নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাঙালী, বাংলাদেশি

থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।

নিষ্‌কর্মা

সততি লিখলেই মাইনাছ আর বেশী সততি লিখলে মডু স্ট্যাটাস নাবায়া দেয়!

নিষ্‌কর্মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শরিয়া আইন নিয়ে কিছু কথা -- কেমন হবে আধুনিক কালের এই আইন?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০১

আলোচনার শুরুতে বলে নেই, এই আলোচনার লক্ষ্য হচ্ছে ইদানিং ভারত ও বাঙলাদেশে আলোড়োন সৃষ্টি করা ধর্ষণের ঘটনায় ইসলামি আইনের কিছু কিছু বিধানের কার্যকারিতা নিয়ে। বাংলাদেশে ইসলামি আইন প্রবর্তন করতে যারা ইচ্ছুক, তারা ইদানিং কিছু কিছু ইসলামি বিধান চালুর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে লেখালেখি করছেন, কিছু কিছু লেখা গণমাধ্যমেও আসছে।



সে সব কথা শুনতে ভালো লাগে। বড় ইচ্ছা হয় ইসলামি আইন বলবত হোক, আর ধর্ষণের মতা ব্যাপারগুলো কুর’আনের আইনেই চিরতরে সমাধান হয়ে যাক। কিন্তু সমস্যা হয়েছে অন্য যায়গায়। দুনিয়া এগিয়ে গেছে অনেক, সেই ১৪০০ বছর আগের টাইম-ফ্রেমে দুনিয়া আটকে নেই। তাই আজকে শরিয়া আইন চালু করলে হয়ত মেয়েরা বাঁচবে, কিন্তু আর কি কি হতে পারে, তার দিকে একটু নজর দেওয়া যাক।



শুরুতেই আসুন দেখে নেই নারীদের ব্যাপারে কোরান ও হাদিস কী বলছেঃ



সূরা আন নুর, আয়াত ৩১ (২৪: ৩১)

ইমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাজত করে। তারা যেন যা সাধারণত: প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নি-পুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদি, যৌনকামমুক্ত পুরুষ ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগন, তোমরা সবাই আল্লাহ্‌র সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।



সূরা আল আহযাব, আয়াত ৩৩ (৩৩:৩৩)

তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে—মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসুলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ্‌ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত পবিত্র রাখতে।



সহিহ মুসলিম, বই ৭ হাদিস ৩১০৫:

আবু হুরায়রা বললেন: “রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যে নারী আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস করে সে কখনই তার মাহরাম ছাড়া এক দিনের ভ্রমণে যাবে না।”



মালিকের মুয়াত্তা, হাদিস ৫৪.১৪.৩৭:

মালিক—সাইদ ইবনে আবি সাইদ আল মাকবুরি—আবু হুরায়রা থেকে। মালিক বললেন: আল্লাহ্‌র রসুল (সাঃ) বলেছেন: যে নারী আল্লাহ ও আখেরতে বিশ্বাস করে তার জন্যে তার পুরুষ মাহরাম ছাড়া একদিনের রাস্তা ভ্রমণ করা হালাল নয়।



আমাদের জানা মতে মুসলমান দেশগুলোর ভেতরে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া,পাকিস্তান, বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মহিলা শ্রমিক বিভিন্ন কল-কারখানায় প্রতিদিন কাজ করতে যায়। এ না করলে তাদের সংসার চলবে না। যদি বাঙলাদেশের কথাই ধরা যায়, তা হলে বলা যায় যে নারী শ্রমিকরা যদি কাজ ত্যাগ করে, তা হলে এই দেশের রফতানি আয়ে নামবে এক বিশাল ধ্বস। আর যদি নারীরা মাহরাম ছাড়া বের না হন, তা হলে আমাদের বাসা-বাড়ীতে কাজের বুয়ার অভাব দেখা দিবে অতি অল্প দিনের ভেতরে।



এখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে কী হবে ঐ সব মহিলা শ্রমিকদের, যদি শারিয়া আইন বলবত হয়? অনেক মহিলা শ্রমিক রাত্রের বেলাতেও ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। তাদের কী হবে ইসলামী আইন চালু হলে?



