নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণের বিচার চাওয়া এখন এক ক্লান্তির নাম!

০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮



গৌরীপুর থানার ব্যারাকে ২ এপ্রিল নিজের কক্ষে শরীরে আগুন দেন কনস্টেবল হালিমা বেগম (২৫)। ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। হালিমা মৃত্যুর আগে তাঁর ডায়েরি ও একটি চিরকুটে আত্মহত্যার কারণ লিখে যান। হালিমা লিখেছেন, ‘আমার মরে যাওয়ার একমাত্র কারণ এসআই মোহাম্মদ মিজানুল ইসলাম আমাকে ধর্ষণ করেন। আমার অভিযোগ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গ্রহণ করেন না’।

খুলনায় মা ডেকে ঘনিষ্ঠতা তৈরির পর বাসায় নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় এক কলেজ ছাত্রী গত ১৫মার্চ এনামুল হক টিটোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ওই দিনই এনামুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৩ এপ্রিল এনামুলকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সকাল সাড়ে ১০টায় মামলা এজলাসে ওঠার কথা, কিন্তু আইনজীবীর কোনো খোঁজ নেই। বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আসছি-আসছি বলে সময়ক্ষেপণ। অতঃপর নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পর আইনজীবী যখন আদালতে হাজির, ততক্ষণে জামিন পেয়ে গেছেন আসামি।

ওপরের দুটি ঘটনাই সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে উঠে আসে। ধর্ষণ যতটা না যৌনতার প্রকাশ, তার থেকেও অনেক বেশি পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতার চর্চা। ধর্ষণ করলে পুরুষ মনে করে পৌ্রুষের পরিচয় দেয়া গেলো। তাই অন্যায় অপরাধ জেনেও তারা ধর্ষণ করে। ধর্ষণ নারীর অধস্তনতা এবং নিপীড়নের ধারাবাহিকতা। একটা সমাজ কতটা সভ্য, তা নির্ভর করে ঐ সমাজের মানুষ কতটা নিরাপদ, তার ওপর। ধর্ষণ সংবাদের শিরোনাম-ই বলে দেয় যে, এটা এখন আর কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। অনেকাংশেই মনে হয় “নিরবিচ্ছিন্ন” ঘটনা। যেমন সাম্প্রতিক কালে গনমাধ্যমে উঠে আসা কিছু সংবাদের শিরোনাম ছিলো উত্তরায় কর্মজীবী কিশোরীকে গণধর্ষণ, রাজধানীতে আবার গণধর্ষণ, রাজধানীতে দুটি শিশু ধর্ষণের শিকার, গণধর্ষনের শিকার দুই পোশাক শ্রমিক, রাজধানীতে আবারও দুটি শিশু ধর্ষণ।

ধর্ষণকে যতটা না নারীর প্রতি কিংবা নারীর শরীরের প্রতি সহিংসতা বা কৃত অপরাধ হিসেবে দেখা হয় তার চেয়েও বেশি ধর্ষণকে সামাজিক নৈতিকতা, নারীর শারীরিক পবিত্রতা, সম্মান, সম্ভ্রম, সতীত্বের কাঠামোর মধ্যে দেখা হয়। এবং এই বাস্তবতায় ধর্ষণ মামলাগুলো প্রায়ই ভিকটিমের ‘চরিত্রহরণের’ ক্ষেত্র হয়ে ওঠে। ভিকটিমের বিগত যৌন ইতিহাস নিয়ে কথোপকথন ও জিজ্ঞাসাবাদের সংস্কৃতি চালু থাকার দরুন শতকরা ৯০ ভাগ মেয়েশিশু ও নারী ধর্ষণ মামলার অভিযোগ আনতে ভয় পান। কেউ কেউ মামলা মাঝপথে বন্ধ করে দেন। অনেক সময় আসামিপক্ষের উকিলের জেরায় ভিকটিম নারী মানসিক, সামাজিক ও শারীরিকভাবে ট্রমাটাইজড হয়ে পড়েন, এমনকি আত্মহননের পথ বেছে নেন। মোট ফলাফলে ধর্ষণের অভিযোগ বিচারের বাইরে রয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার মেয়েশিশু ও নারীদের ‘টু ফিঙ্গার্স টেস্ট’ নামে একটি বিতর্কিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা এখনো বহাল আছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে পরীক্ষাটির কেতাবি নাম ‘পার ভ্যাজাইনাল টেস্ট’ হলেও এটি ‘টু ফিঙ্গার্স টেস্ট’ নামে প্রচলিত। এতে ধর্ষণের শিকার মেয়েশিশু বা নারীর যোনিতে চিকিৎসক আঙুল দিয়ে পরীক্ষা করে কতগুলো সিদ্ধান্ত জানান। বিশেষ করে নারী বা শিশুটি ‘শারীরিক সম্পর্কে অভ্যস্ত’ কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত টানেন চিকিৎসক।

