নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমাজের ‘চোখ’ আসলে কোথায়?

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

বর্তমানের তথাকথিত পার্লার বা মেকওভার সেলুন নারীর বাহ্যিক সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুনে। দেখতে সাধারন মেয়েটিও বৌ এর সাজে নজরকাড়া রাজকন্যা। গুরুত্ব না দেয়া পরিচিত মেয়েটাকেই বিয়েতে বৌয়ের সাজে দেখে অনেক ‘এলিজেবল ব্যাচেলর’ এর মাকেই গোপনে দীর্ঘশ্বাস ফেলতে দেখেছি। সে যাই হোক, রাজকন্যার বেশে বিয়ে পরে রানী হয়ে শ্বশুরালয়ে পৌঁছেই বদলে যায় নারীর ভূমিকা। তখন তিনি স্ত্রী, পুত্রবধু, ভাবী, ভাই বৌ, চাচী, মামী। তাকে হতে হয় দেবী দূর্গার মত দশভুজা। এই দশভুজা কেবল কর্মে, কতৃত্বে নন।

মেয়েদের কনফিডেন্স বরাবর-ই বেশি। একজন নারীকে বিয়ে করে বাড়ী আনতে ১০০ বরযাত্রী যায়। মেয়েটা কিন্তু একাই আসে। তারপর থেকে শুরু হয় তাকে গড়ে নেয়ার প্রশিক্ষন। কেননা এতোদিন সে যেটা শিখেছে সেটা কুশিক্ষা। সুশিক্ষিত করার মহান ব্রত নিয়ে অপেক্ষা করছিল নারীর আপন শ্বশুরালয়। একজন নিবেদন প্রাণ পুরুষ পুরো পরিবার নিয়ে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা শুরু করে বদলের আয়োজন।শ্বাশু্রবাড়ির লোকজন বৌয়ের রান্না মুখে তুলতে পারেননা, তাই তাকে সেরা রাধুনী বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন শ্বাশুড়ী। বাড়ির বৌকে আরো পরিশ্রমী হতে হবে এমন আদেশ আসে ননাশ দের কাছ থেকে। ননদ বলে, আর উদার হতে শেখো ভাবি। জ্যা’রা বলেন মেনে নাও ভাই। মেনে নেয়া-ই শান্তি। জ্যা এর পলিটিকাল হাসি, “শুধু আমার সাথে হবে কেন! তুমিও কিছু ভোগ করো”।

এতো গেলো ভূমিকা। এবার বলি বিস্তারিত, রাজপূত্র দিনের পর দিন, বছরের পর বছর হলে, হোস্টেলে, মেসে বুয়ার হাতের রান্না খান কিন্তু বিয়ের পর রাধতে হবে সেই বৌ কেই। কেন? সোনার চুড়ি হাতে পরিয়ে ঘরে এনেছেন, তাই! দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা যাবে না। তাই শ্বাশুড়ির উষ্মা “তোমার মা তোমাকে কি কিছুই শেখায়নি?” যেন নারী বিয়ের আগে যে জীবন যাপন করত তা ছিল সংবিধান বিরোধী। যা শিখেছে তা অসম্পূর্ন। অনেক ক্ষেত্রে-ই সেটা হয়ে যায় কু-শিক্ষা। এই পুরো প্রক্রিয়ায় পুত্র অদৃশ্য। কারন সব আয়োজন কিংবা শিক্ষন তো সেই মহারাজের জন্য-ই। তিনি নারীর ভরনপোষনের দায়িত্ব নিয়েছেন। জি বাংলার সিরিয়ালে যেটা কে বেশ ঘটা করেই দেখানো হয়। বেশ আয়োজন করে দেখানো হয় “তোমার ভাত-কাপড়ের দায়িত্ব নিলাম”। তার জন্য এটুকু তো নিতান্তই সামান্য, তাই না?

স্টার প্লাস এর সান্ধ্যকালীন সিরিয়াল “সাত নিভানা সাথীয়া” দেখে অনেক শাশুড়ী সুশিক্ষিত হয়েছেন। মাঝে মাঝে কোকীলা বেহেন এর ভাব দেখে আমার সন্দেহ হয়, তিনি কি পরিবার চালান নাকি দেশ শাসন করেন! সিরিয়ালের মত সুন্দর সুনিপুনা বৌই সম্ভবত শাশুড়ীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। কেমন লক্ষ্মীমন্ত সর্বংসহা বৌ। সব বেদনা মুখ বুঝে সহ্য করে! সিরিয়াল দেখে মনে হবে, মেয়েদের জীবনের ধ্যান জ্ঞান হবে একটা “ভাল বিয়ে”। বিয়ে হলেই মেয়েটি রাতারাতি ক্ষমতার কেন্দ্রে। সেখানে নারীর যে উপস্থাপন তাতে, আদিম অকৃত্তিম পরিবার প্রথাকেই মনে হবে সবথেকে জটিল প্রতিষ্ঠান।