শারিয়া আইনের ফলে এই সব মহিলা শ্রমিক ও তাদের পরিবার যে অনাহারে থাকবে, তা আর বোঝার অপেক্ষা থাকে না।



একটু চিন্তা করে দেখি, আমাদের দুই নেত্রী কেমন করে বিদেশে যেতে পারবেন কিংবা বিদেশি পুরুষ মেহমান বা রাষ্ট্রনায়কদের সাথে এক সাথে বসে আলাপ আলোচনা করবেন? সৌজন্য স্বরূপ পুরুষ রাষ্ট্রনায়কদের সাথে করমর্দনের কোনো কথাই উঠতে পারে না।



কিংবা ইসলামি দলের কাছে প্রশ্ন উনাদের পসন্দের পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো কি মাহরাম নিয়ে ঘরের বাইরে যেতেন, ছহিহ ইসলামি পর্দাসহ কি পার্লামেন্টে আসন গ্রহন করতেন? কিংবা সেই ইসলামি প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের এখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার কি পুরাপুরি ইসলামি কায়দায় ঘোরাফেরা করেন?



আজকের দিনে আমরা এই বিশুদ্ধ ইসলামী আইনের ব্যবহার দেখতে পাচ্ছি তালিবানি শাসিত আফগানিস্তানে, উত্তর সুদানে ও নাইজেরিয়ার কিছু প্রদেশে। সেইগুলি যেহেতু আধুনিক কালের শরিয়া আইন, সেহেতু তার মাপকাঠিতে চলতে গেলে বাঙলাদেশ তো দূরের কথা, পাকিস্তান ইসলামি প্রজানন্ত্র পর্যন্ত অচল হয়ে পড়বে।



বেশ কিছু শিক্ষিত ইসলামী প্রায়শঃ বলে থাকেন যে, ইসলাম নাকি মহিলাদেরকে উচ্চশিক্ষার জন্য আহবান জানায়। ইসলামের লজ্জা ঢাকার জন্যই যে এই সব শিক্ষিত মুসলিম পুরুষেরা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁদের মিথ্যার মুখোশ উন্মোচনের জন্যে আমরা দেখব কিছু শারিয়া আইন। কী বলছে শারিয়া মুসলিম নারীদের শিক্ষার ব্যাপারে?



শারিয়া সাফ সাফ বলছে যে মহিলাদের জন্য একমাত্র শিক্ষা হচ্ছে ধর্মীয়, তথা ইসলামী দীনিয়াত।



শারিয়া আইন এম ১০.৩ (উমদাত আল সালিক, পৃঃ ৫৩৮):

স্বামী তার স্ত্রীকে পবিত্র আইন শিক্ষার জন্য গৃহের বাইরে যাবার অনুমতি দিতে পারবে। সেটা এই কারণে যে যাতে করে স্ত্রী জিকির করতে পারে এবং আল্লাহ্‌র বন্দনা করতে পারে। এই সব ধর্মীয় শিক্ষা লাভের জন্য স্ত্রী প্রয়োজনে তার বান্ধবীর গৃহে অথবা শহরের অন্য স্থানে যেতে পারে। এ ছাড়া স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রী কোন ক্রমেই তার মাহরাম (যে পুরুষের সাথে তার বিবাহ সম্ভব নয়, যেমন পিতা, ভ্রাতা, ছেলে…ইত্যাদি) ছাড়া গৃহের বাইরে পা রাখতে পারবে না। শুধু ব্যতিক্রম হবে হজ্জের ক্ষেত্রে, যেখানে এই ভ্রমণ বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া অন্য কোন প্রকার ভ্রমণ স্ত্রীর জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং স্বামীও অনুমতি দিতে পারবে না। হানাফি আইন অনুযায়ী স্ত্রী স্বামী অথবা তার মাহরাম ছাড়া শহরের বাইরে যেতে পারবে যতক্ষণ না এই দূরত্ব ৭৭ কি: মিঃ (৪৮ মাইল) এর অধিক না হয়।



শারিয়া আইন এম ১০.৪ (ঐ বই, পৃঃ ৫৩৮):

