নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
এদেশের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিরাপদ রাখতে সরকার সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতে দশদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন। যেহেতু কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস জনিত রোগ তাই দশদিনের সাধারণ ছুটির মূল উদ্দেশ্য জনসাধারণ ঘরে থেকে নিজেদেরকে আশংকামুক্ত রাখুক। পরিস্থিতির নাজুকতা এবং ভাইরাসের দ্রুত বিস্তার হওয়ার আশংকা থেকে সরকার সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করেছেন সাধারণ মানুষ যাতে ঘরে থাকে সেটা নিশ্চিত করতে। সাদা চোখে খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ এতে কোনো সন্দেহ নাই। তবে উদ্যোগটি ঠিক তখনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে যখন জনসাধারণকে নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু অতিউৎসুক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি ফ্রেন্ডলি ফায়ার করছেন। ফ্রেন্ডলি ফায়ার বা মিত্রপক্ষের গুলি টার্মটি এসেছে মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছ থেকে। সেনাবাহিনী সাধারণত শত্রুকে তাক করে গুলি চালায়। কিন্তু অনেক সময় যুদ্ধক্ষেত্রে বিশৃঙখ্লা দেখা দেয়; যুদ্ধের ঢামাডোলে শত্রুমিত্র ঠাহর করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় অনেক সৈন্য তাদের নিজেদের বা সপক্ষের ছোড়া গুলিতে আহত হয়। এ ধরনের গুলিই হচ্ছে মিত্রপক্ষের গুলি বা ফ্রেন্ডলি ফায়ার। যুদ্ধক্ষেত্রে যেমন মিত্রপক্ষের ওপর হামলা ঘটে, তেমনি সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের গৃহিত অনেক ব্যবস্থা অভীষ্ট জনগোষ্ঠীর উপকারের বদলে অপকার করতে পারে।
গত চারদিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যেসব ছবি এবং ভিডিও ভায়রাল হয়েছে তার মধ্যে যে দৃশ্যগুলো বার বার এসেছে তা হলো রাস্তায় পুলিশের নির্বিচারে লাঠিচার্জ এবং সেনাবাহিনীর কান ধরে উঠবোস করানোর দৃশ্য। পিছিয়ে নেই প্রশাসনও। যশোর জেলার মনিরামপুরের ভূমি কর্মকর্তা সাইয়েমা হাসানকে দেখলাম দুজন বয়স্ক মানুষের কান ধরিয়ে নিজ মুঠোফোনে ছবি ধারন করছেন। ছবিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দেখা যাচ্ছে ঘটনাস্থলে মুঠোফোনে আলাপরত। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার দ্বিতীয় দিনে তিনি যে তিনজন বয়োঃবৃদ্ধদের কান ধরিয়ে ছবি ধারন করেছেন তাঁরা পেশায় ভ্যানচালক, সবজি বিক্রেতা এবং তৃ্তীয়জন সাইকেল আরোহী ছিলেন। ধারনা করছি পেটের দায়ে তাঁরা সরকারের নিষেধ অমান্য করে কাজে নেমেছেন। হয়তো অক্ষরজ্ঞানহীন এই তিনজন মানুষ বুঝতেই পারেনি কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস কি। এর সংক্রমন সামষ্টিক ভাবে কত বড় বিপর্যায় ডেকে আনতে পারে। তবে বিসিএস এর বৈতরনী পার হওয়া, উচ্চশিক্ষিত, সরকারি আমলা মিজ সাইয়ে্মা হাসান তাদেরকে জনসম্মুখে কান ধরিয়ে খুব ভালোভাবে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
একটা তথ্য মনে করিয়ে দিই, এদেশের ৬.৫ কোটি দারিদ্রসীমার নীচে বাস করে আর পুষ্টিহীনতায় ভোগে ৪১.৩ ভাগ মানুষ। গণমাধ্যমে দেখলাম তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, ‘দেশ তো লকডাউন করা হয়নি। রাস্তায় অহেতুক ঘোরাফেরা না করতে সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় কেউ প্রয়োজনে যেতেই পারেন, গেলেই তাকে হয়রানির সম্মুখীন হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি করার জন্য পুলিশকে বলা হয়নি’। মার্চের মাঝামাঝিতেই অনেক স্বচ্ছল পরিবার ছয়মাস বছরের খাবার কিনে মজুদ করে নিয়েছেন। স্বভাবতই বাজারে পণ্যের যোগান স্বাভাবিক এবং চাহিদা অস্বাভাবিক থাকায় দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষের এমনিতে নুন আনতে পানতা ফুরায়, এখন তো নাভিঃশ্বাস অবস্থা হওয়ার কথা। তো তেমন তিনজন শ্রমজীবী মানুষকে কান ধরানোর ধারা যদি মিজ সাইয়েমা হাসান একটু কষ্ট করে আমাদের জানাতেন, তবে বাধিত থাকবো।
