নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাঙালী, বাংলাদেশি

থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।

নিষ্‌কর্মা

সততি লিখলেই মাইনাছ আর বেশী সততি লিখলে মডু স্ট্যাটাস নাবায়া দেয়!

নিষ্‌কর্মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি চু_______পন্থী লেখা

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

রাজনৈতিক বিষোয় নিয়ে লিখতে এখন আর মোটেও ভাল লাগে না। তারপরেও আশেপাশে যা কিছু ঘটে, তা থেকে aloof থাকাও যায় না। বিশেষ করে সাম্প্রতিক কালে যা ঘটছে আমাদের দেশে তা মোটেও গ্রহনযোগ্য কিছু না।

এক পক্ষে বিম্পি আছে। অন্য পক্ষে আছে আম্লিগ। বিম্পির মাঠের অবস্থা এমন যে তারা মাঠে থাকা আম্লিগের অনুমতি নিয়েই এতো কাল সভা-সমাবেশ করে আসছে। সেই দলের এমন কি বল হল যে তারা পেট্রোল বোমা মেরে এতো ক্ষয়ক্ষতি করে ফেলল! আশ্চর্য না?

যুযোগের অপেক্ষায় সবাইই থাকে। শেরাটন হোটেলের সামনে গান পাউডার দিয়ে ১১ জন মানুষকে পুড়ীয়ে মারল নানক আর শেখ সেলিম। তখন আন্দোলনের নামে আম্লিগ কি না করেছে। আর কিছু হলেই সেই সময়ের তথাকথিত সূধীসমাজ সব দায় চাপিয়ে দিত বিম্পির উপরে। মাঠে যে দলের নেতাকর্মীরা থাকতেই পারে না আম্লিগের জ্বালায়, সেখানে সেই বিম্পি-করনেওয়ালরা এত্তো এত্তো পেট্রোল বোমা এনে, মজুদ করে, বাসে ছুঁড়ে মেরে পালিয়ে যাবে -- কি আশ্চর্য না!

২০০৪-২০০৬ সালের আম্লিগের আন্দোলনের সময়ে বিম্পি, আম্লিগের একটাকেও জেলে ঢোকায় নাই। এমন কি জোকার জলিলকেও না। আর আজ সেই আম্লিগ জেনে শুনে সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করছে। তারা পুলিশ আর প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিম্পির সব নেতাকেই জেলে ভরে রেখেছে। এমন কি একটা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে তার সব নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।

২০০৪ সালে হুমায়ুন আজাদকে কোপানো হল ফেব্রুয়ারি মাসে। চারিদিকে ধ্বনি উঠল জঙ্গীবাদের উত্থান হয়েছে। আজকে সেই ফেব্রুয়ারি মাসেই একজনকে হত্যা করা হল। তাহলে কেন সুধী সমাজ বলতে পারছে না জঙ্গীবাদের উত্থান হয়েছে? এখন তারা তোতলায় কেন? না কি তাদের ঐ ইয়েটা মানে ঈমানদন্ডটা ঝুলে গেছে, আর খাড়া হচ্ছে না?

মানুষ সব দেখছে। মানুষ ভাবছে এক চোর আরেক চোরের দলের সাথে যা করছে, তা ঠকই আছে। তারা এও জানে, এক চোরের দল মালসহ আউট হলে অন্য চোরের দল আগের চেয়েও বেশী বেশী মাল কামাই করবে। এমন কি আগের চোরের দলকে তুলোধূনা করা ছাড়বে। তাই জনতা আজ নিশ্চুপ।

আমাদের জন্য আমাদের নেতারাই যথেষ্ট। আমাদের ধ্বংস এদের হাতেই হবে। তবে তরুনরা এগিয়ে এলে, দেশের জন্য কোণ ডাক দিলে কেন এই দেশের শুভ শক্তির জয় হবে না, তাই ভাবি মাঝে মাঝে। জনগণের শক্তির কাছে সব কিছুই অপরাজেয়। নির্বিকার জনগণের মুক্তি কি তাহলে মিলবে না?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: জনগণের শক্তির কাছে সব কিছুই অপরাজেয়।

