নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাক্তন\'দের বর্তমানঃ পরকীয়া মুক্ত, গোঁজামিলের গল্প

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩১



ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এক ছেলেবন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিল। কথা প্রসঙ্গে ‘প্রাক্তন’ সিনেমার প্রতি তার উচ্ছ্বাস, আবেগ আর উপলব্ধি অনুমান করে নিজ দায়িত্বে চারবার সিনেমাটা দেখলাম। ইতিমধ্যে ‘প্রাক্তন’ সিনেমাটা অনেকেই দেখেছেন আর কারো কারো ভাল লেগেছে বলেও শুনেছি। কেন ভাল লেগেছে? কারণ সিনেমাতে সুদীপা’র অনুশোচনা আর উজানের ইতিবাচক পরিবর্তন। উজানের বর্তমান স্ত্রী তো উজানের প্রতি মোহমুগ্ধ, খানিকটা অন্ধভক্তও বলা চলে। তাই যৌথ পরিবারে বাস করা উজান মুখার্জীর পরিবারের কারো কোনো এ্যালবামে সুদীপার কোনো ছবি নেই। সুদীপার কথা পরিবারের কেউ মনে রাখেনি। যেন সুদীপা বলে কেউ কোনোদিন ঐ বাড়িতে যায়নি, ছিলোনা, কিংবা চলে আসেনি।

ছবিটা যেহেতু ২০১৬তে মুক্তি পেয়েছে তাই আমি ধরে নিতে বাধ্য গল্পটা ২০১৬র। কেননা কোনো সালের উল্লেখ আলাদা করে নেই। উজান মালিনীর মেয়ে উদিতা মুখার্জী ওরফে পুতুলের বয়স ৮+ হলে ধরে বেঁধে উজান-সুদীপার দাম্পত্য একদশক আগের। অথচ অবাক ব্যাপার সিনেমার মূলচরিত্র তিনজনের কারোরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই স্বর্নযুগে ফেসবুকে কোনো একাউন্ট নেই। অথবা থাকলেও সে কথা উহ্য রাখা হয়েছে। তাই উজান এবং সুদীপা কেউ কারো বর্তমান বৈবাহিক স্ট্যাটাস জানেননা।

সংসার অন্তঃপ্রাণ মালিনী পাঁচমিনিটের পরিচয়ে একই কামরার সহযাত্রীর কাছে মেয়েকে গচ্ছিত রেখে যখন ম্যাগাজিন আর ভাজাভুজি কিনতে স্টেশনে নেমে গেলে, বিষয়টা তার দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় সামনে নিয়ে আসে। একাউন্টিং-এ পড়লেও মালিনীর ম্যানেজমেণ্ট সেন্স অসাধারন। শ্বাশুড়ি-মাসিশ্বাশুড়ি-বড়জা আর ননদ চারজনকে চারটি ফোনকল করে তিনি শ্বশুরবাড়ি ম্যানেজ করলেন। শ্বাশুড়িকে নানতির নাম রাখতে দিয়ে, শ্বাশুড়ির রান্নাকে দারুন বলা, ছেলের খাবার বাড়তে দিয়ে তিনি পাঁচবছর ইনভেস্টমেন্টের যে গোপন গল্প শোনালেন তা শুনে রীতিমত আবেগে লাফিয়ে উঠতে পারেন। এত বুদ্ধি মালিনী মাথায় রাখেন, নাকি পেটে! মালিনী সন্তানসম্ভবা হলে চাকরি ছেড়ে দেয়, স্বামীর প্রথম স্ত্রী নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথা নেই, ‘বরকে তার মাসের তিরিশ দিন চাইনা, একদিন হলেই হয়’। আহা মধু মধু। সুদসহ ফেরতই তো। শ্বশুরবাড়ি থেকে কাউকে কল করে মালিনীর খবর নিতে দেখলাম না তো।

