নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নির্ভীকের হালখাতা. . . . . শিরোনামহীন সংলাপ

নির্ভীক সৈনিক

নির্ভীক সৈনিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দক্ষিণ তালপট্টি: কিছু তথ্য

১১ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:০৬

দক্ষিণ তালপট্টি -একটি অমিমাংসিত নাম ।প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছিল দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ নিয়ে। একপর্যায়ে ভারতের নৌবাহিনী তালপট্টি দখল করে ভারতীয় পতাকাও উড়িয়েছিল। দ্বীপটির মালিকানা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে অনেক আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান আসেনি। বাংলাদেশের সীমানায় সাগরের বুকে ভেসে ওঠার পর থেকে এর মালিকানাও এ দেশের হাতে আসেনি।১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের পর হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনার অদূরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ জেগে ওঠে। হাড়িয়াভাঙ্গার মোহনা থেকে দুই কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। ১৯৭৪ সালে একটি আমেরিকান স্যাটেলাইটে আড়াই হাজার বর্গমিটার এ দ্বীপটির অস্তিত্ব ধরা পড়ে। পরে রিমোট সেন্সিং সার্ভে চালিয়ে দেখা গিয়েছিল, দ্বীপটির আয়তন ক্রমেই বাড়ছে এবং একপর্যায়ে এর আয়তন ১০ হাজার বর্গমিটারে দাঁড়ায়।

দ্বীপটির মালিকানা বাংলাদেশ দাবি করলেও ভারত ১৯৮১ সালে সেখানে সামরিক বাহিনী পাঠিয়ে তাদের পতাকা ওড়ায়। ভারতের যুক্তি, ১৯৮১ সালের আন্তর্জাতিক জরিপ অনুযায়ী দক্ষিণ তালপট্টির পূর্ব অংশটির অবস্থান ভারতের দিকে, যা ১৯৯০ সালের ব্রিটিশ অ্যাডমিরালটি চার্টেও স্বীকৃত।

গত শতকের সত্তরের দশকে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ভারত সফরে গিয়ে এ-সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে বলেছিলেন, দ্বীপটির পশ্চিম দিকের সমুদ্র চ্যানেলের মূল প্রবাহটি পরিষ্কারভাবে প্রমাণ করে দ্বীপটির মালিকানা বাংলাদেশের। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে দ্বীপটির মালিকানা নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও কোনো সমাধান আসেনি।



আসুন দক্ষিণ তালপট্টির বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন সম্পরকে জানি।

......................................................................................................

দক্ষিণ তালপট্টি দখলে নয়াদিল্লি নতুন কৌশল নিয়েছে। ‘দ্বীপটি সাগরগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে’—এই চাণক্য প্রচার চালাচ্ছে গত ক’মাস ধরে। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত বহুল আলোচিত এই দ্বীপটির অস্তিত্ব হায়িয়ে যায়নি। বাংলাদেশের মালিকানার এ দ্বীপটিতে এখন ভারতীয় পতাকা উড়ছে। ভূ-উপগ্রহ থেকে পাঠানো চিত্র ও জেলেদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে দ্বীপটির অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তবে সমুদ্র বিশেষজ্ঞরা দ্বীপটির অস্তিত্ব থাকা নিয়ে পরস্পর দ্বিমত পোষণ করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনক্লস (ইউনাইটেড ন্যাশন্স কনভেনশন অন দ্য ল অব দ্য সি) উইংয়ের প্রধান অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব খোরশেদ আলম বলেছেন, ’৯০ সালের পর থেকে কার্যত এই দ্বীপের আর কোনো অস্তিত্ব নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ভারত এতবড় একটা অপপ্রচার চালালো আর বাংলাদেশ নিরুত্তর থাকল এটা বিস্ময়কর। তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুত্-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ সমুদ্র সম্পদ ও অঞ্চল রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ বলেন, সেখানে দ্বীপ থাক বা না থাক ভারত যে অঞ্চলটি তাদের বলে দাবি করছে সেটা বাংলাদেশের। ভারতের দাবি অন্যায্য। সাগর সমীক্ষা সংক্রান্ত ভারতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউশন অব ওসানোগ্রাফিক স্টাডিজ ইন ক্যালকাটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক হাজরার উদ্ধৃতি দিয়ে গত মার্চ মাস থেকে বিবিসি ও সিএনএনসহ আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী মিডিয়া দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ হারিয়ে গেছে বলে প্রচার চালাচ্ছে। এতে বলা হচ্ছে, গত ১৫ বছরের এ অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আগের দশকের চেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়ে যাওয়ায় এ পরিণতি হয়েছে। সুন্দরবন সংলগ্ন অঞ্চলের জেগে ওঠা অন্য দ্বীপগুলো সাগরে বিলীন হয়ে যাবে বলে তার বরাত দিয়ে মিডিয়া ফলাও করে প্রচার চালায়। মিডিয়ায় এ তথ্য প্রচারিত হওয়ার পর ভূ-উপগ্রহ থেকে বিশ্বের ভৌগোলিক অবস্থান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট গুগল আর্থ সার্চ করে দ্বীপটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে গত মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত ওই দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত একাধিক জেলের সঙ্গে কথা বলে দ্বীপটি হারিয়ে যাওয়ার তথ্য সঠিক নয় বলে জানা যায়। কিন্তু শুধু তাদের কথার ওপর ভিত্তি করে দ্বীপটি টিকে থাকার তথ্য প্রচার করা সম্ভব হয়নি। গত মাসের শেষদিক থেকে গুগল আর্থে ভূ-উপগ্রহ থেকে পাঠানো সর্বশেষ চিত্রে দেখা যায়, দ্বীপটি হারিয়ে যায়নি। আগের মতোই দ্বীপটির স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছে গুগল আর্থ। সেখানে ভারতীয় পতাকা উড়ছে এবং সে দেশের জেলেরা ওই ভূখণ্ড ব্যবহার করে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত আছে। আমাদের জেলেরা এসব তথ্য দিয়ে জানান, ভারতীয় নৌ-বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকায় তারা সেখানে যেতে পারে না।

