নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

I want to sleep with you…

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৯



ভাবুন তো ১৬বছরের একটি মেয়ে যদি মধ্যরাতে একজন ৩২বছর বয়সের লেখক যিনি ঐ বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসেবে রয়েছেন তার ঘরে এসে টকটক করে বলে I want to sleep with you…, তারপর কী হতে পারে?

ফিরে যেতে হবে এই রাতের ছয় মাস আগের কোনো একদিনে… দিল্লির কোনো এক ইংরেজী মাধ্যমের স্কুলে। সকালের এ্যাসেম্লি… নাইন গ্রেডের দুই শিক্ষার্থী নিধি এবং কার্তিক অনুপস্থিত। স্কুল কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে গেলেও সহপাঠিদের কাছে ধরা পড়ে তাদের অনুপস্থিতি। কী করছিল তাখন নিধি এবং কার্তিক? ক্লাস বসে ঘনিষ্ট হয় তারা। তাদের লাভিং লাইফের ক্রাইসিসের সাথে আরো তিনজন সহপাঠীর গল্প মিলিয়ে এগিয়ে চলে সিক্সটিন মুভির কাহিনি।

নিধি- বয়স ১৬, উচ্চবিত্ত ঘরের সন্তান। মায়ের কড়া শাসন আর বাবার সময় উপযোগী মানসিকতায় এগিয়ে চলা মেয়েটির জীবনের একমাত্র অ-সুখ প্রেমিক কার্তিক। কারন কার্তিকের মস্তিস্ক জুড়ে ইন্টারকোর্সের চিন্তা। ক্লাস রুমের কিংবা ডিস্কোর অল্প বিস্তর ঘনিষ্টতায় সে সন্তুষ্ট নয়। নিধি বিষয়টা এড়িয়ে যেতে চাইলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় কার্তিক। কয়েকদিনের ডিপ্রেসন আর বন্ধুদের অনুপ্রেরণায় রাজি হয়ে যায় নিধি। গন্তব্য শহরের অদূরবর্তী ফার্মহাউজ। প্রেগনেন্সি টের পেয়ে বন্ধুদের জানায় নিধি। এমআর করতে গিয়ে জটিলতায় পড়ে এমার্জেন্সিতে ভর্তি করা হয় তাকে। খবর পেয়ে ছুটে আসে মা। আগলে নেয় তাকে। কিন্তু কিছুতেই প্রিয় বাবার মুখোমুখি হতে চায় না না নিধি।

আনু- উচ্চবিত্ত পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান আনুর জীবনের প্রায়োরিটি লিস্টে লেখা পড়া নিচের দিকে। নিয়মিত বিরতিতে বয়ফ্রেন্ড চেঞ্জ করা আর মডেলিং রয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় নম্বরে। বিলবোর্ডে ছবি প্রচার হলে সেলিব্রেট করতে বন্ধুদের নিয়ে ডিস্কোতে গেলে হঠাৎ বাবা আর শীলা আন্টিকে ঘনিষ্ট অবস্থায় দেখে বাড়ি ফিরে আসে আনু। মাকে কল করলে মা জানায় তিনি বিষয়টা জানেন। পরের দিন ব্রেকফাটের টেবিলে বলে বেরিয়ে আরেক সত্যি মাও রয়েছেন আরেক জনে সাথে লাভিং রিলেশনশীপে। মোদ্দা কথা আনুর বাবা মা ইন আর অপেন ম্যারেজ রিলেশনশীপে। এমন একটা অবস্থায় পর, পরিচিতদের মধ্যে ছরিয়ে পড়ে আনুর ইন্টিমেট ভিডিও। স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয় আনুকে। আত্মহত্যার সিন্ধান্ত নিয়ে ফেলে সে। হঠাৎ একটা ফোন কল আসে…

ওশিন- মধ্যবিত্ত বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবার একটাই স্বপ্ন আইএস অফিসার হতে হবে ওশিনকে। সেই লক্ষ্যের পেছনে জোর করে ছোটানো হয় তাকে। কিন্তু ওশিন ভালবেসে ফেলে তানিশাকে। তানিশাকে জানালেও সে বিষয়টা সিরিয়াসলি নেয় না। বাবার ক্রমাগত চাপ, জীবনে ব্যক্তিগত স্পেস না থাকা আত্মহত্যার দিকে টেনে নেয় ওশিনকে। সাহস করে উঠতে পারে না ওশিন। বাবা দিন দিন বেড়ে চলা অত্যাচারে একদিন ঘটে দূর্ঘটনা। বাবাকে হত্যা করে ওশিন। মা তাকে কিছু টাকা দিয়ে দূরে পাঠিয়ে দেয়।শুরু হয় নিন্মবিত্ত এলাকায় অপরাধ জগতে বসবাস। ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়ে ওশিন। কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয় তাকে।

