![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তখন পানশালায় বসে মদ্যপানে বিভোর ছিলাম। আর ক্লান্ত শহরের মধ্য যৌবনবতী রাত আমার শরীরের ক্ষয়িষ্ণু হাড়গুলো খুবলে খুবলে খাচ্ছিলো। কিছুক্ষণ আগেই অনাগত চতুর্থ সন্তানের গর্ভপাত ঘটিয়ে এসে শ্রান্ত শরীর ও মনের সাময়িক ধকল কাটাবার উদ্দেশ্যে আমি সারারাত পানশালায় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু পরিকল্পনায় বাধ সাধলো হতচ্ছাড়া বুড়ো ওয়েটার,"বার বন্ধ করার সময় হয়ে এসেছে। This must be your last peg,ma'm!" বিরক্ত দৃষ্টিতে আমি ওয়েটারের দিকে তাকিয়ে ঝাঁঝালো কন্ঠে কিছু অশ্রাব্য গালাগাল নিক্ষেপ করলাম। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে দেখতে পেলাম আমার গলা থেকে কেবল বুনো শুয়োরের মত ঘোৎ ঘোৎ আওয়াজ ছাড়া আর কোনো শব্দই বের হচ্ছে না। অতঃপর বাধ্য হয়ে টলমল পায়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়লাম। কাউন্টারে বিল মিটিয়ে টলতে টলতে বেরিয়ে এসে দাঁড়ালাম বড় রাস্তায়। সারামাস সুপার শপে কাজ করে পাওয়া বেতনের অর্ধেকটাই এখন চলে যাচ্ছে সাপ্তাহিক মদ্যপানে। বাকি অর্ধেক দিয়ে ঘরে সান্ধ্য বাতি জ্বালিয়ে অপেক্ষায় বসে থাকা আমার জীবিত তিন ছেলেমেয়ের পেটের ক্ষুধা মিটবে কিনা তা নিয়ে ভাবার মত মানসিক বা স্নায়বিক অবস্থা আপাতত নেই। এরকম একেকটা রাতে আমার যাবতীয় মানবিক যন্ত্রণাকে পাশ কাটিয়ে আকাশের তারাগুলি খুলে নিয়ে একটা একটা করে মুখের ভেতর পুরে দিতে ইচ্ছে হয়। অথবা ইচ্ছে করে রাস্তার মোড়ে অতিকায় দৈত্যের মতন ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা দূরবর্তী ল্যাম্পপোস্টের আলোগুলিকে গিলে খেতে। সমস্ত শহরের যাবতীয় গুপ্ত অন্ধকারকে ধর্ষণ করে তারা নির্লজ্জের মত চারিদিকের সব অশ্লীল দৃশ্যাবলিকে নগ্ন করে দেয়। তাদের তীব্র ভর্ত্সনায় আমি অন্ধকারেও নিজের শরীর লুকোবার একতিল জায়গা খুঁজে না পেয়ে নিষ্ফল আক্রোশে তাদের অভিসম্পাত করতে থাকি। এরকম রাতে এমনকি ঘরে ফিরতেও ইচ্ছে করে না আমার আর। মুখ খোলা তিনটে বিরাট হা নিয়ে বসে থাকা তিনজন ক্ষুধার্ত মানবসন্তান ছাড়া আর কিই বা দেখার আছে সেখানে? কেউ কি ভালবাসার আশ্রয় নিয়ে অপেক্ষা করে সেখানে আমার? করে না। সেই ঘরের সাথে আমার সম্পর্ক কেবল প্রয়োজন ও প্রয়োজন পূরণের। আশ্রয় ও আশ্রিতের। তবুও ঘরে ফিরতে হয়। আরো একটা সংগ্রামমুখর দিনশেষে জীর্ণ আর ক্লান্ত শরীর বিছানায় এলিয়ে দেয়ার তাগিদে একটা নোংরা,ভাঙ্গাচোরা লোকাল বাসের কালো ধোঁয়ার পিঠে চেপে গভীর রাত্রে অবশেষে ঘরে ফিরি।
এবং ফিরেই দরজার ওপাশে সেই ঘৃণিত মুখের সাথে চোখাচোখি হতেই বিতৃষ্ণায় অপরদিকে মুখ ফিরিয়ে নেই। তাতে রেহাই পাওয়া যায় না। কানের ওপাশ থেকে ভেসে আসে একটা তেলতেলে অস্বস্তিকর কন্ঠস্বর, "কেমন কাটালে আজ দিনটা ডার্লিং? নতুন নাগরের খোঁজ মিলেছে নাকি কোনো?" তার চোখেমুখে ধূর্ত হাসি খেলে যায়। আমার ইচ্ছে করে মুহূর্তেই সেই মুখের উপর একদলা থু থু ছিটিয়ে দেই অথবা পেটের ভেতর সর্পিলাকারে পাক দিয়ে ওঠা সবটুকু বমি উগড়ে দেই ওতে। তার বদলে কেবল নিস্পৃহ দৃষ্টিতে শীতল কন্ঠে জবাব দেই,"দূরে থাক তুমি জারজ সন্তান। তোমার গায়ের গন্ধও অসহ্য আমার পক্ষে।" খ্যাক খ্যাক করে পিশাচের হাসি হেসে ওঠে সে। ধূর্ত চাহনিটা আমার চোখের ওপর ফেলে বলে,
- তাতেই তোমার খুব সুবিধে হয় বুঝি? আমার অনাকাঙ্খিত উপস্থিতিতে তোমার দেহ ব্যবসায় ভাটা পড়ছে বুঝি আজকাল!
- চুপ কর অসভ্য বদমায়েশ! একটা নোংরা পুরুষমানুষ তুই। আজ এই চুলোয় মুখ দেখাতে এলি কি করে? পঞ্চম বান্ধবীও তোকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছে বুঝি? করবেই তো - একটা নর্দমার কীটের চাইতেও অধম তুই।
- অধম হই আর যাই হই, তোর বাপের পয়সায় মৌজমাস্তি করি না। করলে নিজের পয়সায় করি। শোন নটী, এই বাড়িটা আমার। আমি এটা বিক্রি করে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভালো খদ্দের পাবার অপেক্ষায় আছি কেবল। তুই আর তোর জারজ সন্তানরা যত দ্রুত সম্ভব এখান থেকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা কর। ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করতে হয়না যেন।
- কি বললি তুই? বাড়ি বিক্রি করবি? এই বাড়ি কি তোর বাপের পয়সায় কেনা? বাড়ি কেনার অর্ধেক পয়সা আমি দিয়েছিলাম - ভুলে গেছিস তুই? তুই কে একা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেবার?
- অতশত বুঝি না আমি। বাড়ি বিক্রি হবেই। তুই নিজে থেকে না গেলে কুকুরের মত পিটিয়ে তাড়াবো তোকে।
- নর্দমার শুয়োর! তোর জুয়া আর নেশার টাকা মেটাতে তুই এখন আমায় আর আমার বাচ্চাদের ঘরছাড়া করতে চাস? আমি দেখে নেব কি করে তুই এই বাড়ি থেকে আমাদের তাড়াস। বেজন্মা কুকুর কোথাকার...........
আমার তারস্বর চিত্কার আর গালাগালকে ফুত্কারে উড়িয়ে দিয়ে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে শীষ বাজাতে বাজাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে - আমার জুয়াড়ি ও নেশাখোর নামসর্বস্ব স্বামী। আমি ক্লান্ত হয়ে ধুপ করে ভাঙ্গাচোরা খাটের ওপর বসে পড়ি। শরীরটা কিছুতেই চলছে না আর। আমার তিনটি সন্তান অভুক্ত আছে কিনা সেটুকু জিজ্ঞেস করার মত ধৈর্য্যও থাকে না আমার। আমি বিনাবাক্যে খাটের উপর চিৎ হয়ে শুয়ে গভীর ঘুমে তলিয়ে যাই।
ঘুমের ঘোরেও অজস্র খন্ড খন্ড স্মৃতিকাতর দৃশ্যাবলী আমার চোখের পাতাকে চতুর্দিক থেকে আক্রমণ করে বসে। একটা সময় ঘর সংসার ছিল আমাদেরও - হঠাৎ মনে পড়ে। এমনকি হাস্যকরভাবে অবিশ্বাস্য ঠেকলেও সেখানে ভালবাসাও ছিল পর্যাপ্ত পরিমাণে মনে পড়ে যায়। সে আমার হাতে হাত রেখে চোখের ইশারায় কথা বলত প্রায়শঃই আর বলত, ভালবাসায় ভাষার প্রয়োজন সীমাবদ্ধ,অলক। অনুভূতিটা তো কেবল চোখ থেকেই পড়ে নেয়া যায়, যদি বোঝার মত মন থাকে কারো। আমি নিঃশব্দে মাথা নেড়ে মৃদু হাসতাম। কিন্তু চোখের ভাষাগুলো ধীরে ধীরে কিভাবে বদলে গেল একটু একটু করে টের পাওয়া গেল না। শুধু টের পেলাম আধো অন্ধকার গলির ভেতর একদা স্বপ্নভ্রান্ত চোখে আমাদের দুজনের একত্রে সাজিয়ে তোলা ছিমছাম ঘরে ফিরতে অনীহা বাড়ছে তার। চোখটা একসময় ছিল ভালবাসায় ভরপুর.......সেখানে এখন কেবল হিংস্র মাদকতা আর কামজ নেশার ছায়া।
আমি ভালবাসার জন্য তৃষ্ণার্ত ছিলাম। এই বিপরীত আচরণ তাই অসহ্য ঠেকলো আমার। ঘৃণায় কুকঁড়ে গিয়ে নিজেকে সরিয়ে নিলাম এমনকি তার ছায়ারও আশপাশ থেকে। প্রয়োজন মেটাতে একটা সময় বেশ্যাবাড়ির নিয়মিত খদ্দের হয়ে উঠলো সে, জানতে পেরেও কিছু করার ছিল না আমার আর। তারপরও আমাদের নিয়মিত দেখা হত প্রাত্যহিক পাশবিকতা আর অশ্রাব্য গালাগালের আসরে। তিনটি সন্তানের যন্ত্রণাকাতর নির্বাক দৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ঘন্টার পর ঘন্টা আমরা একে অপরের নরকযাত্রা কামনা করে অশ্লীল ও তীক্ষ্ণ বাক্যবাণে বিদ্ধ করে তুলতাম পরস্পরকে। সেখানে নতুন কোনো ভাগ্যহতের আগমন ঘটাবার পরিকল্পনা ছিল না আমার। কিন্তু পরিকল্পনা সবসময় স্থায়ী হয় না। অদৃষ্ট মাঝে মাঝে নিষ্ঠুর পরিহাস করে পাশবিক তৃষ্ণা মেটায়। তাই ছয়মাস পর একরাত্রে আমার শীতল হয়ে পড়া শূন্য বিছানায় জান্তব হুঙ্কার জানিয়ে আগমন ঘটল তার। হিংস্র শ্বাপদের মত আমার ওপর দখল নিতে ঝাঁপিয়ে পড়ল সে। তীব্র ঘৃণা আর বিবমিষায় নিজেকে ছাড়িয়ে নেবার আপ্রাণ চেষ্টা কোনো কাজে দিল না আমার। তার পাশবিক হাতের নির্মম ক্রুদ্ধ পেষণের নিচে চাপা পড়ে আমি সংজ্ঞাহীনতায় তলিয়ে গেলাম।
অবশেষে তার দুই মাস পর আজ গর্ভপাত ঘটিয়ে সব পাপক্লান্ত অন্কুরোদ্গমন্মুখ বীজের বিনাশ ঘটালাম।
