নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন নারীরা বিয়ের প্রলোভন জয় করতে পারেন না?

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫২



গত কয়েকদিনের টেলিভিশন সংবাদে বেশ কয়েকটি যৌন প্রতারণার খবর উঠে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে ঘটেছে আত্মহত্যার ঘটনা। শিক্ষকের বিরুদ্ধে এইসব অভিযোগ নতুন কিছু নয়। সেই পুরুনো ছকবাঁধা গল্প। কেননা নারীরা যা তীব্রভাবে ঘৃণা করে, নারীরা তা সততার সাথে প্রত্যাখ্যানের চেষ্টা করে না। সমাজ নারীকে প্রতিনিয়ত নানা পুরস্কারের লোভ দেখায়। বুদ্ধিদীপ্ত নারীর থেকে নির্বোধ নারীকে বেশি পছন্দ করে, আর নির্বুদ্ধিতাকে রমনীয় ব’লে প্রশংসা করে। ৯০ দশকের বাংলা চলচ্চিত্রে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপন একটা মিথের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে বিয়ে জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচারের আশা করা কিংবা অপমান সইতে না পেরে কিংবা প্রত্যারিত হওয়ার বেদনা সইতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নেয়াটা একটা চলচ্চিত্রিক ফর্মুলা বলা যায়। এইসব চলচ্চিত্র থেকে তরুণী দর্শকরা সচেতন হয়েছেন তেমনটা বলা যাচ্ছে না। এখনো গণমাধ্যমের সর্বাধিক পঠিত সংবাদের শীর্ষে থাকে ধর্ষণ শব্দ ব্যবহৃত সংবাদ শিরোনাম। কেননা ধর্ষণের সংবাদ পুরুষদের গোপনে গোপনে উত্তেজিত করে।

কেন নারীরা বিয়ের প্রলোভন জয় করতে পারেন না? পারেন না কারণ বিয়ে একধরনের সামাজিক প্রেসার। এই সমাজে বিয়েকে মনে করা হয় সর্ব রোগের মহাঔষধ, সব সমস্যার সমাধান। বৈবাহিক চুক্তিতে রয়েছে পারস্পারিক নিরাপত্তার জন্য প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী। তার খানিকটা নান্দনিক বাকিটা অর্থনৈতিক। বাস্তবে বিয়ে পুরুষের দায় বাড়ায়, আর নারীর বাড়ায় দাম। ছোটবেলা থেকেই মেয়েদের শেখানো হয় যে তাদের প্রকৃ্তি পুরুষের বিপরীত; নারীরা নিয়ন্ত্রণ করবে না, তারা আত্মসমর্পন করবে অন্যের নিয়ন্ত্রণের কাছে। সব ধরনের নীতিশাস্ত্র শেখায় যে পুরুষের কাছে আত্মসমর্পনই তাদের কর্তব্য। আর্থিক জীবন, সামাজিক উপযোগিতা, বিয়ের মর্যাদা প্রভৃতিতে আছে যে-সুবিধাজনক স্থান, তাতে নারীরা উৎসাহ বোধ করে । নারীকে নিজের অস্ত্বিত্বের ভার নিজে নেয়ার প্রয়োজনীয়তা তাকে কখনো বোঝানো হয় না। তাই সে সানন্দে নিজেকে অর্পন করে কিছু না ক’রে আত্মসিদ্ধির আশায় মোহিত হয়। তাই হয়তো বিয়ে নামক প্রথায় প্রায়ই দ্বিগুন স্নায়বিক চাপের মূল্যে পৌঁছোনো হয় মীমাংসায়: নারীটি বোধ করে যে পুরুষটি তাকে সুলভ মূল্যে ‘পেয়েছে’, এবং পুরুষটি মনে করে নারীটির দাম অত্যন্ত বেশি।