প্রশাসন মাঠে তৎপর আছেন এমনটা প্রমাণ করতেই হয়তো যশোর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজ সাইয়েমা হাসান ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কালে মাস্ক না পরায় তিন বৃদ্ধকে কান ধরিয়ে দাড় করিয়ে রেখে মুঠোফোনে প্রমাণ স্বরূপ ছবি ধারন করে রাখতে চেয়েছেন। প্রশাসনের ব্যর্থতা দুইভাগে বিভক্ত (১)কর্ম সম্পাদন না করার জন্য ব্যর্থতা, (২)কর্ম সম্পাদনের জন্য ব্যর্থতা। এদেশের জরুরি সময়ে এবং নাজুক পরিস্থিতিতে জনগনের পাশে না থাকলে তা হবে প্রথম ধরনের ব্যর্থতা। আর নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সাধারণকে জনসম্মুখে হেয় করা হলে তা হবে দ্বিতীয় ধরনের ব্যর্থতা। রাষ্ট্রের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। রাষ্ট্রের কাছে মৌলিক চাহিদা মেটানোর দাবি জনসাধারণ করতেই পারে। তাই রাষ্ট্রব্যবস্থা জনসাধারণের জন্য যত বেশি অর্থ ব্যয় করবে, যত ব্যবস্থা নিবে, যত দৌড়ঝাঁপ করবে, ততই মানুষের উপকার হবে। তবে জনপ্রশাসনের সাম্প্রতিক দৌড়ঝাঁপ রাষ্ট্রকে বিব্রত করতে দ্বিতীয়বার ভাবছেন না।
মিজ সাইয়েমা হাসানের কৃ্ত কর্ম চারটি পর্যায়ে ত্রুটিপূর্ণ। প্রথমত, কোভিক-১৯ বা করোনা ভাইরাস নিয়ে এদেশের আপামর জনসাধারণ আতংকগ্রস্থ। সুতরাং প্রথমেই মাঠ পর্যায়ে বিষয়টি বার বার বুঝিয়ে বলা দরকার ছিলো। দ্বিতীয়ত, কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস এদেশে মহামারী আকারে ছড়ানোর আশংকাজনক পর্যায়ে রয়েছে, তাকে এখনি নিশ্চিত ধরে নিয়ে তিনি কঠোর মনোভাব দেখিয়েছেন। তৃ্তীয়ত, শাস্তি প্রয়োগের ত্রুটি। তিনি তিনজন বয়োঃবৃদ্ধকে কান ধরিয়েছেন। চতুর্থত, জনসম্মুখে দেশের সিনিয়র সিটিজেনদের কান ধরিয়েছেন এবং নিজ মুঠোফোনে তা ধারণ করেছেন। এখনি তাকে না থামালে হয়তো এমন বয়স্ক মানুষদের তিনি কান ধরিয়ে উঠবোস করাতেও ভুলতেন না। যে কোনো সিদ্ধান্তের ফলাফল দুই ভাগে ভাবা যায়। একটা হলো দৃশ্যমান ফলাফল, আরেকটি অদৃশ্য ফলাফল। এই ঘটনার দুইভাগের ফলাফলই অবাঞ্চিত হয়েছে। এই ঘটনার বর্ণনা যারা শুনেছেন কিংবা ছবি দেখেছেন প্রত্যেকেই নিজেদের অবস্থান থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
তৃণমূল পর্যায়ে মিজ হাসান একা নন, দিন কয়েক আগে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনও রাতে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে একজন সাংবাদিককে ধরে এনে শারীরীক নির্যাতন করে জেলে পুরেছেন। জনপ্রশাসন বিভাগীয় তদন্ত শেষে তাকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। যশোর জেলা প্রশাসনও দেখলাম মিজ হাসানকে তার দায়িত্ব থেকে সাময়িক ভাবে অব্যহতি দিয়েছেন এবং ছুটি শেষ হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। সমস্যা হচ্ছে, আমলাতন্ত্র কখনো ভুল স্বীকার করতে চায় না। কালক্ষেপন করে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়। এদেশে স্থানীয়দের কাছে আমলাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধান করার জন্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নেই। সরকারি কর্মকর্তা বলে দূর্বলের উপর ক্ষমতার স্বাদ নিতে তাঁদের বিবেকে মোটেও লাগে না। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মানসিকতার পরিবর্তন না ঘটলে, গোষ্ঠীস্বার্থের উর্ধ্বে উঠে সেবার মানকে প্রাধান্য না দিলে এভাবেই প্রতিনিয়ত দেশের আপামর সাধারণ মানুষের সম্মানের শ্রাদ্ধ হবে। প্রশাসনের ফ্রেন্ডলি ফায়ার এড়ানোর জন্য চাই দক্ষ আমলা (তৃণমূল পর্যায়ে)। তাঁদের শুধু দক্ষ হলেই হবে না মানবিকও হতে হবে।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কেন? এর সুষ্ঠ বিচার না হওয়া পর্যন্ত লেখালিখি চলবে
২| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: এই বিষয় নিয়ে খুব মাতামাতি হয়েছে।
সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কিভাবে বুঝলেন রাজীব ভাই যে সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে?