এবং বলতে দ্বিধা নেই স্বাভাবিক মাতৃসুলভ ক্রন্দনে চোখ ভিজে উঠলো না আমার। কেননা ঘৃণার চাষ এতদিনে মুখ্য হয়ে উঠেছে আমাদের মাঝে........এছাড়া বাকি সবকিছুই গৌণ। তা হোক নিজ সন্তান বা অন্য যেকোনো মূল্যবান সম্পদ।
অথচ ভাবতে অবাক লাগে মায়ের আদরের সন্তান ছিলাম একটা সময় আমিও। শৈশবের আনন্দমুখর দৃশ্যগুলি ভীড় করে একে একে আমার চোখের সামনে। যখন মা আমায় কোলে বসিয়ে নিয়ে ধীরে ধীরে হাত নেড়ে অদ্ভুতুড়ে সব মুখভঙ্গি করে ঘুমন্ত রাজকন্যার রাক্ষসপুরী ভ্রমণের কাহিনী শোনাতেন, আমি ভয়ে সিঁটিয়ে যেতাম। আবার রাজকুমারের সাথে প্রাণান্তকর যুদ্ধে রাক্ষসের পরাজয়ের সাথে সাথেই প্রবল উচ্ছ্বাসে কলকলিয়ে হেসে উঠতাম। তার ফাঁকেই মা টুপ করে মুখে খাবার তুলে দিতেন - আমার খেয়াল থাকত না আমি এতক্ষণ যাবৎ না খাওয়ার বায়না ধরে এসেছি।
আমার সন্তানদের শৈশবটাও তো এমনই হবার কথা ছিল। অথচ তার বদলে তারা পেয়েছে হিংস্র কদর্যতা আর তিক্ততায় ভরা ক্লেদাক্ত শৈশব। আগাগোড়া বিষন্নতার ধূসর রাংতায় মোড়া তাদের শৈশবের চিত্রপট। সেখানে মায়ের ভালবাসা অনুপস্থিত ; নেই বাবার অখন্ড প্রশ্রয় অথবা আনন্দমিশ্রিত রংধনুকালের প্রতিচ্ছবি। স্নেহবিজড়িত ঘুমপাড়ানি গানের পরিবর্তে মায়ের অপরিসীম অবহেলা আর উদাসীনতায় তাদের বেড়ে ওঠা। অথচ আমার স্নেহময়ী মা চারপাশের যাবতীয় প্রতিকূলতা আর অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও আমায় বড় করে তুলেছিলেন পরম যত্ন ও ভালবাসায়। শৈশবেই বাবার মৃত্যুর ফলশ্রুতিতে আমার লালন পালনের খরচ যোগাতে মাকে কাজ নিতে হয়েছিল ইটের ভাটায়। নিজে বিষাক্ত কার্বনের কালোধোঁয়া ফুসফুসে শুষে নিয়ে নিয়ে আমার জন্য তিনি রচনা করেছিলেন রূপকথার মত সুন্দর শৈশব। সেই আমার ভেতরে এতখানি ক্লেদাক্ততা কখন কি করে ঢুকে গেল আমি জানতেই পারলাম না! দীর্ঘদিন ইটের ভাটায় কাজ করার ফলে মায়ের ফুসফুস আক্রান্ত হয়েছিল দুরারোগ্য ব্যাধিতে এবং তার পার্শপ্রতিক্রিয়ায় আরো অনেক যন্ত্রণাকর রোগের উত্থান ঘটেছিল অল্পবয়সেই। চিকিত্সা দিয়েও তাকে খুব বেশিদিন বাঁচিয়ে রাখা যায়নি। মৃত্যুর আগে মা তার শেষ চিঠিতে আমায় লিখে গিয়েছিলেন, "অলকা মামণি,আমি জানি তোমার মায়ের মতই একদিন তুমিও মা হবে। তোমার এই চিরদুঃখিনী মা তোমায় আশীর্বাদ করে যাচ্ছে,আর্থিক অনটনের দরুণ তোমার মা তোমায় শৈশবের যেই আনন্দগুলো থেকে বঞ্চিত রেখেছেন,তুমি যেন তোমার সন্তানদের তার সবটুকু দিতে পার। তোমার পরম মমতার আশ্রয়ে ওদের প্রার্থিত শৈশব ভরে উঠুক অনাবিল হাসি আনন্দে। জীবনের শেষ মুহূর্ত অবধি যেন ভালবাসার অফুরান পেয়ালা হাতে নিয়ে তুমি তাদের পাশে থাকতে পার চিরনির্ভরতায়- এই আশীর্বাদ করি।"
চিঠিটার কথা মনে পড়তেই আমি ঘুমের ঘোরেও ডুকরে কেঁদে উঠি। হঠাৎ প্রচন্ড জোরে দরজা ধাক্কানোর শব্দে আমার তন্দ্রা ভেঙ্গে যায়। ঘুম ঘুম চোখে দরজা খুলতেই হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে সে। নেশায় ঢুলুঢুলু চোখে ঘরের চারপাশটায় চোখ বুলিয়ে নেয় একবার। তারপর কর্কশ কন্ঠে বলে ওঠে, ভালো খদ্দের পেয়ে গেছি আমি বাড়িটার জন্যে। কাল পরশুর মধ্যেই তারা বিক্রির সবকিছু চূড়ান্ত করে নিতে চায়। বাড়ির দলিলটা কোথায়? আমি অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে বলি, এই বাড়ি তোমার একার সম্পত্তি না! তোমাকে কিছুতেই এটা বিক্রি করতে দেব না আমি। সে আমার কথায় বিন্দুমাত্র কর্ণপাত না করে আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে তীরবেগে ঢুকে যায় শোবার ঘরে। অতঃপর ঘরের সর্বত্র লন্ডভন্ড করে তন্ন তন্ন করে খুঁজতে থাকে বাড়ির দলিল। প্রায় আধাঘন্টা যাবত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েও কাঙ্খিত দলিলাদি খুঁজে না পেয়ে সে হিংস্র পশুর মত গোঙাতে গোঙাতে আমার চুলের মুঠি টেনে ধরে বলে,
- কোথায় লুকিয়ে রেখেছিস মাগী? জলদি বল বলছি।
- তোর মত শুয়োরের হাতে ওই দলিল দেব না আমি। কি করতে পারিস তুই কর।
- শেষবারের মত সাবধান করছি তোকে। ভালোয় ভালোয় দলিল আমার হাতে দিয়ে তোর জারজ সন্তানদের নিয়ে এখান থেকে বিদেয় হ। নইলে প্রাণে মারা পড়বি ঈশ্বরের শপথ।
- আমি বেঁচে থাকতে না।
- মরেই যা তবে।
কথাটা বলার সাথে সাথেই এক নৃশংস ক্রূর হাসি খেলে যায় তার ঠোঁটে। সেই হাসি দেখে আমার শরীরের রক্ত জল হয়ে আসে। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার তিন সন্তানকে পাশের ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে এনে আমার সামনে ফেলে সে। তারপর তড়িতগতিতে শোবার ঘরের দরজাটা বাহির থেকে আটকে দিয়ে আমাদের দৃশ্যতঃ কক্ষবন্দী করে ফেলে। অতঃপর দরজার ওপাশ থেকে চিত্কার করে বলতে থাকে, কেমন করে বাঁচিস এবার দেখি। গ্যাসের পাইপলাইনটা খুলে দিলেই সারা ঘরে গ্যাস ছড়াতে শুরু করবে। তারপর শুধু একটা দেয়াশলাই জ্বালাবার দেরী। তোর হাতে মিনিট দশেক সময় আছে। যদি পারিস তো নিজেকে আর নিজের জারজ বাচ্চাগুলিকে নরকযাত্রা থেকে উদ্ধার কর।
কথাটা শেষ হওয়ামাত্রই দরজার ওপাশ থেকে রান্নাঘরের দিকে ছুটে যাবার পদশব্দ শোনা যায় তার। কয়েক সেকেন্ডের ভেতরেই আমি রান্নাঘর থেকে ভুশ ভুশ করে গ্যাস বের হবার শোঁ শোঁ আওয়াজ শুনতে পাই। আমার সমস্ত চিন্তাশক্তি বিকল হয়ে আসে।
হঠাৎ আমার তের, নয় ও ছয় বছর বয়সী তিন ছেলেমেয়ে আতঙ্কিত মুখে ছুটে এসে তাদের কচি কচি হাতে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। ঠিক সেই মুহূর্তে আমি আচমকা উপলব্ধি করি, এতদিনের এত অনাদর আর অবহেলা সত্ত্বেও চরম বিপদের মুহূর্তে আজও তারা কেবল আমার কোলেই নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে- শুধুমাত্র একটি কারণে,কেননা আমি তাদের মা। মায়ের চিঠির শেষ লাইনগুলি মনে করে আমার দুই চোখ জলে ভরে ওঠে। মা বলেছিলেন, জীবনের শেষ মুহূর্ত অবধি যেন পরম ভালবাসায় আমি আমার সন্তানদের ঘিরে রাখি। আজ এতদিন পর আমি দুহাত বাড়িয়ে গভীর মমতায় আমার সন্তানদের জড়িয়ে ধরি। আমার দুচোখ বেয়ে ঝরঝর করে অশ্রুজল গড়িয়ে পড়ে।
মুহূর্তের মধ্যেই আমি সিদ্ধান্ত নেই যে করেই হোক,আমাকে আমার সন্তানদের এই জতুগৃহ থেকে উদ্ধার করতে হবে।
আমি মা। আমি কখনই আমার সন্তানদের এভাবে চোখের সামনে জ্বলে পুড়ে মরতে দিতে পারি না। আমি নিজে এই ব্যূহ ভেদ করতে পারি বা না পারি, আমার সন্তানদের আমি অবশ্যই এখান থেকে মুক্ত করব। ভাবতে ভাবতে আমি ঘরের চারপাশে চোখ বুলাতে থাকি। হঠাৎ ঘরের কোণে পরিত্যক্ত আসবাবের পেছনে একটা পুরনো আয়রন কাটার আমার চোখে পড়ে। দীপাবলীর সময় কিনেছিলাম যেটা ভাঙ্গা জানালা মেরামতের উদ্দেশ্যে। আমি তড়িত গতিতে ছুটে গিয়ে সেটা হাতে তুলে নেই। অতঃপর মেশিন চালু করে শোবার ঘরের জানালার কাছে ছুটে যাই মুহূর্তেই। আমি জানি আমার হাতে সময় খুব কম। অল্প কিছুক্ষণের ভেতরেই সারা ঘর গ্যাসে ভরে উঠবে। ঘরের ভেতর আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠার আগেই যেকোনো মূল্যে আমাকে জানালার লোহার গ্রিল কেটে আমার বাচ্চাদের নিরাপদে বেরোনোর পথ তৈরী করতে হবে।
আমি ভেজা চোখের কোণ দিয়ে দেখি, আমার অসহায় তিনটি শিশু সন্তান পরম বিশ্বাসে নির্বাক করুণ দৃষ্টি মেলে আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
আমি উদ্ভ্রান্তের মত প্রানপণে সর্বশক্তি নিয়োগ করে জানালার লোহার গরাদে মেশিন চালিয়ে যাই.........শত সহস্র দিন মাস ক্ষণ অবহেলার অনন্ত অপেক্ষায় কাটিয়ে আজ এতদিন পর এসে তারা তাদের স্নেহময়ী মাকে খুঁজে পেয়েছে। আমি তাদের চোখের কোণে জমে ওঠা বিশ্বাস আর আশার আলোকে আজ নিভিয়ে দিতে পারি না.......কিছুতেই না.......