প্রলোভন দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে কী ধর্ষণ বলা যায়? বিয়ের কিংবা চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নারীকে যে যৌন ব্যবহার করা কয় গণমাধ্যম তাকে মোটা দাগে বলে দিচ্ছে ধর্ষণ। যদিও আইনী ভাষায় প্রলোভন দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে ধর্ষন হিসেবে আক্ষায়িত করাই যায়। ধর্ষণ কী? ধর্ষণ একটি অপরাধমূলক যৌনসঙ্গম। বিভিন্ন ধরনের ধর্ষক রয়েছেন সমাজে। দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের উপাদানগুলো হচ্ছে, নারীর ইচ্ছার বিরুব্ধে, সম্মতি ব্যাতিত, মৃত্যু বা জখমের ভয় প্রদর্শন করে, ভুল বিশ্বাস স্থাপণ করে এবং যদি মেয়েটির বয়স ১৪ বছরের কম হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনানুযায়ী, ‘যদি কোন পুরুষ বিয়ে ছাড়া ষোল বছরের অধিক বয়সের কোন নারীর সঙ্গে সম্মতি ছাড়া বা ভয় দেখিয়ে বা প্রতারণামূলকভাবে সঙ্গমের সম্মতি আদায় করে, ষোল বছরের কম বয়সের কোন নারীর সঙ্গে তার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌনসঙ্গম করে, তাহলে তিনি ওই নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে বিবেচিত।‘ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, এর ৯ ধারামতে ধর্ষকের শাস্তি সর্বোচ্চ মৃত্যুদন্ড। এছাড়াও অর্থদন্ডও রয়েছে। এছাড়াও পুলিশ হেফাজতে যদি কোন নারী ধর্ষণের শিকার হন, তবে হেফাজতকারীদের সর্বনিম্ন ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।

একজন নারী বা শিশু ধর্ষিতা হবার পর আদালতে বিচার প্রার্থনা করলে বহুলাংশে নাজেহাল হয়ে থাকে। তার যৌন জীবনের বিবরণ আদালতে ব্যক্ত করতে বাধ্য করা হয়। তদুপরি গোটা সমাজ তাকে ঘৃণার চোখে দেখে। ধর্ষণকে যতটা না নারীর প্রতি সহিংসতা হিসেবে দেখা হয়, তার চেয়েও বেশি ধর্ষণকে সামাজিক নৈতিকতা, নারীর শারীরিক পবিত্রতা, সম্মান, সম্ভ্রম, সতীত্বের কাঠামোর মধ্যে দেখা হয়। এবং এই বাস্তবতায় ধর্ষণ মামলাগুলো প্রায়ই ভিকটিমের ‘চরিত্রহরণের’ ক্ষেত্র হয়ে ওঠে। ভিকটিমের বিগত যৌন ইতিহাস নিয়ে কথোপকথন ও জিজ্ঞাসাবাদের সংস্কৃতি চালু থাকার দরুন শতকরা ৯০ ভাগ মেয়েশিশু ও নারী ধর্ষণ মামলার অভিযোগ আনতে ভয় পান। কেউ কেউ মামলা মাঝপথে বন্ধ করে দেন। ধর্ষণের শিকার মেয়েশিশু ও নারীদের ‘টু ফিঙ্গার্স টেস্ট’ নামে একটি বিতর্কিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা এখনো বহাল আছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে পরীক্ষাটির কেতাবি নাম ‘পার ভ্যাজাইনাল টেস্ট’ হলেও এটি ‘টু ফিঙ্গার্স টেস্ট’ নামে প্রচলিত। এতে ধর্ষণের শিকার মেয়েশিশু বা নারীর যোনিতে চিকিৎসক আঙুল দিয়ে পরীক্ষা করে কতগুলো সিদ্ধান্ত জানান। বিশেষ করে নারী বা শিশুটি ‘শারীরিক সম্পর্কে অভ্যস্ত’ কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত টানেন চিকিৎসক।