মালিনী যথেষ্ট বাঁচাল। সুদীপাকে সিরিয়াল দেখে কিনা প্রশ্ন করলেও একবারের জন্যও জানতে চায়নি, সুদীপা কী করে, কোথায় থাকে, বিবাহিত কিনা (সুদীপার শাখা সিঁদুর পরেননা), স্বামী কী করেন ইত্যাদি ইত্যাদি। যদিও ভ্রমর কইও গিয়া গানের সময় মালিনী ঠিক বুঝতে পারে তার দিদিভাই সুদীপার খুব কষ্ট হচ্ছে। কিভাবে? ট্রেনে ডাকদের দিকে লংকা ছিটিয়ে দেয়ার গল্প শুনেই মালিনী বুঝে ফেলেন উজান-সুদীপা পূর্বপরিচিত, শুধু তাই নয় তারা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। একটা গল্প যা ভীষণ ব্যক্তিগত নয় সে গল্পতো আমরা বন্ধু মহলেও করি, অন্যের কাছ থেকেও উজান গল্পটা জেনে থাকতে পারতেন। মানিলীর ‘তুমি আমাকে আমার সারা জীবনের সেরা গিফটটা দিয়েছো দিদিভাই; তুমি আমাকে উজানকে দিয়েছো’ খুবই হাস্যকর কথা। উজান তো পুরানো জামা, কিংবা ব্যবহৃত আসবাব নয় যে সেটা কাউকে দিয়ে দেয়া যাবে।

সেদিক দিয়ে সুদীপাকে বড় ছ্যাচড়া মেয়েমানুষ বলেই হয়। তার তো কেবল চাই আর চাই। তার স্বামীর সময় চাই, নিজের ফ্ল্যাট চাই, কোজি বারান্দা চাই, সন্তান চাই, ইচ্ছে হলে বাপের বাড়ি যাওয়া চাই, কাজের প্রেসারে ক্লান্ত হলে ঘুরতে যাওয়া চাই, চাকরিতে উন্নতি চাই। শুধু কি চাই? না-না। সেটা সে জোগাড় করার ধৃষ্টতাও দেখায়। স্বামীর জন্য জামাকাপড় কিনে, নিজের টিকিট নিজে কেটে আনে, এমনকি স্বামীকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য কাশ্মিরে যাওয়ার হানিমুন প্যাকেজও কিনে নিয়ে আসে। উজান নিকুচি করেছে সেই প্যাকেজের।

উজান মুখার্জী কলকাতা শহরের একজন ‘হেরিটেজ ট্যুর গাইউ’ নিজেকে বলেন ‘এ্যান এক্সপ্লোরার’। যার প্রাণবন্ত পদচারনায় মুখর কোলকাতা শহর। উজান নিজের কাজের ব্যাপারে সিরিয়াস। তাই দেখে প্রেমে পড়ে যান স্থপতি সুদীপা। বিয়ে অব্দি গড়ানো সে সম্পর্কে সুদিপা হয়ে ওঠেন ঘরের বৌ। অভিযোগময় সুদীপা খোলা চোখে সব দেখলেও দেখতে পায়না উজান। দেখবে কি করে উজান তো কাজ নিয়ে ব্যস্ত। ব্যস্ত বলেই তার সুদীপাকে অবহেলা করা জায়েজ, অন্য নারীর সঙ্গে তো তার কোনো এ্যাফেয়ার চলছেনা সেটাই তো বড় কথা। তবে সুদীপার অ-সুখটা কোথায়! সুদীপার অ-সুখ সে বম্বেতে নিজের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ফেলে, নিজের বাবা-মাকে ফেলে উজানের সাথে কোলকাতায় থাকতে এসেছে। নিজের জন্মদিনে তিনঘন্টা উজানের অপেক্ষায় সেলফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে চোখের জল ফেলেছে। উজানের ট্রাভেলিং কোম্পানীকে বড় করার পরামর্শ দিয়েছে। সন্তানধারনের ক্রিটিক্যাল সময়ে উজানকে সে পাশে চেয়েছে। সবথেকে বড় কথা উজানের সবকিছু জেনে বিয়ে করেও, মেনে নিতে শিখে নাই।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হৈমন্তি’ গল্পের হৈমন্তি মরে গেলে অপুর সেই সহজ স্বীকারক্তি ‘শুনিয়াছি মা আমার বিবাহের পাত্রির সন্ধান করিতেছেন’…। উজানের মাও উজানের জন্য পাত্রীর সন্ধান করে মালিনীকে ঘরের বৌ করে আনেন। মালিনী রোজ নিয়ম করে সিরিয়াল দেখে। ঘর সামলায়, বাচ্চা পালে। মালিনী নিজে থেকে চাকরি ছেড়ে দেয়। মালিনী জানে বরের ব্যবসায় নাক গলাতে নেই। মালিনী গর্ব করতে জানে ‘বৌ গেলে যাক, মেয়ে সে অন্য জিনিস’ কিংবা ‘আমার বর তো মেয়েকে চোখে হারায়’। মালিনী কখনো উজানের প্রাক্তন স্ত্রী সম্পর্কে কিচ্ছু জানতে চায়নি ‘কার মনে কী ঘা’; তাই বলে মালিনীর মনে কনোদিন কৌতুহল জাগেনি? জিজ্ঞেস না করেও বাস্তবে মানুষ নিজে খুঁজে বের করে জেনে নেয়। মানুষ মাত্রই কৌতুহল প্রিয়।