উত্সর্গ: প্রিয় মা!
আমার মত কুসন্তানের যাবতীয় দুর্বিনীত ও বর্বর আচরণে অতিষ্ঠ হয়েও যিনি এখনো আমার প্রতি ঠিক ততখানিই স্নেহ ও মমতাময়ী যতখানি ছিলেন আমার জন্মের পরপর। সবসময় ঠিকভাবে অনুভব না করলেও আমি জানি যে আমি তাকে ভালবাসি। সম্ভবত সে তা জানে না। এবং আমি তাকে কখনো সেটা গলা উঁচিয়ে জানাবার প্রয়োজনও অনুভব করি না...........
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৩
নৈশচারী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ভাইজান!
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৯
রক্তিম কৃষ্ণচূড়া বলেছেন: ভালো মত আবারো পড়ে মন্তব্য করবো।
অট-ইনসোমনিয়াক টিমের দুই মেম্বার দেখি ভরদুপুরে নতুন পোস্ট দিসে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৫
নৈশচারী বলেছেন: হ্যা দুপুরে পোস্ট দিয়ে তো ধরা খাইলাম মনে হচ্ছে! অলরেডি শোকজ নোটিশ এসে গ্যাসে!
পরবর্তী মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম!
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৯
সায়েম মুন বলেছেন: রাতের খাতায় জমা থাকলো।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৮
নৈশচারী বলেছেন: দুপুরে পোস্ট দেয়ার পরেও মানুষজন দেখি রাত ছাড়া পড়তে চাইতেছে না! ঘটনা কি!
৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৪০
নাজনীন১ বলেছেন: হুম, এমনিই।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৭
নৈশচারী বলেছেন: হুমম.....মা জিনিসটা এমনই!
৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৪২
সায়েম মুন বলেছেন: অট. ইনসোমনিয়াক টিমের সদস্যগণ দিনের বেলা এক্টিভ হলো। বেশ চিন্তার বিষয়।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৫
নৈশচারী বলেছেন: কেউ বুঝতেছে না যে আমরা পোস্টগুলান সারারাত জাইগা লেক্সি! সুতরাং একটিভ তারা রাতেই ছিল, শুধু ছাপাইসে দিনের বেলায়!
৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৪২
রিমঝিম বর্ষা বলেছেন: আপনার লেখা আমার দারুন লাগে। লেখার বিষয়বস্তু। শেষ যে কথাগুলি বললেন আমার বেলায় তা চরম সত্যি। কখনোই মা-কে বলা হয়না কি ভীষন ভালোবাসি তাকে। অথচ রাগটাকে যথাযথ উপস্থাপন করতে ভুল হয়না আমার। এবার ঈদ-এ শ্বশুরালয়ে নিজের মা-কে কি প্রচন্ড মিস করেছি বলা হয়নি সেটাও।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪১
নৈশচারী বলেছেন: আপনার এবং আপনার মা দুজনের জন্যই অনেক অনেক শুভকামনা রইলো! পৃথিবীর সকল মায়ের আঁচল পরম প্রার্থিত সন্তানের ভালবাসায় স্নাত হোক!
৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৫
আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন বলেছেন:
হেই নৈশ,
দুপুরবেলা পোষ্ট দেবার জন্য ইনসমনিয়াক টীমে এডমিনিস্ট্রাটরেরা ক্যাচাল করলেও করতে পারে। সাপোর্ট দিয়েন তখন...
আপাততঃ
এটা পড়ছি...
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
নৈশচারী বলেছেন: মিয়া গ্যাঞ্জামটা তো আপ্নেই লাগাইসেন! কি দরকার আছিলো পাগলারে সাঁকো নাড়াইতে নিষেধ করার? অখন শো-কজ খাওয়াইলেন তো!
ওকে বেশি ঝামেলা হইলে আমি দেখবনে ব্যাপরটা! ঝাতির ইতিহাসে প্রথমবারের মত আপ্নে আর আমি একই সাইডে খাড়ায়া আছি মনে লয়......
৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:০৪
একাকী বালক বলেছেন: ভাল।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৬
নৈশচারী বলেছেন: ধন্যবাদ একাকী বালক!
৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:০৯
আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন বলেছেন:
কাকে সবচে বেশি ভালো বাসি? কে আমাকে একেবারে নিঃস্বার্থ ভালোবাসে? কাকে আমি জন্ম থেকেই কষ্ট দিচ্ছি, আর স্বপ্নভঙ্গের ফলকগুলো পুঁতে দিচ্ছি তার বয়সগুলোয়? কার সামনে আমি সত্যিকারেই পৃথিবীর সবচে অকৃতজ্ঞ মানুষ? যতোবারই কৃতকর্মের লজ্জায় কুঁকড়ে যাই আর মাথা নিচু করে ফিরে যাই এটা জেনে যে সে আমারে বিচার করবে না? কার শরীর থেকে এই রক্তমাংসের দেহটা তৈরী হলো আমার?
কার শাড়ির আঁচলের গন্ধ মুখস্ত আছে?
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪০
নৈশচারী বলেছেন: আর কার!
বেয়াদব একটা মেয়ে হয়ে যাচ্ছি দিন দিন! মায়ের মুখে মুখে তর্ক করার অভ্যেস হয়েছে সম্প্রতি যেটা আগে মোটেও ছিল না! সেটা মাঝে মাঝে বেশ পীড়া দ্যায়! ওই পীড়া থেকেই শেষের ওই শর্ট নোটটা! মা অবশ্য এইটা দেখবে না! দেখার প্রয়োজনও নাই তেমন......
১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৮
আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: সুন্দর!! +
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:১০
নৈশচারী বলেছেন: থ্যাঙ্কস মনসুর ভাই!
১১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:০৫
অমিত চক্রবর্তী বলেছেন: আমি যখন পড়ছিলাম তখন ভাবছিলাম এর এণ্ডিং যদি সুন্দর না হয় তাহলে মনটা খুব খারাপ হয়ে যাবে।
যাইহোক,
মন খারাপ হয়নি!বরং খুব রিফ্রেসড হয়েছে!
দীর্ঘবাক্যে কিছু দুর্বলতা আছে।তবে ঐ ব্যপারটা চিউয়িংগামের ফুলানোর মতো হয়েছে অনেকাংশেই।ফেটে গেলেও জিনিসটা সুন্দর লাগছে।আরো সতর্কতা আশা করি ভবিষ্যতে।
শুভেচ্ছা তোমাকে আর আন্টিকেও!
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২৪
নৈশচারী বলেছেন: গল্প লিখলেই এই সমস্যাটা হচ্ছে আমার! চরম ভাষাগত সীমাবদ্ধতায় ভুগছি! লাস্ট সবকয়টা গল্পেই এই কাহিনী হইছে! এইটা ক্যামনে যে ঠিক করি......
বেশি বেশি করে বই পড়া লাগবে মনে হয়!
১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:০৮
ত্রাতুল বলেছেন: মা...!
সবসময় ঠিকভাবে অনুভব না করলেও আমি জানি যে আমি তাকে ভালবাসি। সম্ভবত সে তা জানে না। এবং আমি তাকে কখনো সেটা গলা উঁচিয়ে জানাবার প্রয়োজনও অনুভব করি না...........
['ফালতু গল্প' ট্যাগটা না দিয়ে অন্যকিছু দিলে মনে হয় ভাল হতো।]
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩৮
নৈশচারী বলেছেন: ট্যাগিংটা আসলে নিজের লেখার উপর বিরক্ত হয়ে করছি! গল্পের বিষয়বস্তুর সাথে সেটার তেমন কোনো সম্পর্ক নাই! আগে আমার সব গল্পের ট্যাগ থাকত অপগল্প! আজকের গল্পটা শেষ করে মনে হৈল ফালতু হইছে! তাই ফালতু গল্প........
১৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
কবির চৌধুরী বলেছেন: গল্পকারকে অনুরোধ কাহিনীটা আর একটু দীর্ঘ করুন।
যেখানে দেখা যাবে মা দ্রুততার সাথে তার সন্তানদের সাথে নিয়ে পিছন জানালা কেটে বের হয়ে যাবে। তার আগে এক ঝটকায় ড্রয়ার থেকে নিজের কেনা রিভলবার (আত্মহত্যার জন্য হয়ত কিনে থাকতে পারে!) কোমরে গুজে নিবে। তারপর বাচ্চাদের বাড়ির পিছনে রেখে ঘুরে ফ্রন্ট ডোর দিয়ে ঢুকে, Bang! Bang!
শেষ দৃশ্যে মাকে দেখা যাবে ঘরে পরে থাকা আহত লোকটার হাত থেকে দিয়াশলাইটা নিয়ে ঘুরে হাটা দিতে দিতে কাঠির খোচায় আগুন জ্বালিয়ে ........