বিয়ে নামক প্রচলিত প্রথাতে নারী হক-ই মোহর নিয়ে নারীর মতামত নেয়া হয় না।দেনমোহর নিয়ে দরকষাকষি কিন্তু পুরুষ-ই করে। নারীর মূল্য নিরুপনে পুরুষের দরদ রীতিমত চোখে পড়ার মতো। রবীদ্রনাথের স্ত্রীর পত্র থেকে-ই বলি “তোমরা আমার বুদ্ধিকে মেনে নিতে পারোনি”। তাই শাররীক ভাবে তোমরা নারীর মূল্য নির্ধারনে ব্যস্ত। ঘর থেকে শুরু হয় নারীর বঞ্চনার ইতিহাস। মেয়ে তাই ভাইয়ের অর্ধেক সম্পত্তি পাবে। কেবলই কন্যা সন্তান! তাই বাবার সম্পত্তির দুই আনা পাবে নিকট আত্মীয়। যাকে আইনের ভাষায় বলা হয় ‘আবছা’ সম্পত্তি। কাজের মজুরী্তে নারী বরাবর-ই পুরুষের চেয়ে কম মজুরি পেয়েছেন। পুরুষ দিনমজুর ৩০০টাকা পেলে নারী পান ২০০-২২০ টাকা। চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘নারী’ মানেই ঝামেলা। কিছুদিন পরেই ম্যাটার্নিটি লিভ দিতে হয়। কর্মী সুন্দরী নারী হলে নাকি অফিসের কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়। সমান শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরও নারী নিয়োগের ক্ষেত্রে পান বঞ্চনা। কারণ বাসায় যাবার তাড়া থাকে, কোনো ভাবেই ‘ওভারটাইম’ করতে চান না। কাজের মজুরি থেকে ঘরের সম্পত্তি কোথাও ন্যায্য হিস্যা মেলেনি। কি ভাবছেন দায় নারীর। মোটেই না, মানিয়ে নেয়াকে যারা মেনে নেয়া ভাবেন তাদের চিন্তার দৈন্যতা, নারীকে মুকুট হীন সম্রাজ্ঞী করে তোলে।

ক্রুসেড লড়তে যাওয়ার সময় নাইটরা বউদের “চেস্টিটি” বেল্ট পরিয়ে তালাচাবি লাগিয়ে দিয়ে যেত। অন্য নাইটদের হাত থেকে বউ কে সুরক্ষিত রাখার জন্য। ভাবেন একবার। পুরুষ কে বীর হতে হয়, কেননা “বীর ভোগ্য বসুন্ধরা”। যিনি ক্ষমতাবান তাকে প্রতি মূহুর্তের সাথে লড়াই করতে হয়। টিকে থাকার লড়াই। পেশি শক্তির লড়াই থেকে ক্ষমতার লড়াই সব-ই এক ধরনের ফাইজলামি। সারাক্ষন নিজেদের নির্মিত এবং চর্চিত নিয়মের অনুশাসন। যেন “আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে, নইলে মোদের রাজার সনে মিলবো কি শর্তে”। যুগে যুগে পুরুষ যতটা ক্ষমতাধর হয়েছেন- নারীরা হয়েছেন ঠিক ততটাই ক্ষমাশীল ।ছেলের চালিকা শক্তি তাদের “স্ট্রেস” আর মেয়েদের “ ইনার স্ট্রেনথ”।পুরুষ চায় নারীর সময়, শরীর আর অখন্ড মনোযোগ। কিন্তু নারী কি চান, ভেবেছেন কখনো? পুরুষের স্ট্রেস হলো, তাকে প্রতিনিয়ত প্রথম হতে হবে, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে, ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকতে হবে। জিততে হবে, জয়-ই শেষ কথা। ইতিহাসরমন) কখনো বিজিতদের মনে রাখেনা। কিন্তু কেন? সব ক্ষেত্রে কেন পুরুষ কে প্রথম হতে বাধ্য করা হচ্ছে। ক্ষমতার লড়াই তে হারলে কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে?

সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে। তার মানে সংসারে পুরুষ ( রমন) বেগুন হলেও কোনো ক্ষতি নাই। কি কি রমনীয় গুনে সংসার সুখের হয়? - রান্না করা, পরিবেশন করা, গুছিয়ে কথা বলতে পারবে, গুছিয়ে থাকতে পারবে। নারীর ডিকশনারি তে ‘না’ শব্দ টা থাকবেনা। বিয়ের পর পর-ই বছরের মধ্যে বাচ্চা নিলে সমালোচনা। সংসার গুছিয়ে তারপরও তো বাচ্চা নিতে পারতো। কারো কাছে তো পরামর্শ নিতে পারতো। বিশাল লেখাপড়া জানা তো, নিজের বুঝই তো বড় বুঝ! আর যদি কোন কারনে দেরি করে বাচ্চা নিলে, কেন বাচ্চা হচ্ছে না। কেন? শুরু হয়, সংসারে কি মন আছে? আগে ক্যারিয়ার পরে বাচ্চা। বেশি বয়সে বাচ্চা নিলে হাজার টা কম্লিকেশন হয়, যখন সমস্যায় পড়বে তখন বুঝবে।

পুরুষতন্ত্র টাকে অনেক বেশি টিকিয়ে রেখেছেন নারী। বৌ মানে একজন সাবঅর্ডিনেটস। সিদ্ধান্ত নিবে পরিবার, পালন করবে বৌ। শাশুড়ি প্রথমে বৌকে রান্নার দায়িত্ব দিবেন কিন্তু সেখানেও ‘কিচেন পলিটিক্স’। রান্না নিয়ে কটুক্তি দিয়ে শুরু, অপরাধী করে চলমান রাখে। বৌ তো! তাকে তো প্রশংসা করা যাবে না। প্রশংসা তুলে রাখতে হবে অন্যদের জন্য। নারী প্রথম হলেই যত মুশকিল। ভালো বর খুঁজে পাওয়া যায় না। নারীর পেশাও তো সমাজ এবং পরিবারই ঠিক করে দিবেন। এমনটাই তো নিয়ম। এক ছাত্রী একবার বলছিলেন, “ ম্যাডাম সমাজের চোখে তো এমন টাই স্বাভাবিক”। আমি জানতে চাইলাম, সমাজের চোখটা আসলে কোথায়? আমি কখনো দেখিনি, আপনি কি সেটা খুঁজে পেয়েছেন।

উল্লেখিত কোনো কিছুই আসলে রূপকথা নয়। সবাই যেন কেমন করে সামাজিক প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে যায়। তারপর? সমাজকে বদলে দেয়ার স্বপ্ন কেবল স্বপ্নই থেকে যায়।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: নারী প্রথম হলেই যত মুশকিল। ভালো বর খুঁজে পাওয়া যায় না। এইটার জন্য নারীদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিটা মা ই পারেন তার ছেলে সন্তানকে সঠিক শিক্ষাটা দিতে। নারীরা এই জায়গায় বরাবরই ব্যার্থ। নিজের মেয়ে পি এইচ ডি করুক সমস্যা নাই, কিন্তু বউ ছেলের চেয়ে বেশি শিক্ষিত হইতে পারবে না। নিজের মেয়েকে একজন মা যেইভাবে দেখেন নিজের ছেলের বউকে কয়জন একই চোখে দেখেন। সমাজের চোখ ঠিক করার দায়িত্ব মেয়েদেরই নিতে হবে। ছেলের ত এত মাথাব্যাথা নাই। কার ঠ্যাকা পড়ছে এত গ্যাঞ্জাম এর মধ্যে যাওয়ার। নিজের বাড়ির আবর্জনা নিজেরেই পরিষ্কার করতে নামতে হয়।

আর আমার পরিচিত বেশ কিছু আছে আরে পোলা খারাপ পোলা খারাপ। আরে তুই তোর জামাইরে ঠিক কর আর ছেলেরে ঠিক কর। পোলা খারাপ সমাজ খারাপ কইয়া ফেইসবুকে চিল্লাইলে সস্তা কিছু লাইক আর ফেমিনিস্ট গালি খাওয়া ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবে না।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ছেলের বৌ কখনো মেয়ে হতে পারেনা, আবার শাশুড়ীও কখনো মা হতে পারেন না।
কোনো দরকার নাই…………………
ছেলের বৌ চেষ্টা করুক ভালো বৌমা হবার আর শাশুড়ী চেষ্টা করুন ভালো শাশুড়ী হবার।
নিজেদের সুখ সুবিধা পাগলেও বোঝে, পুরুষ প্রজাতি তো ভালো মানুষ। তাই তারা আরো বেশি করে সেটা বোঝেন :)

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২১

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: জীবনের সত্য কথা বলেছেন।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন........... :)