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১২
পদ্মপুকুর বলেছেন: ইতালি ফেরত মানুষগুলো যখন নোংরা মেঝেতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে রাজী হলো না, আমরা ওদেরকে গালি দিলাম;
সরকার যখন স্কুল বন্ধ করছিলো না, তখন সরকারকে দায়ী করলাম;
তারপর স্কুল বন্ধ দিলে সেই ছুটিতে যখন সাজেক-বান্দরবান-কক্সবাজার গেলো সবাই, তাদেরকে একহাত নিলাম;
এরপর সরকার কেনো -অফিস-আদালত ছূটি দিচ্ছে না, সরকারকে গালমন্দ করলাম;
এরপর যখন সরকার ছুটি দিয়ে বললো ঘরের বাইরে না বের হতে, তখন বললাম, তাহলে দিনমজুররা খাবে কি;
আবার সরকার অফিস ছুটি দিলে যখন না খেয়ে মরার ভয়ে নিম্নবৃত্ত লোকজন ফেরি ভরে গ্রামে গেলো, তখন তাদেরকেও হেভী ঝাড়লাম;
এরপর যখন ছুটির মধ্যেও প্রয়োজনে মানুষ বাইরে বের হতে লাগলো, তখন তাদেরকে গালাগাল করতে লাগলাম। পুলিশ কেনো ওদেরকে আটকাচ্ছে না, তা নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তুললাম;
সবশেষে যখন পুলিশ এবং প্রশাসনের লোকজন ওদের পশ্চাৎদেশে লাঠির বাড়ি দিতে লাগলো, তখন বললাম- এইডা কি? কেউ বের হলেই কি মারতে হবে?....
ক'দিন আগে ঢাবিয়ান বলেছিলেন- আমাদের একজন শত্রু দরকার। আমারও তাই মনে হয়। একজন শত্রু, যার উপরে নিজের কিছু না করার অপরাধ চাপিয়ে দেওয়া যায়....
৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: এ দেশের মানুষকে বোঝাতে হবে তো করোনা ভাইরাস কী। কথা প্রসংগে বলে রাখি আমার পিতা একজন বিচারক ছিলেন, এদেশের আমলাতন্ত্র আমার খুব কাছ থেকে দেখা। আমি কাউকে শত্রুতার কাতারে দাঁড় করাতে চাই না। মানবিক জনপ্রশাসন চাই।
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এইটা স্পর্শ কাতর সময়। ফাইনাল খেলা চলছে অসাবধানতায় আসমানে যাওয়ার টিকেট হাতে চলে আসবে।
তাই এই অবস্থা।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সাবধানতা অবশ্যই প্রয়োজন, তবে বিবেক বর্জিত আচরণ দিয়ে নয়। একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় গত ৭দিনে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু মিছিল কমেছে।
৫| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৭
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আমি ইনসাইড স্টোরিটা জানাই। সায়মা ওই দিন কয়েকবার মানুষ খেদিয়েছে। সে আসলেই লোকজন দৌড়ে পালায়। আবার চলে গেলেই ভীড় করে। কয়েকবার করার পর সে এই দুজন বৃদ্ধকে পায়। তারা জানায়, এর আগে তারা ছিলনা। তখন সায়মা বলেছে, ঠিক আছে ছবি তুলে রাখলাম, পরে ছবি দেখে ধরা হবে। ছবি তুলতে দেখে তারা ভয় পেয়ে যায়। সাথে পুলিশ ছিল। ভয় পেয়ে নিজেরাই কান ধরেছেন।
আমার ক্ষেত্রেও এটা কয়েকবার হয়েছিল। বহুদূর থেকে কান ধরে মোবাইল কোর্টের কাছে চলে আসছিল। আমি দ্রুত চেয়ার ছেড়ে দিয়ে লাফ দিয়ে তাদেরকে ধরে ফেলেছি। গ্রামের মানুষ দুইটা জিনিস করে। বিশেষ করে নসিমন টমটম চালায় তারা। নিজেরাই কান ধরে ওঠাবসা শুরু করে দেয়।
যাই হোক, ছবিটা দেখে আমার চোখে পানি চলে আসছিল। একজন মুরুব্বি দেখেছি সাদা জামা গায়ে। আমার বাবার মতো বয়স। বিদেশ বসে কয়েকবার কেঁদেছি।
আসলে এরা নতুন চাকরিতে এসেছে। ওরা যখন পিএটিসিতে ট্রেনিং করেছে, আমি তখন রেক্টরের পিএস। ওদেরকেই প্রথমবারের মতো দুই মাস মাঠে সংযুক্তি দেয়া হয়। তারা কৃষকের সাথে ক্ষেতে কাজ করেছে। বাড়িতে মহিলাদের সাথে কাজ করেছে। তারপর একজন প্রান্তিক মানুষ কীভাবে জীবনযাপন করে তার উপর রিপোর্ট দিতে হয়েছে। ওদের ছবি দেখেছি। তাতে দেখেছে কেউ ক্ষেতে চারা রোপন করছে। কেউ মইয়ের উপরে দাড়িয়ে। কেউ উঠোনে ধানে পা দিয়ে নাড়িয়ে দিচ্ছে। ওদের যথেস্ট ট্রেনিং দেয়া হয়েছে। প্রত্যাশা ছিল- এই ব্যাচ দেশে নতুন কিছুর সূচনা করবে। অথচ তাদের একজনের বোকামিতে পুরো প্রশাসন থ মেরে গেছে।
আপনি জানেন, ভারতের সম্ভবত বিহারে একজন আইএস অফিসার হাসপাতালে রোগীর বেডে জুতা পরা পা রেখে কথা বলছিল। সেটা ভঅইরাল হয়ে যায়। আজকে যেটা হয়েছে- তার ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছিল। আরেকজন পুলিশের মহিলা অফিসারের মাথায় ছাতা ধরে রেখেছে একজন কনেস্টবল। আর ওই মহিলা অফিসার আরামে হেরান দিয়ে আছেন। এমন একটি ছবির সাথে জুড়ে দেয়া হয়েছে ক্লিনটন ওবামা সহ কয়েকজন রাষ্ট্রপতির ছবি। যারা নিজেনা ছাতা নিয়ে যাচ্ছেন। নিচে ক্যাপশন দেয়া হয়েছিল- ওনারা প্রেসিডেন্ট আর এনারা আইপএস। এরপর যেটা হয়- তার ফলে ওই মহিলা অফিসারকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
যাই হোক, সিআরপিসির ১২৭ ধারা থেকে ১৩২ ধরা পর্যন্ত আদেশ না মানা জনতাকে শক্তি প্রয়োগে ছত্রভঙ্গ করার কথা বলা আছে। সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট সব ধরণে শক্তি প্রয়োগের ব্যবস্থা নিতে পারেন। তবে আসলেই যদি কান ধরিয়ে থাকেন, তা হবে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য আইনের লঙ্ঘন। কারণ আইন পুলিশকে নয়, ম্যাজিস্ট্রেটকে বিশ্বাস করে। বেড়ায় ক্ষেত খেলে তা হবে দুর্ভাগ্য।
তবে ঘটনার পরে যা হয়েছে, তা দেশে নজীরহীন। এদেশের মানুষের অবদমিত সেক্সুয়াল পারভারসান প্রকাশে একজন নারী দরকার। ওরা সেটাই পেয়েছে। এখন যা মনে হচ্ছে, সায়মা যা অন্যায় করেছে, তার চেয়ে বেশি সাজা তাকে ইতোমধ্যে আপনারা দিয়েছেন। যদিও তার ডিপার্টমেন্টাল শাস্তিটা এখনো বাকী রয়ে গেছে।
ছোটবেলায় আমার দাদি বাচ্চাদের সাথে ঝগড়ার পর যারই দোষ থাকুক না কেন, আমাকে মার দিয়ে ঘরে নিয়ে যেতেন। সেই দৃষ্টিকোণ রেখেও বলতে বাধ্য হচ্ছি, দেশে যেখানে পুলিশের কক্ষে ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়ার পরেও মানুষের বিকার নেই, যেদেশে সেই কয়েক যুগ ধরে একই গল্প প্রচার হয়, সেখানে শুধু কান ধরানোর জন্য একজন নারী কর্মকর্তাকে পুরা অনলাইন জুড়ে এত গালাগালি করাটা আমাদের সমাজের বিকৃত রূপটা প্রকাশ পাচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনার ব্যাখ্যাটা সুপাঠ্য এবং যুক্তিগ্রাহ্য, তবে মনে রাখবেন সাক্ষী মিথ্যা বলতে পারে পারিপার্শ্বিকতা নয়।
৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন:
৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!
৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ওটা আই ওয়াশ। শান্তি দিয়ে আবার ছবি তুলেছে। সিনিয়র সিটিজেনদের অসম্মান করা ভয়ানক বেয়াদবি।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:১০
রাফা বলেছেন: কেমন আছেন না.নন্দিনী ? সারা পৃথিবির কমন শত্রু কিন্তু এখন একটি অতি ক্ষুদ্র ভাইরাস।যুদ্ধটা যদি হয় একটা শত্রুর বিরুদ্ধে তাহলে সেটা সবাইকে একই ফর্মুলায় করতে হবে। ভুল করলে খেসারত দিতে হবে ভুল না করাদেরও।কাজেই সামাজিক দুরত্ব নয় শারিরিক দুরত্বই মূল হাতিয়ার ।এবং নিজেকে শ্রেষ্ঠ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন প্রমান করার সঠিক সময় এই মুহুর্ত থেকেই।
ধন্যবাদ।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:২১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বিশ্বে ভয়াবহ খাগ্য সংকট দেখা দিতে পারে... আমাদের অবস্থা এখন জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ!
৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:২৭
ইফতি সৌরভ বলেছেন: যদিও কাজটি মোটেও ঠিক হয় নি এবং গ্রহণযোগ্য নয় তবু আমার মনে হয়, যিনি অথবা যাহারা এমন দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা মাত্র জানেন, বাঙালিকে ভালোভাবে বুঝিয়ে কোন কাজ হয় না। আমাদেরকে বোঝাতে গেলে হয় লাঠি দরকার অথবা জেল। তবে আর একটা খুব ভালো অদৃশ্য জিনিস আছে যা হল 'গুজব'। আমরা বিজ্ঞানে বিশ্বাসী জাতি না, আমরা কুসংস্কারে আবদ্ধ ধর্মান্ধ জাতি।
একটি ছবি অনেক কিছু বলে দেয় এবং সায়েমা হাসান যা করেছেন যা করেছেন তা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। তবে ঠিক সেদিন পুলিশের অত্যাচারে থানায় মৃত্যু, তার আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দুই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার এবং এমন আরো অনেক ঘটনাই ছিল যা আমাদের চোখে পড়েছে - তবু আমরা এড়িয়ে গিয়েছি! কেন??
৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৩৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনিই উত্তরটা দেন প্লিজ
১০| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:২৮
রাফা বলেছেন: যদিও আমি ক্ষুদ্র মানুষ তবুও বলি পৃথিবি এগিয়ে পিছিয়েছে।যা ভাবছে তা সত্যি হবে হয়তো তবে তা মোকাবেলা করার শক্তি কিন্ত আমাদেরকে দিয়েছেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা।কাজেই যুদ্ধের পুর্বেই হেরে যাওয়া কোন সমাধান নয়। সবাই একই যুদ্ধে থাকলে পরাজিত হওয়াটা কঠিন।বাংলাদেশ'কে এত তুচ্ছ ভাবার কোন কারন নেই বর্তমান পৃথিবিতে।ধন্যবাদ,প্রতিউত্তরের জন্য।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৩৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঠিক! নিজেদের পিঠ চাপড়ে দিতে আমাদের কোনো জুড়ি নাই।
১১| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:০৯
ইফতি সৌরভ বলেছেন: এ তো বড় বিপদে ফেলে দিলেন, ম্যাম! আমরা তো উত্তর দিতে পারি না; আমরা আসলে দক্ষ সমালোচনায়। আমার তো মনে হয়, উনি যদি একজন পুরুষ হতো তবে বীর বাঙালি এত লাগত না। আপনি ছবিটার বাম দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন কত মানুষের ভীড়! তাদেরকে আপনি এক ঘন্টা বোঝাবেন এবং তারপর দেখবেন, যে সেই। তবে জিজ্ঞাসা করলে বলবে ,করোনা দেখবার আচ্ছি বারে!
