নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নৈসর্গিক পৃথিবীর ধাবমান শেওলা

অপ্রকাশিত কাব্য

নৈসর্গিক পৃথিবীর ধাবমান শেওলা

অপ্রকাশিত কাব্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের বর্তমান উন্নয়নের জন্য ভবিষ্যত ধ্বংস,এ যেন বিদ্যাসাগরের দেশে গোপাল ভাঁড়ের তামাশা(প্রসংঙ্গ শিক্ষা ব্যবস্থায় ভ্যাট)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪

দেশের বর্তমান উন্নয়নের জন্য ভবিষ্যত ধ্বংস,এ যেন বিদ্যাসাগরের দেশে গোপাল ভাঁড়ের তামাশাঃ
সরকার দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে চায় তা ভালো। আমরা দেশের আপামর জনগোষ্ঠীও মধ্যম আয়র স্বাদ গ্রহনে মুখিয়ে আছি।কিন্তু তাই বলে শিক্ষার উপর ভ্যাট?
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধ প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করার প্রক্রিয়া হাতে নেন।তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। কারণ এতে দেশের মোট স্বাক্ষরতার হার অনেক বেড়েছে। পরবর্তীতে খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষার প্রচলনও আমরা দেখেছি বহুকাল। এই প্রকল্পগুলো নিঃসন্দেহে প্রশংসা পাওয়ার দাবি রাখে।
কারণ এতে দেশের সামগ্রিক জনগোষ্ঠীর মধ্য শিক্ষার আলো প্রবেশ করতে শুরু করে এবং দেশও এগিয়ে যেতে থাকে বহিবিশ্বের সাথে।
বর্তমান সরকার এসেতো তা আরো সম্প্রসারনের পদক্ষেপ নেয়। পর্যায়ক্রমে দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত অবৈতনিক করার ঘোষনা দেয়।
মাঝে কিছু দিন স্কুল টিফিন প্রোগ্রাম চলে।
সাথে উপবৃত্তিতো আছেই।
কিন্তু যারা দেশের জন্য কিছু করতে চায়,যাদের সাফল্যের উপর দেশের সফলতার মানদন্ড নির্ধারিত হয়,যাদের হাতে দেশ গড়ে উঠবে, যাদের হাত ধরে দেশ ক্রমশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হবে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের শিক্ষায় ভ্যাট!!!
এযেন নিজের পায়ে কুড়াল মারা।
উপরে পানি ঢেলে গোড়াটা কেটে ফেলা।
যদি দেশের সামগ্রিক অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিকিয়ে দিতে হয়,তবে বলবো দরকার নেই এমন উন্নয়ন।
কারণ আগে শিক্ষা। দেশের মানুষ প্রকৃত শিক্ষিত হতে পারলেই দেশ উন্নত হবে।
উন্নত হবে দেশের অবকাঠামো, জীবনমান, সামাজিক মূল্যবোধ। দূর হবে অপসংস্কৃতি,অপরাজনীতি,নারী নির্যাতন,ধর্মীয় কুসংস্কার।
তবেই তো বন্ধ হবে নারী ও শিশু নির্যাতন।
বৃদ্ধি পাবে জিডিপি। দেশ ক্রমশ এগিয়ে যাবে সম্ভাবনার উর্ধ্ব শিখরে।
কিন্তু সরকারে নীতিনির্ধারকেরা যখন উচ্চ শিক্ষার পথকে সুলভ না করে বরং ব্যয়বহুল এবং সংকোচিত করে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করার হঠকারী স্বিদ্ধান্ত নেয় তখন বলতেই হয় "এযেন বিদ্যাসাগরের দেশে গোপাল ভাঁড়ের তামাশা।"

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০০

ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন:

