নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাঙালী, বাংলাদেশি

থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।

নিষ্‌কর্মা

সততি লিখলেই মাইনাছ আর বেশী সততি লিখলে মডু স্ট্যাটাস নাবায়া দেয়!

নিষ্‌কর্মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের কি করা উচিৎ?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৮


সরকার বলছে গণমাধ্যম স্বাধীন, এবং তারা যে কোন সংবাদ প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী সত্য নয়, তাও সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে। অনেক দিন পরে ১৯৯০ সালের কথা মনে পড়ছে। সে সময়ে সরকারী বেতার-টিভি ছাড়া অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ছিল না। তাই সকলেই বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকা শুনত। আর ছিল কিছু পেপার। যার ভেতরে ইত্তফাক ছিল এরশাদের এক মন্ত্রীর। তারপরেও মানুষ অন্দোলন করেছে, এবং জনগণের জয় হয়েছে।

এইবারে সরকার ও সরকারী দলের চেলাচামুন্ডারা যা বলছে তা সবাই শুনছে, অন্য কোন সংবাদ চোখেই পড়ছে না। এর মানে কি দেশের অবস্থা স্বাভাবিক? মোটেও না।

অবরোধের মাধ্যমে অনেক পক্ষই নাশকতা করার সুযোগ পাচ্ছে। যেমন উড়ো খবর হচ্ছে, যুবলীগের নেতারা নাশকতার মূল সরঞ্জাম চালান করছে, এবং নাশকতার মাধ্যমে মাঠ গরম করে বিরোধীদলের উপরে দোষ চাপানোর ব্যবস্থা করেছে। অনেকে বলছেন, সরকার গেল ৬/৭ বছর ধরে যে ইসলামী দল ও গোষ্ঠীগুলোকে দমিয়ে রেখেছিল, তারাই এই সুযোগে নাশকতা করছে। জামাতও করতে পারে। বিম্পি করবে, এমনটা ভাবা যেতো কিন্তু পুলিশ যে ভাবে বিম্পির নেতা ও কর্মীদের ধাওয়ার উপরে রেখেছে, তাতে তাদের পক্ষে বাস্তবিক কতটা করা সম্ভব তা চিন্তার বিষয়।

যারাই করুক না কেন, সরকার কেন কাউকে ধরতে পারছে না? না কি যাদের ধরা হয়েছে, দেখা যাচ্ছে এদের বেশির ভাগই ছাত্রলীগের? অসম্ভব না কিন্তু।

মিডিয়া স্বাধীন হলে তাদের উচিৎ হবে ১৯৯৪-১৯৯৬ কিংবা ২০০৩-২০০৬ সালে আম্লিগের কৃত আন্দোলনের বয়ান এখন তুলে ধরা। দুঃখহয় যখন দেখি আম্লিগের পা-চাটা এই মিডিয়া এখন ভুলেই গেছে সেই আমলে উচ্চারিত "লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড" বা "সমতল মাঠ" তত্ত্বটি। তারা ভুলে গেছে সেই সময়ে আম্লিগের নেতাদের ঠুনকো সব ঘটনায় বার বার উচ্চারতি সেই শব্দামালাঃ "সরকারের নৈতিকভাবে ক্ষমতায় থাকার অধিকার আর নেই"আমাদের ধারণা বর্তমানে সরকার তার অতীত অনেক সরকারের চেয়ে অনেক বেশি বাজে ভাবে পারফরম করছে।

আমরা মনে করি, বিম্পি নেতাদের উচিৎ ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম-খুলনা-রংপুর-সিলেট এই চার দিকের চারটি প্রধান মহাসড়কে মানববন্ধন করা, যেখানে সাধারণের উপস্থিতি থাকতে হবে। সেই মানববন্ধন থেকে দাবী তোলা হবে সুষ্ঠ নির্বাচনের, দাবী তোলা হবে জননিরাপত্তার, দাবী তোলা হবে অহিংসভাবে অবরোধ কর্মসূচী পালনসহ সকল সাংবিধানিক অধিকারের, এবং, এই দাবী পূরণে ব্যর্থ হলে এই সরকারের পদত্যাগ!

আগামীতে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হবে। সেই মূল্য বৃদ্ধি না করে সরকার যে বিদ্যুতখাতের প্রতি যে চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে, তার জবাব চাইতে হবে। এই ব্যাপারে কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই কেন, তাও বুঝতে আমরা অপারগ!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকারের লোকেরা সব সময় লাভবান হয়; তাই আমাদের ম্যাডাম আবার সরকারে যেতে চাচ্ছে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: এইটা তো প্রমাণিত কথা! সে কারণে হাসিনা বেগম সরকার ছাড়তে চাচ্ছেন না।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

বাংলাদেশে এখনো কেহ ক্ষমতা ছাড়ার কথা ভাবে না।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৭

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: জ্বী ভাই। এইটাই সত্য কথা। অতীত এখন হিস্টোরি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.