যদিও এসিল্যান্ড এর কাজটি কোন ভাবেই ঠিক না তবে আমার মনে হয়, ব্যক্তি সায়েমাকে আক্রমণ না করে উনি কেন সেবকরূপী ব্যক্তিত্ব রাখতে পারলেন না, সেই system এর জাত-পাত কিভাবে ঠিক হবে - তা ভাবা।
আসলে আপনি এত বেশি গুণী যে, আমার এসব আপনার পোস্টে বলতে খুবই অস্বস্তি বোধ হচ্ছে। শুধু ছবির বাম দিকে হঠাৎ করে চোখ যাওয়াতে মনে হলো, এত মানুষকে আপনি কোন উপায়ে এ বাজার ছাড়া করাবেন? মৃদু লাঠিচার্জ- বড় অমানবিক ।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তার শাস্তিটা প্রশাসনের জন্য উদাহরণ স্বরূপ হওয়া উচিৎ
১২| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৩২
মলাসইলমুইনা বলেছেন: হাহাহা ---
আপনি শেষ পর্যন্ত এই লেখাটা লিখলেন ! আমাদের হবুচন্দ্র রাজার দেশের মতো আশ্চর্য দেশেতো গবুচন্দ্রের মতোই মন্ত্রী, উজির, নাজির, পাইক, পেয়াদা হবে ! কচু বুনে কি আর আপেল আশা করলে পাওয়া যাবে ? এই রকম চিন্তা ভাবনাহীন আজ্ঞাবহ একটা প্রশাসন সরকার চেয়েছে দেখেই তৈরী হয়েছে । এ'রকম নষ্ট মানসিকতার উদাহরণত একটা না --আপনি নিজেইতো আরো কয়েকটা উধাহরনের কথা বললেন লেখায় । এই ধামাধরা প্রশাসন জন্যগণকে লাঠিপেটা করে ঘরে ঢুকিয়ে সরকারের নো টেস্ট নো রেকর্ড পলিসি ইমপ্লিমেন্ট করবে (করণের ব্যাপারে )। লক ডাউনের কারণে যে মানুষ করোনা না হলেও না খেয়ে মরবে সেটা ভাববার মতো সময় কোথায় সরকার বাহাদুরের পাইক পেয়াদাদের ? এই লেখার তাই কোনো বেনিফিট নেই ।আপনি আরেকটা চমৎকার লেখা তাড়াতাড়ি লিখুন ব্লগে আমাদের জন্য তাতেই বড়ং সবার বেশি কাজে লাগবে ।
আর হ্যা একটা খাদ্য সংকট দেখা দিতেই পারে । কয়েকটা নিউজেও সে সম্ভাবনা নিয়ে ফিসফাস দেখলাম, উচ্চবাচ্যতো হবে না নিশ্চিত । করুণাহীন করোণাতেও ভালো থাকুন ।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বেনিফিটের জন্য লিখি না মলাসইলমুইনা, লিখি দায়িত্ববোধ থেকে
১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৫:১৮
পলাতক মুর্গ বলেছেন: হুম
৩১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ
১৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি কাউকে শত্রুতার কাতারে দাঁড় করাতে চাই না।
আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে মিন করিনি, বলতে চাইছি এই দোষারোপের সংস্কৃতিটা আমাদের রক্তে।
