতে বস্তা দেখে জিজ্ঞেস করল, কি করছ? আমি বললাম, শীতবস্ত্র সংগ্রহ করে বেড়াচ্ছি। শীতার্তদের সাহায্য করব।সে এদিক ওদিক তাকিয়ে নিজের দামি কোটটা খুলে আমাকে দিয়ে বলল, বাবা এখন হাতে টাকা থাকে না। এটা নিয়ে যাও, কোন বুড়োকে দিও।" কোন কথা না বলে সেদিন চলে এসেছিলাম চাচাকে একটা সালাম দিয়ে। একটু বেশিই অবাক হয়েছিলাম মনে হয়।



এটাই সম্ভবত সেই চাচার কোট ছিল। :)



যাই হোক, আমাদের শীতবস্ত্র বিতরণের ধাচ একটু অন্যরকম ছিল। আমরা ঢালাওভাবে কয়েকটা কম্বল দিয়েই নিজের দ্বায়িত্ব শেষ করতাম না এবং এখনও করি না। দুই-একদিন আগে গিয়ে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় গিয়ে এলাকার প্রত্যেকটা পরিবারকে শীতের হাত থেকে বাঁচাতে যতগুলো শীতের কাপড় লাগবে তা আগে ঠিক করি।





স্পৃহার জরিপ কার কি লাগবে শীত কাটাতে!



তারপর প্রত্যেকটা পরিবারের জন্য আলাদা করে প্যাকেট করে তাদের হাতে তুলে দেই। হয়ত আমরা বেশি পরিবারকে দিতে পারিনা, কিন্তু যাদেরকে দেই তারা যেন শীতটা কাটিয়ে উঠতে পারেন সেদিকে নজর দেই বেশি।

প্রথমবার আমরা মাত্র বাইশটা কম্বল আর কয়েকটা বস্তায় কিছু গরম কাপড় নিয়ে গেছিলাম রংপুরের গঙ্গাচড়ার একটি গ্রামে। কিন্তু একটা সোয়াটার কিংবা কম্বল পেয়ে শীতের আঘাতে আক্রান্ত একেকটা লোকের মুখে হাসি দেখে আমরা সেদিনই প্রতিজ্ঞা করি আর থেমে থাকব না।





এই হাসির মায়া আমরা কখনও ছাড়তে পারব না



গ্রুপের নাম দেয়া হয় "স্পৃহা"। কিছুদিন পরেই এক বন্ধুর আব্বা আমাদেরকে ১০০ কম্বল দেন দুঃস্থদের মাঝে দেয়ার জন্য। সেবার এমন এক জায়গায় গিয়েছিলাম যেখানে সব উদ্বাতুদের বাস। নদীভাঙ্গা অসহায়রা সেখানে গিয়ে মাটির ঘর বানিয়ে থাকত। নান্দিনার বিল নামক এক বিশাল পুকুরের সেই গড়ে ১০০ পরিবারকে শীতবস্ত্র দিতে আমাদের ১০ জনকে প্রায় ২ কিলোমিটার ১০টি বস্তা ঘাড়ে করে নিয়ে যেতে হয়েছিল।





সেটাকে কিন্তু কেউ একবারও কষ্ট লাগছে বলে উচ্চারণ করেনি।আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল, সকল কষ্ট উপেক্ষা করে সেই দুর্গম এলাকা গুলোতে যাওয়া যেখানে অন্যান্য সংগঠন যাদের মিডিয়া কভারেজের দিকা নজর বেশি তারা যায়না এবং আমরা আজ পর্যন্ত সফল। একটি মানববন্ধনের সময় ব্যতীত আমরা আজ পর্যন্ত কোন ব্যানার ব্যবহার করিনি। তাজরীন গার্মেন্টের দূর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সকল গার্মেন্টস কর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে সে মানববন্ধন ছিল।



