নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুরো নাম মুহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম রনি, জন্ম- যশোর, পৈত্রিক নিবাস- ঝিনাইদহ। পড়ালেখা করছি বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ। ঠিকানা- https://www.facebook.com/nasirul.rony

এন ইসলাম রনি

এন ইসলাম রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু কবিতা, কিছু প্রলাপ

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১৭

১.

এমন একটি কবিতা লিখতে চাই

যা লেখার পর সবাই কে নিঃসঙ্কোচে ডেকে বলা যায়

আমি একটা কবিতা লিখেছি,

এটাই প্রথম এটা ই শেষ।

তেমন একটা কবিতা লেখার পর

আর দ্বিতীয় কোন কবিতা ই লিখবো না।

কবি হবার বিন্দু বিসর্গ মাত্র আগ্রহ নেই,

শুধু লিখতে চাই সম্মোহনের মন্ত্রের মত একটি কবিতা।





২.

আমার আঙুলে এখন কোনো শব্দ নেই, ঠোঁটেও না,

দু চোখে অসংখ্য শব্দ নিয়ে বসে আছি

নিরস সাদা পৃষ্ঠা সব উড়ে গেছে সাদা সারস এর মত জলা মাঠ ফেলে

একদিন অসংখ্য শব্দ সেখানে লিখে আজ শব্দহীন হয়েছি

অসংখ্য কথা জলের কাছে বলে দু চোখ আজ কথায় ভিজে উঠা জলা মাঠ নিয়ে বসে আছি

অন্ধকার ছায়া সন্ধ্যার এই ঘোর লাগা ক্ষণে

চোখে ঘরে ফেরার পথ ঘাট আঁকা উন্মুখ পাখিদের মত যদিও নিস্পৃহ,

এসো তুমি আঁখিতে সাজানো কথা পড়ে যেয়ো অবসরে।





৩.

একবার বদলাতে চাই,

ক্লান্ত পা টেনে টেনে এতো দূর এসে

সকল দরজা ধাক্কে শুনি "না"।

একবার বদলাতে চাই,

প্রবেশাধিকার চাই গৃহস্থালি সামগ্রীর সাথে সাজানো গৃহে,

একবার বদলাতে চাই

বুকের ভেতর থেকে বলে, "না"!





৪.

কোন দিন মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে

ছাদে যেয়ে সুখতারা দেখে এসো

অথবা পশ্চিমে ঢলে পড়া চাঁদ,

অথবা বিশাল মেঘের মত এই ছায়াপথ,

দেখো শূণ্য রাস্তার শান্ত কুয়াশা, নিঃশব্দ শিশির।

আমরা বড় অসময়ে জেগে থাকি বড় অজায়গায়,

অন্ধকার ছাদের তলে একা সবাই একা

একা সব জমাট দুঃখ পোষা মানুষের বসবাস।





৫.

সন্ধ্যা পড়ে আছে ব্যালকনি ছাদে

দুপুর অলস বিছানায়

টুপ টুপ শব্দে থেমে থেমে পানি পড়ে স্নানঘরে

রাত নেমেছে ঘরে রাত নেমেছে ব্যালকনি ছাদ সবখানে

সীমাহীন খাঁখাঁ শূণ্যতা নিয়ে শূণ্য মরুদ্যানে,

এই রাতের মৌনতায় তুই ই একমাত্র লোকালয়

একমাত্র কোলাহল, অভয়ারণ্য এই সীমাহীন বৈরী অন্ধকারে।





৬.

চোখে নিয়ে তোমায়, তোমাকেই খুঁজতে গিয়েছিলাম ধূসর পশ্চিমে

আর মেঘ গুলো দল বেঁধে পিছু নিলো পশ্চিমের পথে,

মাঝে এক যুগ খরায় পুড়লো বঙ্গদেশ;

মানবিক প্রেম পুরানো কম্বলে মুড়িয়ে

ঐশ্বরিক পুরাণ মুখস্ত করে গেছে যারা

তাদের মত ই এক যুগ কেটে গেলো ঠাকুরঘর ঝাড়পোছে...





৭.

ডেকো মেঘে ডেকো বরষার দিনে

ভরা ঢেউ এর নদী যেদিন ফুঁসে ওঠে আসে আঙিনায়

যেদিন একটানা জলের বিষাদী গান ঝরে পড়ে জানালার কপাটের ওপাশে,

ডেকো, সেদিন একবার হলেও ডেকো,

একাকী বর্ষার মত কোন কারাগার নেই এই পৃথিবীর পড়ে।





৮.

বৃষ্টির দিন বড় বিষন্ন একা, তবুও বৃষ্টি নামুক।

এইসব দিন আর রাতের দোহায় বৃষ্টি নামুক।

গেলাস গেলাস জল গিলে আকন্ঠ তৃষ্ণা নিয়ে আছি। বৃষ্টি নামুক।

ভীষণ বৃষ্টিতে পাঁচিলে বসা ভেজা নিঃসঙ্গ কাকের মত

রক্তচক্ষু নিয়ে সেই বৃষ্টির জলে আমিও কিছুটা অশ্রু ঢাকি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক বার পড়লাম
কি দারুন গোছানো হাহাকার।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

মুন্না হাসান(অচেনা পথিক) বলেছেন: অনেক ভাল লাগল।

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

অন্য এক আমি বলেছেন: ++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.