নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএসটিআই: সে তো আধুনিক ‘ঠাকুরঘর’!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৬



ছোট বেলায়, আমাদের ভাত ঘুম পাড়িয়ে আম্মু দূরদর্শন দেখতো। ঘুম না আসার আগ পর্যন্ত আমি বড় বড় চোখ করে দেখতাম থালায় প্রসাদ সাজিয়ে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলো সমানে ঠাকুর কে ডাকছেন। নায়কের মা-বোন-বৌদি তার নিরাপদ জীবনের জন্য কেঁদে কেটে ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করছেন “ঠাকুর তুমি ওকে দেখে রেখো” কিংবা “ঠাকুর তুমি ওর একটা ব্যবস্থা করে দাও”। নায়িকার মা তো মেয়ের সুবিবাহের প্রস্তাব নিয়ে ঠাকুর কে রীতিমতো এনগেজড করে রাখতেন। রূপে গুনে অনন্যা মেয়ের জন্য সুপাত্র না হলেই নয়। সেই একই ফরমুলা “ ঠাকুর কে প্রসাদ অর্পন”। বড় কাসার থালায় ধান, দুর্বা, নারকেল, বাতাসা আর ফুল নিয়ে এই প্রসাদ সাজানো হতো। দেবতার মন পেতে হলে তো তাকে সন্তুষ্ট করতে হয়, তাই না?

এই পুরনো আমলের সিনেমার বাস্তব চিত্র দেখলাম বিএসটিআই এর অফিসে। “যাহা মনঃষ্কামনা তাহা পূরন হইবে”- শুধু প্রসাদের থালাটা ভরে নিয়ে যেতে হবে টাকায়। প্লিজ চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকাবেন না। আমি আমার কথার সত্যতা নিয়ে হাজির। আপনি শুধু অখন্ড মনোযোগ দিয়ে পুরো লেখা টা পড়ে যান।

বিএসটিআই আনুমোদিত লেখা থাকলে মনে মনে কোথায় যেন একটা স্বস্তি অনুভব করি। তবে অনুমোদনটা কি ঠিক উপায়ে দেয়া হয় কিনা বা সরল পথে পাওয়া যায় কিনা, সেটাই বলে দিবে আজ থেকে আপনি স্বস্তি আদৌ পাবেন কিনা তা জেনে নিন।

বিএসটিআই (BSTI) Bangladesh Standard & Testing Institute. পন্যের মান ঠিক রাখায় যাদের মূল কাজ। পন্যের গুনাগুন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর এই প্রতিষ্ঠান উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কে সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকে। সেই সার্টিফিকেট নিয়েই এদেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গুলো বাজারে পন্য বিক্রি করে থাকে।

পন্যের মান ঠিক রাখতে -
১৯৫৩ সালে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় CTL- Central Testing Limited.
১৯৬৩ সালে ঢাকায় Pakistan Sandard Institution এর একটি শাখা খোলা হয়।
১৯৭৩ সালে নাম বদলে রাখা হয় BDSI- Bangladesh Standard Institution
১৯৮৫ সালে CTL এবং BDSI কে যুক্ত করে নাম রাখা হয় BSTI

বিএসটিআই যে শুধু সার্টিফিকেট দিয়ে বসে থাকেন তা কিন্তু নয়। সারা বছরই এই প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান গুলো কে তদারকি করে।

সার্টিফকেট কিভাবে পাবেন? শুরুতেই আপনাকে যেতে হবে One Stop Service Centre এ। নিতে হবে গাইড লাইন। সেখানে লেখা আছে সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে আপনাকে কি কি কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। প্রথমেই লাগবে আপনার হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত কপি, ট্রেড মার্ক রেজিষ্ট্রেশনের সত্যায়িত কপি, ভ্যাট কিংবা টিন সনদের সত্যায়িত কপি, প্রিমিসেস লাইসেন্সের সত্যায়িত কপি, পন্যের নমুনা এবং পন্যের মোড়ক। এগুলো নিয়মের কথা এবার শুনুন অনিয়মের রসগোল্লা কতটা মিষ্টি :P