(ইংরেজি মুভি বেশি দেখার ফল )
তবে মনে শান্তি পাইছি।
ঘটনার প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের বলে মনে না হলেও সন্তানের প্রতি মায়ের চির চেনা টান-ভালবাসা সব জায়গায় সমান-অকৃত্রিম। পক্ষান্তরে মা-বাবারাও এই সন্তানদের দিকে তাকিয়েও চরম প্রতিকূলতার মাঝে বেচে থাকার মানে খুজে নেয়! (আপনার শেষ দৃশ্যে তাই হয়েছে)।
দুর্বলের প্রতি সবলের (পুরুষ/নারী উভয়ই!! Ok, Ok. পুরুষরা বেশি করে ) নির্লজ্জ আক্রমন সব দেশেই সমান!
অ.ট.: ভয়ে আছি :!> :#>
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৮
নৈশচারী বলেছেন: গল্পের শেষটা ইচ্ছা করেই কিছুটা অসমাপ্ত রেখেছি! ছোটগল্পের এটাই তো সুবিধে....পাঠক নিজের ইচ্ছেমত কল্পনাশক্তি ব্যবহার করে সমাপ্তি ভেবে নিতে পারে! ছোটগল্পের ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথের সেই বিখ্যাত উক্তিটা তো জানেন, শেষ হইয়াও হইলো না শেষ! এইখানে সেই কমন থিওরি ইউজ করেছি!
তবে এইখানে মা টাকে তো আমার মোটেও দুর্বল বলে মনে হচ্ছে না! যেই মহিলা এইরকম বিপদের মুখে এমন সাহসের পরিচয় দিতে পারছে তারে দুর্বল বলি ক্যামনে? শারীরিক শক্তিতে হয়ত সে পেরে ওঠে নাই, কিন্তু মানসিক বা অন্য কোনভাবেই সে দুর্বল না সম্ভবত.......
১৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
জসিম বলেছেন: ভাল লাগলো।
পুরোটা আরো ভাল করে পড়তে শোকেসে।
মা'র জন্য ভালবাসা। আপনিও ভালো থাকবেন।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৩১
নৈশচারী বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ জসিম! শুভ রাত্রি!
১৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৬
মেহবুবা বলেছেন: পড়িনি , পড়বো যেদিন মন মানবে ।
শিরোনাম দেখে প্লাস দিয়ে গেলাম ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৩৩
নৈশচারী বলেছেন: ঠিক আছে আপু! মনকে মানানোর অপেক্ষায় রইলাম.....
১৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মিরাশদার১০ বলেছেন: আশাময়ী সমাপ্তি ভালো লাগে।
ভালো লাগলো।
তবে, যে প্লটে এ গল্প লেখা সে আঞ্চলে তীব্র শহুরে বাড়িঘর ছাড়া গ্রিল ব্যবহার করা হয় না (খুব সম্ভবত)।
আর ঘুরে দাঁড়ানো মায়ের জন্য পরামর্শ, জানালার গ্রিল কাটতে পারলেও তা ভেঙে বের হওয়া দূরহ ও সময়সাপেক্ষ। এর চেয়ে জানালার স্ক্রু খুলতে পারলে পুরো জানালাটাই খুলে আসবে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৪
নৈশচারী বলেছেন: টেকনিকাল কমেন্টের কিছুটা টেকনিকাল জবাব দেয়ার চেষ্টা করি!
১.তুমি কোন অঞ্চলের কথা বলছ জানি না তবে আমি কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলকে মাথায় রেখে এই গল্পের প্লট নির্মাণ করিনি! আর এটা কিন্তু শহুরে পটভূমিরই গল্প! গল্পের শুরুতেই শহুরে অন্ধকারের ভাবনাগুলোকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে........
২.একটা দুই পাটের জানালায় কমপক্ষে ১৪-১৫টা স্ক্রু থাকে! স্বল্প সময়ের মধ্যে এতগুলো স্ক্রু খুলে ফেলাটা খুব একটা সহজসাধ্য ব্যাপার হত না মনে হয়! এর চেয়ে পিন পয়েন্টগুলোতে গ্রিল কেটে বেরিয়ে যাওয়াটা আমার কাছে বেশি সুবিধাজনক বলে মনে হয়েছে! যদিও দুইটার কোনটাই বাস্তবে ট্রাই করে দেখি নাই অবশ্য......
১৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১১
শিরীষ বলেছেন: কোন প্রসঙ্গ নিয়ে প্রথম কথা বলব তা নিয়ে চিন্তা করছি। ভাবছি "এবং মাতৃত্ব......." নিয়ে একটি নাটক দৃশ্যায়ন করলে কেমন হয়? ঠিক এখানে যেমন করে বলা আছে, এই ধর সংলাপ, চিত্রকল্প, চরিত্র গুলোর রূপায়ন, আশপাশের পরিবেশ, তিনটি কচি মুখ, একটা জল্লাদ আর একজন মা! আমি কিন্তু ঘটনা গুলো দেখতে পেলাম যেন চোখের সামনে। শাশ্বত মাতৃরূপ ফুটিয়ে তুলতে কলম কিছু আবেগ প্রবণ হয়েছে, তা হোক। এক অসম সাহসী মা-কে তো দেখতে পেলাম!
লেখাটা নিজের মা-কে দেখিও। নিজেকে স্বর্গীয় আশির্বাদ থেকে বঞ্চিত কোরো না।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫২
নৈশচারী বলেছেন: মা কে দেখাবো? মা বোধহয় না এরকম একটা সহিংস গল্প পড়ে খুব একটা ইম্প্রেসড হবেন! মায়ের কাছে আমার কোমল রূপটাই আকাঙ্ক্ষিত, কঠিনটা না!
শুভ রাত কবিমশাই!
১৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৭
ভাঙ্গন বলেছেন: গল্পের ট্যাগটা মনে 'কষ্টের' ট্যাগ লাগিয়ে দিল।
নৈশ'র নির্মেদ লেখা আমি যদিও অফলাইনে পড়ি,মনবৈকল্যে,ব্যস্ততায় আগের মত প্রিয় সবার পোস্টে 'গমাগম' মন্তব্য দিয়ে দৌড়াতে পারিনা। কিন্তু ঈদের অবসরে এগিয়ে এসে পড়তে গিয়ে গল্প শেষে ট্যাগ দেখে হতাশ লাগল।
তবে গল্পের প্যার্টানটা কিঞ্চিত পাশ্চাত্য ধাঁচের। সেটা বোধকরি ঝরেঝরে গদ্যে পাশ করে গেছে। তবে সব'চে সত্য হচ্ছে মাতৃত্ব'। এইটা সবকালে সবত্র একই রুপে।
নৈশ...ঈদের শুভেচ্ছা।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০০
নৈশচারী বলেছেন: বহুদিন পর আমার কোনো পোস্টে ভাঙ্গনডিকে পেলাম! খুব ভালো লাগলো!
ট্যাগটা আসলে লেখা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত হতাশার বহিঃপ্রকাশ! সেটা খুব একটা খেয়াল না করলেও চলবে........পাঠকের পাঠানুভূতিই শিরোধার্য.......
ঈদের বিলম্বিত শুভেচ্ছা আপনাকেও! ভালো থাকবেন ভাঙ্গনডি!
শুভ রাত!
১৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৭
অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: গল্প নিয়ে কিছু বলার আগে নিজের অপরাধবোধটুকু অনেক বেশী ছুয়ে গ্যালো !
মা আর মাতৃত্বের মহিমান্বিত রূপ খুব বেশী বোঝার ক্ষমতা আমার নেই । যেদিন আসবে সেদিন হতো আশাবাদী গল্পের শেষেরটুকুর মত অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসা হবে ।
গল্প চমৎকার । বিশেষ করে এন্ডিং এর যে শক্তিময়তা সেটা সুপার্ব !
তবে কথোপকথনগুলোর মাঝে আরেকটু স্বাভাবিকতা পেলে ভালো লাগতো । আর শুরুর দিকের যে পরিবেশ বর্ণনা সেটা মনে হয়েছে বাইরের কোন দেশের , কিংবা কথোপকথনগুলোও সেরকম লেগেছে । ( সেজন্যেই হয়তো একটু আরোপিত মনে হয়েছে !) । কিন্তু আবার খটকা লাগলো - প্রধান চরিত্রের মায়ের লেখা চিঠিতে " অলকা " সম্বোধন !
অবশ্য যদি মাতৃত্ববোধের দিকেই নজর দেই , তবে এ প্রপঞ্চগুলো গৌণ ।
লেখা ভালো লেগেছে ! প্লাস ।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১৭
নৈশচারী বলেছেন: সত্যি বলতে কি,আমি আসলে সচেতনভাবে লেখাটায় পাশ্চাত্যের বা বাইরের অন্য কোনো অঞ্চলের পরিবেশের প্রভাব আনার চেষ্টা করিনি! যখন লিখছিলাম তখন মনে হয়েছে এটা যেকোনো অঞ্চলকেই রিপ্রেজেন্ট করতে পারে! এমনকি আমাদের সমাজেও এই চিত্র একেবারে সাধারণ না হলেও খুব বেশি বিরলও নয় বোধহয়! আর উপমহাদেশের অন্যান্য দেশগুলোর জন্য তো নয়ই! এই জন্যই এই উপমহাদেশীয় একটা নাম ইউজ করেছি!
কথোপকথনগুলোতে সৃষ্ট পরিবেশের সাথে মানানসই ভাষা ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম! সাবলীল হয় নাই! লেখকের ব্যর্থতা আরকি......
২০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৮
পারভেজ বলেছেন: চমৎকার লেখনী। মনে হলো ইউরোপিয়ান কোন লেখকের সেই পটভূমিতে কয়েক দশক পূর্বের কোন লেখা। ভ্যান গ্যগের আঁকা ছবির মতো।
খুব ভালো হয়েছে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৩
নৈশচারী বলেছেন: হা হা হা! এই লেখাটা বাংলায় না লিখে ইংরেজি ভাষায় লিখলেই বেশি ভালো হত এখন মনে হচ্ছে! বিশেষত গালিগুলোকে আমি প্রকারান্তরে মূল ইংরেজি শব্দেরই বঙ্গানুবাদ করেছি! পাঠ প্রতিক্রিয়া খুব ভালো লাগলো পারভেজ ভাই!
শুভ রাত!
২১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২৯
জেরী বলেছেন: বাবা-মাকে ভালোবাসী.....সেটা কখনো মুখ ফুটে বলা হয়নি কিংবা আচরণে ও প্রকাশ করিনি....তবুও জানি তাদের ভালোবাসি
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৪
নৈশচারী বলেছেন: ভালবাসার কথাটা অন্য যেকোনো মানুষকে বলার চেয়ে বাবা মাকে বলাটা অনেক বেশি কঠিন.....আমার মনে হয় কেন জানি!
২২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো,সাথে উৎসর্গপত্রটাও। শেষের স্তবকটা দারুন ছুঁয়ে যায়।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৬
নৈশচারী বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ হাসান ভাই!