‘সতীত্ব’ কী? একটা সমাজ কতটা সভ্য, তা নির্ভর করে ঐ সমাজের মানুষ কতটা নিরাপদ, তার ওপর। ধর্ষণ সংবাদের শিরোনামই বলে দেয় যে এটা এখন নিরবিচ্ছিন্ন ঘটনা। সমাজ নারীকে সত্বীত্বের নির্মিত মিথ্যে ধরনা দিয়ে বড় করে। একটি মেয়েকে ছোটবেলা থেকেই শিখিয়ে পড়িয়ে বড় করে যে ‘নারীর জীবনে সতীত্ব’ই হলো আসল’। তাহলে ‘সতীত্ব’ জিনিসটা কী? সতীত্ব সমাজ নির্মিত একটা মিথ। প্রতিটি যৌন নিপিড়নের দায় নিতে হয় নির্যাতিতাকে। সমাজে নির্যাতকের কোনো লজ্জা নেই, সেই সমাজে সব লজ্জ্বা নির্যাতিতার। নারীকে বোঝানো হয়, অপমানের জীবনের চেয়ে মৃত্যুই বাঞ্জনীয়। কিন্তু এই অপমানটা যিনি যা যারা করলেন, সমাজ একবারও মুখ ফুঁটে তাদের বারন করেনা। পরিবার ধর্ষণের মামলার আসামীকে বাঁচাবার জন্য দক্ষ আইনজ্ঞ নিয়োগ দেয়। অথচ নারীকে সম্মান করার শিক্ষাটা পরিবার থেকে পাওয়ার কথা ছিলো। নারীরা সেক্স অবজেক্ট নয়। একজন মেয়েকে কী কেবল শারীরিকভাবে ধর্ষণ করা হয়? বরং রোজ মানসিকভাবেও ধর্ষিত হতে হয়। ধর্ষণকে অবশ্য অনেকেই অপরাধ বলে ভাবেনা। না এদেশে ‘অনার কিলিং’ নেই, যা আছে তার নাম পরিকল্পিত ভাবে মৃত্যু মুখে ঠেলে দেয়া।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটি কেমন থাকে? একটি ধর্ষণের ঘটনা ততদিন-ই আলোচিত থাকে যতদিন অন্য আরেকটি ঘটনা না ঘটে। ধর্ষণ এখন সামাজিক মাধ্যমের ‘আলোচনার আচার’। আমরা তো বিচার চেয়ে ক্লান্ত হয়ে দু'চার কলম লিখে দেশ উদ্ধার করে ফেলি। কিন্তু যার সাথে এই ঘটনা বাস্তবে ঘটে, তারপর কী কী ঘটে যায় তার জীবনে, সেই খোঁজ কেউ রাখে না। বরং নিরাপদ দুরত্বে থেকে চলে আহা-উহু! তাতে কি আসে যায় যৌন নির্যাতনের শিকার মেয়েটার। নির্যাতিত নারীর জীবনটা বন্দি হয়ে যায় কফিনে। পরিবার সেই কফিনের শেষ পেরেকটা ঠুকে দেয়। জগতে পারিবারিক অসহিষ্ণুতার মতো অসহনীয় আর কী আছে?

আসলে অসুস্থ চিন্তার কদর্য উপস্থাপনের নামই ধর্ষণ। কেউ জোর করে ধর্ষণ করেন, কেউ সুযোগ বুঝে, কেউ প্রলোভনে ফেলে আর কেউ বা বিপদের জাল বিছিয়ে। প্রতিবছর অন্তত ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে ধর্ষণের শিকার নারীদের সংখ্যা। সমাজটা বদলে সবাই আসে না। বরং সবাই মিলে প্রাচীন প্রথা ধরে রাখতে চায়। মানুষ-ই পারে খুব যুক্তি দিয়ে অযৌক্তিক কথা বলতে। আমরা সংস্কৃতির চেয়ে ঘটনার বিরুদ্ধে বেশি দাঁড়াই। যৌন নির্যাতন সংস্কৃতির বিপক্ষে জোরালো হোক কন্ঠস্বর। অবশ্য যারা নিজের পৌরুষ নিয়ে উদ্বিগ্ন, তাদের থেকে আর কেউ নারীর প্রতি বেশি আক্রণাত্বক, বা বিদ্বেষ্পরায়ণ নয়।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৯