অনিয়মের প্রথম ধাপে আপনাকে যেতে হবে বিএসটিআই অফিসের সামনের চা এর দোকানে। কিছু সময় বসে থেকে চোখ কান খোলা রাখলেই পাবেন ‘দালাল’ এর সন্ধান, যারা আপনাকে পৌঁছে দিবে অফিসের চতুর্থশ্রেণীর কর্মচারী পর্যন্ত। সেই কর্মচারী আপনাকে নিয়ে যাবে তৃ্তীয় কিংবা দ্বিতীয় শ্রেণীর (প্রয়োজন অনুসারে) কর্মচারীদের কাছে। যারা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য করবে এবং অতি অবশ্যই টাকার বিনিময়ে। তাহলে চলুন জেনে নিন কাগজপত্রের দরদামঃ

টমেটো সস বানানোর জন্য সার্টিফিকেট এর নমুনা খরচ

ট্রেডমার্ক---- ৫,৫০০/= ( সেটা কেবল শিল্প মন্ত্রণালয় দিতে পারে)
প্রিমিসেস সার্টিফিকেট---- ৭,৫০০/=
দরখাস্ত----- ১,০০০/=
কারখানা পরিদর্শন---- ১০,০০০/=
টেস্টিং ফি----- ৩,৬০০/=
প্রতিবেদন------ ১৫,০০০/=
মোট >>>> ৪২,৬০০/= (এক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত ব্যয় হবে ৭০,০০০/=)

সাথে আপনাকে করতে হবে যেমন-তেমন একটা বাসা ভাড়া। যেটা কে আপনি কারখানা হিসাবে পরিচয় দিবেন। এবং ব্যবসার আকার বুঝে জন কয়েক শ্রমিক কাম কর্মচারী।

তেল এর সার্টিফিকেট করতে খরচ ৬৩ থেকে ৭০ হাজার টাকা। ড্রিংকিং ওয়াটার এর সার্টিফিকেট পেতে আপনাকে ব্যয় করতে হবে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। বাজারে এই বস্তুর চাহিদা একটু বেশি-ই কিনা :P

পন্য উৎপাদনের ঝামেলা এড়িয়েও চাইলে ব্যবসা করা সম্ভব। যেমন আপনি আপনার সার্টিফায়েট পন্য সাব-কনট্রাকটেও বানিয়ে নিতে পারেন। নারায়নগঞ্জের সততা এগ্রো থেকে দেশের নামি-দামী ব্রান্ড গুলো প্রায় ৫০ প্রকারের পণ্য বানিয়ে যেমন বাজারজাত করছে ঠিক সেভাবে। উদাহরন দিয়েই বলি, ব্যান্ডের এক বোতল টমেটো ক্যাচাপ বানাতে সততা এগ্রো লিমিটেড কে দিতে হয় ৪০/=। অফিস, কর্মচারী আর পন্য উৎপাদনের ঝামেলা এড়াতে এতো রীতিমতো গোল্ডেন আফার!

প্রতিষ্ঠানের মালিক কিংবা ম্যানেজার এর বক্তব্য বিএসটিআই তে গেলেই ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ঘাটে ঘাটে ঢালতে হয় টাকা! তাই তারা বাধ্য হয়েই অনুমোদন না নিয়েই অনায়েশে পন্য তৈরি করছেন। কেননা সোজা পথে চেয়ে কিংবা আবেদন করে পাঁচ বছরেও সার্টিফিকেট পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই ঠাকুর কে ভোগ দিন, না হলে ভোগেন :P

তথ্যসূত্রঃ যমুনা টেলিভিশন

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬

মাকড়সাঁ বলেছেন: তথ্যবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।
শুভেচ্ছা। ভাল লাগা রইল।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!!

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫২

সাহসী সন্তান বলেছেন: জনসচেতনতা মূলক পোস্ট! সেই সাথে কিছু বিষয়ের মুখোশ উন্মোচন করেছেন....!! আপনার পোস্টটা পড়ে মনে হলো, টাকা থাকলে কালিপদ, আর না থাকলে কেলো......!!

