নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু মানুষের লেখা এতটাই মন ছুঁয়ে যায় এবং উপকারী মনে হয় যে তাদের লেখাগুলো সবাইকে জানাতে ইচ্ছে করে যদি কেউ এগুলো পড়ে উপকৃত হয় সে আশায় । এজন্য আমি কয়েকটি বিভাগ করলাম যেখানে আমার এবং অন্যদের লেখাগুলো আলাদা ফোল্ডারে গিয়ে

নূসরাত তানজীন লুবনা

স্পৃহা দৃঢ়তা - - আমার ব্লগ আঙ্গিনায় স্বাগতম এবং যে ভদ্রতাকে মানুষ দুর্বলতা মনে করে এমন ভদ্রতাকে এভয়েড করতে পছন্দ করি ।

নূসরাত তানজীন লুবনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আফসোস

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৮

অনেক গভীর থেকে তৈরী হয় এই আফসোস । যখন নিজেদের অজ্ঞতা বা ছোটখাট ভুলের জন্য অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায় তখন আমরা আফসোস করি ।আর দুনিয়াবী আফসোস তখনই তৈরী হয় যখন আল্লাহর প্রতি পূর্ণ তাওয়াক্কুল থাকে না ।

কারন

“যেকথা ভেবে আমার অন্তর প্রশান্ত

হয় তা হলো আমার

জন্য যা নির্ধারিত

আছে তা কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে না এবং যা কিছু

আমার

পাওয়া হয়না তা কখনো আমার জন্য

নির্ধারিত ছিলো না।”

– ইমাম শাফিঈ (রাহিমাহুল্লাহ )

সো আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুলের সাথে পূর্ণ আনুগত্য ও আত্মসমর্পণ করাই আফসোস থেকে মুক্তির উপায় দুনিয়া ও আখিরাত দুজাহানেই । আর যারা আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করতে নারাজ তাদের সেদিন কি পরিমান আফসোস করতে হবে যেদিন আল্লাহর সামনে সকলকে দাঁড়াতে হবে ! যেদিন যার যার কাজ অনুযায়ী জান্নাত ও জাহান্নাম নির্ধারণ হবে । সেদিন তারা কার কাছে যাবে যেদিন কেউ কারো সাহায্যকারী হবে না ।

তাইতো আল্লাহ সূরা ইয়াসীনের (২০-২৪) নং আয়াতে বলেছেনঃ নগরীর প্রান্ত থেকে এক ব্যাক্তি ছুটে এলো এবং বললো , হে আমার জাতির লোকেরা ,তোমরা এ রাসূলদের অনুসরণ করো ,অনুসরন করো এমন এক রাসুলের , যে তোমাদের কাছে কোন প্রকার প্রতিদান চায় না ( হেদায়াতের বিনিময়ে) ,আসলে ( যারাই তার অনুসরন করবে ) তারাই হবে হেদায়াতপ্রাপ্ত । আমার জন্য এমন কি ( অজুহাত ) থাকতে পারে যে ,যিনি স্ব্য়ং আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যার দিকে তোমাদের সবাইকে ( একদিন ) ফিরে যেতে হবে , আমি তার ইবাদত করবো না ! আমি কি তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কোন মা;বুদ গ্রহন করতে যাবো ? অথচ দয়াময় আল্লাহ পাক যদি আমার কোন ক্ষতি করতে চান তাহলে ওদের কোন সুপারিশই তো আমার কোন কাজে আসবে না , না তারা কেউ আমাকে ক্ষতি থেকে উদ্ধার করতে পারবে । এ সত্ত্বেও আমি যদি এমন কিছু করি তাহলে আমি সুস্পষ্ট গোমরাহীতে নিমজ্জিত হয়ে যাবো ।

আমাদেরকে গোমরাহী থেকে বাঁচানোর জন্য আল্লাহ যতভাবে বুঝিয়েছেন কোরআন ও তার রাসূল সাঃ এর মাধ্যমে ! তারপরও আমরা যদি আল্লাহর নির্দেশিত পথে না চলে শয়তানের পরামর্শ অনুসরন করি তাহলে কে বাঁচাবে আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে ? জাহান্নামে কি শুধু আযাবই ভোগ করবে ! তাদের কোন আফসোস থাকবে না ! তাদের কি আফসোস থাকবে না - কেন তারা আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলেনি ? অবশ্যই থাকবে । সেটাও আযাব তবে সেটা সে নিজেই নিজেকে দিবে ।

আমরা নিশ্চয়ই কেউ চাই না জাহান্নামী হতে অথবা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আফসোস করতে । তবে আমরা সবাই এও জানি - আল্লাহ পরম দয়ালু এবং অত্যন্ত ক্ষমাশীল । তাইতো আল্লাহ আমাদের উপর দয়া করে কিয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত এবং মৃত্যুর সময় গরগর আওয়াজ আসার পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহর ক্ষমার দ্বার প্রসারিত করে রেখেছেন ।

তবে আমাদের কার কখন মৃত্যু হবে এ বিষয়ে আমরা অজ্ঞ । যেহেতু আমরা জানিনা আমাদের মৃত্যু কখন আসবে সেহেতু আমাদের সর্বদা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ ।

প্রস্তুতির সর্প্রথম ধাপ পূর্বের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর কাছে তাওবা করা এবং দ্বিতীয় ধাপ ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করা ও তার পাশাপাশি আমল করা ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
“যেকথা ভেবে আমার অন্তর প্রশান্ত
হয় তা হলো আমার
জন্য যা নির্ধারিত
আছে তা কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে না এবং যা কিছু
আমার
পাওয়া হয়না তা কখনো আমার জন্য
নির্ধারিত ছিলো না।”
– ইমাম শাফিঈ (রাহিমাহুল্লাহ )

পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ রইল।
ভালো থাকবেন।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৩৪

নূসরাত তানজীন লুবনা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্য
শুভ কামনা সব সময়ের

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

নিলু বলেছেন: ইমান ঠিক রাখতে হবে

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৩৮

নূসরাত তানজীন লুবনা বলেছেন: ধন্যবাদ নিলু
লেখাটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য
লেখাটি মূলত যাদের মানসিকভাবে ঈমান আছে কিন্তু আল্লাহর নির্দেশনা ঠিকভাবে পালন করে না তাদের জন্যই লেখা ।
ভালো থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.