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: জগতে পারিবারিক অসহিষ্ণুতার মত আর কিছুই নেই। পোস্টে ভালো লাগা জানবেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আমাদের দেশের নারীরা অসহায় এবং দুর্বল।
তাদের মন মানসিকতা আত্মকেন্দ্রিক। তারা জগত সংসার কম বুঝেন।

নারীরা বাইক চালালে সমাজ চিৎকার করে অঠে। এই সমাজ নারীদের এগিয়ে যেতে দেয় না।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩৯

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আমার হিসেবে বলে, বিয়ে একটা কমিটমেন্ট। দুনিয়ার অন্যান্য দেশে দেখবেন, মানুশ খুব নিশ্চিত না হয়ে বিয়ের প্রসঙ্গে আসে না আর প্রস্তাব দেয়া বা প্রস্তাব গ্রহন করাটাও অত সহজে হয়না।

আর আমাদের দেশে, দেখবেন আপনি এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে, পরের মাসে দুই লাখ টাকা দেয়া হবে, এইরকম জালিয়াতির ফাঁদ পাতলে হাজার হাজার বাঙ্গালিকে জাল দিয়ে ধরা যায়। আমাদের দেশে মানুশের লোভ অন্য লেভেলে। এদের অল্প মিষ্টি কথায় ভুলাতে পারবেন সহজেই। এটা আসলে আমাদের রক্তের মধ্যেই অনেকটা বিদ্যমান। আমার মনে হয়, আমাদের সময় এসেছে এখন অন্যের ওপরে দোষ ন চাপিয়ে নিজের সমস্যার সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: চমৎকার বলেছেন ক্ষুদ্র খাদেম। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৫

রামিসা রোজা বলেছেন:
সব নারীরা সমান নয়। কেউ ফাঁদ পাতেন ,আবার কেউ
ফাঁদে পড়েন।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ভীষণ সত্যি কথা।
ধন্যবাদ রামিসা রোজা।

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৫৪

বিপ্লব06 বলেছেন: ইন্টারেস্টিং পোষ্ট! কয়েকটা ব্যাপার নতুন শিখলাম!
একটা ব্যাপারে আপনার মতামত জানার ইচ্ছাঃ
আপনার পোস্ট পড়ে মনে হইল, যে পুরুষরাই শুধু ধর্ষণ করে। পুরুষরা কি কখনো ধর্ষণের শিকার হইতে পারে? আমাদের লিগ্যাল সিস্টেমে কি এইটার কোন ডেফিনিশন আছে?

ভালো থাকবেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বিপ্লব06, আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি
জ্বী ভাই পুরুষরাও ধর্ষণের শিকার হতে পারেন। আর আমাদের লিগ্যাল সিস্টেমে এইটার কোনো ডেফিনেশন আছে কিনা সেটা একটু কষ্ট করে নিজেই খুঁজে দেখুন প্লিজ। আশাকরি উত্তর পেয়ে যাবেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:০৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনি এখনো ৯০-এর দশকে পড়ে আছেন।এখন গ্রাম এবং শহরের ১৮ বয়স উর্দ্ধ অধিকাংশ মেয়ে নিজের ইচ্ছায় বিয়ের আগে এক বা একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্ক করে।
এদের মধ্যে বোকারা ফাদে পড়ে আর চালাকরা অনেকের সাথে সম্পর্ক থাকলেও যাকে বিয়ে করলে লাভবান হবে, সে প্রত্যাখান কররে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে।
প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষ সম্মতিতে সম্পর্ক করলে ধর্ষণ হবে-যে রকম আজব আইন পৃথিবীর আর কোনো দেশে নাই।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অনল চৌধু্রী, মানুষ-ই পারে মানব সম্প্রদায়কে নিয়ে এমন মন্তব্য করতে। আপনি যেসব কনফার্মেশন বায়াস করেন তা অত্যন্ত আপত্তিকর। এত নোংরা চোখে চারপাশটা দেখা বন্ধ করুন। অবশ্য যে যেমন তার কাছে পৃথিবীটা ঠিক তেমন। ভাবনা তো আয়না, নিজেকেই দেখেন।