শুধু একজায়গায় দেখছেন কেন আপু, সারা দেশেই তো এখন ঐ একই অবস্থা চলছে! সংসদ ভবন থেকে শুরু করে রান্নাঘর পর্যন্ত সব জায়গাতেই দূর্নীতি.....!!


চমৎকার তথ্যবহুল পোস্টে ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম! শুভ কামনা জানবেন!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বাদ যাবে না কিছু-ই :) :)
ধন্যবাদ!

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০০

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: প্রতিটা সেক্টরেই একই অবস্থা। কেবল মোবাইল কোম্পানীর সিম নিতে ঘুষ দিতে হয়না। টকটাইম কিংবা ডাটা প্ল্যানে কেউ পারসেন্টেজ খায় না। ব্যাঙ্ক বীমা এইসবেও লোন পাইতে ঘুষ লাগে। বিএসটিআই এর কাজ হইলো আসলে ভেজালকে ট্যাগ লাগাইয়া বৈধতা দেয়া।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: "টকটাইম কিংবা ডাটা প্ল্যানে কেউ পারসেন্টেজ খায় না" !! তাই কি??
ধন্যবাদ!! ভালো থাকবেন :)

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৩

প্রামানিক বলেছেন: গুরুত্বপুর্ণ পোষ্ট। ধন্যবাদ

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ :)

৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫

কমরেড ফারুক ১ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!! ভালো থাকবেন :)

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৭

তুষার কাব্য বলেছেন: প্রতিদিন বিএসটিআই এর সামনে দিয়ে যাই । একদিন ভেতরে গিয়ে দেখতে হবে :)

তথ্যসমৃদ্ধ লেখার জন্য ধন্যবাদ ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!!
ভালো থাকবেন :)

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১১

উল্টা দূরবীন বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ এবং সেই সাথে আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!!
আমন্ত্রণ গ্রহন করা হলো :) :)

৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৫

সুলতানা রহমান বলেছেন: এবার তো অনুমোদিত জিনিস ও খাইতে সমস্যা হবে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :( :(

৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


উনাদের ভোগ দিলেই মানহীন পণ্য অতি উচ্চমানের সার্টিফিকেট পায়।
আর ভোগ না দিলে উচ্চমানের পণ্যেরও ভোগান্তিত আছেই।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :) :)

১০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

কাক ??? বলেছেন: গুরুত্বপুর্ণ পোষ্ট। ধন্যবাদ

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :) :)

১১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: নন্দিনী আপুর সব পোষ্টই সচেতনতা মূলক থাকে। :)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আহা! কি আনন্দ আকাশে বাতাসে…………………!!

১২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: ভাল পোষ্ট। ধন্যবাদ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :) :)

১৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই

ভোগ দিলেও আমাদের কপালে ভেজাল না দিলেও ভেজাল ই জোটে।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :( :(
দেখার কেউ নেই তো কি হয়েছে? আমাদের কষ্ট আমরাই দেখবো !

১৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

নৈমিত্তিক দাদা বলেছেন: মঝা পাইলাম =p~

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: খাদ্যমান উন্নতি করা না গেলে জাতি একদিন তার মাশুল দিয়ে কুল পাবে না। সচেতনতা পোস্টে ভাল লাগা।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: "খাদ্যমান উন্নতি করা না গেলে জাতি একদিন তার মাশুল দিয়ে কুল পাবে না" সত্যি কথা বলেছেন :( :(
ধন্যবাদ !

১৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: আস্থা রাখার মত আর কোনো জায়গা আর থাকলো না। ধন্যবাদ আপু, অতি গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টটির জন্য।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ! ভালো থাকবেন :)

১৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আশ্চর্য!! আমাদের দেশের কিছুই কি ঠিক নাই? :|

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: জ়্বী না ব্রাদার “কিছুই ঠিক নাই”। নিয়তেই তো গড়বড়। ঘুষ দিয়ে চাকরী নেয়, আবার চাকরী নিয়েই উপরি ইনকামের রাস্তা খুঁজে…………

১৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: Judt typed a long comment and got the notification that the post is no longer there

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: long comment টা আবার টাইপ করে পাঠান, পোষ্টটা তো এডিট করে আবার করেছি :)

১৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: :-0

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.