আর্কিটেক্ট (হেুরটেজ কনসার্ভেটর) সুদীপাও কী ঘুরেফিরে সেই চিরাচরিত নারী-ই নয়। নাহলে উজান মুখার্জির নাম শুনেও সে নিজে থেকে ইনিয়ে বিনিয়ে মালিনীর কাছে কী সংসারের গল্প শুনে নাই? লুকিয়ে উজান-মালিনির ব্যক্তিগত সময় দেখে নাই? কেন সে নিজের বিয়ের কথা উজান সরাসিরি স্পষ্ট করে নিজে থেকে বলে না। ট্রেনে কামরা পরিবর্তনের সুজোগ না থাকলেও নিজের সংসারের গল্প বলার সুযোগ সুদীপার ছিলো। কিন্তু ঐ যে তিনি মালিনী আর পুতুলের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখায় ব্যস্ত ছিলেন। ‘কম্প্রোমাইজ মানে হেরে যাওয়া নয়’। যে সুদীপা তার নিজের মা, শ্বাশুড়ি মায়ের মতো তড়পে তড়পে মরতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল; সেও আত্মসমর্পনের মতো করে কথা বলে নিজেকে ভুল প্রমাণ করে।

ট্রেনে উজানের কনফেশন শুনে মনে হয়েছে দুবেলা নিয়ম করে ইনসুলিন লাগানো আর মালিনীর সাথে সংসার করা সমান কথা। মালিনী তার থেকে এতো ছোটো(!)যে উজান তাকে বকতে পারে না, রাগ করতে পারে না। কারণ মালিনী আবদার করে আর সুদীপা সিদ্ধান্ত দিয়ে দিতো। এই সমাজ তো বয়সে, যোগ্যতায়, উচ্চতায়, বুদ্ধিতে সব কিছুতে ছোট বৌ-ই চায়। পুতুল যখন বলে ফেলে, ‘মা কাঁদে আর বলে এই অশান্তি আর ভাল লাগেনা’। তার মানে নিজেদের অমসৃ্ন বিষয় মালিনীদেরকে চেপে যেতে হয়।

ঈর্ষা থেকে সুদীপার অনুশোচনা হয়েছে যতটা তার থেকে বেশি করে মনে পড়েছে ওর নাপাওয়া গুলোকে। উজান শুরু থেকে ক্যারিয়ারিস্টিক বৌ চায়নি। তাই সুদীপার চাকরি করা নিয়ে অফিসে সময় দেয়া নিয়ে, বসকে জড়িয়ে নোংরা কথা বলতে উজানের বাঁধেনি। মদের গ্লাস হাতে নিয়ে সামান্য মাতাল হয়েও নোংরা কথা বললে সেটা নোংরা কথাই হয়। সেটাকে পরিচালকদ্বয় জায়েজ করার চেষ্টা করেনি। কেবল বার তিনেক সুদীপাকে দিয়ে ঝগড়ার মুডে ‘মেল ইগো’ বলিয়ে নমোঃ নমোঃ করে কর্তব্য সেরেছেন। উজান নিজের অক্ষমতা ঢেকেছে রাগ দিয়ে, চিল্লাচিল্লি করে। অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে ‘না ঐ টিকিটে তুমি কোথাও যাচ্ছোনা’। উজান মুখার্জি যিনি পুরুষতন্ত্রের প্রতিনিধি তিনি ঘরে থাকা বৌকে নিয়ে সুখি। নিশ্চিন্ত জীবন। সু্দীপার অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে কোয়াপারেশন না ভেবে প্রতিযোগিতার জায়গায় দাঁড় করিয়েছেন।

উজান প্রথম স্ত্রীর ক্ষেত্রে এগ্রেসিভ ছিলেন। আমাদের স্থানীয় একটা কথা প্রচলিত আছে, ‘প্রথম স্ত্রীকে ভোলা যায়না, আর দ্বিতীয় স্ত্রীকে ছাড়া যায় না’। উজান সুদীপার সাথে ফোন কলে যোগাযোগ করার চেষ্টা না করে, একবার কী স্বশরীরে যেতে পারতো না?