কতটা সত্য বলতে পারব না, আমার অবজারভেশন ভিন্ন. এদেশে প্রতিটা স্বৈরাচার বিদায় হয়েছে সেনা হস্তক্ষেপে, একবার অবশ্য আমলা বিদ্রোহেও হয়েছে. জনতা রাস্তায় নেমে এসে স্বৈরাচার ফেলে দিতে দেখিনি, স্বৈরাচার পড়ে গেলে অবশ্য রাস্তায় নেমেছে.

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: আমি আরেকটু স্পেসিফিক হব। আমাদের যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারাই বিভিন্ন উপায়ে ক্ষমতায় চিরস্থায়ী হতে চেয়েছেন। সে লক্ষ্যে তারা হয় মানুষ হত্যা করেছেন, না হয় বিভিন্ন কালাকানুন বানিয়েছেন। ফল হয়েছে কি, তারা ক্ষমতায় থাকতে পারেন নাই, কিন্তু তাদের সেই কালাকানুনগুলো রয়ে গেছে।

যেমন ধরেন বঙ্গবন্ধু বিশেষ ক্ষমতা আইন করেছিলেন। তিনি রক্ষী বাহিনী বানিয়েছিলেন। বিশেষ ক্ষমতা আইন আম্লিগের বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছিল। আর রক্ষী বাহিনীর রক্তের ঋণ শেখ সাহেবকে নিজের প্রাণ দিয়ে শোধ করে যেতে হয়েছিল। ঠিক একই রকম হয়েছিল জিয়ারও। তাকেও রক্ত ঋণ নিজের প্রাণ দিয়েই শোধ করতে হয়েছিল। এরশাদ সেই যে ক্লাউন হয়েছে, আজ পর্যন্ত অনেক টেকনিক খাটীয়েও সে তার মর্যাদা উদ্ধার করতে পারে নাই। সে একটা কুলাঙ্গার হয়েই টিকে আছে।

তাই সেনা অভ্যুত্থান নয়, জনগণই সব ঠিক করবে। দেখা যাক কি হয় এই বারে।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

আলোকিত আধারে বলেছেন: ২০০৪ সালে হুমায়ুন আজাদকে কোপানো হল ফেব্রুয়ারি মাসে। চারিদিকে ধ্বনি উঠলজঙ্গীবাদের উত্থান হয়েছে। আজকে সেই ফেব্রুয়ারি মাসেই একজনকে হত্যা করা হল। তাহলে কেন সুধী সমাজ বলতে পারছে না জঙ্গীবাদের উত্থান হয়েছে?

সুন্দর প্রশ্ন। সবই চেতনার খেলা।

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: সুধীদের ইয়েটা ঝুলে গেছে তো, তাই উনাদের রা বেরুচ্ছে না!

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



খালেদা জিয়া অনেক অপরাধ করেছে; উনাকে বাদ দিয়ে ড: মইন যদি হাল ধরেন, বিএনপি রাজনীতি করতে পারবে।

১২ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: আমরা অনেক কথাই বলতে পারি। কিন্তু আপনি যেটা বলেছেন তা দলের একান্ত ব্যাপার, সেটা না হয় দল বুঝবে! স্মরণ করুন ডঃ কামালকে যখন আম্লিগের সভাপতি করার কথা উঠেছিল, তখন আম্লিগ তা শোনে নাই। তাই এখন একটা অপশাসন দেশের উপরে চেপে বসে আছে। কেননা সেটা ছিল আম্লিগের নিজস্ব ব্যাপার, তাই সিদ্ধান্ত ছিল তাদের একান্ত।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


৩২ বছর পর, খালেদা জিয়ার শরীরের অবসর দরকার।

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০২

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: একই কথা অন্য নেত্রীর জন্যও প্রযোজ্য নয় কি?


৩২ বছর পর, শেখ হাসিনার শরীরের অবসর দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.