শুভ রাত্রি!
২৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০৮
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: প্রথমে বলি, দীর্ঘ গল্প। পুরোটা পড়েছি এবং এক বসায়।
কাহীনির বুনোট ঠিক আছে। গল্পে শব্দ চয়নে লেখকের কিছুটা দ্বিধাগ্রস্থ ভাবনার প্রমান লেখায় বর্তমান। বেশ সাহসীকতার সাথে লেখক কিছু ট্যাবু ব্যবহার করেছেন স্বীকার করছি, কিন্তু কিছু জায়গায় একই শব্দ কিছুটা বিরক্তি বলবোনা, সামান্য মনোটনির সৃষ্টি করেছে।
স্বামী মহিলার সন্তানদের শুধুমাত্র জারয এই গালিটাই দিয়েছে। বিষয়টি পুরো লেখার এই অংশটাকে কিন্চিৎ দূর্বল করেছে নিশ্চিৎভাবে। স্বামীর চরিত্রকে লেখক পূর্ণরূপে ফুটিয়ে তুলতে কামিয়াব হননি বলে আমি মনে করি। স্বামীর ভেতরকার পশুসত্ত্বাকে আরো জোড়ালো ভাষায় তুলে আনা যেত।
আগেই বলেছি ঘটনার বুনোট ঠিক আছে। পরপর লাইনের পর লাইন মিলিয়ে গল্পটা দাঁড়িয়েছে বেশ।
সবচেয়ে সুন্দর যে বিষয়টা উঠে এসেছে সেটা হচ্ছে "ধর্ষণ"। একজন বিবাহিত মহিলা স্বামী কতৃক নিজের অনিচ্ছায় দৈহিক মিলনে বাধ্য হয়েছেন। এটা অবশ্যই ধর্ষণ। আমাদের সমাজে, পরিবারে এভাবে অনেক মা-বোন-নারী প্রতিনিয়ত এই সমস্যাটির মাঝ দিয়ে যান, মুখ ফুটে বলতে পারেননা।
ফ্ল্যাশব্যাকে মহিলার মাকে নিয়ে আসার যথার্থতা গল্পের শেষে এসে ভাল ভাবেই প্রমানিত হল। তবে একটু দীর্ঘ কি হলো? আরো সংক্ষেপে কি সারা যেতনা? শুধু মা'এর লেখা চিঠিটাই কি পর্যাপ্ত ছিলনা?
গল্পের ফিনিশিং চমৎকার। আমরা জানিনা মা তার তিন সন্তানকে রক্ষা করতে পারলেন কিনা। অপটিমিস্টিক পাঠক তার মত করে ভাববেন আবার কেউ কেউ হয়ত ভাববেন বিপরীত এ্যাংগেলে। এখানে পাঠককে দেয়া স্বাধীনতাটুকু ভাল লাগলো।
গল্পের শুরুটা চমৎকার।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫৫
নৈশচারী বলেছেন: এই গল্প লেখার সময় যেই জিনিসগুলি নিয়ে আমার নিজের ভেতর খচখচানি হচ্ছিল তার প্রায় সবই আপনি ধরে ফেলেছেন! আপনাকে দশে দশ দিলাম!
সত্যি বলতে কি,গালাগাল ব্যবহারের বিষয়টাতে আমি খুব একটা পারদর্শী না! এই গল্পে নেহায়েত প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হয়েছে! রিপিটেশন যে হয়ে যাচ্ছে নিজেও বুঝতে পারছিলাম কিন্তু অন্য কিছু আর খুঁজে পাই নাই! হা হা হা!
স্বামী চরিত্রের পশুসত্ত্বাকে জোরালো মনে না হওয়া নিতান্তই লেখকের ব্যর্থতা!
আর মায়ের ওই জায়গার বর্ণনাটা দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে সেটা মনে হচ্ছিল, কিন্তু মায়ের সাথে তার সম্পর্কটার বর্ণনা না দিয়ে হুট করে শুধু চিঠিটা নিয়ে আসলে একটু অপ্রাসঙ্গিক বা আরোপিত ঠেকতো না ব্যাপারটা? ওটা ভেবেই দীর্ঘায়িত করা! যেহেতু মাতৃত্ব ব্যাপারটাই গল্পের মূল থিম!
সবশেষে, মনোযোগী পাঠ এবং সুন্দর বিশ্লেষনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ হেমাদি! ভালো থাকবেন!
২৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২২
রক্তিম কৃষ্ণচূড়া বলেছেন: আবারও আসলাম । কিন্তু এবারেও লেখা নিয়ে মন্তব্য করছি না। আরেকটু পড়তে হবে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:২২
নৈশচারী বলেছেন: ঠিক আছে! সমস্যা নাই!
২৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৩
সায়েম মুন বলেছেন: এক কথায় সুন্দর থিম্যাটিক গল্প। উৎসর্গ যথার্থ হয়েছে। গল্পটাকে বড় মনে হচ্ছিল। পড়তে গিয়ে দ্রুত শেষ হলো বোধ করি। শেষটা একটা উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে শেষ হলো। চাইলে আরও বাড়ানো যেতে পারে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩০
নৈশচারী বলেছেন: থ্যাঙ্কস বড় ভাইজান! শেষটা ইচ্ছে করেই অসমাপ্ত রেখে দিয়েছি! ছোটগল্পের সমাপ্তি পাঠকের নিজস্ব কল্পনাশক্তির উপর ছেড়ে দেয়াটাই যথার্থ মনে হয়েছে তাই.......
২৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৭
অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: আগের কমেন্টের শেষদুটো লাইন ছিলো এগুলো , আবার দেখা হোক
-
অবশ্য যদি মাতৃত্ববোধের দিকেই নজর দেই , তবে এ প্রপঞ্চগুলো গৌণ ।
লেখা ভালো লেগেছে ! প্লাস ।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪২
নৈশচারী বলেছেন: জ্বি জনাব ওই লাইন দুটো আমি দেখেছি! এবং এই কৈফিয়তমূলক রিমাইন্ডার নিতান্তই অনাবশ্যক ছিল!
যেটা ভালো বলেছেন সেটা নিয়ে তো বলার কিছু নেই! তাই ও বিষয়ে কিছু বলিনি! তবে আমি আসলে মনে করি না, মাতৃত্ববোধ দিয়ে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিঙের কারণে গল্পের খুঁতগুলি ঢাকা পড়ে যাওয়া উচিত! সুতরাং ওগুলি গৌণ বলাটা ঠিক না! লেখার ক্ষেত্রে থিমসহ বাকি দিকগুলিতেও সমানভাবে নজর দেয়া উচিত,তাই না?
২৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৫১
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: আপনার লেখাটি অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ও সময়োপযোগী। সমস্যার অত্যন্ত গভীর থেকে মনি-মুক্তা তুলে এনে যেভাবে মালা গাঁথিয়াছেন তাহাতে বাংলা সাহিত্যের
ইতিহাসে ইহা একটি মাইলফলক হিসাবে গনিত হবে বলে প্রতিয়মান হয়। চর্যাপদ উত্তর বাংলা সাহিত্যে, মায় রবীন্দ্রনাথ, বন্কিম, হুমায়ূনদ্বয় ও সমরেশ মজুমদার পর্যন্ত এতদ জীবন ও সমাজ সচেতন সংশ্লিষ্ট গদ্য রচনা করিতে পারেন নাই বলিয়া আমার বিশ্বাস। ঈষৎ সংক্ষিপ্ত বলে ইহা হয়তো নোবেল বিজয়ের মূশিক দৌড়ে পিছাইয়া পড়িবে। আপনাকে উপদেশ প্রদানের ধৃষ্টতা এহেন অধমের নাই, তদুপরি পরবর্তী লেখা সমূহ বিশালাকায় হইলে তাহা বিবেচনায় আসিতে পারে বলিয়া মনে হয়।
আপনার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করিতেছি।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২১
নৈশচারী বলেছেন: থ্যাঙ্কস! কমেন্টটা কাজে লাগবে!
২৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:০১
নস্টালজিক বলেছেন: মা , আমার মা!
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫০
নৈশচারী বলেছেন:
২৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০৬
ক্লান্ত দুচোখ বলেছেন: কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলাইদিসিলেন!
অফিসে বসে পড়ছিলাম, কখন যে দুফোটা পানি গাল বেয়ে পড়া শুরু করেছে টের পাইনি।(আশে পাশের কলিগরা দেক্লে লজ্জায় পরে যেতাম!)
বিঃদ্রঃ আপ্নের এই লেখাকে ফেভারিটে নিলেও কম হয়ে যাবে। আপনার পুরা ব্লগটাকেই "আমার লিঙ্কস" এ নিয়ে নিলাম।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:১৭
নৈশচারী বলেছেন: হা হা! এরকম পরিস্থিতিতে মাঝে মধ্যে পড়া ভালো! নিজেরে মানুষ বলে মনে হয়!
চোখের পানিই যখন গড়িয়ে পড়েছে তখন গল্প লেখা সার্থক বলা যায়! প্রিয়তে ও লিঙ্কস দুটোর জন্যই আপনাকে জোড়া ধন্যবাদ!
৩০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৬
স্তব্ধতা' বলেছেন: যেখানে মুক্তির চেষ্টার বিষয়টি মূখ্য, সেখানে জানালার স্ক্রু খুলে মুক্তির প্রচেষ্টা করা হচ্ছে না কি গ্রীল কেটে মুক্তির চেষ্টা চালানো হচ্ছে এ বিষয়টি বোধ হয় স্থূল (উপরের একটি মন্তব্যের আলোকে) । লোহার গরাদ ভাঙ্গার প্রচেষ্টাও হতে পারতো সেটা, তাতে মূল মেসেজ দূরে সরে যেতো বলে মনে হয়না।আহমদ ছফার বোবা মেয়ের স্বাধীনতা' বলার ওমকারের মতো অনেকটা।বিষয়টা লোহা, গ্রীল এর থেকে মুক্তির প্রচেষ্টার।
@লেখক: পুরুষের অত্যাচারী শাসনতন্ত্রের (নারীবাদীরা, আমি কিন্তু অত্যাচারী পুরুষ বলিনি) হাত থেকে মুক্তির জন্য জানালাটাকে রুপক অর্থে ধরলে খিড়কী দিয়ে পালিয়ে মুক্তি চাওয়ার একটা প্রয়াস বলে মনে হওয়ার সুযোগ আছে, এতে কি মুক্তি আসে? যেখানে দরজা ভেঙ্গে স্বামী নামক পুরুষ ধর্ষকটির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করার সময় অনেক আগেই হয়েছে। গল্পটিতে মন খারাপ করা +++++++++
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৩
নৈশচারী বলেছেন: এই গল্পটাতে আসলে মাতৃত্বের অনুভূতির ব্যাপারটায় প্রধানত ফোকাস করার কারণে দ্বিতীয় এঙ্গেলটায় (ধর্ষক স্বামীর বিরুদ্ধে মুখোমুখি দাড়িয়ে লড়াই) আমি খুব বেশি মনোযোগ দিতে পারিনি! গল্পটার মূল অনুভূতির জায়গাটা ছিল এরকম যে, একজন মা সবরকম অবস্থায় মা-ই! সন্তানের প্রতি তার ভালবাসা ও দায়িত্ববোধের জায়গাগুলিতে স্বামীর সাথে তার সম্পর্ক বা অন্যান্য সীমাবদ্ধতা প্রভাব ফেলতে পারে না বা ফেলা উচিত না! সম্ভবত সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু অসহনীয় দুর্ঘটনা (স্বামীর সাথে মন্দ সম্পর্কের দরুণ মা কর্তৃক সন্তান হত্যা) এই গল্প লেখার সময় অবচেতনে মাথায় কাজ করছিল! গল্পটা তারই প্রতিফলন!