ধন্যবাদ।

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:১৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মানুষ যে কত চলচাতুরি জানে । কেন যে এত লোভী এত কামুক হয় বুঝি না

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: প্রযুক্তির অসভ্যতা আমাদেরকে আরো বেগবান করেছে সম্ভবত।

ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই।

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:৫২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অর্থনৈতিক মুক্তি যতদিন নারী অর্জন করতে পারবে না ততদিন স্বাধীনভাবে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারবে না।

সমাজকেও গঠন করতে হবে নারী স্বাধীনতার সহায়ক শক্তি হিসাবে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: নুরুলইসলা০৬০৪, Strongly agreed with you.
নারীর অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জন ভীষণ জরুরি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৬:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমাদের নারীরা সচেতন নয়। তারা অনেক বেশী পররনির্ভরশীল।
তারা প্রলোভনকে আস্থায় নেন।

উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি হয়নি কখনো এই দেশে। তাই ধর্ষকরা দিনে দিনে সাহসের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

সতর্ক হতে হবে নারীদেরকে। বিশুদ্ধ হতে হবে পুরুষদেরকে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাই।

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার চরম নারীবাদী পোস্ট পড়ে আমি হতাশ হলাম!

আদিকাল থেকে যৌন সম্পর্কের সব দোষের বোঝা পুরুষরা একাই বহন করে গেল!!!

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: যে কোনো লেখার জবাব আরেকটি লেখা লিখে দিতে হয় শেরজা তপন।
প্লিজ আপনিও চরম পুরুষবাদী একটা পোষ্ট দিয়ে বুঝিয়ে বলেন যৌন সম্পর্কের দায় নারীদের নিতে হবে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার চরম নারীবাদী পোস্ট পড়ে আমি হতাশ হলাম!

আদিকাল থেকে যৌন সম্পর্কের সব দোষের বোঝা পুরুষরা একাই বহন করে গেল!!

সম্পর্কটা কোন দোষের বিষয় নয় বরং পারস্পরিক আনন্দের একটি ব্যাপার। কিন্তু সমস্যাটা তখনই হয়ে দাঁড়ায় যে সম্পর্কের ফলশ্রুতিতে গর্ভবতী হতে হয় মহিলাদেরই। কিন্তু পুরুষদেরকে কিছুই বহন করতে হয় না।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাই।

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫০

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: জানার বিষয়, ভাবনার বিষয়। দরকারী পোস্ট।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ ইকবাল ২৭ ।

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দোষ-গুন নিয়েই মানুষ, সে নারীই হোক, কিংবা পুরুষ। সমাজে যে পদে পদে বিপদ আর বিশ্বাসঘাতকতা লুকিয়ে আছে, এটা মেয়েরা বোঝে না কেন? অন্ততঃ এই ইন্টারনেটের যুগে তাদের আরেকটু চালাক-চতুর হয়ে ওঠা উচিত। একজন কিছুই না দিয়ে শুধু প্রলোভন দিলো........আর তাতে করে আরেকজন তার সব (সতীত্ব) বিলিয়ে দিলো? হাউ কাম? সতীত্ব কি এতোই শস্তা??

