নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
মানুষের সম্পর্কগুলো আলো-বাতাসের মত সহজ এবং স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন। তাতে আন্তরিকতা, সমানুভূতি আর সহমর্মিতার মিশেল থাকা চাই। একে অন্যের প্রতি দায়িত্ব থাকবে, তবে অবশ্যই সেটা দায়বদ্ধতা নয়। যেখানে আপনার প্রিয়জন আছে, লাইফ নেই; সেটাই দায়বদ্ধতা। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় পারস্পারিক সম্পর্কটা আর আন্তরিকতার নয়, কেবলই আনুষ্ঠানিকতার। সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশন না থাকা মানেই বেদনার তাড়না এবং ব্যর্থতার বোধ।
ভালোবাসা এবং ঘৃণা খুব দূরের কিছু নয়। একই রেখাপথে নিকতমত দূরত্বে তাদের বাস। যথেচ্ছা অবজ্ঞা করার নাম ভালোবাসা নয়। সমস্তটা ঝড়ের পরেও অটুট থাকার মানে ভালোবাসা। ভালোবাসা এমন একটা ব্যাপার যা নিজে নিজেই সব কিছুকে বদলে নেয়। প্রেম পোশাকের মতো বদলে ফেলা যায়; ভালোবাসা তো শরীর, সেটা বদলানো যায় না। সাধারণত আইন দ্বারা স্বীকৃত হতে হয় এমন সম্পর্কে বিচ্ছেদ হলে বেশ কিছু পর্ব পেরোতো হয়। কিন্তু যে সম্পর্ক অলিখিত সেখানে বিচ্ছেদ শব্দটা অনেক বেশি আড়ম্বর মনে হতে পারে। বিচ্ছেদ লিখিত সম্পর্কে হোক কিংবা অলিখিত সম্পর্কে হোক তার জন্য মানসিক প্রস্তুতির দরকার আছে। কোন রুগ্ন সম্পর্ককে দিনের পর দিন বাঁচিয়ে রেখে মহৎ মানুষ হওয়া যায় কিন্তু সুখি মানুষ নয়।
পেছনে ফিরে তাকালেই যে সম্পর্কটাকে খুব দূরের এবং নিরানন্দের মনে হচ্ছে সেই সম্পর্কের বিষয়ে চিন্তা করার সময় বের করুন। ইমোশনাল এবং সেন্টিমেন্টাল এক বিষয় নয়। ‘সাইকোলজিক্যাল প্রিপারেশন ফর সেপারেশন’টা কেমন হওয়া উচিৎ? যার ক্রাইসিস যত বড় তাকে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হয় যে তিনি ক্রাইসিসটা কিভাবে ম্যানেজ করবেন। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ভাবি, “মানুষ জিজ্ঞেস করলে কী বলবো? তাকে (পার্টনারকে) আমি কিভাবে জানাবো? জানার পর কী রিএক্ট করবে?” সবার আগে মনে রাখতে হবে ‘কেউই জীবনে অপরিহার্য নয়’। বড় জোর প্রয়োজনীয় হতে পারে। জীবন কখনো কোথাও কারো জন্য থেমে থাকে না।
মূলত অবিশ্বাস থেকেই সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। দানা বাধে অসন্তোষ। শুরু হয় সন্দেহের পৌনপুনিকতা। একের কাছে অন্যের গোপনীয়তা। বাড়তে থাকা কলহ-বিবাদ। আস্থাহীন-নির্ভরতাহীন সম্পর্কে বয়ে বেড়ানো হয়ে ওঠে অভিশাপের মতো। সমাধান যোগ্য হলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে নেয়া যেতে পারে। আর তা না হলে মচকে থাকার চেয়ে ভেঙ্গে যাওয়াই ভালো। তাতে যন্ত্রণাটা কিছুটা কম হয় বলে মানি।