আইন কমিশনের দেয়া এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে নারী ও শিশু- সংক্রান্ত মামলাসহ প্রায় ৩০ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। যদিও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বলা আছে, ১৮০ দিনের মধ্যে মামলা প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা লক্ষ্য করার মতো। ডিফেন্স ল’ইয়ারের মানসিকতাও এক্ষেত্রে দায়ী। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, সামাজিক অবস্থানের কারণে ধর্ষণের শিকার নারীদের অর্ধেকের বেশি আইনের আশ্রয় না নিলেও নথিভূক্তদের ৮৫ ভাগ পাইনা নায্য বিচার। ফলে এসব নারীদের সামাজিক নিগ্রহের পাশাপাশি ঘটছে নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনা।

ধর্ষণ নারীকে নিয়ন্ত্রণের কৌশল এবং অবদমিত রাখবার প্রধান অস্ত্র। শুধু তাই নয় বরং বলা ভাল, ধর্ষণ নারীকে নিয়ন্ত্রণের নিরাপদ অব্যর্থ অস্ত্রও বটে। কেননা সমাজ নারীকে সত্বীত্বের নির্মিত মিথ্যে ধরনা দিয়ে বড় করে। একটি মেয়েকে ছোটবেলা থেকেই শিখিয়ে পড়িয়ে বড় করে যে “নারীর জীবনে সতীত্ব-ই হলো আসল”। প্রতিটি ধর্ষণের দায় নিতে হয় ধর্ষিতাকে। যে সমজে ধর্ষকের লজ্জা নেই, সেই সমাজে সব লজ্জ্বা ধর্ষিতাদের। ধর্ষণের পর ধর্ষকরা যদি তাকে দয়া করে হত্যা না করেন, তবে সে নিজেই যেন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় এমন মন্ত্রনা চলে সর্বত্র। ধর্ষণের দায় থেকে মুক্তির পথ হলো ‘আত্মহত্যা’। কেননা তাকে কেউ বিয়ে করবে না, বেছে নিতে হবে অপমানের জীবন। নারীকে বোঝানো হয়, অপমানের জীবনের চেয়ে মৃত্যুই বাঞ্জনীয়। কিন্তু এই অপমানটা যিনি যা যারা করলেন, সমাজ একবারও মুখ ফুটে তাদের বারন করেননা। পরিবার ধর্ষণের মামলার আসামীকে বাঁচাবার জন্যই বরং দক্ষ আইনজ্ঞ নিয়োগে মরিয়ে হয়ে ওঠেন। অথচ নারীকে সম্মান করার শিক্ষাটা পরিবার থেকেই পাওয়ার কথা ছিলো।

নারীরা সেক্স অবজেক্ট নয়। একজন মেয়েকে কী কেবল শারীরিক ভাবে ধর্ষণ করা হয়? তাকে তো রোজ মানসিক ভাবেও ধর্ষিত হতে হয়। ধর্ষণকে অবশ্য অনেকেই অপরাধ বলে ভাবেনা। বল প্রয়োগ করে কতৃ্ত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে ঘটে শারীরিক ধর্ষণ আর জোর করে মতামত চাপিয়ে দিয়ে সিদ্ধান্ত বেছে নিতে বাধ্য করার মধ্য দিয়ে মানসিক ধর্ষণ। যাকে শাসনের নামে বৈধতা দেয়া হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ ধারায় ধর্ষনের সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। উক্ত সংজ্ঞানুসারে যদি কোন পুরুষ বিবাহ বন্ধন ব্যতীত ষোল বছরের অধিক বয়সের কোন নারীর সাথে তার সম্মতি ছাড়া বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তার সম্মতি আদায় করে, অথবা ষোল বছরের কম বয়সের কোন নারীর সাথে তার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে গণ্য হবেন।

