নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিখতে চাই, জানতে চাই

অচেনা নিজাম

সহজ সরল ১ টা ছেলে। পড়ালেখা করি। এই তো আর কি......।।

অচেনা নিজাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ে করুন, নিজে ঠিক থাকুন, সমাজ কে ঠিক করুন

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

কাল ১ টা পত্রিকায় দেখলাম ঢাকা তে আশংকাজনক ভাবে বাড়ছে লিভ টু গেদার।পড়ার পর ই মনে হল, হায় আমি কই আছি?আমি কি বাংলাদেশ এ না আমেরিকায় চলে আসলাম।

কিছুদিন আগে এক বন্ধু ফেচবুক এর ১ টা গ্রুপ এর লিংক দিছিল। যে টা তে লিখা ছিল তাড়াতাড়ি বিয়া করার সুফল, না করার কুফল। তখন মাথায় নিলাম না। ওরে বললাম, ১৮ বছর এর আগে মেয়ে বিয়া দিলে পুলিশ এ ধরব। তখন ও জানতাম না যে ৮ম-৯ম শ্রেণির মেয়ে রা লিভ-টু-গেদার করে। Boyfriend culture আমাদের সমাজ কে শেষ করে দিচ্ছে।

Boyfriend culture এর বেপরোয়া প্রচলন এর ফলে সমাজের কত অঘটন ঘটছে তা নিশ্চয়ই সবাই বুঝেন বোধ করি।

১. অবিশ্বাস (বিয়ের আগে যতটাই বিশ্বাস করছে, বিয়ের পর ঠিক ততটাই অবিশ্বাস)।

২. তালাক।

৩. নারী নির্যাতন।

৪. নৈতিক অবক্ষয়।

৫. অনেক ছেলেমেয়েই একাধিক প্রেম জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

৬. একে অপরের প্রতি সমাজিক শ্রদ্ধাবোধ এখন বিলুপ্তির পথে (ট্রেনে এক বৃদ্ধকে সিট ছেড়ে দেয়ায় সবার চোখে সেই মানুষটাকে এলিয়েন মনে হয়)।

৭. পারিবারিক অশান্তি।

৮. হতাশা।

৯. নেশা (প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়ে নেশা ধরেছে এমন ঘটনা এখন খুব সাধারণ)।

১০. খুন।

১১. পর্ণোগ্রাফি (প্রায়ই ইন্টারনেট এসব ঘটনা প্রকাশ পেয়ে যায়, অপ্রকাশিত ঘটনার কথা বাদই দিলাম, কিন্তু অনেক ঘটছে)।

১২. আত্মহত্যা।

১৩. ধর্ষণ।

১৪. লোভ (আমাদের ভার্সিটির এক মেয়ে সেমিস্টার ফি না দিয়ে তার বয় ফ্রেন্ড কে গিফ্‌ট কিনে দিল, সেমিস্টার ফাইনাল দিলনা। যখন বাবা জানলেন তখন সেই বাবার সে কি করুণ অবস্থা!!)।

১৫. পারিবারিক অশান্তি।

এভাবেই আরো অনেক সামাজিক সমস্যার সৃষ্টিকারী এই মহামারি ব্যাধি আমাদের সমাজকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। আর পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার অভাবে, তাদের মস্তিস্কে গোবর সাপ্লাই করার মত অনেক উপাদান চাকচিক্যময় ভঙ্গিতে উপস্থাপন করছে। আর মিডিয়া এই সমস্যাকে সব থেকে বেশি উসকিয়ে দিচ্ছে। পোষাক সন্ত্রাস মেয়েদের রুচি বিকৃতিতে সব থেকে বেশি তৎপর।

বিদেশী সংস্কৃতির আদলে বাঙ্গালি মেয়েদের ইজ্জত আব্রু নিয়ে যা ইচ্ছে তাই ছিনিমিনি খেলা চলছে, আর আমরা তখন নীরব!!! যারা নিজেদের সমাজের কর্ণধার মনে করেন তাদের তখন ১০০০ ভোল্ট এর বাত্তি দিয়ে সার্চ করলেও খুঁজে পাওয়া যায়না!

আমাদের সমাজে লিভ- টু-গেদার বাড়বে না কি হবে?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :| :| :| :|

২| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৬

নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: বাল্যবিবাহ শুধু মেয়েদের নয় ছেলেদের ও দিতে হবে, তখন উভয়েরই মাথা নষ্ট হওয়ার কারন গুলো একেবারেই কমে যাবে এবং মাথা থাকবে কুল। বিয়ের পর অধিকাংশ ছেলেরাই সিধা হয়ে যায়। আর ছেলেরা সিধা হলে মেয়েরা ও হয়ে যাবে।

আমাদের সমাজে এমন নষ্টামি খুব কমই দেখা যায় যেখানে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই বিবাহিত, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এক পক্ষ অবিবাহিত আর অবিবাহিতের মাথাতো গরম থাকবেই কারন শারীরিক এবং মানসিক চাহিদা

৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৪১

নাজমুল শািকল বলেছেন: plus

৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:২০

সাঈদ কারিম বলেছেন: গতকাল দেখে আমিও বড় হতাশ হয়েছি।
আমি এদের আর কুকুরের মাঝে কোন পার্থক্য দেখিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.