![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সততি লিখলেই মাইনাছ আর বেশী সততি লিখলে মডু স্ট্যাটাস নাবায়া দেয়!
কিছু দিন হল হেফাজতে ইসলামের প্রধানের একটি ওয়াজের ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে ইউটিউবে। এ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। যারা একটু স্বাধীন ভাবে চিন্তা ভাবনা করেন, তারা এই ওয়াজকে অশ্লীল বলছেন। যারা ধর্মান্ধ, তারা বলছেন, "না হুজুর ঠিকই বলেছেন"।
হুজুরের মূল কথাটা হল, মেয়েদের ঘরের ভেতরে রাখতে হবে যাতে তারা বাইরে কাজ না করতে পারে। আরেকটা কথা আমার মনে হয়েছে, সেটা হল মেয়েরা বাইরে কাজ করে বলে এখন আর আগের মত বরকত নাই।
মেয়েরা ঘরের ভেতরে থাকবে, ইসলামের এই আদেশ আমরাও মানতে চাই। তবে যারা ইসলামি আন্দোলন করেন, ধর্মের জন্য শহীদ হবার জন্য প্রস্তুত, জেহাদে যাবার জন্য দুই পা ঘরের বাইরে সব সময়ে, তাদের কাছেই আমার ছোট্ট একটা প্রশ্ন।
আপনাদের ঘরে যে বুয়া কাজ করেন, উনি তো একজন মহিলা। উনি যদি একদিন না আসেন, তখন কি হয় আপনাদের বাসায়? যদি স্ত্রী থাকেন (শর্ত থাকে যে তিনি কর্মজীবি নারী নন), তিনি গজগজ করতে থাকেন, কোন মতে রান্নার কাজটা করেন। বাসন মাজার দরকার হলে বিরক্ত সহকারে তা ধুয়ে কোনমতে খাওয়াটা সারেন। মা থাকলে উনার অনেক কষ্ট হয় এই সব করতে। উনি অনেক সময়ে আপনার স্ত্রী বা বোনকে নিয়ে কাজগুলো করেন।
আর যদি আপনার মা / স্ত্রী / বোন আপনাকে বলেন, "আজকে বুয়া আসে নাই, তুমি কাপড়্গুলো ধুয়ে দাও" কিংবা "আমি নাস্তা বানাচ্ছি, তুমি কয়েকটা প্লেট ধুয়ে দাও" কিংবা "আজকে পুরা বাসা ঝাড়ু দিয়ে মুছতে হবে"। আপনি ইসলামি আন্দোলনের জন্য জান কুরবান, কিন্তু ঘরের এই মেয়েলি কিন্তু অত্যন্ত আবশ্যক কাজগুলো করবেন কি? কয়দিন করবেন? একদিন করবেন। দুইদিন করবেন। তারপর? চিন্তা করে দেখুন একবার।
আর আপনার স্ত্রী যদি কর্মজীবি নারী হয়ে থাকেন, তা হলে কি হতে পারে? বাইরের খাবার খেতে হবে, কেননা ঘরের কোন কাজ ইদানিংকালের কর্মজীবি নারীরা করেন না তেমন একটা।
তা হলে দেখা যাচ্ছে, ইসলামি আন্দোলনের জন্য ওয়াজের ভেতরে মেয়েদের ঘর থেকে বের হওয়াকে অনুৎসাহিত করা যায়, কিন্তু বাস্তবে তা প্রতিপালিত হলে সমস্যা অনেক হয়। এতে করে অনেক ইসলামি আন্দোলনের বীর সেনানীর ঘর থেকে বের হওয়াটাই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
পবিত্র কুর'আন-এ আছে, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে অতীতে অনেক জাতি ধ্বংস হয়েছে। আমার কেন জানি মনে হয়, আমাদের ইসলামি আন্দোলনের লোকেরা আমাদের ধ্বংস ডেকে আনছেন সেই বাড়াবাড়ির পথ ধরে। আল্লাহ উনাদের হেদায়েত করুক যেন উনারা শান্তির পথে হেঁটে যেতে পারেন, বাড়াবাড়ির পথে না।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৯
নিষ্কর্মা বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৪৭
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
সহমত
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
মামুন রশিদ বলেছেন: পবিত্র কুর'আন-এ আছে, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে অতীতে অনেক জাতি ধ্বংস হয়েছে। আমার কেন জানি মনে হয়, আমাদের ইসলামি আন্দোলনের লোকেরা আমাদের ধ্বংস ডেকে আনছেন সেই বাড়াবাড়ির পথ ধরে।
অন্ধ বলেই তারা ধর্মান্ধ । আদিম আর প্রাগৈতিহাসিক ও ।