নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাইম রাজ

নাইম রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমাবর্ষণ এর প্রতিক্রিয়া কি ছিলো ?

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪


১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট সকালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী জাপানের হিরোশিমা শহরের ওপর লিটল বয় নামের নিউক্লীয় বোমা ফেলে এবং এর তিন দিন পর নাগাসাকি শহরের ওপর ফ্যাট ম্যান নামের আরেকটি নিউক্লীয় বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
হিরোশিমা প্রশাসনিক অঞ্চলের রাজধানী এবং জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর চুউগোকু অঞ্চলের সবচেয়ে বড় নগর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষার্ধে ১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট স্থানীয় সময় ৮টা ১৫মিনিটে আমেরিকান বিমান বাহিনী হিরোশিমাতে পারমানবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।

১৯৪৫ সালে নাগাসাকিতে আণবিক বোমা বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট ব্যাঙের ছাতার মত মেঘ।
যুদ্ধের ইতিহাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মাত্র দুটি পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরিত করা হয়েছিল। লিটল বয় নামের প্রথম বোমাটি ৬ আগস্ট ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমাতে ।

লিটল বয় Little Boy) হচ্ছে এক ধরণের পারমাণবিক অস্ত্রের সাংকেতিক নাম । এটিই দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে ব্যবহৃত পারমাণবিক বোমা । এটি দিয়ে ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা নগরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল
ফ্যাট ম্যান নামক দ্বিতীয় বোমাটি তিনদিন পর জাপানের নাগাসাকিতে নিক্ষেপ করা হয়।
প্রকৃত বোমাসদৃশ ফ্যাট ম্যানএটি প্রয়োগের মানদণ্ডে বিশ্বযুদ্ধে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিল। প্রথম আণবিক বোমাটি ছিল লিটল বয়। ৯ আগস্ট, ১৯৪৫ তারিখে তৎকালীন জাপান সাম্রাজ্যের নাগাসাকি দ্বীপপুঞ্জে মিত্রশক্তির পক্ষ হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল।বোমা নির্মাণের প্রয়োজনীয় উপকরণাদির অপর্যাপ্ততায় বেশ কয়েকমাস বিলম্ব হয়। আর সে বিলম্বের ফলে ইউরোপ নিশ্চিত যুদ্ধ থেকে পিছিয়ে যায়। বিকল্প লক্ষ্য হিসেবে ধীরে ধীরে জার্মানি থেকে জাপানের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়। ৬ই আগস্ট জাপানের হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর ককুরা শহরকে লক্ষ্যস্থল করা হয়। কিন্তু আকাশ জুড়ে মেঘ জমে থাকায় বিকল্প লক্ষ্যস্থল হিসেবে নাগাসাকিকে নির্ধারণ করা হয়।বক্সকার নামীয় বি-২৯ বোমারু বিমানের সাহায্যে ফ্যাট ম্যানকে বহন করা হয়। ৩৯৩ডি বোম্ব স্কোয়াড্রনের মেজর চার্লস সুইনে বিমানটির পাইলট ছিলেন। জাপানের স্থানীয় সময় সকাল ১১:০২ ঘটিকায় ১,৬৫০ ফুট উঁচু থেকে বোমাটি নিক্ষেপ করেন। এর ক্ষমতা ছিল ৮৮ টেরাজুল বা ২১ কিলোটন টিএনটি।পার্ল হারবার আক্রমণে ব্যবহৃত টাইপ ৯১ টর্পেডোর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশি-উরাকামি অস্ত্র কারখানাটি বিস্ফোরণের পর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল।আকাশ মেঘে ঢাকা থাকার ফলে সঠিকভাবে লক্ষ্যস্থল নির্ধারণ করা যায়নি। ফলে বোমাটি কেন্দ্রস্থল বিচ্যুত হয় এবং হিরোশিমার তুলনায় কম ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আনুমানি ঊনচল্লিশ হাজার লোক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়াও পঁচিশ হাজার লোক আঘাতপ্রাপ্ত হন।বিস্ফোরণ ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাজারো লোক পরবর্তীকালে মারা যান। তেজষ্ক্রিয়তার প্রভাবে শত শত লোক আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রচণ্ড বিস্ফোরন এবং ক্ষতিকর আলোক-কণা বিকিরণের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে মারা গিয়েছিল প্রায় ১২০,০০০ লোক এবং আয়নাইজিংয়ের ফলে ধীরে ধীরে আরো অসংখ্য মানুষ মারা গিয়েছিল। সে বোমার বিস্ফোরন এবং কোন দেশের অস্ত্রভান্ডারে সে বোমার সংরক্ষণ খুবই বিতর্কিত একটি বিষয়।
অনুমান করা হয় যে ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ফলে হিরোশিমাতে প্রায় ১৪০,০০০ লোক মারা যান নাগাসাকিতে প্রায় ৭৪,০০০ লোক মারা যান এবং পরবর্তীতে এই দুই শহরে বোমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরও ২১৪,০০০ জন। জাপানের আসাহি শিমবুন এর করা হিসাব অনুযায়ী বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগসমূহের ওপর হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য গণনায় ধরে হিরোশিমায় ২৩৭,০০০ এবং নাগাসাকিতে ১৩৫,০০০ লোকের মৃত্যু ঘটে। দুই শহরেই মৃত্যুবরণকারীদের অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ।
জাপানের আত্মসমর্পণের পেছনে এই বোমাবর্ষণের ভূমিকা এবং এর প্রতিক্রিয়া ও যৌক্তিকতা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে অধিকাংশের ধারণা এই বোমাবর্ষণের ফলে যুদ্ধ অনেক মাস আগেই সমাপ্ত হয়, যার ফলে পূর্ব-পরিকল্পিত জাপান আক্রমণ invasion সংঘটিত হলে উভয় পক্ষের যে বিপুল প্রাণহানি হত তা আর বাস্তবে ঘটেনি। অন্যদিকে জাপানের সাধারণ জনগণ মনে করে এই বোমাবর্ষণ অপ্রয়োজনীয় ছিল, কেননা জাপানের বেসামরিক নেতৃত্ব যুদ্ধ থামানোর জন্য গোপনে কাজ করে যাচ্ছিল।
হিরোশিমা বানিজ্যিক জাদুঘর ১৯১৫


১৯৩০ সালের হিরোশিমা শহরের মানচিত্র জাপানি সংস্করণ


তথ্যসূত্র ইন্টারনেট

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া। এখনো গা শিউরে ওঠে

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১১

নাইম রাজ বলেছেন: গা শিউরে ওঠার মতই ঘটনা ঘটে গেছে মানুষের জীবনে । ধন্যবাদ ভাই।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০

blogermassud বলেছেন: তথ্যমূলক পোস্ট।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১২

নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

জাহিদ হাসান বলেছেন: যতবার ভাবি ততবারই ভয়ে কেপেঁ উঠি।
জাপানের দু’টো প্রাণবান শহর ধ্বংস হয়ে গেল, অথচ বিশ্ববাসী আজো আনবিক শক্তির উপাসনা ছাড়তে পারে নাই!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১০

নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ জাহিদ হাসান ভাই।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তথ্যপুর্ণ লেখাটির জন্য ধন্যবাদ ।
অনেক মুল্যবান বিষযাদি যুক্ত হয়েছে এতে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩২

নাইম রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী ভাই।
শুভকামনা থাকল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.