উজান দ্বিতীয় বিয়েতে ভুল শুধরে নিয়েছে বলে দাবি করলেও সে আসলে মোটেও শুধরাইনি। বাচ্চার ন্যাপি পরিষ্কার করলে, নিয়ম করে মাসের বাজার করাকে ভুল শুধরানো বলেনা। উজান মালিনীকেও তার পার্মিশন ছাড়া কোথাও যেতে দেয় না, মালিনীর টিকিট সেই উজানই কেটে দেয়। তবে উজান শুধরালো কোথায়? শুধরেছে বৌকে জন্মদিনের সারপ্রাইজ দিতে ট্রেনে উঠে। প্রথম দিকের সংসার হিসেবে অনভিজ্ঞ উজান দ্বিতীয় সংসারে অভিজ্ঞ হয়েছে, তবে শুধরায়নি। মালিনীর কাছে অভিজ্ঞ উজান নির্ভুল তবে তার নিজস্ব নয়। মালিনীরা বোঝেনা, বুঝতে চায় না।

মালিনীর জীবনদর্শন অনেকের কাছে সহজ সরল লেগেছে। আমারে কাছে লেগেছে সমাজের প্রচলিত চাওয়াগুলোকে মালিনীর মুখ দিয়ে বলিয়ে নেয়া। উজানের মুখোমুখি সুদীপার চশমার কাচ ঘোলা দেখিয়ে অনুশোচনায় দগ্ধ দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সহযাত্রী চার গায়কের গান, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মোক্ষম সময়ে মোক্ষম কবিতা; একেবারে সোনাই সোহাগা। বাস্তবজীবনে সবই থাকেরে পাগলা শুধু ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকটা থাকে না।

পরিচালকদ্বয় ভুলে গিয়েছিলেন গল্প আর স্মৃতি হাতড়ানো এক কথা নয়। একজনের খারাপ স্মৃ্তি আর অন্যজনের মানিয়ে নেয়ার গল্পের সাথে উজানের কনফেশন হয়ে গেলো 'প্রাক্তন' স্যালাইন।মনের মতো মানুষ পাওয়া আর সমমনা মানুষ পাওয়া এককথা নয়। উজান সুদীপার মনের মতো, তবে তার সমমনা নয়।

বি.দ্র. এগ্রেসিভ উজানের চেয়ে দুঃখি উজান দেখতে বেশি এট্রেকটিভ!

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ছবিটি আমিও দেখেছি তবে আপনার মত গভীর ভাবে ভাবিনি, ধন্যবাদ আপু সুন্দর রিভিউ এর জন্য।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ তারেক মাহমু৩২৮।
ভেবে দেখতে গেলে সিনেমার দেখার আনন্দ মাটি হয়ে যায় যে!

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৮

মিথী_মারজান বলেছেন: হা হা হা।
দারুন রিভিউ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মিথী_মারজান !!

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:

পুরটা পড়িনাই-- মালিনীকে নিয়ে কিছু একটা বলতে চাইছেন। বলতে চাইছেন সে স্বামীভক্ত। স্বামী-সংসার বলতে পাগল।
সহজ সরল। বোকাসোকা।