প্রেমে বিশ্বাস থাকতে হয়, আর বিয়েতে বিশ্বস্ততা। 'তোমার প্রেম, প্রিয়া, সরকারি প্রেসনোটের চেয়েও মিথ্যা।- শামসুর রাহমান। কিংবা 'আমার প্রেমে তুমি অভ্যস্ত হয়ে যেও না, আমার বিরহে তুমি অভ্যস্ত হয়ে যেও না'– মুজতবা আলী। জীবনের সবথেকে বড় শিক্ষা, জীবন কখনো থেমে থাকে না। ভালোবাসায় প্রমান দিতে নেই, ভালোবাসায় জানান দিতে হয়। ভালোবাসতে হলে সময় দিতে হয়। সংসার, সম্পর্কের কাঠামোগত ধারনাগুলোর একটা। সম্পর্কে আড়াল থাকতে হয়। স্পেস থাকা লাগে। 'শীতের সঙ্গে বসন্তের পরিনয় কখনো সুখের হয় না। না শীতের জন্য, না বসন্তের’। তাই সমমানসিকতা সম্পন্নদেরই শয্যাসঙ্গিনী হওয়া উচিৎ। বিয়ে সামাজিক ভাবে হলেই টেকার সম্ভবনা সব থেকে বেশি। এত বেশি মানুষকে ইনভলব করে যাতে সবাই নিজ দায়িত্ব বুঝতে পারে। সংসার,গোছানো জীবন; এর বাইরে- অনেকে বের হতে পারেনা। তাই সম্পর্ক উষ্ণ থাকুক আর না থাকুক এক সাথে থাকবেই হবে সেই সামাজিক প্রেসার নিয়ে অনেকে এক সাথে থাকে। বিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই হয়ে ওঠে আনন্দহীন দায়িত্ব পালন। আনুষ্ঠানিকতা মাত্র! বিয়েতে স্ত্রী’রা ছেলেদের দায়িত্ব আর স্বামীরা মেয়েদের কর্তব্যবোধের অবস্থানে চলে আসে।
খুব গোছানো সংসারে মনোসংযোগ থাকে না। সংসারে সবসময়ই হ্যাঁ মানে উপেক্ষা। অপ্রাপ্তি থাকুক, মতদ্বৈততা হোক, খিটিমিটি লেগে থাকুক, ঝগড়াঝগড়ি হোক। অনেক কিছু না থাকার ভেতরেও যেন অতি অবশ্যই দু’জন প্রিয়জন থাকুক। কিছু কিছু না থাকাটাই সংসারে সবথেকে বেশি প্রয়োজন। দু’জন প্রিয়জন একসাথে থাকলে জীবনের অনেক আনুসাঙ্গিক থাকা না থাকার পার্থক্য খুব সীমিত হয়ে যায়। কিছু সম্পর্কের উপরটা চাকচিক্যময় জৌলুসে ভরা; ভেতরটা অন্তঃসার শূন্য, ফাঁকা। প্রেমহীন দাম্পত্য জীবন যেমন হয় বরফ নয় অগ্নিরথ! সব আছের সংসারে বেশীরভাগের কাজ হলো নিজেকে গুছিয়ে নেয়া। কোনো কিছু অ-গোছালো না করা।
আমরা প্রত্যেকেই আসলে কম্পোজার, আমাদের জীবনের সংগীতের। কথা সুর বাদ্যযন্ত্র সবকিছু মিলেমিশে তৈরি হয় প্রত্যেকটি নিজস্ব সংগীত। অসাধারণ লিরিক পানসে হয়ে যায় সঠিক সুরের অভাবে। সঠিক সুরও আবেদনহীন সুন্দর লিরিকের অনুপস্থিতিতে। ডিভোর্স, ব্রেক আপ শব্দগুলো আপনাকে অসম্ভব দুঃখ দিবে। তবে এটাও ঠিক এগুলোই আপনাকে আবার নতুনভাবে বাঁচার সুযোগ দিবে। সাহিত্যে, নাটকে, সিনেমা কিংবা অগ্রজের কাছে পাবেন প্রাক্তনের প্রতি তীব্র অভিমান নিয়ে বেঁচে থাকার ফর্মুলা। কিন্তু আমি বলি কি প্রাক্তনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সহজ সম্পর্ক নিয়েও ভালো থাকা যায়। রিলেশনশিপ হুট করে হয় না। কমিটমেন্ট দিয়ে দেয়া বা বিএফ/জিএফ স্ট্যাটাস দিয়ে দেয়ায় সবকিছু নয়। অনুভূতি বোঝাপড়া, দায়িত্ববোধ আসতে সময় লাগে। আবেগ বুঝতে পারার জন্য সময় নিতে এবং দিতে হবে। বাস্তবসম্মত চিন্তা এবং সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মানুষ সবসময় প্রিয়তমর সান্নিধ্য পেতে বাসায় ফিরে ব্যাপারটা সবসময় তা নাও হতে পারে। মানুষ আরামের জন্যও বাসায় ফিরে…
১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হিসাব না ভাই, বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়া আরকি!