স্ত্রীর ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা।

স্বামীর কর্তব্য হবে স্ত্রীকে গৃহের বাইরে পা না দেবার আদেশ দেওয়া।

(কারণ হচ্ছে বাইহাকি এক হাদিসে দেখিয়েছেন যে নবী (সাঃ) বলেছেন: “যে মহিলা আল্লাহ্‌ ও কিয়ামতে বিশ্বাস করে সে পারবেনা কোন ব্যক্তিকে গৃহে ঢোকার যদি তার স্বামী সেই ব্যক্তির উপর নারাজ থাকে। আর স্বামী না চাইলে স্ত্রী গৃহের বাইরে যেতে পারবে না”।)

কিন্তু স্ত্রীর কোন আত্মীয় মারা গেলে স্বামী স্ত্রীকে অনুমতি দিতে পারে গৃহের বাইরে যাবার।


মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৮

শিক কাবাব বলেছেন: শারিয়া আইনের ফলে এই সব মহিলা শ্রমিক ও তাদের পরিবার যে অনাহারে থাকবে, তা আর বোঝার অপেক্ষা থাকে না।

মহিলা শ্রমিকরা বোরখা পড়ে গার্মেন্টসএ গেলে রাস্তা দিয়া কি কুত্তা কামড়াবে?

১-২ কক্ষ শুধু মহিলা, ৩-৪ কক্ষ শুধু পুরুষ, এভাবে সেপারেট করে দিলে কি কুত্তা কামড়াবে?


সৌদী আরব কি প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে ভিক্ষা নিয়ে দেশ চলতেছে? (আল্লাহয় বরকত দিতেছে তাদের আল্লাহ ভক্তির কারণে)।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৩

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:
আপনি লেখা পড়ে কি বুঝলেন, আমিও টাস্কি খাইলাম! আইন্নের বুঝের অভাব আছে মনে হৈতাসে।

গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি সমন্ধে যার জ্ঞান নাই, তার সাথে আসলে ১-২ কক্ষ মেয়েদের, বাদবাকি ছেলেদের, এই বটোননামা নিয়া আলোচনার দরকার নাই।

প্রথমত যে মেয়েটি কাজ করছে, সে নিশ্চয় নিজের দেশের বাড়ীর কাছেই চাকুরি করে না। তেমন ভাগ্যবতিদের সংখ্যা নিতান্তই স্বল্প। বাদবাকিদের তো দূরে আসতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে তো তারা বাড়িই ত্যাগ করতে পারবে না একাএকা, কিংবা বাড়ী ফিরতেও পারবে না একা একা। মাহরাম লাগবে যে।

চৌডী আরব নিয়াঃ
ছি ছি, কি যে বলেন! চৌডি আরব কেন মিসকিন বাঙালীদের কাছ থেকে ভিক্ষা করবে? তাদের সম্পদের কি অভাব আছে নাকি? উপরন্তু দৈহিক ক্ষুধা মেটাবার জন্য আরব স্পিকিং কিন্তু একটু দরিদ্র দেশ থেকে তারা মেয়েদের নিয়ে আসে।

মিশরীয় মেয়েদের অনেক চাহিদা চৌডি ভাইছাবদের কাছে। হাজার হলেও ১৪০০ বছর আগেকার "মারিয়া কিতবিয়া" তো মিশরীয় ছিল। সেই সূত্র ধরে মিশরীয় দাসী রাখা হয়ত একটা ছুন্নাতও হৈতে পারে! ইদানিং নাকি বাঙাল মুলুকের মেয়েও তারা আমদানি করতেছে, এবং সেখানে অত্যাচারিত হয়ে ফেরত আসা আমাদের সেই সব বোনেদের কাছ থেকে চৌডি বেটাদের যৌন লিপ্সার কথা জানা যাচ্ছে।

আচ্ছা, চৌডি যাইতে এই সব মহিলাদের মাহরম লাগে না কেন??