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:২৩

কিরমানী লিটন বলেছেন: নির্মম বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি ...
শুভকামনা রইলো ... +

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: লিটন ভাই, বাস্তবতা নির্মম নয়, আমরাই নির্মম…………………
মানুষ তখনই বদলাতে পারেন যদি তার চিন্তা চেতনা বদলে নিতে পারে। যা কিছু মজ্জাগত তা-ই যে ঠিক তেমটা তো নাও হতে পারে…………… ধন্যবাদ

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: সমাজ বদলের স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করার বাসনা নিয়ে হাতে হাত ধরে পাশাপাশি হাঁটার নামই সাম্যতা।
ভালো লাগা রইল অফুরন্ত।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ…………… :)

৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আপনার পোস্টটা একটূ একপেশে লাগলো। যদিও আপনি যা বলছেন এইটাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাস্তবতা। এর উল্টা দিকও আছে। সংসারে এসেই কিছু মেয়ে সবকিছু উলটে পাল্টে দিতে চায়। সেটাও অনেক পরিবারের অশান্তির কারন হয়ে দাঁড়ায়।

সমস্যাটার কারন আমাদের মানসিকতায়, ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের মানসিকতার সমস্যা আরো বেশি কিছু কিছু ক্ষেরে। মেয়েদের দিয়েই তো বোঝাতে চাইলেন। এই মেয়েদের সাথে এমন আচরনের সুত্রপাত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কারা আগে করে? সেটাও কিন্তু মা, খালা, বোনরাই, যারা আরেকজনের বউ ছিলো আছে কিংবা হবে। কি যেন একটা সিরিয়াল আছেনা, অনেক নাম শুনি, 'কিউকি সাস ভি কাভি বহু থি"। এটা থেকে তারা নিজেরাই বের হতে পারেনা, ছেলেদের ব্যাপার আসবে আরো পরে। পরিবর্তনটা আগে নিজের মধ্যে আসতে হয়। নিজে একসময় ভুক্তভোগী হয়ে পরে একই কাজ করলে সেটার কি মানে করা যায়? সেটাই কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সত্যি। বুঝিনা কেন বউ আর স্বামীর পক্ষের নারীরা একে অপরকে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ ভাবে। এটা সম্ভবত প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা সংস্কৃতি। এটা তাদেরই আগে ভাঙ্গতে চেষ্টা করএ হবে যারা এই পরিস্থিতিতে পরছে। নিজে এবং নিজের সন্তানকে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে। সন্তানদের উপর মায়ের অনেক অনেক প্রভাব থাকে। নাহলে আরো বছর ৫০ পরেও কেউ একজন এমন কিছু লিখবে, মানুষজন পড়ে আবার কমেন্ট করবে, ইস! খুব খারাপ হচ্ছে। এটা খুবই অন্যায়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবেনা।

শুভকামনা রইলো। :)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: শতদ্রু ,
পুরুষতন্ত্র টাকে অনেক বেশি টিকিয়ে রেখেছেন নারী........ এটা এই লেখার-ই একটা লাইন।

নারীর মানসিকতা যতদিন না বদলাবে ততদিন সমাজে প্রচলিত ভন্ড নিয়ম বদলাবে না।

বদলের জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।

রান্না করা খাবার খেয়ে আর স্ত্রি-করা কাপড় পড়ে পুরুষ ভুলে যায় সমাজের নিয়ম গুলো নির্মিত এবং আবর্তিত।বউ ১০টা পর্যন্ত ঘুমালে, শাশুড়ি কটুক্তি করলে স্বামী-শ্বশুর-ভাসুর, দেবর কেউ কিন্তু তাদের মাকে মনে করিয়ে দেয়না, লেখাপড়া- বাচ্চা পালন- কিংবা সংসারের তদারকির জন্য সেই বউ কে রাত চারটা পর্যন্ত জাগতে হয়েছে। সংসারের কাজকর্ম ঠিকঠাক রাখতে একটা মেয়েকেই চাকরি ছাড়তে হয়, আমার জানা মতে একজন ছেলেকেও আমি এই একই কারণে চাকরি ছাড়তে দেখিনি বা শুনিনি।

এরকম হাজার টা কারন আমি দিতে পারি। আমি তর্কে যাবো না। আমি যা লিখি সেটা মানুষ হিশেবে পড়ে দেখবেন। কিছু সময়ের জন্য সেক্সুয়াল আইডেনটিটি টা ভুলে যাবেন।