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২০
ঢুকিচেপা বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন।
এ বিষয়ে নতুন করে আর বলার কিছু নেই।
খুব সুন্দর।
১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!
৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১১
রাজীব নুর বলেছেন: মেয়েদের সব ব্যবহারের মর্ম ক'জন পুরুষই বা বোঝে !
১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: পুরুষের সব কর্মযজ্ঞের অর্থ-ই বা ক'জন নারী জানে!
৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১২
অজ্ঞ বালক বলেছেন: ব্যক্তিগত কিছু বিষয় মিল্যা যাওয়ায় পোস্ট প্রিয়তে।
১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: হা হা হা
ধন্যবাদ!
৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৩২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: প্রত্যাহিক জীবনের প্রয়োজনীয় কিছু কথার চমৎকার ব্যখ্যা
১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৫২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই
৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০৩
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আমরা প্রত্যেকেই আসলে কম্পোজার, আমাদের জীবনের সংগীতের। কথা সুর বাদ্যযন্ত্র সবকিছু মিলেমিশে তৈরি হয় প্রত্যেকটি নিজস্ব সংগীত। অসাধারণ লিরিক পানসে হয়ে যায় সঠিক সুরের অভাবে। সঠিক সুরও আবেদনহীন সুন্দর লিরিকের অনুপস্থিতিতে। - অসাধারণ উপলব্ধি।
-প্রতিদিন-ই নতুন করে আবিস্কার করতে হবে দু'জন দু'জনকে - রুটিন মাফিক অফিস-আদালত চলে; জীবন সংসারে টিউনিং করে চলতে হয় - তাহলেই নতুন সুর, নতুন লিরিক তৈরী হবে।
---অসম্ভব ভালো লাগলো আপনার লেখা।
১৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত)
৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১
ঘরহীন বলেছেন: আধুনিক সম্পর্কগুলো কেমন যেন জিলাপির মত, প্রচুর জট লেগে থাকে। খুলতেই চায় না। দশ-পনেরো বছরের সম্পর্ক পাটকাঠির মতন ভেঙ্গে যায়।
১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দশ-পনেরো বছরের সম্পর্ক পাটকাঠির মতন ভেঙ্গে যায় --- ভালো বলেছেন।
ধন্যবাদ ঘরহীন।
৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৬
নক্ষত্র নীড় বলেছেন: পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি সূচনা করে মেলবন্ধন : দূরত্ব ও নৈকট্য ।
১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: একদম ঠিক।
ধন্যবাদ নক্ষত্র নীড়!
৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: পুরুষের সব কর্মযজ্ঞের অর্থ-ই বা ক'জন নারী জানে!
জানার দরকার নাই। তারা থাকবে ঘরে। বিশ্বসংসার তো পুরুষরা দেখভাল করবে। নারীরা রান্না করুক। ঘরসংসার সামলাক।
১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: রাজীব নুর, মানুষ দৃষ্টিহীন হলেই অন্ধ হয় না, প্রজ্ঞাহীন মানুষরাও অন্ধ।
চিন্তার পরিধি বাড়াতে হবে ভাই।
নারীরা সব পারেন; ঘর-সংসার থেকে বিশ্ব-সংসার সামলাতে।
ধন্যবাদ
১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩১
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: বাসা আশ্রয় হয়ে উঠুক, কেবল থাকার একটা জায়গা নয়।
১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তারপর, চিলেকোঠাটা কবে বানানো হচ্ছে?
১১| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৫
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: স্বেচ্ছায় হয়েও আদতে বাধ্যতামূলক নির্বাসনের সময়টা এখনও আসে নি । আসলেই হয়ে যাবে ।
২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: নিজের মতো করে থাকতে চাওয়াকে নির্বাসন বলে না 'পাগলু'। সৃষ্টিশীল মানুষরাই নিজের সঙ্গ উপভোগ করে।
চিলেকোঠায় আকাশে মেঘের ভেলা দেখতে দেখতে দু-একটা অসাধারণ লেখা তো আমরা পেতে পারি নাকি?
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪৬
আকন বিডি বলেছেন: সব কিছু এতো হিসাব করে হয়?