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট দিতেই হবে বলে জানিয়েছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। উনি বলেছেন, "দেশের ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়া লেখা করে সরকার তাদের জন্য কোন ধরেন ভর্তুকি দিবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দিলে এটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেয়ার হোল্ডারদের পকেটে চলে যাবে। শিক্ষার্থীদের কোনো লাভ হবে না।"
উনি তো দেখি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখেন না, অথবা না জেনে-শুনে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য দিয়েছেন। সঠিক তথ্য হচ্ছে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার কোন ভর্তুকি দেয় না। বরং শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে- তার পূর্ন নাম 'Value-Added Tax' বা 'মূল্য সংযোজন কর'। ২০টাকা কেজি আলু কিনে তা ১১০টাকা কেজি সয়াবিন তেলে ভেজে ফার্স্টফুডের দোকানে যখন সেই পটেটো চিপস ১২০০টাকা কেজি দরে বিক্রী করা হয় তখন এই সযোজিত মূল্যের ওপর ভ্যাট ধার্য করা হয়। শিক্ষা কী পটেটো চিপসের মত পন্য? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ফার্স্টফুডের দোকান? এখানে মিথ্যা ভর্তুকির দোহাই দিয়ে উনি কেমন করে ভ্যাট বসানোকে বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছেন?
উনি না আমাদের তরুন প্রজন্মকে নিয়ে 'ইয়ং বাংলা' গড়েছেন? এই তার আসল চেহারা? যেহেতু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সরকারী ভর্তুকী দেয়া হয় না, তাই তার লাভের ভাগ তো কখনোই শিক্ষার্থীদের পকেটে আসার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু উনার আরোপ করা এই ভ্যাটের টাকা তো আমাদের মত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পকেট থেকেই দিতে হবে। উনি আমাদের লাভ না দেখলেও লোকসানটা ঠিকই বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ৮৩টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৫টিই মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তদের উচ্চ শিক্ষার বিকল্প প্রতিষ্ঠান। এখানকার প্রায় ৭৫% শিক্ষার্থী প্রাইভেট ট্যুশনি করে বা খণ্ডকালীন চাকরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগাড় করে। তাদের ওপর বছরে আরো ৩০/৪০ হাজার টাকার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে উনি কেমন কাজ করলেন?
উনি কী তাহলে আমাদের পকেট কাটা জবরদস্তি ভ্যাটের টাকা দিয়ে উনার 'ইয়ং বাংলা' চালাবেন? সেইক্ষেত্রে উনার ইয়ং বাংলায় বাংলাদেশের ৯৫% তরুণের কোন অংশদারিত্ব থাকবে না।
-ড. সাকিল আল মামুন।
১. সরকার কোনদিনই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা এর শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দেবে না জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আর এটা ভোরের কাগজের লিঙ্ক।
এতো গেল ‘রাজপুত্রের’ কথা, আর চেতনাবাদী মিডিয়া, তার অবস্থান কি?
শাহবাগে চিল্লাচিল্লি আর বিরিয়ানি খাওয়া টেলিকাস্ট করতে লাইন লেগে যায় চেতনা মাখা সকল মিডিয়ার! আর আজকে ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনরে " জন-দূর্ভোগ" হিসেবে দেখাচ্ছে। মনে হয় যেন জীবনে , রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে দাবী আদায় এই প্রথম দেখছে।
আজ দেশের ছাত্র সমাজের এই ভ্যাট বাতিলের জোয়ার কে কেন তারা টেলিকাস্ট করছে না?
দেখাচ্ছে " সড়ক অবরোধের কারনে যানজটে নগরবাসীর অবস্থা নাকাল " জাতীয় রিপোর্ট ।
কোথায় আজ মুন্নি সাহা?
কোথায় আজ রুপার সরাসরি সম্প্রচার?
কোথায় আজ নবনিতার টকশো?কোথায় ?
জাফর নামক ষাঁড় টা কই? তাঁর বিবেক কি বলে???
এই দেশের রন্ধে রন্ধে দালালে দালালে ভরে গেছে আর সব দালালের বড় দালাল হচ্ছে এই সাংবাদিক আর মিডিয়া । যাদের কাছে বিরিয়ানি খাওয়া মানেই আন্দোলন আর লক্ষ লক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের লাঠি পেটা খাওয়ার নাম হচ্ছে সন্ত্রাসী দমন।
থু থু থু
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ‘চেতনাবাদীদের’ কমেন্ট ........



চটি পিয়াল ও তাঁর অনুসারীদের কমেন্ট-

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪০

অপ্রকাশিত কাব্য বলেছেন: শিক্ষাতো মৌলিক অধিকার। এই খাতে ভ্যাট বসানো মানেই হলো মৌলিক অধিকার সংকোচিত করা যা সরাসরি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন ভ্যাট চাই না

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪০

প্রামানিক বলেছেন: ভ্যাট নিয়া ক্যাট ক্যাট আর কতদিন চলবে বুঝতে পারছি না।

৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩

অপ্রকাশিত কাব্য বলেছেন: তার একটি ভালো সমাধান ছাড়া কিছুতে ক্যাট ক্যাট বন্ধ হবে বলে মনে হয় না

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: যাক অবশেষে সমাধান হয়েছে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

অপ্রকাশিত কাব্য বলেছেন: হ্যা, বলতে পারেন সমাধানে আসতে প্রশাসন বাধ্য হয়েছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.