আমাকে কেউ যদি বলে আজকে আমাকে দশ হাজার টাকা দাও, আগামী মাসে আমি তোমাকে চল্লিশ হাজার টাকা দিবো.......আমি তো কস্মিনকালেও দিবো না, সে যে-ই হোক না কেন!!! :)

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ভুয়া মফিজ, সতীত্ব আসলে একটা মিথ। খুব সহজ করে বললে যৌনসম্পর্ক এক ধরনের প্লেজার। এটাকে বাঙালি ফ্যান্টাসির পর্যায়ে নিয়ে গেছে। বয়োঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়ে উভয়ের সাথে বিষয়টা গুছিয়ে বুঝিয়ে আলাপ করা উচিত। কোনো ধরনের লুকোছাপা নয়। যৌনশিক্ষা একটা প্রয়োজনীয় শিক্ষা এটা মাধ্যমিকে আবশ্যিক করা উচিত।

অবশ্য প্রেমে পড়লে মেয়েরা বেকুব হয়ে যায় এটা নিয়ে কিছুই বলার নাই। এদেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজে ওঠা ক্লিনিকে রোজ এমআর হচ্ছে। রাস্তাঘাটে নবজাতক ফেলে দেয়া হচ্ছে।

ধন্যবাদ!

১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: এ পোস্টে অযৌক্তিক খুব কিছু তো নেই। কোনো নারী যদি বিয়ের প্রলোভনে পড়ে ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও শারীরিক সম্পর্ক করে বা করতে বাধ্য হয়, তাকে ব্যক্তিত্বহীন বা সঠিক শিক্ষাবঞ্চিত বলা যেতে পারে, কিন্তু এ তো অবশ্যই পুরুষটি দ্বারা ধর্ষণ। যে আলোচনাটি মুখ্য হতে পারে, তা হচ্ছে এ ধরণের ক্ষেত্রে ধর্ষণটি, অর্থাৎ প্রলোভন ও ইচ্ছা-অনিচ্ছার ব্যাপারটি, কীভাবে প্রমাণ করা যেতে পারে, যেটি নিসন্দেহে একটি জটিল প্রক্রিয়া হবে। পুরুষও ধর্ষণের শিকার হতে পারে, সেটিও আলোচনার দাবি রাখে, কিন্তু তাতে আমাদের সমাজের অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীর ধর্ষণটি ভুল প্রমাণিত হয় না।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: এস এম মামুন অর রশীদ, জ্বী ভাই লোভ করা যে খারাপ এই নৈতিক শিক্ষা আমাদের পরিবারগুলোতে আরো জোড়ালো ভাবে সন্তানকে শেখাতে হবে। আমি নিজে প্রফেশলান এথিকস নামের কোর্স শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয়। ব্যক্তিজীবনের নৈতিকতার আলাপ আমাদের রোজকার জীবনের সবচেয়ে বেশি চর্চা করতে হবে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যৌনশিক্ষা একটা প্রয়োজনীয় শিক্ষা এটা মাধ্যমিকে আবশ্যিক করা উচিত। আমাদের এখানে স্কুলে ১১ বছর বয়স থেকেই ছেলে-মেয়েরা Sex and relationship education (SRE) শুরু করে। তারপরেও এটা নিয়ে এই খোদ বৃটেনেই বিতর্ক আছে। বাচ্চারা বই পড়ার পরে প্র্যাকটিক্যাল লেসনের দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। বুঝতেই পারেন, বয়সটাই এ্যাডভেন্চারের! তাই এই লেসনটাকে নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনাও হচ্ছে; কিভাবে এটাকে আরও রিস্ক ফ্রী করা যায়।

আসলে এটা শুধু অংক বা সাহিত্যের মতো বই পড়িয়ে শিক্ষা দেয়ার মতো ব্যাপার না। এর সাথে পারিবারিক ভ্যালুজ, সামাজিক দায়বদ্ধতা, ধর্মীয় অনুশাসনসহ বহু কিছুই জড়িত। তাই অন্যান্য দিক সুরক্ষিত না করে (বিশেষ করে, আমাদের দেশে, যেখানে সব কিছুই অরক্ষিত) এটা মাধ্যমিক পর্যায়ে চালু করে দিলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই সবচাইতে বেশী। ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে আগে, আর সেক্ষেত্রেই আমাদের সমাজ বহু বহু পিছিয়ে আছে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: এদেশে ১০বছর আগেই প্রাথমিক যৌনশিক্ষার একটা পুস্তিকা মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল। ছবি এবং তথ্যপূর্ণ এই বইয়ের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কমন কিছু আলোচ্য বিষয় থাকায় বয়স অনুযায়ী কারো কারো কাছে কিছু বিষয় ছিলো এডাভান্স কারো জন্য দ্বিরুক্তি। মফস্বলের স্কুলগুলোতে বায়োলজি বইয়ের চ্যাপ্টার বাদ দিয়ে পড়ানো হয় এখনো।