“চৌদ্দ বছরের কম বয়সী, ঋতুবতী হয়নি এমন মেয়েদের প্রতি যাদের যৌন আকর্ষণ, তারা মানসিক রোগী”-ভিয়েনার মনোরাওগ বিশেষজ্ঞ রিচার্ড ক্রাফট এবিং ১৮৮৬সালে এই মন্তব্য করেন। বিভিন্ন ধরনের ধর্ষক আছেন সমাজে। একশ্রেণী শুধু শিশুদের প্রতি যৌন আকর্ষণ বোধ করেন তাদের বলা হয় পিডোফাইল। অন্য শ্রেনীগুলোর মধ্যে রয়েছে হেবেফিলিয়া, মানে ১১ থেকে ১৪ বছর বয়েসিদের প্রতি যৌন আকর্ষণ বোধ করেন। এফেবোফিলিয়া মানে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের প্রতি যৌন আকর্ষণ বোধ করেন। শিশু-কিশোরী এবং প্রাপ্তবয়স্ক দুজনের প্রতিই যৌন আকর্ষণ বোধ করেন। কেউ যৌন আকর্ষণ থেকে শিশু-কিশোরীদের ধর্ষণ করেন, আর কেউ কেউ সুযোগ পেয়ে ধর্ষণ করেন।

কেউ তার যৌন ক্ষুধা মেটানোর জন্য ধর্ষণ করেন এটা ঠিক না। ধর্ষণ তো যৌন সঙ্গম নয়। এটা আধিপত্য বিস্তার করা। যৌন আকাংক্ষা এবং যৌন বিকৃতি এক কথা নয়। যৌন নিপীড়নের কারনে নারীরা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। বিষন্নতায়, হতাশায় এবং ভীতিতে ভোগেন। অনেক ক্ষেত্রে যৌন রোগে আক্রান্ত হন। বেশিরভাগ ধর্ষকের জীবনের ঘটনাবলি ঘাটলে দেখা যায়, তাদের প্রায় সবারই একটা অপরিচ্ছন্ন শৈশব। তারা বড় হয়েছে সহিংসতার এবং পারস্পারিক ঘৃণাবোধের মধ্যে।

বেসরকরি সংস্থা ব্রাকের এক জরিপে জানা যায়, “বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের হার বেড়েছে ৭৪ শতাংশ”। মানবাধিকার বান্তবায়ন সংস্থার দেয়া তথ্যানুযায়ী, “প্রতিবছর অন্তত ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে ধর্ষণের শিকার নারীদের সংখ্যা। যাদের মধ্যে ৬০ ভাগই শিশু।যার মধ্যে গণধর্ষন বেড়েছে ১৪ ভাগ। আর ঘটনাগুলোর ৮০ ভাগই নির্যাতিত হয় প্রতিবেশি ও আত্মীয়ের দ্বারা। মানবাধিকার সংস্থা গুলো বলছে, সামাজিক অবস্থানের কারণে ধর্ষণের শিকার নারীদের অর্ধেকের বেশি আইনের আশ্রয় না নিলেও নথিভূক্তদের ৮৫ভাগ পায়না নায্য বিচার। ফলে এইসব নারীদের সামাজিক নিগ্রহের পাশাপাশি ঘটছে নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনা”। সরকারের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের পরিচালকের মনে করেন, নির্যাতনের সংখ্যা আসলে বাড়েনি বরং মানুষের প্রকাশ বেড়েছে। মিডিয়াতে সংবাদ গুলো প্রচার হওয়ায় মানুষ জানতে পারছে। বাংলাদেশ পুলিশের দেয়া অপরাধের পরিসংখ্যান অনু্যায়ী, সংখ্যার দিক থেকে মাদকের পর দেশে সবথেকে বেশি অপরাধ ঘটে শিশু ও নারী নির্যাতনের।