খুব মন থেকে কাজগুলো করি বলে নিজের মনেই খুব শান্তি লাগে। সারাদিনের কষ্ট ধূলোয় মিশে যায়। আমরা যে খুব পিছিয়ে আছি তা কিন্তু নয়।২০১১ সালেই আমরা প্রায় ১০০০ পরিবারকে সাহায্য করেছি।কিভাবে কিভাবে যেন অর্থ কিংবা শীতবস্ত্র আমাদের হাতে এসে যায়। ওল্ড ফোজিয়ান্স এসোসিয়েশন, বুয়েটের ৮৭ ব্যাচ এর ফাউন্ডেশন, এক বন্ধুর আব্বার বড় অঙ্কের ডোনেশন আমাদের হাতে তাদের শীতবস্ত্র তুলে দেয় এখনো তারা সময় করে এগুলো শীতার্তদের হাতে তুলে দিতে পারেনা বলে। তাদের দেয়া শীতবস্ত্র বিতরণের সময় আমরা তাদের সংগঠনের ব্যানারই ব্যবহার করি তাদের শর্তমতে। ঢাকার দুটি গ্রুপও আমাদের সাথে নিয়মিত কাজ করে এখন।



২০১২ সালের শীতে সবাই নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর দরুণ ক্যাম্পাসে চলে যায়। কিন্তু কাজ মোটেও থেমে থাকেনি। বরং যারা রংপুরে ছিল তারা এত খেটেছে যে ১১ সালের তুলনায় বেশ কয়েক জায়গাতেই আমরা বিপদগ্রস্তদের পাশে দাড়াতে পেরেছিলাম।





যখন সবকিছুই ঠিকমত চলছে তখন আমরা ঠিক করি আমরা কোন দিকগুলো নিয়ে কাজ করব। ঠিক হয় শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করার পাশাপাশি আমরা পথশিশুদের নিয়েও কাজ করব এবং ভালভাবেই করব।

পথশিশুদের জন্য একটা পাঠশালা তৈরী করা হবে সবার আগে-এই চিন্তা ছিল আমাদের, এখনও আছে।
এছাড়া আমাদের সর্বোচ্চ সাধ্য দিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য লড়াই করব এটা হল আমাদের মূলনীতি।



কিন্তু আমাদের তো কোন ফান্ড নেই। কি দিয়ে কি করব! একবার সবাই মিলে ঠিক করি একটা সাইকেল রেসের আয়োজন করি। সেখান থেকে যা আসবে তা দিয়ে না হয় স্কুলের ব্যাপারে কিছু করা যাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, রেস হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেখান থেকে কোন টাকাই আমরা ফান্ডে নিয়ে আসতে পারিনি বরং পকেট থেকেই অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে।







সাইকেল রেস নিয়ে কিছু ছবি।



তবে ফান্ড রেইজিং না হলেও সেটা নতুন কিছু করার সাহস যুগিয়েছে আমাদের। এবার অন্য দিক দিয়ে ফান্ড কালেকশনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।

"স্পৃহা" ঈদে সুবিধাবঞ্চিত এবং পথশশিশুদের নিয়ে কিছু করতে চায়। সেটা হল রংপুরে পথশিশুদের ঈদের নতুন পোশাক উপহার দেয়া। আমি কিন্তু বলেছি "উপহার" এটা সাহায্য নয়। আমরা ওদের বন্ধুর মতই মনে করি যারা বিপদে আছে। সেই বন্ধুদের জন্য আমাদের ঈদের উপহার দেয়ার অধিকার তো আছেই। আমরা এটার জন্য অর্থ সংগ্রহ শুরু করেছি। বন্ধুরা যে যেখানেই আছে সেখান থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঈদের ছুটিতে সবাই রংপুরে ফিরে এলে আশা করি আরও জোরদার কাজ শুরু হবে। আমাদের ইচ্ছা রংপুরের একটি শিশুও যেন ঈদের দিন ময়লা ছেড়া জামা না পড়ে থাকে।



ইদানিং অনলাইনে অনেক কিছুই হয়। অনেকে নিজে কিছু করতে পারেন না কিন্তু অর্থ সাহায্য করতে চান। তাদের জানাতেই আমার এই পোস্ট। আপনারা এই সুবিধাবঞ্চিত বন্ধুদের জন্য যদি ঈদে একটি নতুন জামা উপহার দিতে চান তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। অনেকে সন্দিহান থাকেন তার দেয়া অর্থ সঠিক পথে গেল কি না! এই ব্যাপারে শুধু একটা কথাই বলতে পারি, আমরা মানুষ ভালবাসি।