আর লড়াইয়ের কথাই যদি বলেন তো,যাকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে প্রায় অস্ত্রহীন ভাবে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে সে যে অসহায়ভাবে মৃত্যুকে বরণ করে না নিয়ে নিজেকে ও সন্তানদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছে সেটাই বা কম কি? এই সামান্য সেল্ফ ডিফেন্সের মানসিকতাটুকুও তো মানুষের (বিশেষত মেয়েদের) মধ্যে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দিন দিন.......
৩১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০২
নস্টালজিক বলেছেন: জরুরী সভা !
আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন এবং নৈশচারী কে অবিলম্বে কারন দর্শাও নোটিশ এর জবাব দেবার জন্য বলা হচ্ছে ।
ধন্যবাদ,
প্রেসিডেন্ট
দ্য গ্রেট ইনসমনিয়াক ক্লাব
(আমাদের কোথাও কোনো শাখা নেই)
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:২৮
নৈশচারী বলেছেন: মাননীয় প্রেসিডেন্ট,
বিনীত নিবেদন এই যে,কারণ দর্শাও এর জবাব দেওয়া অপেক্ষা উল্লিখিত নিয়মভঙ্গকারীগণ শাস্তি খাইতে অধিক আগ্রহী! কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ উক্ত পাপিষ্ঠগণ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নির্ধারিত যেকোনো শাস্তি বিনা দ্বিধায় মানিয়া লইতে রাজি আছে!
অতএব সবিনয় প্রার্থনা এই যে,অবিলম্বে উহাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হউক!
ধন্যবাদান্তে,
সদস্য আহ্বায়ক
দ্য গ্রেট ইনসমনিয়াক ক্লাব
(আমাদের কোথাও কোনো শাখা নেই)
৩২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১৪
রাত্রি২০১০ বলেছেন: মায়েরা এমনি হন--এত স্নেহ কোথা থেকে পান জানি না।
খুব মন ছোঁয়া লেখা। শুভ রাত্রি।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩১
নৈশচারী বলেছেন: হা হা হা! রুল অফ নেচার!
প্রকৃতির অখন্ড নিয়ম!
তোমাকে শুভ সকাল!
৩৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:১১
করবি বলেছেন:
এবং মাতৃত্ব....... সবটুকু লেখা থেকে মূলকথাটাই বেছে নিলাম। মা, সে যে দেশের যে বর্ণেরই হোক, মা মা'ই।
শেষটা চমৎকার লিখেছ। এছাড়াও সমাজের অনেক কিছুই উঠে এসেছে লেখায়।
অনেক শুভেচ্ছা ছুটকি
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪৫
নৈশচারী বলেছেন: থ্যাঙ্কস করবিদি! নতুন লেখা আসে না কেন আপনার আর?
৩৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫৩
আলিম আল রাজি বলেছেন: ওয়াও! চমৎকার!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৪
নৈশচারী বলেছেন: থ্যাঙ্কস রাজি! শুভেচ্ছা তোমাকে!
৩৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০৫
কোর আই সেভেন বলেছেন: চমৎকার চমৎকার....
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:১৫
নৈশচারী বলেছেন: আরি বাপজান তুমি এদ্দিন পর কই থিকা আইলা? কী অসীম সৌভাগ্য আমার!
৩৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৩
কোর আই সেভেন বলেছেন: আমি আসিয়াছি তব.... ইয়ে আর তো মিলে না !!!! ওই আইলাম আর কি... যাই হোক অনেকদিন পরে আইলাম দেইখা একেবারে বাপ বানায়া দিবি সেইটা তো ঠিক না
!!!!! আর সৌভাগ্য কি দুর্ভাগ্য সেইটা সময়ে দেখা যাইব....
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩০
নৈশচারী বলেছেন: আইসোসই যহন তহন কষ্ট কইরা পিলাচটাও দিয়া যা! হেরপরে ভাইব্যা দেহুম দাদাজান কইয়া ডাকমু কিনা....... :-<
৩৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৩
কোর আই সেভেন বলেছেন: দিলাম না প্লাস, আব্বাই ডাকতে থাক...
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৯
নৈশচারী বলেছেন: যা ভাগ শালা! তর প্লাসের খ্যাতা পুড়ি!
৩৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৫
রাজসোহান বলেছেন: মারাত্মক গল্প দোস্ত ! মাঝের অংশটুকু এই পাঠককে ধরে রেখেছে অনেকক্ষণ ।
শুভেচ্ছা ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৮
নৈশচারী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ফ্রেণ্ডো! মাই প্লেজার!
৩৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:৩০
চতুষ্কোণ বলেছেন: এত রাতে এই লেখা মাথায় ঢুকবে না! কাল পড়ব।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৪৪
নৈশচারী বলেছেন: হাহা! এটা তেমন কঠিন কিছু না! ঠিক আছে পড়ার অপেক্ষায় রইলাম!
৪০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৫০
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: ভালো লাগলো... শেষের কথাগুলো আমারো....
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫২
নৈশচারী বলেছেন: কি দরকার ছিল এই কষ্টটা করার? যাই হোক, কষ্ট করে পড়ার জন্য থ্যাঙ্কস!
৪১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৫৯
রক্তিম কৃষ্ণচূড়া বলেছেন: অদ্ভুত , অসাধারণ । উৎসর্গের কথাগুলো খুব ভালো লাগলো। আমার কথাগুলোই বলে দিলে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫৬
নৈশচারী বলেছেন: হুমম....একটু আগেও আম্মার একগাদা বকা খেয়ে আসলাম! কেউ কাউরে বুঝে না......বুঝতে চায়ও না.......না আমি তাকে, না সে আমাকে......
কাকে কি বলি আর.......
পড়ার জন্য থ্যাঙ্কস আপু! শুভ সকাল!
৪২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:০৪
রক্তিম কৃষ্ণচূড়া বলেছেন: ট্যাগ/কী ওয়ার্ডটা বদলানো যায় না?
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:০৫
নৈশচারী বলেছেন: ঠিক আছে বদলে দিলাম!
৪৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৯
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: কি বলিস? পড়বোনা? ক্যান?
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৫
নৈশচারী বলেছেন:
৪৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৬
শায়মা বলেছেন: এই লেখা অনেক কষ্ট করে বুঝতে পারলাম।
মাকে উৎসর্গ করাতেই হয়তো আর আমি চরম অবাধ্য সন্তান বলেই হয়তোবা আরো।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১০
নৈশচারী বলেছেন: বল কি! এইটা তো অনেক সহজ সরল লেখা! এইটা বুঝতেও কষ্ট হইসে?
আমি অবাধ্য না অবশ্য! তবে একটু বেয়াদব প্রকৃতির আরকি....মুখে মুখে তর্ক করার অভ্যাস আসে......
৪৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১১
এ.কে. শারমিন বলেছেন: আপু কেমন আছেন??? অনেক দিন পর আইছি,লেখা না পইড়াই আগে কমেন্ট করছি। সরি।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৫
নৈশচারী বলেছেন: হা হা হা! সমস্যা নাই! আমি ভালো আছি! তুমি কেমন আছ?
পইড়া জানায়ো কিমুন লাগ্লো!
৪৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৮
এ.কে. শারমিন বলেছেন: পড়লাম। আমার মন খারাপ হইছে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪২
নৈশচারী বলেছেন: হায় হায়! মন খারাপ হৈল ক্যান? এইটার শেষাংশটা পইড়া তো মন কিঞ্চিত ভালো হওয়ার কথা! এইটার এন্ডিং আমার অন্যান্য গল্পগুলার চেয়ে অনেক পজিটিভ!
৪৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৬
এ.কে. শারমিন বলেছেন: হু তা ঠিক। কিন্তু মন খারাপ অইছে তাও ঠিক। কেন হইছে বুঝতাছি কিন্তু ব্লগে কওন ঠিক অইব না।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫১
নৈশচারী বলেছেন: ঠিক আছে ফেসবুক আইডি খুইলা ফালাও তাইলে জলদি! সেইখানে শুনুম নে!
৪৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৩
এ.কে. শারমিন বলেছেন: আইচ্ছা।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৩
নৈশচারী বলেছেন: হুমম....Do it fast!
৪৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৪
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: Flag উড়ে না ক্যান?
জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:২৭
নৈশচারী বলেছেন: লজ্জা লাগতেসিলো! ওকে এখন উড়াইলাম! Thanks for the wish!
৫০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৫
রাতমজুর বলেছেন: হেপ্পওলা বাড্ডে গুরুজী ৯০০
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৩০
নৈশচারী বলেছেন: থ্যাঙ্ক ইউ শিষ্যজি রামুদা!
৫১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১৩
চতুষ্কোণ বলেছেন: শুভ জন্মদিন অদিতি
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৩৩
নৈশচারী বলেছেন: থ্যাঙ্ক ইউ চতুষ্কোণ ভাই!
৫২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৬
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: শুভ জন্মদিন পাগলী। চলে আয়, আড্ডা দি। অনেকদিন মজা করিনা...
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৩৬
নৈশচারী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ফটাপ বাই!
৫৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩০
রাতমজুর বলেছেন: বুঝছি, গুরুজী আইজকা অফলাইন দর্শক, অনলাইনে আইবেন না
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪০
নৈশচারী বলেছেন: হা হা হা! ভয়ে অনলাইন হই নাই! তখন ঢুকলে আর বাইর হইতে পারতাম না!
৫৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩৯
বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: শুভ জন্মদিন আপু
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪১
নৈশচারী বলেছেন: থ্যাঙ্ক ইউ আপুমনি!
৫৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪১
সায়েম মুন বলেছেন: শুভ জন্মদিন ছুটু
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৩
নৈশচারী বলেছেন: থ্যাঙ্কস আ লট বড় ভাইজান!