ধর্ষন একটি সামাজিক ব্যাধি। পুরুষ জন্মগত ভাবে ধর্ষক নয়। ধর্ষক হয়ে কেউ জন্মায় না। সমাজ তাকে ধর্ষক হতে সাহায্য করে। ঐতিহ্য লালন করতে পুরুষ ধর্ষণ করতে শেখে। এই পুরুষতন্ত্র, পিতৃতন্ত্র, স্তরতন্ত্র, ভুল শিক্ষা, খারাপ সঙ্গ, নারী বিদ্বেষ, ক্ষমতার অপব্যবহার, নারীকে নিয়ন্ত্রণের ইচ্ছা পুরুষকে ধর্ষক বানায়। পুরুষ তার প্রভুত্ব প্রকাশের এবং জারী রাখার জন্য অবদমন করে নারীকে। শুধু যৌনস্পৃহা নয় বরং পুরুষের শক্তিমত্তার প্রকাশ ঘটানো। ধর্ষকামী পুরুষ তার আধিপত্যের বাসনার বহিঃপ্রকাশ ঘটান। এই আধিপত্যের বাসনা পুরুষ শেখে সমাজের কাছ থেকে, প্রশ্রয় পাই পরিবার ও পরিচিত মহলে। পুরুষ শক্তিশালী এবং শ্রেষ্ঠ। অনেক ক্ষেত্রেই নারীকে ধর্ষণ করা হয় হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। মনোবিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যে, ধর্ষনের সাথে যৌন আনন্দের কোন সম্পর্ক নেই, আছে ক্ষমতা প্রদর্শনের আকাংক্ষা।

শাস্তি দিয়ে ধর্ষণ বন্ধ করা যাবে না। ধর্ষক’রা তো অন্ধকার ঘরের কালো বিড়াল। তাদেরকে খুঁজে বের করা, চাট্টিখানি কথা নয়!! ধর্ষণের মূল কারন গুলোকে নির্মূল করতে পারলে ধর্ষণ বন্ধ হবে। ধর্ষকদের বিচারে ফাঁসি চাওয়া হয়। সেই চাওয়াটা অনেক সহজ। তবে ধর্ষণ বন্ধে স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকার থেকেই প্রতি স্কুল, কলেজ ও ইউনিয়নে কাউনসেলার ও পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :) :)

২| ০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর। অনেক দিন বাদে দেখা পাওয়া গেলো!

৩| ০৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

অর্ক বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। ধন্যবাদ।

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা !

৪| ০৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: নান্দনিক নন্দিনী ,




একদম ঠিক বলেছেন , ধর্ষণের বিচার চাওয়া এখন এক ক্লান্তির নাম ! শুধু তা-ই নয় , বিচার চাওয়াটাও আরেকবার আদালতের সামনেই ধর্ষণের সামিল ।

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অনেকাংশে সেটাই বাস্তবতা :(

৫| ০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১২

ঘাড়টেরা বলেছেন: বাংলাদেশে ধর্ষনের বিচার হয়না কেন কেউ বলতে পারবেন?

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: প্রশ্ন না করে বিষয়টা নিয়ে ভাবুন, নিজেই উত্তর বের করতে পারবেন।

৬| ০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:২৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধর্ষণের মূল কারন গুলোকে নির্মূল করতে পারলে ধর্ষণ বন্ধ হবে। ধর্ষকদের বিচারে ফাঁসি চাওয়া হয়। সেই চাওয়াটা অনেক সহজ। তবে ধর্ষণ বন্ধে স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। সহমত!!!

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!

৭| ০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৩২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: যেকোন অপরাধ বাড়ে তার সুষ্ঠু বিচার না হলে। ধর্ষণের ক্ষেত্রেও তাই। বেশীরভাগ রেপ ভিকটিমরা আইনের আশ্রয় নেয়না বিচারহীনতা, বিচারিক দীর্ঘসূত্রিতা, সামাজিকভাবে হেয় হবার ভয় এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাবার জন্য আর্থিক ও পারিবারিক সাহায্য না পাওয়ার কারণে।
মেয়েদের পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, প্রকৃত শিক্ষা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে অবস্থা আরো খারাপ হবে।

বিচারিক প্রক্রিয়ায় ভিকটিমকে নানা আপত্তিকর ও নির্যাতনমূলক জেরার কারণেও ভিকটিমরা বিচার চাইতোনা বা মাঝপথে মামলা থেকে সরে যেত। এই সমস্যার সমাধানের জন্য ভারতে এখন আইন পাস হয়েছে যে, কোন রেপ ভিকটিমের কথাকে আদালত সত্যি বলে গ্রহণ করবে। যত তাড়াতাড়ি এ আইনটি আমাদের দোশে পাস হয়, ততই ভাল।

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আইনের পাশাপাশি পারিবারিক নৈতিক শিক্ষার উপরও জোর দিতে হবে।

৮| ০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আপনি আলোর দিশারি, আলোর পথে এসেছেন এই জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৫২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আলোর পথে এসেছি, মানে বুঝলাম না!