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার সর্ব দক্ষিণের জনপদটির নাম তালপট্টি। আর এ তালপট্টির দক্ষিণে জেগে ওঠা দ্বীপটির নাম দক্ষিণ তালপট্টি। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসে প্রলঙ্করী ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানার পর এ ভূখণ্ড জেগে ওঠে। ১৯৭১ সালে নয়াদিল্লি এ ভূখণ্ড তাদের বলে দাবি করে। কিন্তু যুদ্ধ চলায় এ নিয়ে বাংলাদেশ কোনো অবস্থান নিতে পারেনি। ১৯৭৪ সালে আমেরিকার স্যাটেলাইটে প্রথমে দ্বীপটির ছবি তোলা হয়। ছবি থেকে জানা যায় এর আয়তন আড়াই হাজার বর্গকিলোমিটর। অফুরন্ত সম্পদের হাতছানি দেয়া এ দ্বীপটির মালিকানা ভারত দাবি করে নাম রাখে পূর্বাশা বা নিউ মুর আইল্যান্ড। তাদের যুক্তি হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর প্রধান স্রোতধারা থেকে দ্বীপটি সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু স্যাটেলাইট থেকে পাঠানো ছবি বিজ্ঞানীরা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, পশ্চিবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বশিরহাট থানার হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মূল স্রোত দক্ষিণ তালপট্টিকে বামে রেখে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে। কাজেই তালপট্টি বাংলাদেশের সীমানায় পড়েছে। ভারত জোর করে দ্বীপটির মালিকানা দাবি করায় ১৯৭৪ সালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ আলোচনার আহ্বান জানানো হয়। ওই আহ্বান ব্যর্থ হলে ১৯৭৯ সালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা হয়। পরে ১৯৮০ সালে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয় : স্টাডি ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে দ্রুত আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ১৯৮১ সালের ১১ মে এ বিবৃতি উপেক্ষা করে ভারত সরকার তাদের নৌবাহিনীর আইএসএন সন্ধাক (ওঘঝ ঝধহফযধুধশ) নামের একটি জাহাজ পাঠিয়ে দ্বীপটিতে ভারতের পতাকা উত্তোলন করে। ১৩ মে এই দখলদারদের প্রতিরোধ করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পাল্টা নৌবাহিনী পাঠান। এ নিয়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হলে ভারত সেখান থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়। এই ঘটনার পরই ৩০ মে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়া নিহত হন। এই উত্তেজনা নিয়ে ভারতের সমুদ্র বিশেষজ্ঞ সুমিতা সেন ১৯৯৬ সালে তার প্রকাশিত গ্রন্থ ‘দ্য ওশেন রেজিম’-এ বলেছেন, ‘দক্ষিণ তালপট্টি (ভারতীয়রা নাম দিয়েছে নিউ মুর) নিয়ে ১৯৮১ সালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়।’

