![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশের অন্যতম একজন নির্বাচিত লেখিকা। তাছাড়া বহু তরুণ-তরুণীর প্রিয় লেখকদের তালিকায় রয়েছে তসলিমা নাসরিনের নাম। আমি এমনি এমনিতেই বলছি না, অনেকের ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং বিভিন্ন ব্লগে আমি তসলিমাকে নিয়ে বহু প্রশংসা দেখেছি। নিজেকে খুব ধিক্কার জানাতে ইচ্ছে করে ৮৫% মুসলমানের দেশে প্রায় প্রতিটি জাতীয় পত্রিকাগুলোতে খুব গুরুত্ব সহকারে একটি নাস্তিকের লেখা পাবলিসিটি করা হয়। সংস্কৃতির নামে যে অপসংস্কৃতির প্রচলন আমাদের সমাজ তথা গোটা দেশে চলছে, তা এভাবে চলতে থাকলে হয়তো একদিন পিছনে ফিরে তাকালে দেখবো আমাদের ব্যক্তিত্ব বলতে কিছুই নেই। তসলিমা কি ছিলেন, কত বড় দার্শনিক, কবি সাহিত্যিক? নিশ্চয়ই ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কাজী নজরুল ইসলাম কিংবা ফররুক আহমেদের চেয়ে নয়। তবে কেন সে আপনার আমার প্রিয় তালিকায় থাকবে? আপনি হয়তো বলতে পারেন থাকতেই পারে বা থাকলে দোষের কি?। তাহলে আমি বলবো নজরুল, আল- মাহমুদ কিংবা প্রকান্ড দার্শনিক ও ভাষাবীদ ড. শহীদুল্লাহর মতো গুনীজনেরা আপনার চেতনায় নেই। কারণ নজরুল ছিলেন রাসূল (সাঃ) তথা ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসারী। ইসলামকে ভালবেসে তার কবিতা কিংবা গল্পের মধ্য দিয়ে বহু চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। পক্ষান্তরে তসলিমা নাসরিন একজন স্পষ্ট ইসলাম বিরোধী। সে কেমন প্রকারের ইসলাম বিরোধী তা বললে অনেক সময়ের ব্যাপার। আপনারা একটু জানার চেষ্টা করলেই তার সম্পর্কে জানতে পারবেন। তবে তার বাণীগুলোর একটি একটি এরকম যে, একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করলে একজন নারী কেন তা পারবে না। তার এই কথার পরিপেক্ষীতে আমি কিছু বলতে চাই, মনে করুন একজন মহিলা চারটি পুরুষকে বিয়ে করলো এবং তার ঘরে যদি কোন সন্তান জন্ম নেয় তাহলে সেই সন্তানের পিতা কে হবে সেটা আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন। পক্ষান্তরে একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করলে এবং তাদের ঘরে সন্তান হলে প্রত্যেকের মা কিন্তু নির্দিষ্ট থাকে। সে নাস্তিক তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। আমার খুবই কষ্ট হয় তখনি যখন সে হাদীস কোরআনের বিরোধীতা করা সত্ত্বেও আমরা তাকে বাংলাদেশের নির্বাচিত লেখিকা বলে ঘোষণা দেই, আমার কষ্ট তখনি হয় যখন দেখি কোন মুসলমান ভাই বোন তার অনেক বড় ফ্যান। আমার কষ্ট তখনি হয় তার বিষাক্ত উক্তিগুলো আমাদের সাম্প্রদায়িকতার উপর আঘাত আনার পরও আমরা মুখ বন্ধ করে বসে থাকি।ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানেন কি বলেছেন? যদি তোমার ভেতর ইসলামের জ্ঞান না থাকে তাহলে তুমি যত বড় পন্ডিত, দার্শনিক বা সাহিত্যিক হয়ে থাকো না কেন, তুমি একজন মূর্খ ব্যতিত আর কিছুই নও। প্রকান্ড ভাষাবীদ শহীদুল্লাহর সে বাণীকে এড়িয়ে বলার ক্ষমতা আপনার আমার নেই। তসলিমার মতো এমন কিছু নাস্তিকদের গল্প কবিতা পড়ে মুগ্ধ হতে থাকলে একদিন আপনার আমার শ্রেষ্ঠ অলংকার পবিত্র ঈমান আমাদের থেকে আস্তে আস্তে ম্লান হয়ে যাবে। আসুন না আমরা সবাই মিলে তাকে বর্জন করি, ঘৃণা করি তার বিকৃত মানসিকতার নোংরা লেখাগুলো।
,
লেখাঃ- নিস্তব্ধ অনুভূতি
২| ১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:০৯
বিপরীত বাক বলেছেন: ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানেন কি বলেছেন? যদি তোমার ভেতর ইসলামের জ্ঞান না থাকে তাহলে তুমি যত বড় পন্ডিত, দার্শনিক বা সাহিত্যিক হয়ে থাকো না কেন, তুমি একজন মূর্খ ব্যতিত আর কিছুই নও।
NASA Microsoft etc. সব মূর্খ
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২
মানুষ বলেছেন: “মার হাতে কালি মুখে কালি,
মা আমার কালিমাখা, মুখ দেখে মা পাড়ার লোকে হাসে খালি।
মোর লেখাপড়া হ’ল না মা, আমি ‘ম’ দেখিতেই দেখি শ্যামা,
আমি ‘ক’ দেখতেই কালী ব’লে নাচি দিয়ে করতালি।”
- কাজী নজরুল ইসলাম