আসল কথাডা হৈতাসে, শরিয়া আইন হৈল শিক কাবাবের মত; মেয়েদের ঘরবন্দি, নজরবন্দি এবং দাসীবান্দী করার সহজ উপায়।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৫

নন্দিত নন্দন বলেছেন: @শিক কাবাব
সৌদি আরবের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা জানেননা বোধ করি
আর বাংলাদেশে হজ্ব এর লাখ লাখ টাকা বিদেশ থেকে আসেনা

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

কল্পলোকের রাজপুত্র বলেছেন: apnar post onuzai garments industry jokhon chilo na tokkhon bangalira onahare chilo... Apnar hoyto jana uchit kono kichui karo jonno theme thake na.. R riziker malik allah tini e valo janen kar rizik kivave asbe.. Allah amader sobaike bojhar toufiq din..(sorry mobile theke tai bangla likhte parlam na)

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৯

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:
আপ্নের কথার ভেতরেই আপ্নের প্রশ্নের জবাবা লুকিয়ে আছে ... মাশাল্লাহ বুঝতে পেরেছেন এইজন্য আল্লাহর দরবারে অনেক শুকরিয়া। আপনি বয়সে যদি নবীন হয়ে থাকেন, তাহলে হয়তো জানেনই না যে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কি দূরাবস্থা ছিল। আর যদি বয়েস ৪৭-৫২ হয়ে থাকে তাহলে এই কথা লিখতেনই না।

তাই কল্পলোকে থাকছেন, সেইখানেই থাকুন। কেননা আল্লাহই বলেছেন, যে জাতি নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায় না, আমি তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দেই না!

না কি এইটাও মিছা কতা??

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

কল্পলোকের রাজপুত্র বলেছেন: apnar post onuzai garments industry jokhon chilo na tokkhon bangalira onahare chilo... Apnar hoyto jana uchit kono kichui karo jonno theme thake na.. R riziker malik allah tini e valo janen kar rizik kivave asbe.. Allah amader sobaike bojhar toufiq din..(sorry mobile theke tai bangla likhte parlam na)

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫০

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:
আপ্নের কথার ভেতরেই আপ্নের প্রশ্নের জবাবা লুকিয়ে আছে ... মাশাল্লাহ বুঝতে পেরেছেন এইজন্য আল্লাহর দরবারে অনেক শুকরিয়া। আপনি বয়সে যদি নবীন হয়ে থাকেন, তাহলে হয়তো জানেনই না যে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কি দূরাবস্থা ছিল। আর যদি বয়েস ৪৭-৫২ হয়ে থাকে তাহলে এই কথা লিখতেনই না।

তাই কল্পলোকে থাকছেন, সেইখানেই থাকুন। কেননা আল্লাহই বলেছেন, যে জাতি নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায় না, আমি তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দেই না!

না কি এইটাও মিছা কতা??

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: আপনার পোষ্টটিতে অনেক বৈপরীত্য আছে। কোরআন ও হাদীসের সাথে আপনার দেয়া বাস্তব উদাহরণের কোন মিল নেই। যেমন শুধু একটি উদাহরণ দেই। আপনি লিখেছেন-


সহিহ মুসলিম, বই ৭ হাদিস ৩১০৫:
আবু হুরায়রা বললেন: “রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যে নারী আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস করে সে কখনই তার মাহরাম ছাড়া এক দিনের ভ্রমণে যাবে না।”

আর বাস্তব উদাহরণ দিয়েছেন-
আমাদের জানা মতে মুসলমান দেশগুলোর ভেতরে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া,পাকিস্তান, বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মহিলা শ্রমিক বিভিন্ন কল-কারখানায় প্রতিদিন কাজ করতে যায়। এ না করলে তাদের সংসার চলবে না। যদি বাঙলাদেশের কথাই ধরা যায়, তা হলে বলা যায় যে নারী শ্রমিকরা যদি কাজ ত্যাগ করে, তা হলে এই দেশের রফতানি আয়ে নামবে এক বিশাল ধ্বস। আর যদি নারীরা মাহরাম ছাড়া বের না হন, তা হলে আমাদের বাসা-বাড়ীতে কাজের বুয়ার অভাব দেখা দিবে অতি অল্প দিনের ভেতরে।

আমি জানতে চাই, নারী শ্রমিকদের কাজে যেতে কিংবা কোন বাসা-বাড়িতে কাজ করতে যেতে কি এক দিনের ভ্রমনের প্রয়োজন হয় ? বরং শ্রমিকদের পাওনার ব্যাপারে কিংবা কাজের মানুষের ব্যাপারে সাবধান হওয়ার জন্য কুরআন ও হাদিসের চেয়ে কোন এমন ধর্ম গ্রন্থ আছে যেটা এতো বেশী মানবতাবাদী?