তানিশা-র বাবা মা খুব ছোটবেলায় রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়। বড় হয়েছে ফুফুর কাছে। অবিবাহিত ২৮-২৯ বছরের ফুপু আর তানিশা থাকে নিজেদের বাড়িতে। অর্থনৈতিক কারনে ভিক্রম নামের এক লেখককে পেয়িং গেস্ট রাখেন ফুফু। ভিক্রম থাকেন লন্ডনে। দিন দশেক আগে দিল্লিতে আসেন দিল্লিকে খুব কাছ থেকে দেখার জন্য। পেয়িং গেস্ট থাকার জন্য বাড়ি খুঁজচ্ছিলেন এবং একজন মধ্যস্তকারীর মাধ্যমে বাড়ির দোতালাটা ভাড়া নেন। ঘটনা চক্রে তানিশাদের বেশ কাছের মানুষ হয়ে ওঠে ভিক্রম। তানিশার প্রতি ভিক্রম বেশ লক্ষ্য রাখে। তানিশা ভিক্রমকে ঠাট্টা ছলে জানায় চাইওলে তানিশাকে নিয়ে একটা স্টোরি লিখতে পারে ভিক্রম। তানিশা ব্যক্তিগত জীবনের না পাওয়া, প্রেম না হওয়া বা টেকা থেকে ডিপ্রেশন বাড়ে তার। এক সময় লেখকের সাথে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তানিশার। এমন সময় ফুফু প্রোপোজ় করেন লেখককে। বাড়ি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন ভিক্রম। ঠিক তার আগের রাতে দরজায় ঠকঠক, I want to sleep with you.

ভিক্রমের লেখা নতুন উপন্যাস ‘সিক্সটিন’ সাড়া ফেলে দেয় বাজারে। খাদের কিনারে পৌছে যাওয়া ১৬ বছর বয়েসি ৫টি ছেলেমেয়ে ফিরে আসে একটা রেগুলার লাইফে। কিন্তু সেই রাতে ভিক্রম এবং তানিশার কী হয়েছিল?

২০১৩ সালে নির্মিত মুভিটিতে উঠে এসেছে টি এজ একদল ছেলেমেয়ের গল্প। পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে পুরোপুরো না হলেও এদেশের কালচারের মিল রয়েছে। তাই এদেশের বর্তমান প্রজন্মকেও সমস্যা গুলোর ভিতর দিয়ে যেতে হয় বৈকি। গত দুই মাসে শিক্ষার্থীরা একের পর উঠে এসেছে গণমাধ্যমের পাতায় আত্মহত্যার শিরোনাম হয়ে। মুভিটি দেখিয়েছে একটা প্রজন্ম আর Live With নিয়ে ভাবছে না, ভাবছে Sleep With নিয়ে।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পড়লাম এবং জানলাম।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ !

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

রাফা বলেছেন: হুমম..২০১৩ সালেই দেখেছিলাম।৫ বছর পর আবার ফ্ল্যাসব্যাক মনে হলো।

নট ব্যাড-না.নন্দিনী ,ধন্যবাদ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমি এখন মুশলধারে দেখছি, 'ক্যালেন্ডার গার্ল'টা দেখছো?

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: জীবন প্রবাহ,
না মানে নিয়ম নীতি

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: নিয়ম নীতি মানতে হলে, আগে সেটা জানা প্রয়োজন ...

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শিক্ষনীয় মুভি। টিনএজ দের জন্য। রিভিউ ভাল হয়েছে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই :)

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২১

রাজীব নুর বলেছেন: দেখিনি। এসব আমার ভালো লাগে না।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ভালো না লাগলে না দেখাটাই ভালো :)

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়লাম

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ !

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: রিভিউ ভাল লাগল।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল :)

৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

বিবেকবান জড় বলেছেন: হিন্দি মুভি দেখিনা। কিন্তু এটা ডাউনলোড দিলাম। রিভিউ ভালো লেগেছে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ, ধন্যবাদ :)

৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: রিভিউ চমৎকার হয়েছে। দেখবো।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দেখে ফেলুন ভালো লাগবে :)

১০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: ২০১৩ সালের সিনেমা কিন্তু চোখে পড়েনি। দেখাও হয়নি।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমিও দেখলাম সপ্তাহখানিক আগে

১১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

নয়া পাঠক বলেছেন: মুভিটি দেখেছিলাম, বেশ বাস্তব কাহিনী। ইন্ডিয়াতে এমনটা তেমন কিছু না মনে হয়, ইদানিং দেখি আমাদের দেশেও হাই সোসাইটিতে চলে এমন উশৃঙ্খল জীবনযাত্রা। পরিণাম... ভয়াবহ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দেখা যাক

১২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মুভিটি অত্যন্ত বাস্তবোচিত । আপনার পোস্টটি পড়ার পরে দেখার আগ্রহ বেড়ে গেল । সেই সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের সন্তান ও বাবা-মায়েদের কাছে বিষয়টি অত্যন্ত উৎকণ্ঠার ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দেখে ফেলুন পদাতিক চৌধুরি

১৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমরা কোন সংস্কৃতির ধারণ ও লালন করছি।
কি অপেক্ষা করছে আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য!!
শুধুই্ হতাশা, আত্মহনন নাকি অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সময়-ই উত্তরটা ভালো দিতে পারবে

১৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


মুভি দেখে রিভিউ দেব ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: :) :)

১৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

সনেট কবি বলেছেন: কিছুটা পড়লাম।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সময় হাতে থাকলে সিনেমাটা দেখতে পারেন

১৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল সেনেমা রিভিউটি।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান সুজন

১৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কিন্তু সেই রাতে ভিক্রম এবং তানিশার কী হয়েছিলো? ফুফুর প্রস্তাব কি লেখক গ্রহণ করেছিলেন?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সিনেমাটি দেখে নিন।
তবে আমার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, আশে পাশের পরিচিতদের বলে দিয়েছি ভিক্রমকে দুলাভাইয়ের নজরে দেখবা :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.