সবাই এখন ওই আমলাকে দুষছে। মানছি, বয়স্ক মানুষকে কানে ধরানোটা কোনো বিচারেই গ্রহণযোগ্য নয়, তার উপরে ভিডিও করছে, যা আরও খারাপ বার্তা দেয়। কিন্তু এই মুক্ত সাংবাদিকতার যুগে যখন মানুষের হাতে হাতে ক্যামেরা, তখন এই ঘটনার প্রচার কতটা সহজলভ্য এবং তা নিজের জন্য কতটুকু ক্ষতিকর হতে পারে, সে বিষয়ে নিশ্চয় ওই আমলার ধারণা ছিলো। তারপরও যখন সে এই কাজ করছে, তখন এর পেছনে অন্যকিছু ঘটনাও থাকতে পারে, যেমনটা সায়েমুজ্জামান বলেছেন। আমি নিশ্চিত নই, কিন্তু থাকতে পারে।
ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে- ডোন্ট জাজ দ্য বুক বাই ইটস কাভার। পবিত্র কোরআন শরিফের প্রতিটা সুরা অবতীর্ণ হওয়ার একেকটা প্রেক্ষাপট আছে, যাকে 'শানে নুযুল' বলে। কোনো সুরাকে সঠিক ব্যাখ্যা করতে গেলে শানে নুযুলকে বিবেচনায় রাখাটা আবশ্যক।
আমার বক্তব্য হচ্ছে আমরা খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি শানে নুযুল বিচার না করেই। এবং এটা করি, কারণ আমাদের (ইনক্লুডিং মি) যা করণীয় ছিলো সেটা আমি পালন করিনি, করিনা।
ভালো থাকবেন। নিরাপদে থাকবেন।
আমি অবশ্য আপনার রমেল চাকমাকে নিয়ে লেখাটা বা ওইযে নিউমার্কেটের ফুটপাতে দাঁড়ানো একটা ছেলের টুকিটাকি কিছু কেনা নিয়ে লেখার মত গদ্যতেই মজে আছি, জিরো টলারেন্স বা এই লেখাতে নয়।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ পদ্মপুকুর নিজের দায়িত্ব পালনে মনোযোগী হোন। আইন পরামর্শকদের মতো ঘটনার মোড় ঘোরাতে শানে নুযুল দিয়ে ঘটনায় বাটার লাগানো অব্যাহত রাখুন।
আপনিও নিরাপদে থাকবেন।
১৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: কেন? এর সুষ্ঠ বিচার না হওয়া পর্যন্ত লেখালিখি চলবে
এর চেয়ে বড় বেশী অপরাধ আমরা নিরবে নিভৃতে অহরহ করে যাচ্ছি মানেন কি?
৫ টাকার মাস্ক ৫০ টাকায় বিক্রি করতে আমাদের বাধেনা। এক বালিশ কিংবা পর্দ
কয়েকশত ভাগ বৃদ্ধি হয়ে যায় নিমিশে। কেসিনো সম্রাটেরা হোলি খেলে গবীবের টাকায়।
কয়টা সামলাবেন, আর কতজনকে শাস্তি দিবেন? বেচারী মিসের ভুলের কারনে তার বাবা
দেশের কাছে মিনতি করেছেন তাকে আর লজ্জা না দিতে। সন্তানের পিতার কাছে এটা যে
কত বড় লজ্জার তা অনুধাবন করেভেন? যা হোক কোন পরিস্থিতিতিতে তিনি এমন কাজ
করেছেন তার ব্যখ্যা তিনি দিয়েছেন, বিভাগীয় তদন্তের পরে দোষী হলে তার বিচার হবে।
সুতরাং এবার ক্ষ্যান্ত দিন।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মিজ হাসানের পিতার লজ্জার অনুধাবন আমি তখনই করবো যখন দেশের উক্ত তিনজন সিনিয়র সিটিজেন এই অপমানের সঠিক বিচার পাবেন। আর এই আলোচনার চ্যাপ্টার বন্ধ করতে আপনার এক তাড়াহুড়া কেন সেটা আমার বোধোগম্য হচ্ছে না।
১৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: কিভাবে বুঝলেন রাজীব ভাই যে সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে?