৫৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪৭
মিটুলঅনুসন্ধানি বলেছেন: তৃতীয়বারের মতো হেপি বড্ডে.....
লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো।।।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৬
নৈশচারী বলেছেন: হা হা! থ্রী টাইমস থ্যাঙ্কস ফর দ্যা হ্যাট্রিক উইশ!
৫৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৫২
পদ্মাচরের লাঠিয়াল বলেছেন: শুভ জন্মদিন। বেঁচে থাকুন নিজস্বতায়।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৭
নৈশচারী বলেছেন: A real good wish indeed! Thanks a lot লাঠিয়াল ভাইজান!
৫৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:২১
ফেরদৌসী বলেছেন: শুভ জন্মদিন...
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৩
নৈশচারী বলেছেন: আরিঈঈইইই! এটা তো সাংঘাতিক রকম কিউট! থ্যাঙ্ক ইউ আপুমনি! খুশি হয়ে গেলাম!
৫৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:০৩
ক্লান্ত দুচোখ বলেছেন:
শুভ জন্মদিন।
সদস্য নং : (পেন্ডিং)
দ্য গ্রেট ইনসমনিয়াক ক্লাব
(আমাদের কোথাও কোনো শাখা নেই)
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৬
নৈশচারী বলেছেন: হুমম.......বুইড়া হয়ে যাইতেসি! এই দুঃখ কুথায় রাখি?
এনিওয়েস,থ্যাঙ্কস ফর দ্যা নাইস উইশ!
৬০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৫
মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: এমন লেখা এতদেরিতে পড়লাম বলে খারাপ লাগছে,
নৈশ আপনি জব্বর লিখেনরে, কিভাবে পারেন এমন করে লিখতে?
অস্থির লাগে, হিংসাও লাগে কমনা
সে যাই হোক, মা নিয়ে অনুভুতি গুলো কখনোই কোনো কালে খারাপ হতে পারেনা, প্রতিদিন আমি নতুন নতুন মা দেখি, এদের মা হবার অনুভুতি আমি দেখেই দিন শুরু করি, অবাক হই, কত অনুভুতিযে জমা হয়ে আছে তার হিসেব নেই, দুর্ভাগ্য সময় এবং জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাই এর জন্য দায়ী। অনুভুতি গুলো ঠিক ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারিনা।
আপনার লেখাটা পড়ে আমার সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা লিখবো ভাবছি।
ভালো থাকা হোক নৈশ
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩০
নৈশচারী বলেছেন: No problem! better let than never!
আপনার লেখাটা তাড়াতাড়ি লিখে ফেলুন! পড়ার অপেক্ষায় রইলাম!
৬১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৬
মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: ওহ সরি,
শুভ জন্মদিন
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩২
নৈশচারী বলেছেন: হা হা! থ্যাঙ্ক ইউ সম্রাট!
৬২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৫
রাজসোহান বলেছেন: আইছস ? আইজকা তোর জন্মদিন উপলক্ষ্যে ফাটাফাটি ৩টা একশন মুব্বি দেখসি , এখন খিদা লাগসে , খাওন দাওন দে পেঁচা
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪১
নৈশচারী বলেছেন: আইসক্রিম খাইতেসি! খাবি?
৬৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৪
রাজসোহান বলেছেন: আব্বে খিদা লাগলে আইসক্রিম খাওয়ায় নাকি
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৫
নৈশচারী বলেছেন: তো কি খাওয়ায়? আর তুই এত ঘন ঘন প্রোপিক পাল্টাইতেসস ক্যান?
৬৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০০
রাজসোহান বলেছেন: যখন যেইটা হুজুগ আসতেসে তখন সেটা রাখতাসি , এখন একশন মুব্বি দেখার হুজুগ পরসে আমার তাই প্রিয় মুভির ফডু দিয়া রাখসি
সারাদিনে উইশে ভইরা গেছস নি
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩২
নৈশচারী বলেছেন: হ রে মারাত্মক অবস্থা! সর্বাধিক বাড্ডে উইশ পাবার রেকর্ড হলো এবার!
৬৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৩
মিটুলঅনুসন্ধানি বলেছেন: হ্যাট্রিক থ্যাংসে কাজ নাই।। আগে কেক্কু চাই.....
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২৭
নৈশচারী বলেছেন: নিচে আছে! খাওয়া ইশটার্ট করেন!
৬৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৩
করবি বলেছেন:
জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ছুটকি।
সফলতার সাথে জীবন এগিয়ে যাক দোয়া করি।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২১
নৈশচারী বলেছেন: থ্যাঙ্ক ইউ আপুমনি! I love chocolate cake!
৬৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:১০
কালীদাস বলেছেন: হ্যাপি বার্থডে, নৈশচারী!!!
আজকে কমেন্ট করতে পারমিট দিয়েছে! তোমার কথা রাখলাম
ব্রিটিশরা ইনডিয়া ছাড়ার পর আর গেলমানরা সামহোয়ার ছেড়ে সোনারবাংলায় যাওয়ার পর এরকম চমৎকার উপমা দেয়া পোস্ট আর চোখে পড়েনি!
অসাধারণ (মানে, আমার এন্টেনায় ৭৫% ধরেছে)
++++++++++++++++++
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩৬
নৈশচারী বলেছেন: ওয়াওওওওও! মনটা একদম খুশি হয়ে গেল ভাইজান সুখবরটা শুনে! আমি বলসিলাম না আপনাকে বেশিদিন আটকায় রাখবে না!
আর এই গল্পটা তো একদম সরল সোজা! বাকি ২৫% গেল কই?
৬৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১১
কালীদাস বলেছেন: বাকি ২৫% আমার সিসটেম লস
কেমন কাটল দিনটা?! বেস্ট উইশেশ......
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:০০
নৈশচারী বলেছেন: হা হা! হুমম....বেশ ব্যস্ততা আর সবার অনেক অনেক শুভকামনা আর ভালবাসার মধ্যে বেশ ভালই কাটল দিনটা! এগেইন থ্যাঙ্কস ফর দ্যা উইশ!
৬৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৮
মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: মা যে কি জিনিস... এবছর পরপর মায়ের মত দুইজনকে হারিয়ে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৩
নৈশচারী বলেছেন: সব মূল্যবান জিনিসগুলো হারিয়ে যাবার পরই আমরা কেন সেটার মূল্য বুঝি?
৭০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩২
মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: তোমার অন্য লেখাগুলো অনেক গোছালো... কিন্তু এই লেখাটা একটু অগোছালো লাগলো, একটু যেন অযত্নের ছোঁয়া পেলাম। ব্যাপারটা কি?
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৯
নৈশচারী বলেছেন: কি জানি আপু! হতে পারে প্লট আগে থেকে না ভেবেই ইনস্ট্যান্ট বসে লিখে ফেলেছি সেইজন্য এমন লাগছে! অনেক বড়ও তো হয়ে গেছে লেখাটা! ভাষাটা কি বেশি অপরিণত লাগছে?
৭১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩১
পারভেজ আলম বলেছেন: তুমি তো দেখি ককুন ভাইঙা প্রজাপতি হইয়া বাইর হইয়া আসতাছো। আশা করবো কাহিনি নির্মানে এই বাস্তবের পথে পথচলা অব্যাহত থাকবে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০২
নৈশচারী বলেছেন: হা হা! খুশি হইলাম কমেন্টটা দেখে! থ্যাঙ্কস!
আচ্ছা কোকুন থেকে তো গুটিপোকা বের হয় জানতাম! প্রজাপতিও বের হয় নাকি?
৭২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৭
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: পারভেজ আলমের মন্তব্যটা পছন্দ হলো
১. ককুন ভাইঙা প্রজাপতি হইয়া বাইর হইয়া আসা
২. কাহিনি নির্মানে এই বাস্তবের পথে পথচলা
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩০
নৈশচারী বলেছেন: হা হা! থ্যাঙ্কস! মন্তব্যে লাইক দেয়ার সিস্টেম থাকলে ভালো হত!
৭৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৪
পারভেজ আলম বলেছেন: লেখক বলেছেন: হা হা! খুশি হইলাম কমেন্টটা দেখে! থ্যাঙ্কস!
আচ্ছা কোকুন থেকে তো গুটিপোকা বের হয় জানতাম! প্রজাপতিও বের হয় নাকি? B:-)
কি বলো? গুটি পোকারা নিজেদের চারদিকে ককুন বানায়। আর ককুন ভেঙে মথ বা প্রজাপতি বেরিয়ে আসে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৪
নৈশচারী বলেছেন: ওহ জানতাম না এইটা!
৭৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:১০
টানজিমা বলেছেন: জন্মদিন যেন ভাল না হয়.........(বদ্দোয়া)...