আপনার পোষ্টের শিরোনামটিও ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে অনেক আপত্তিজনক। কারণ, ধর্মীয় আদেশ নিষেধগুলো কোন মানুষের বানানো নয়। এটা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে এসেছে। আর তিনি আমার/আপনার চেয়ে অনেক বেশী আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন ও যুগোপযোগী। এবং তিনি অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত এর বিষয়ে সম্যক অবগত। আর তাঁর আদেশ পালন করলে কাউকে না খেয়ে থাকতে হবে বা হয়েছে এমন কোন দৃষ্টান্ত নেই।

এভাবে লিখলে অনেক কিছুই লিখা যায়। তবে পরিশেষে বলবো, ধর্মীয় বিষয়ে পোষ্ট দেয়ার আগে আমাদের অনেক বেশী জ্ঞানী হওয়া এখন সময়ের দাবী।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৫

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:
আপনার কথা ঠিক, সেই ভাবে তো ভাবি নাই। তবে আমার জানা মতে বুয়ারা যতদূর থেকেই আসুক না কেন, বা গার্মেন্টস কর্মীরা যেখানকারই হোক না কেন, তাদের তো নিজেদের বাড়ি থেকে আসা লাগে। সেই বাড়ি ব্যাপারটা কিন্তু আসলেই তাদের কর্মস্থল থেকে অনেক দূরে।

দুঃখ হয় এই দেখে যে, পুরো পোস্টটা পড়েও আপনি একটা ১৪০০ বছরের আগের আইনের অকাট্য প্রমাণের জন্য অস্থির হলেন। সেই সময়ে যা সম্ভব ছিল, তা এখন সম্ভব না। মেয়েদের সে সময়ে ঘরে আটকে রাখা হত। কিন্তু এখন তা সম্ভব না। মেয়ে পড়াশুনা বলতে শুধু ধর্মী বই পড়তে দেওয়া হত, কিন্তু এখন আয় করা যায়, এমন কিছু পড়তে দেওয়া হচ্ছে।

১৪০০ বছরে আগেকার ধ্যান ধারনা নিয়ে পড়ে থাকলে বাস্তব থেকে পিছিয়ে পড়বেন, আগানো তো অনেক দূরের কথা।

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

মরু বালক বলেছেন: কিন্তু সমস্যা হয়েছে অন্য যায়গায়। দুনিয়া এগিয়ে গেছে অনেক, সেই ১৪০০ বছর আগের টাইম-ফ্রেমে দুনিয়া আটকে নেই। তাই আজকে শরিয়া আইন চালু করলে হয়ত মেয়েরা বাঁচবে, কিন্তু আর কি কি হতে পারে[/sb
......
বলতে পারেন ??? সূর্যের বয়স কতো বছর??? ১৪০০ বছর আগে কি সূর্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হতো ??? কিন্তু এখন করা যায়।
....
১৪০০ বছর আগে মানুষ না খেয়ে থাকতো ???? আর এখনকার মানুষ খেয়ে খেয়ে মোটা হচ্ছে !!!! এমন???
.....
১৪০০ বছর আগে মানুষ টয়লেটে যাওয়া লাগতো না নাকি ???
...
বর্তমানে ১৪০০ বছর পর নতুন নতুন কমোড এর ডিজাইন হবে, কিন্তু প্রবৃত্তি ও বিবেকের লড়াই চিরকাল চলতেই থাকবে, এতে কিছু মানুষ হেরেও জিতবে! আর কিছু মানুষ জিতেও হেরে যাবে

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৭

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:
আপনি ১৪০০ বছরে আগের ছুন্নাত পালন করুন না --- খোলা ময়দানে গিয়ে সেরে আসুন। ছুন্নাতও হবে, সোয়াবও পাবেন ছুন্নাত পালানের উছিলায়!