আসল কথা হলো_ মানুষ যখন ভুল করে বা অন্যায় করে তখন সে বুঝতে পারে না। পরে বুঝতে পারে। যদি সাথে সাথেই বুঝতো তাহলে দুনিয়াতে এত ভুল বা অন্যায় হতো না। এবং মানুষের ভুল বা অন্যায়ের সাথ আশে পাশের মানুষ এবং পরিবেশ অবশ্যই কিছুটা দায়ী।
একটা শিক্ষিত মেয়ে। অবশ্যই ভুল করার পর তার মধ্যে পাপবোধ কাজ করেছে।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর
১৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এখন তার উকালতিতে তার ইমিডিয়েট সিনিয়র সহ সবাই মাঠে নেমেছে। বড় বিচিত্র এই দেশ। এডমিন ক্যাডাররা নিজেদের ব্রিটিশ ব্লাড মনে করে আর সবার উপর মাতব্বরি করে বেড়ায়। মেধার বিচারে ষাট ভাগের বেশি থার্ড ক্লাস পাবে। আর আচরণ মনে হবে মুই কি হনুরে। দুই জন বৃদ্ধ বয়সে দাদার সমান তাদের অমন শাস্তি তার সিনিয়র দের কাছ থেকে শেখা এটা ট্রুডোর কানাডা নয় । এরা সব স্কলারশিপে ভাগ বসাবে। মাথা হওয়ার কারণে বড় ধরনের গরু হবে। সবার সেই গোমূত্র সেবন করতে হবে। এই হলো এই দেশের এডমিনিস্ট্রেশন।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার
১৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: এই আলোচনার চ্যাপ্টার বন্ধ করতে আপনার এক তাড়াহুড়া কেন সেটা আমার বোধোগম্য হচ্ছে না।
তার উপর আপনার ব্যাক্তিগত আক্রোশ না থাকলে ঠিকই বুঝতে পারতেন।
মিস হাসানের পিতা কি সিনিয়র সিটিজেন না। তার উপরতো আপনার কোন
শ্রদ্ধাবোধ কিংবা ভালোবাসা প্রকাশ পাচ্ছেনা। যা হোক আমি আমার চ্যা্প্টার
ক্লোজ করলাম। পারলে আপনিও করুন।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমি যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে বলেছি তাঁর ত্রুটিগুলো কী কী, এবং কেন এমন ব্যবহার করার ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস তিনি পেয়েছেন।
আপনার মতো ধামাধরা স্বভাব আমার নেই। কিংবা আপনিই বা কেন ঘটনো ধামাচাপা দেয়ার জন্য অতিউৎসাহ কেন দেখাচ্ছেন, এখন সেটাই আমাকে ভাবাচ্ছে।
১৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৪
পুলক ঢালী বলেছেন: প্রশাসনিক কর্মকর্তা কারা ? তারা আমার আপনার ভাইবোন আত্মীয় স্বজন সাধারান মানুষই। তারা যখন গলদঘর্ম হয়ে বিসিএস দিয়ে পাশ করে তখনও সাধারনই থাকে। পরে যখন প্রশাসনিক পদে অধিষ্ঠিত হয় তখন জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আমলা হয়ে যায় কেন আমলা হয় ভেবে দেখেছেন কখনো ?
এই পরিষ্কার মাথাওয়ালা সহজ সরল তরুনদের লোকপ্রসশাসনে ব্রেইন ওয়াশ করা হয় । ওখানকার প্রশিক্ষন বৃটিশ কায়দায় জনগনকে শাসন করার প্রশিক্ষন দেওয়া হয় তাই ওখান থেকে একেকজন ছোট জমিদার বের হয় পরে তারা আরো বড় জমিদার হয়।
আমাদের প্রশিক্ষনের খোলনলচে পরিবর্তন করে জনবান্ধব প্রশিক্ষন ব্যবস্থা চালু না করলে এমন অবস্থা চলতেই থাকবে।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমার দুই একজন বন্ধুবান্ধব যারা প্রশাসন ক্যাডারে আছে তাদের কাছ থেকে অফ দ্যা রেকর্ড অনেক গল্পই শুনি। আমরা মানবিক জন প্রশাসক চাই।
২০| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ!
২১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এদের চাকরী হারানোর ভয় নাই তাই বাড়াবাড়ি করে। এরা ভাবে এরা জাতে উঠেছে বাকিরা নিম্ন জাতের। এরা আসলে জন বিচ্ছিন্ন।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৫৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: জন বিচ্ছিন্ন এটা ঠিক, তবে জাত-পাত নিয়ে কথা বলাটা আমার রুচি বহির্ভূত।
ভালো থাকবেন।
২২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জাত-পাত একটা উপমা মাত্র। উপমা হিসাবে ' জাতে ওঠা' শব্দটা বহুল ব্যবহৃত।
২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:২১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সায়মা হাসানের কৃত কর্মের জন্য
তার পিতা ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন
এবার ক্ষ্যান্ত দিন।