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:০৩
নৈশচারী বলেছেন: শকুনের দোয়ায় গরু মরে না....... :-<
৭৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:৩৯
টানজিমা বলেছেন: না মরলে শকুন খায় কি??........ :-< :-<
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:৪৮
নৈশচারী বলেছেন: ঘাসপাতা! :-<
৭৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৭
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: আপনার এই গল্পটি আমার অনেক ভালো লেগেছে, এর বিষয় বা ফিলোসফিকাল দিক। আমার হয় কী, বিষয়টি ভালো না লাগলে, তা যতই শিল্পত্তির্ণ হোক তেমন ভালো লাগে না। পড়েছি বিকালে, তখন কমেন্ট কারর সময় পাই নি। পড়তে পড়তে আমার চোখ ভিজে এসেছে, আক্ষরিক অর্থেই। গল্পের বর্ণনা শৈলি বা ভাষায দিক তো আপনার অনেক ভালো হয়, এ গল্পে আরো, সম্ভবত বিষয়টির জন্যে আরো ভালো হয়েছে, বিষয়গত কারণে বিভিন্ন আঙ্গিক থেকে দেখা, সেই সাথে বর্ণনা শৈলিও ভিন্ন ভিন্ন ভাবে এসেছে।
আমি একসময় ভাবতাম 'মা' বিশেষ, মানলাম। কিন্তু মা, মায়ের জাত বলে অনেকেই বাড়াবাড়ি করে, যা কাম্য নয়। এখন বুঝতে পারি 'মা' মা যে কত বড়। বাচ্চাদের আমরা দেখি, সব সময় মায়ের পিছু পিছু ঘুর ঘুর করে, মা যেদিকে যায় যা সে-ও সেদিকে যায় মায়ের সাথে সাথে। আবার, এই এখন যেমন আমি মায়ের সন্মন্ধে কিছু বলবো, তাতেও ভয় পাচ্ছি; না জানি মা সম্পর্কিত কথাগুলো হালকা হয়ে যায়, স্থুল হয়ে যায়।
গল্পটি খুবই অর্থবহ একটি জায়গাতে শেষ হয়েছে, যা গল্প হয়ে ওঠা ও একই সাথে বিষয়টিকে বেশ তাৎপর্যময় করে তুলেছে। গল্পটি শেষ করে, এবং পড়তে পড়তেও আমাদের মন আমাদের মায়ের কাছে চলে যায়, এটি নিঃসন্দেহে গল্পের এক স্বার্থকতা। পড়তে পড়তে নিজের অজান্তেই আমরা গল্পের কোথাও কোথাও থেমে যাই, এক মুহুর্তে জন্যে হলেও 'মা' বিষয়ক ভাবনায় আমরা ডুবে যাই, যেমন :
''...এতদিনের এত অনাদর আর অবহেলা সত্ত্বেও চরম বিপদের মুহূর্তে আজও তারা কেবল আমার কোলেই নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে- শুধুমাত্র একটি কারণে, কেননা আমি তাদের মা।''
এই 'মা' শব্দটি আমাদের কাছে ভারি হয়ে উঠে; জগতের যা কিছু, সব কিছুর উদ্র্ধে দেখতে পাই। মনে হয় মা এক, জগতের আর সব এক।
শেষে এসে পড়তে পড়তে আমার মনে হলো, আপনি কোথায় শেষ করেন? বলা যায়, ভেতরে ব্যাস্ত হয়ে ওঠার মত, যা আমার, আমরা যাদেরকে বড় লেখক বলে জানি, তাদের বেলায় হয়ে থাকে। ফিনিশিংটা সম্পূর্ণ সফল।
এই। আর যেন কী ভাবছিলাম মনে নেই।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২২
নৈশচারী বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা খুব ভালো লাগলো রাশেদীন ভাই! গল্পটার মূল অনুভূতির যেই জায়গাটা সেটা আপনি পুরোপুরি ফিল করতে পেরেছেন! মা হলেই সমস্ত দোষ ত্রুটির উর্ধ্বে হবেন এমনটা আমিও মনে করি না! এই গল্পের মাও দোষ ত্রুটির উর্ধ্বে নন! কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে মা-ই, সেইজন্যেই সমস্ত ত্রুটি সত্ত্বেও সে অনন্য!
এইভাবে কেউ অনুভব করে পড়লে লিখে তৃপ্তি পাওয়া যায়! অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে তার জন্য!
৭৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫২
পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: লেখা না পইড়াই কমেন্ট দিলাম, পড়ার পরে ডিটেল কমেন্ট করুম
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:০৭
নৈশচারী বলেছেন: আচ্ছা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম!
৭৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩২
মিরাজ is বলেছেন: বলা হয়নি কখনো ভালবাসি হয়ত বলা হবেও না তবুও ভালবাসি মাকে ভালবেসে যাব । পারব না তার মত নিঃস্বার্থ ভালবাসতে তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাব ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৩
নৈশচারী বলেছেন: চেষ্টা সফল হোক! ইচ্ছে আর চেষ্টাটাই আসল.......
অনেকদিন পর আসলেন মিরাজ ভাই! ভালো লাগলো!
শুভ সন্ধ্যা!
৭৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৭
সোমহেপি বলেছেন: আমি বাপ ভক্ত যদিও মাকেও পছন্দ করি।আপনার লেখার ব্যাপারে মন্তব্য করার কিছু নেই ।তাই কিছুই না বলে ভাললাগা রেখে গেলাম।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৫১
নৈশচারী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোমহেপি! ভালো থাকবেন!
৮০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৭
পাহাড়ের কান্না বলেছেন: অনেক ভালো লাগছে। ক্যাম্নে এত সুন্দর গল্প লেখেন??
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১১
নৈশচারী বলেছেন: হা হা! আউল ফাউল যা মাথায় আসে লিখি আরকি! অত ভাবনা চিন্তা কইরাও লেখি না! আপনাদের যে ভালো লাগে সেইজন্য আমি কৃতজ্ঞ!
৮১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১২
বেদ্দপ বলেছেন: এই প্রথম আপনার কোন লেখা পড়লাম ( আগে পড়ে থাকলে ভুলে যাবার জন্য স্যরি ) । পড়ার পর মনে হল অনেক শক্তিশালী একজন লেখিকাকে পেতে যাচ্ছে দেশ । শুভ কামনা রইলো আপনার প্রতি ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১৮
নৈশচারী বলেছেন: হা হা! ধন্যবাদ আপনাকে! নতুন পাঠক পেয়ে আমিও আনন্দিত হলাম!
নৈশ শুভেচ্ছা!
৮২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৬
টানজিমা বলেছেন: হায় পেঁচি................ :-< :-< :-< :-<
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৩
নৈশচারী বলেছেন: হেল্লু ঠান্জু আন্টি! :-<
৮৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৩৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন: অগ্নিলার লিংক থেকে আপনার ব্লগ পড়তে আসলাম।
একটা কমেন্ট করে গেলাম, ট্র্যাক রাখার জন্য।
পরে একসময় সময় করে পোস্ট দেখবো।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৬
নৈশচারী বলেছেন: হা হা! ঠিক আছে! আপনি প্রথম আমার ব্লগে এসেছেন তাই আপনাকে স্বাগতম জানালাম!
৮৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৯
সুবিদ্ বলেছেন: প্রথমদিকে মনে হচ্ছিল অনুবাদ পড়ছি যেন...
যা হোক, পরিশেষে ভালোই লাগলো...
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২১
নৈশচারী বলেছেন: হ্যাঁ এই লেখাটার স্টাইলটা আসলেই খানিকটা অনুবাদের মত হয়ে গেছে! কি যে করছি লেখা নিয়ে.........একেবারে যা খুশি তাই!
যাহোক,ধৈর্য ধরে সাথে থাকার জন্য থ্যাঙ্কস সুবিদ ভাই!
৮৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:০৪
নিমা বলেছেন: পড়তে পড়তে কেমন যেনো কষ্ট হচ্ছিল..........মনে হচ্ছে কানে বাজছে বার বার ,,আমি মা ,,, আমি মা ,,, আমি মা,,,, ওহহ কি বলবো আমি
ভাষা ফুরিয়ে গেছে আমার .......
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১৩
নৈশচারী বলেছেন: অনেক দিন পরে আসলে নিমা! ভালো লাগলো......
৮৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪১
মেঘ_বালিকা বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেন আপনি। আপনার লেখার একজন মুগ্ধ পাঠক হয়ে গেলাম।।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৩৩
নৈশচারী বলেছেন: হা হা! থ্যাঙ্কস! নিয়মিত দেখা হবে আশা করি!
৮৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৩
নস্টালজিক বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেন আপনি।
আপনার লেখার একজন মুগ্ধ পাঠক হয়ে গেলাম !
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২২
নৈশচারী বলেছেন: যারে ভেঙ্গাইছেন সেই নাহয় জবাবটা দিক! আমি আপাতত চুপ থাকি!
৮৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩১
নস্টালজিক বলেছেন: পেগলে বলে কি!
আমি কারে ভেঙ্গাইলাম !!
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:১১
নৈশচারী বলেছেন: কিরকি লাগাইতেছি! আমি আর কিচু কমু না!
৮৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৯
টানজিমা বলেছেন: কিরামাচু??...নটুন লেকা কভে দিভা??...মাইনচ দিটাম... :-< :-< :-< :-< :-< :-< :-< :-< :-<
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৯
নৈশচারী বলেছেন: নয়া লেকা দিমুনা! ক্যা মাইনাস দেয়ার লাইগা লোকের অভাব পড়সে নাকি? রিজ ভাই, মিশু ভাই,পাপী নয়া লেকা দিছে দেক্লাম যান মাইনাসাইয়া আসেন! :-< :-<
৯০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:০২
জিকসেস বলেছেন: এত কমেন্ট যে নিচে নামতে নামতে ভুইলাই গেসি কি কমেন্ট দিতে চাইসিলাম।
যাই হোক n তম প্লাসটা দিয়ে গেলাম।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৩
নৈশচারী বলেছেন: হেহেহে! ধইন্যা!
৯১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১১
রেজোওয়ানা বলেছেন: মা হবার পরে মা সংক্রান্ত লেখা আমি খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি!!!
যতটা আগ্ঠ নিয়ে পড়ছিলাম, ততটাই ত্বপ্ত হলাম আপু মনি!!
আপনি খুব সুন্দর করে লেখেন.........
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০২
নৈশচারী বলেছেন: আমাকে তুমি করে বললে খুশি হব আপুমনি!
এত বড় গল্পটা ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে! পড়ে তৃপ্তি পেয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো!
৯২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১২
রেজোওয়ানা বলেছেন: এহ, খালি টাইপিং মিসটেক হয়
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৮
নৈশচারী বলেছেন: কোনো ব্যাপারই না!
৯৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৯
দুরন্ত ইসলাম বলেছেন:
ভাল লেখা সবার পড়া উচিত।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
নৈশচারী বলেছেন:
৯৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:২৭
েভােরর স্বপ্ন বলেছেন: শেষের স্তবকটা দারুন ছুঁয়ে যায়।
৯৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:৫৬
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: অনেক দিন পর মনে হয়
এত ভালো একটা লেখা পড়লাম!!!
ভালোবাসা গলা উঁচিয়ে
জানানোর প্রয়োজন পড়ে না!
লালায়িত ভালোবাসা অজান্তেই প্রকাশ পেয়ে যায়!
পৃথিবীর সব মায়েদের
প্রতি অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা!
আর.....
লেখকের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা!!!
৯৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:১৩
এ্যরন বলেছেন: এতদিনের এত অনাদর আর অবহেলা সত্ত্বেও চরম বিপদের মুহূর্তে আজও তারা কেবল আমার কোলেই নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে- শুধুমাত্র একটি কারণে,কেননা আমি তাদের মা। মায়ের চিঠির শেষ লাইনগুলি মনে করে আমার দুই চোখ জলে ভরে ওঠে। মা বলেছিলেন, জীবনের শেষ মুহূর্ত অবধি যেন পরম ভালবাসায় আমি আমার সন্তানদের ঘিরে রাখি। আজ এতদিন পর আমি দুহাত বাড়িয়ে গভীর মমতায় আমার সন্তানদের জড়িয়ে ধরি। আমার দুচোখ বেয়ে ঝরঝর করে অশ্রুজল গড়িয়ে পড়ে। .................
মা গো এ জীবনে তোমার কৃতজ্ঞতা শোধ হবেনা .... হাজার জনমেও হবেনা
৯৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৩
ডানাহীন বলেছেন: ভালো লাগলো .. মায়েদের মাতৃত্ববোধ যেন পরাজিত না হয় ..
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৪
কাঠের খাঁচা বলেছেন: সুন্দর গল্প