বঙ্গোপসাগরের ২৯ হাজার বর্গ নটিক্যাল মাইলকে বাংলাদেশ নিজেদের সামুদ্রিক সীমা মনে করে। নদীবেষ্টিত অঞ্চলের সীমানা নির্ধারণের আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের এই দাবি উপেক্ষিত হয়ে আছে। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমানা ভাগাভাগি হয়েছে রেডক্লিফ রোয়েদাদ অনুযায়ী। এতেও তালপট্টি বাংলাদেশের সীমানায় পড়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। তারপরও ভারত জাতিসংঘে তালপট্টিকে নিজেদের উল্লেখ করে দাবি উত্থাপন করেছে।

ভারতীয় বিজ্ঞানীদের বরাতে বিশ্ব মিডিয়ায় তালপট্টি হারিয়ে যাওয়ার খবরের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব গত ১০ এপ্রিল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ভাসুক আর ডুবুক দক্ষিণ তালপট্টি বাংলাদেশের। কিন্তু তালপট্টি বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও এখনও জাতিসংঘে দাবি উত্থাপন করা হয়নি। রহস্যজনকভাবে বাংলাদেশ নীরব আছে।

সূত্র জানায়, দক্ষিণ তালপট্টি বাংলাদেশের এই দাবি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে এটা বুঝতে পেরে ভারত দ্বীপটি হারিয়ে গেছে বলে বিশ্ব মিডিয়ায় প্রচারণা চালায়। যাতে তালপট্টির ওপর থেকে দৃষ্টি সরে যায়—এ জন্য তাদের বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা হয়। এ সুযোগে ভারত সেখানে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চালাচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।

অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব খোরশেদ আলম বলেছেন, ’৯০ সালের পর থেকে কার্যত এই দ্বীপের আর কোনো অস্তিত্ব নেই। তবে এই যে জায়গাটি ভারত তাদের বলে দাবি করছে তা মূলত বাংলাদেশের। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী জোয়ার-ভাটা উভয় সময়ে দেখা না গেলে তা কোনো দ্বীপ নয়। বর্তমানে ভাটির সময় মাঝেমধ্যে দ্বীপের অস্তিত্ব দৃষ্টিগ্রাহ্য হয়। জোয়ারে আর দেখা যায় না। তারপরও যে এলাকাটি ভারত তার নিজের বলে দাবি করছে তা বাংলাদেশের। এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও সমুদ্র আইন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ভারত এতবড় একটা অপপ্রচার চালালো আর বাংলাদেশ নিরুত্তর থাকল এটা বিস্ময়কর ঘটনা। ভারত তো তার সমুদ্রসীমা বাড়ানোর চেষ্টা করবেই। কিন্তু বাংলাদেশকে তার সমুদ্রসীমা রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, বড় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখার এবং নিজের স্বার্থ দেখার যে কর্মকৌশল, যে যোগ্যতা, যে দায়িত্বশীলতা থাকা দরকার কেন যেন বাংলাদেশের সরকার মহলের তা নেই। তালপট্টি দ্বীপ নিয়ে কোনো অপপ্রচার হলে তার অবশ্যই প্রতিবাদ জানাতে হবে।

বাংলাদেশ সমুদ্র সম্পদ ও অঞ্চল রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ বলেন, যে জায়গাটি ভারত তার বলে দাবি করছে তা মূলত বাংলাদেশের জায়গা। এই জায়গা নিজেদের বলে নয়াদিল্লি নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই অপপ্রচার আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।





Click This Link



প্রথম আলো এ ব্যাপারে সমপূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি রিপোর্ট দিয়েছে,



Click This Link

প্রথম আলোর এই রিপোর্ট এর সাথে ভারতীও বিজ্ঞানীদের দাবি পুরোপুরি মিলে যায় ।



Click This Link



ভারত ১ বছর আগেও এই দ্বীপের দখল ধরে রাখার জন্য জাতিসংঘে দাবি ও জোর প্রচেষ্টা চালাইছে ।তাই ১ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ দ্বীপটি পুরোপুরি তলিয়ে গেছে ,এই দাবি খুবি অবাস্তব মনে হয় ।



Click This Link



................................................................................................



এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, 'দক্ষিণ-তালপট্টির তলিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো তথ্য আমাদের হাতে নেই। বিস্তারিত জানার পর মন্তব্য করা সম্ভব হবে।'



দ্বীপটির সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, দ্বীপটি হারিয়ে গেলেও তা দুই দেশের সমুদ্রসীমার বিরোধ মীমাংসা করছে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.