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫১

রানা বলেছেন: ধর্ষনের হার অনুযায়ী ২০৬টি দেশের মধ্যে প্রথম ৫ দেশঃ

১) South Africa: প্রতি ১০ লক্ষনারীতে ১১৯৫
জন ধর্ষিত হয়।

২) Australia: প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৭৭৭ জন
ধর্ষিত হয়।

৩) Canada : প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৭৩৩ জন
নারী ধর্ষিত হয়।

৪) Zimbabwe: প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৪৫৭ জন
নারী ধর্ষিত হয়।

৫) U.S.A: প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৩০১ জন
নারী ধর্ষিত হয়।


এবার দেখুন তালিকার শেষের ৫ টি দেশ:

১) Saudi Arabia: শেষের দিক থেকে ১ নম্বর।
এখানে প্রতি ১০লক্ষ নারীতে ২ জন ধর্ষিত হয়।
শরিয়া আইন এ চলে। মেয়েদের
পর্দা না করে বের হওয়া মানা।

২) Azerbaijan: শেষের দিক থেকে ২ নম্বর।
প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৩জন ধর্ষিত হয়।
মেয়েদের পর্দা আবশ্যক ।

৩) Yemen: শেষের দিক থেকে ৩ নম্বর।
প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ৪ জন ধর্ষিত হয়।
মেয়েদের পর্দা আবশ্যক।

৪) Indonesia : এখানে প্রতি ১০লক্ষ নারীতে ৫
জন ধর্ষিত হয়। মেয়েদের পর্দা আবশ্যক ।

৫) Oman: এখানে প্রতি ১০ লক্ষ নারীতে ১৮
জন ধর্ষিত হয়। মেয়েদের পর্দা আবশ্যক ।

Click This Link

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৯

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:

১৪০০ বছরের আগের আইন তুলে নিন, দেখুন কি হয়ে সৌদিতে। আবশ্য সৌদিরা এখন তো তেলের মালিক, তাই বিদেশ থেকে গৃহশ্রমিকের নামে মেয়েদের নিয়ে যাচ্ছে, আর ঘরের ভেতরে "ডান হাতের অধীন" বলে ভোগ করছে। সেইটাও তো ১৪০০ বছর আগেকার কথা।

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্ট টি মন্তব্য সহযোগে পাঠ করিলাম ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৯

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:
পড়লেন, নিজের কথায় কিছু লিখলেন না?

৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৮

শিক কাবাব বলেছেন: পিসির সাথে হেডফোন বা সাউন্ড সিস্টেম লাগানো আছে? তাহলে এই গানটা একটু কাইন্ডলি মনোযোগ দিয়ে শুনুন।

৩ নম্বর গানটি।

Click This Link

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০১

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:


লিংক কাজ করছে না আমার পিসিতে ( মেশিন বললাম না, উলটা মিনিং হৈতে পারে )

১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন:
নবীজীর বেলাদত শরিফ ১২ই রবিউল আওয়াল উদযাপন
ঈদে মিলাদুন্নবি সা যথা যুগ্য মর্যাদায় উদযাপন ও আনন্দ প্রকাশ
ইমানদার মুমিন গনের জন্য অসংখ্য রহমত ও সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ এবাদত ।
তার জুতা মোবারকের ছোঁয়ায় আল্লাহর আরশ মহল্লা সম্মানিত
তিনি যে আমাদের জন্য দুনিয়ায় রহমত স্বরূপ প্রেরন হইয়াছেন
তার জন্য আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করা সর্ব শ্রেষ্ঠ নেয়ামত । বিখ্যাত
সাহাবা কেরাম গন তাবেয়িন তাবে তাবেয়িন গন এবং অলি আউলিয়া পির মাশায়েখ কামেল আলেম গন দিনটি মর্যাদার সহিত উদযাপন করতেন ।

আমরা রহমত হইতে বঞ্ছিত হইব কেন ?

রিবেশ বন্ধু বলেছেন: ফরজের চাইতেও বেশি বললে ভুল হবেনা

আল্লাহ যার নামের সাথে নাম মিশিয়ে দিয়েছেন এবং যার খাতিরে সৃষ্টি
সমুদয় পয়দা করেছেন , হেদায়েতের ভার দিয়েছেন , শাফায়াতের কাণ্ডারি বানিয়েছেন এবং সদা সর্বদা দরুদ ছালাম ভেজে থাকেন
অসংখ্য ফেরেস্তা গনকে নিয়ে সেই দয়াল নবীজীর প্রতি বেলাদত ও
তাজিম ঈমানের শক্ত আকিদা
ঈদে আজম ঈদে মিলাদুন্নবি সব ঈদের সেরা
তার রহমত আদায় কর পড় দরুদ জানাও ছালাম মদিনা মনোয়ারা ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৪

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:

কিছুই বলার নাই :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.