![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তনু, রিশার পর আরেকটি আলোচিত হত্যাকান্ড হতে যাচ্ছে খাদিজা আক্তারের। মেয়েটির বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম, মাত্র ৫%। পূর্বেই বলে নিচ্ছি আমাকে কোন রাজনৈতিক বিষয়ের দিকে ঠেলে দিবেন না। আমি ছাত্রলীগের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে আসিনি। ফেসবুকে ঢুকার সাথে সাথেই দেখলাম পুরো হোম পেজ ছাত্রলীগের বদনামে ভরপুর। সবাই ছাত্রলীগ ছাত্রলীগ বলে একপ্রকার হাঁপিয়ে যাচ্ছে। মোট কথা হল, সন্ত্রাসীদের সামাজিক, রাজনৈতিক, বা পারিবারিক কোন ধর্ম নেই। যদি থাকতো তাহলে বাবার হাতে সন্তানের খুন বা সন্তানের হাতে বাবা মার খুন হওয়ার মতো ঘৃণিত ঘটনার আলোকপাত সমাজে হত না। আরে ভাই নিজের সুবিধাটা পাগলেও বুঝে। কেউ শরীরে আঘাত করতে চাইলে সেগুলো যদি শরীরে পরিহিত জামা কাপড়ের উপর দিয়ে চলে যায় তাহলে সেটা কি ভাল নয়? অবশ্যই ভাল। শরীরের মত করে সন্ত্রাসীরাও চায় সমাজে তাদের অবস্থান পাকা পোক্ত করতে রাজনীতি নামক চাদরের অন্তরালে (কারন সমাজে এটাই সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল)। ছাত্র দল যখন ক্ষমতায় ছিল তখন কি এরকম ঘটানা ঘটেনি? অবশ্যই ঘটেছে। ভবিষ্যতে যদি এই দু’দলের চেয়ে ভাল কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসে তাহলে যে এরকম ঘটনার জন্ম নেবে না তার গ্যারান্টি কি আপনি দিতে পারবেন? পারবেন না। সুতরাং এসব অহেতুক ছাত্রদল, ছাত্রলীগ বাদ দিয়ে মস্তিষ্ককে একটু অন্যদিকে ঘুরান। তনু, রিশার মত করে একটির পর একটি হত্যাকান্ড হয়েই চলেছে, আমরা দিনের পর দিন মানব বন্ধন করেই চলেছি। যখন ছাত্রলীগের কেউ হত্যাকান্ড করছে, তখন সবার আগে ছাত্রলীগ অমুক, আর ছাত্রদলের কেউ করলে ছাত্রদল তমুক আর হত্যাকারী যদি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত কেউ না হয়ে থাকে তাহলে সেদিকে আর আমাদের দৃষ্টিপাত যায় না। এটাই আমাদের পাবলিকদের মূল জাতিগত স্বভাব। আরে ভাই, এখন পর্যন্ত মানব বন্ধন করে কয়টা হত্যাকান্ডের বিচার করতে পেরেছেন? ২০১১ সালের ১ নভেম্বর, বহুল আলোচিত বাংলাদেশ তথা এশিয়া মহাদেশের স্বর্ণপদক প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ মেয়র নরসিংদীর লোকমান হোসেন হত্যাকান্ড। যেদিন ওনাকে হত্যা করা হয়েছিল, নরসিংদীর মাটিতে এমন একটি মানুষ নেই যে তার মৃত্যুতে কাঁদেনি। এটা আমার স্বচোখে দেখা। লোকমানের ভালবাসায় সিক্ত মানুষগুলো রাজপথে নেমেছিল, সুবিশাল মানব বন্ধন করেছিল তার হত্যার বিচারে দাবীতে। সমস্ত আসামীগুলোকে দুই দিনের ভেতরে ধরাও হয়েছিল। কিন্তু বিচার কতটুকু হয়েছে জানতে চাইলে জিজ্ঞাস করতে পারেন নরসিংদীবাসীর কাছে। আমাদের সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন না ঘটালে এভাবেই দিনের পর দিন হত্যাকান্ড চলতে থাকবে। আসুন না আমরা একজন মানুষ সন্ত্রাসী হয়ে ওঠার মূল কারণ গুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করি। সমাজে যারা সন্ত্রাস বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে তারা আপনার আমার মতোই হয় কারও ভাই, ছেলে বা পরিবারেরই কেউ একজন। পুরো দেশের দিকে দৃষ্টিপাত কোন লাভ নেই, দেশের জন্য আপনি কিছুই করতে পারবেন না। আপনার ভাই, সন্তান বা পরিবারের সদস্যটি কার সাথে মিশছে বা কোথায় যাচ্ছে সেই খবরটুকু নিন। অন্যের সমালোচনা করে সময় নষ্ট না করে নিজের পরিবারের দিকে তাকান। আপনার পরিবারের ভালমন্দ নিয়ে অন্যকারো মাথা ব্যাথা নেই, এটা একমাত্র আপনারই দায়িত্ব। সমাজের দায়িত্ব নেয়ার দরকার আপনার নেই। সমাজ নিজেই নিজে সে তার দায়িত্ব নিয়ে নিয়ে নেবে যখন সমাজের প্রত্যেকটি পরিবারের দায়িত্ব আমরা একজন করে নিতে পারবো। কয়েকটি পরিবার নিয়েই তো গঠিত হয় সমাজ। শুধু কয়েকটা সমাজ ঠিক হয়ে গেলেই ঠিক হয়ে যাবে আমাদের দেশ।
,
,
Written by:_________ নিস্তব্ধ অনুভূতি।
©somewhere in net ltd.