প্রচারণা চাই না, শুধু চাই অনেক মানুষকে সাথে নিয়ে বিপদে আছে যারা তাদের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে। আপনারা অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্লগার আছেন, আপনাদের অনেকের সাথেই পরিচয়-সখ্যতা আছে। আপনারা আমাদের পাশে থাকলে আমরা সকল সুবিধা বঞ্চিত বন্ধুদের জন্য সঠিক কাজ করে বন্ধুত্বের মর্যাদা রক্ষা করতে পারব।



স্পৃহা যাদের হাত দিয়ে শুরু হয়েছিল তারা সবাই ২০-২১ বছরের তরুণ। বন্ধু সায়ন (ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক) আছে, জোহা (বুয়েট, ১ম বর্ষ), উদয়(ইউয়াইইউ, ৫ম সেমিস্টার), পলিন(বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ১ম বর্ষ), ইয়াসির(প্রাইম মেডিকেল, ১ম বর্ষ), রাজিব(কারমাইকেল কলেজ, ১ম বর্ষ), নাবিল(বুয়েট, ১ম বর্ষ), কৌশিক(বুয়েট, ১ম বর্ষ) এদের হাত দিয়েই স্পৃহার সূচনা।



যদি চান পাশে দাড়াবেন যোগাযোগ করতে পারেন,

মেসবা (কুয়েট, ২য় বর্ষ)- ০১৭৫১১১৩৬৮৩



সরাসরি কোন একাউন্ট নাম্বার দিয়ে দিচ্ছি না। আগে আপনারা জানুন তারপর এগিয়ে আসুন।

আমাদের ফেসবুক গ্রুপেও যোগাযোগ করতে পারেনঃ (স্পৃহা) SPRIHA

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: স্যালুট ভ্রাতা ++++++++++++++++++++

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৫

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: ধন্যবাদ অপূর্ণ দা।

দোয়া রাইখেন

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১০

বটের ফল বলেছেন: অভিনন্দন আপনাকে নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ। এগিয়ে যান দৃপ্ত প্রত্যয়ে-এটিই প্রার্থনা।

ভালো থাকবেন।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৩

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: দোয়া রাইখেন

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: দুর্দান্ত !

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২২

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: সাথে থাইকেন মিতা :)

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:


এই বড় মনের পিচ্চি কয়েকটার সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় আছে ভেবে ভীষণ গর্ববোধ করি। আমি স্পৃহা'র পাশে থাকার চেষ্টা করবো সবসময়। যে কোন সময় ডাকলেই পাশে পাবা।


১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২১

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: ধন্যবাদ আমিনুর ভাই
ভাই পারলে ওই দিনটা আমাদের সাথে থাইকেন। আপনারও ভাল লাগবে আমাদেরও :)

৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভাল কাজ চালিয়ে যান - স্পৃহা'র জন্য শুভকামনা

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২০

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: থ্যাঙ্কু মাসুম ভাই

৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

মামুন রশিদ বলেছেন: শুভকামনা স্পৃহা ।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৯

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই

৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ! এগিয়ে যান অদম্য স্পৃহা নিয়ে।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৯

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: অবশ্যই

দোয়া রাইখেন হামা ভাই

৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

লেখোয়াড় বলেছেন:
+++++++++++++
খুব, খুব ভাল লাগল।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৮

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: ধন্যবাদ লেখোয়াড় ভাই

দোয়া রাইখেন

৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

মাক্স বলেছেন: শুভকামনা রইল স্পৃহার জন্য!

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৭

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: ধন্যবাদ মাক্স

১০| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

শুভকামনা রইল। পোস্ট প্রিয়তে নিলাম এমন ভালো কাজের জন্য।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৭

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: ধন্যবাদ জাদীদ ভাই।
দোয়া রাইখেন।

১১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ব্যাপারটা। এগিয়ে যান। ইনশাল্লাহ! আপনাদের সাথে আমি যোগাযোগ করার চেষ্টা করব।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৬

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: ওকে জাদীদ ভাই।
দোয়া রাইখেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.