চোখের পানি এবং দীর্ঘশ্বাসের কোনো লৈঙ্গিক পরিচয় নেই। তা কেবলি যন্ত্রণাকে প্রতিনিধিত্ব করে।
আপনিও ভালো থাকবেন……………

৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপু সব দোষ একেবারে পুরুষের উপরে চাপিয়ে দিলে ক্যামনে হবে? আর আমিও একজন পুরুষ হিসাবে সেইটাও বা ক্যামনে মানি কন? অবশ্য লেখার মধ্যে বাস্তবতাটাকেই অনেকখানি প্রাধান্য দিছেন, তবে লেখাটা অনেকটাই একপেশে হয়ে গেছে! নারী পুরুষ উভয়েরই কম বেশি দোষ আছে। আর দোষে গুনেই মানুষ!

এমন Example দিয়ে লিখলে কিন্তু ছেলেরাও অনেক লিখতে পারে? আর সেজন্য লেখাটা আর একটু ব্যাতিক্রম হলে মনে হয় আরো ভাল হতো! তবে তার পরেও লেখাটা অনেক ভাল লাগছে!

শুভেচ্ছা!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সাহসী, ধন্যবাদ আপনাকে কেননা সমালোচিত লেখা সত্ত্বেও লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে।
জানেন, আমি সব সময়-ই ভালো কিছু লিখতে শুরু করি, এবং প্রায়শই লেখার শেষ লাইনে গিয়ে অনুধাবন করি দিনের পর দিন কেবলই সমালোচনা লিখে যাচ্ছি।
আমার লেখাতে পুরুষের নির্মিত নিয়ম চর্চার কথা যেমন এসেছে, ঠিক তেমনই নারীদের কথাও এসেছে। হ্যাঁ, সেই সব নারীরা হচ্ছেন- শাশুড়ী, ননাশ, ননদ, জ্যা। মাঝে মাঝে শাশুড়ীদের চেয়েও খালা শাশুড়ীর দাপট থাকে বেশি। আমি অকপটে স্বীকার করি, ‘পুরুষতন্ত্র’ টাকে টিকিয়ে রেখেছে নারীরা। এবং আমি এর পরিবর্তন চাই।
সাহসী আমি একপেশে করে লিখেছি এবং খুব করে চাইছি অন্যপাশ টা নিয়ে আপনি লিখেন/ আপনারা লিখেন। তর্ক হোক, ঠাট্টা হোক, বিদ্রুপ হোক…………………. শেষ এপিসডে এসে একটা পরিবর্তনের অঙ্গীকার হোক।
ভালো থাকবেন, অনেক-অনেক……।

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:০৪

ভিটামিন সি বলেছেন: লগ ইন করার ইচ্ছা ছিল না। শুধুমাত্র লেখিকার এই পোষ্টে কমেন্ট টি করার জন্য লগ ইন করলাম। যা লিখেছেন না আপু, একেবারে সংসারের চালচিত্র তথা বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। লেখার উপকরণ তুলে আনা হয়েছে। আমি এখনো

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ভিটামিন সি, কোনো কারণে পুরো কমেন্টা আসে নাই :(
ধন্যবা! আপনি শুধু এই লেখাতে কমেন্ট করার জন্য লগইন করেছেন।
শুভেচ্ছা রইলো……………… :)

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

অপূর্ব আহমেদ জুয়েল বলেছেন: আপু আপনার এই লেখাটা আমার খুব ভাল লাগছে ! আপনি কি ফেসবুকে লেখেন ? যদি একটু ফেসবুক আইডির লিংক টা দিতেন অনেক খুশি হতাম ! কিংবা কি নাম ? :)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ব্লগের আলোচনা ব্লগেই হোক…………………
ধন্যবাদ!

৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৩

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: বাস্তব ব্যাপারটাকে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।একদম খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ।আপনার লেখায় উল্লিখিত সবগুলো বিষয় বোধহয় মফস্বলে একটু বেশি ঘটে।সমাজের মানুষের চোখই সমাজের চোখ।সমাজের আর্থ-সামাজিক দিকটা যতই উন্নত হোক না কেন, মানুষের মানবিক দিকটা ততই নীচ হচ্ছে মনে হয়।অজপাড়াগাঁয়ে ছোটবেলা কাটিয়েছি বলে অনেককিছুই নিজের প্রত্যক্ষ দেখা।স্বপ্ন দেখি স্বাপ্নিক সমাজকে বাস্তবে দেখার

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ! রুদ্র জাহেদ :)

১০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগে সাস ভি কাভি বহু থি সিরিয়ালটা পড়ে দেখতে পারেন!

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঠিক আছে পড়ে দেখবো ....... :)
ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.