আসলে আমার মনে হয়েছে, মালিনীই সবথেকে চালাক। বুদ্ধিমতী। সে সব জানে, বুঝে। উজান ও তার প্রাক্তন স্ত্রীর কথাও সে জানে, বুঝতে পারে। সে কিছুই না জানার ভান করে শুধুমাত্র সংসারের জন্য এত অভিনয় করে যাচ্ছে, বোকা থাকার অভিনয়।
এই চরিত্রটিকে পরিচালক এত ছোট করে দেখান নি ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: জাহিদ অনিক, আমি মালিনী চরিত্রের উপস্থাপনা নিয়ে বলতে চেয়েছি। মালিনীর অতি অভিনয় নিয়ে নয়।
আপনি যদি বাংলাদেশের একটি টেলিফিল্ম ওয়েটিংরুম দেখে থাকেন সেখানেও প্রাক্তনদের দেখা হয়েছে, তবে আরো ম্যাচিউরড তারা। 'সংসারের যাতাকল' টাইপ ধারনা থেকে বের হওয়া দরকার।

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

নাহিদ০৯ বলেছেন: মালিনী চরিত্রকে পরিচালক কখনোই হালকা কোন চরিত্র হিসেবে দেখেননি। আমার তো মনে হয় এই চরিত্রই্ এই সিনেমার (বাস্তব জীবনের হউক আর নাই হউক) প্রান। ভোলাভালা বাচাল মেয়ের আড়ালে লুকিয়ে দর্শকদের সবচাইতে বেশি পরিমানে মেসেজ দিয়েছে এই মালিনী’ই।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: জ্বী মেসেজগুলো সেই পুরুতান্ত্রিক চাওয়া।
মালিনীর ক্ষেত্রে উজানকে নিষেধের দেয়াল তুলতে হয়নি।

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি তো খুব অভিজ্ঞ লোক।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর।
আপনার মন্তব্যটাকে আমি 'কমপ্লিমেন্ট' হিসেবে নিলাম!

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯

বেয়াদপ কাক বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে সিনেমাটা আবার দেখতে হবে বলে মনে হচ্ছে।ভালো লেগেছে আপনার বিশ্লেষন গুলি। সমমনা আর মনের মত মানুষের সম্পর্কিত কথাটা বেশ লেগেছে।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!!!!
দেখে জানিয়েন তো, এবার কেমন লাগলো...

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৮

সোহানী বলেছেন: আপনার রিভিউ পড়ে ছবিটা দেখতে বসলাম। তাই নিজের কিছু বিশ্লেষন তুলে ধরলাম।

পুরো ছবির যেটা ম্যাসেজ দিতে চেয়েছে পরিচালক তাহলো, নারী মাত্রই কম্প্রোমাইজ, নতুবা সুখী হওয়া যায় না ও সংসার টিকে না। নারী মাত্রই নিজের কেরিয়ার কম্প্রোমাইজ, নতুবা সুখী হওয়া যায় না ও সংসার টিকে না। নারী মাত্রই শশুড় বাড়ির সাথে কম্প্রোমাইজ, নতুবা সুখী হওয়া যায় না ও সংসার টিকে না। মেয়ে মাত্রই কম্প্রোমাইজ, কম্প্রোমাইজ এন্ড কম্প্রোমাইজ।

সবচেয়ে বিরক্তিকর মনে হয়েছে, পুরো ছবিতে রিতুপূর্না তার সংসার ভাঙ্গার জন্য দু:খে দু:খে জর্জরিত দেখা গেছে তার বিপরীতে প্রসেনজিতকে খুব একটা দু:খিত মনেই হয়নি বরং সে দ্বিতীয় এ হাড়ি পাতিল মাজা বউ পেয়ে দারুন খুশি।...হাহাহাহাহা

আপু, এটাই আসলে বাস্তবতা। ছেলেরা ফেইসবুকে অনেক প্রগতিশীল, মেয়ে দেখার সময় ও প্রগতিশীল কিন্তু যেই বউ হয়ে গেল অমনি তাদের খোলস বেড়িয়ে আসে.........

পুরো ছবিতে রিতুপূর্নার অভিনয় মারাত্বক হতাশ করেছে। এতোটা নিম্নমানের অভিনয়!!!

তবে পুরো ছবির গান............. অসাধারন। বার বার শুনতে ইচ্ছে করে..................

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: 'আমার জন্মদিনের দিন তুমি ট্যুর রেখেছো এটাই কী বড় কথা নয়... কোনোদিন তিনঘন্টা আমার জন্য অপেক্ষা কোরো, মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে চোখের জল ফেলো... ' এই ডায়লগ থ্রোয়িং বেশ ভালো হয়েছে কিন্তু!

তুমি নারী জাতিকে অনেক কিছু শেখালে মালিনী !!!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.