৯| ০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:০৪

আলপনা তালুকদার বলেছেন: ওটাই প্রকৃত শিক্ষা।

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:০৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সহমত! ধন্যবাদ আপু

১০| ০৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

নতুন বলেছেন:
কেউ তার যৌন ক্ষুধা মেটানোর জন্য ধর্ষণ করেন এটা ঠিক না। ধর্ষণ তো যৌন সঙ্গম নয়। এটা আধিপত্য বিস্তার করা। যৌন আকাংক্ষা এবং যৌন বিকৃতি এক কথা নয়।

এই কথা গুলো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে হবে

০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:০৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কিভাবে? চোরে না শোনে ধর্মের কথা!

১১| ০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:২৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন। এই ম্যাসেজটি জাগ্রত বিকের এন্টিনাতে ধাক্কা খেতে হবে।

০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:০৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ সুজন ভাই!

১২| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

সোহানী বলেছেন: ধর্ষণের মূল কারন গুলোকে নির্মূল করতে পারলে ধর্ষণ বন্ধ হবে।... সহমত কিনউত আপু এটি দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ। আমরা যে অবস্থায় পৈাছেছি তার জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ কায়করী নয় বরং দরকার কঠিন আইন। অন্তত আইনের ভয়ে প্রথমে তারা দূরে থাকবে তারপর অন্য কারন নিমূল করতে হবে। যা করতে অনেক অনেক সময় নিবে। যেমন ধরেন, যদি বলি ভারতীয় চ্যানেল আর অবাধ মোবাইল নেট এর নীল ছবি এর অন্যতম কারন। তাহলে আপনি এ দু'টো বন্ধ শুধু করতে হবেই না সাথে নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। তাহলে এ শিক্ষা আসতে হবে প্রথমে পরিবার থেকে তাহলে পরিবারকে আগে ঠিক হতে হবে। এটি একটি চক্রাকার পদক্ষেপ। তাই দরকার এ মুহূর্তে ইন্সটেন্ট রেজাল্ট, সেজন্যই দরকার ফাসিঁর মতো কঠোর আইন। আপনার মনে আছে কিনা, একসময় এসিড নিক্ষেপ খুব বেড়ে গিয়েছিল, তারপর ফাসিঁর মতো কঠোর আইন হবার পর তা রাতারাতি কমে যায়। তারপর এসিড বিক্রির উপর কঠোর নিয়ন্ত্রন নেয়া হয়। আর সব কিছুর পিছনে ছিল সরকারী সদিচ্ছা। ইটি ছাড়া কোন ভাবেই কোন সমাধান সম্ভব নয়......

ভালোলাগলো প্রযোজনীয় বিষয়টি নিয়ে লিখা। ভালো থাকেন।

১৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমরা সংস্কৃতির চেয়ে ঘটনার বিরুদ্ধে বেশি দাঁড়াই।

১৩| ২১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ধর্ষণ সহ সকল অপরাধের যদি সুষ্ঠ বিচার হয় তবে সব অপরাধই কমে যাবে।

২৬ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনার সাথে আমিও একমত

১৪| ২১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সমাজের কথা কি বলবো, সমাজে একজন ধর্ষিতাকে হেয় বা ঘৃণার চোখে দেখে, সমাজ তো না ও-সমাজ!!

একটা জিনিস লক্ষ্য করুন, ভারতের কথাই বলা যায়: সেখানে পর্নস্টারের কত দাম অথচ একজন ধর্ষিতাকে মানুষই মনে করেন আর ঠিক এই ভাইরাসটি বাংলাদেশে ঢুকছে।


আপনার লেখাটা খুব সুন্দর হয়েছে, পিন পোষ্টএ দরকার ছিলো।

২৬ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো !!!!!!!!!!!!!!!!

১৫| ২৭ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: : সমাজের কথা কি বলবো, সমাজে একজন ধর্ষিতাকে হেয় বা ঘৃণার চোখে দেখে, সমাজ তো না ও-সমাজ!!

একটা জিনিস লক্ষ্য করুন, ভারতের কথাই বলা যায়: সেখানে পর্নস্টারের কত দাম অথচ একজন ধর্ষিতাকে মানুষই মনে করেনা আর ঠিক এই ভাইরাসটি বাংলাদেশে ঢুকছে।


আপনার লেখাটা খুব সুন্দর হয়েছে, পিন পোষ্টএ দরকার ছিলো।

(করেন না হয়ে হবে করেনা তাই আবার পুনঃমন্তব্য দেয়া)
ধন্যবাদ আপু।

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:২৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ভালো লাগলো, ভালো থাকবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.