সন্তানকে জোর করে শিশু বানিয়ে রাখার চিন্তাধারা বদলাতে হবে।

ভুল শিক্ষা, অপ্রয়োজনীয় গোপনীয়তা এগুলো তো আলটিমেট ক্ষতি বয়ে আনে। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই ভালো।

১৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৩

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! সেই সাথে কয়েকজন বেশ ভাল মন্তব্য করেছেন।
শুভকামনা।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ ৎঁৎঁৎঁ । কয়েকজন দেখলাম আপনার নাম উচ্চারণে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

আপনার নিক'টা প্রথম দেখে আমার ধারনা হয়েছিল, যিনি নিজের জন্য এই নিক পছন্দ করতে পারেন তিনি মানসিকভাবে অনেক স্ট্রং। জটিলতা সমাধানে পারদর্শী মানুষ।

ধন্যবাদ!

১৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বয়সের দোষে / প্রেমে পরার পরে "কিছু দেওয়ার বিনিময়ে কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা" - এ রকম একটা অলিখিত চুক্তিতে নারী-পুরুষ (প্রেমিক/প্রেমিকা) যে শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে একটা সময় তাতে উভয়েরই পূর্ণ সমমতি থাকে এবং উভয়েই সমান ভাবে ব্যাপারটা উপভোগ করে।যদিও সকল ধর্ম মতেই বিবাহপূর্ব শারিরীক সম্পর্ক অনাচার এবং মহাপাপ তার পরেও মানুষ প্রবৃওির তাড়নায় এ অনাচার / পাপাচারে লিপত হয়।

তারপরেও দু তরফেই ব্যাপারটার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের মত বেদনাদায়ক পরিস্থিতির শিকার হতে পারে।আর যখনই এ ধরনের পরিস্থিতির তৈরী হয় তখনই পুরষকে ধর্ষকের অপবাদ দেয়া হয়।আমার মনে হয় এ ক্ষেত্রে উভয়েই সমান অপরাধী।

এক্ষেত্রে সবারই স্রষ্টার উপর পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে সাথে, যে যেই ধর্মের ই অনুসারী হোকনা কেন সেই ধর্মের নিয়ম-নীতি যথাযথ ভাবে মেনে চলা, ব্যক্তিগত ভাবে চারিত্রিক পবিত্রতা অর্জনের পাশাপাশি রক্ষার চেষ্টা এবং বিবাহপূর্ব সকলপ্রকার শারিরিক সম্পর্ক এড়িয়ে চলার চেষ্টা এবং সকলপ্রকার প্রলোভন / অনৈতিক কাজ থেকে দূরে থাকার মাধ্যমে নর-নারী উভয়েই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে।
মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট আমাদের সবার প্রার্থনা করা উচিত এ পাপাচার থেকে হেফাজতের জন্য।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মোহামমদ কামরুজজামান।

১৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

নতুন বলেছেন: বাইরের দেশে কোন বয় ফ্রেন্ড গালফ্রেন্ড ব্রেক আপের পরে বলেনা যে আমাকে ধর্ষন করা হয়েছে।

বয় ফ্রেন্ড গালফ্রেন্ড কয়েক বছর এক সাথে বসবাসের পরে আলাদা হয়ে বলেনা আমাকে ধর্ষন করা হয়েছে।

আমাদের দেশে বর্তমানে মেয়েরা বলে তার বয় ফ্রেন্ড আছে, কিন্তু যদি জিঙ্গাসা করেন যে তার সাথে কি শারীরিক সম্পর্ক আছে কিনা সেটা অস্বীকার করবে।

দেশে বয়ফ্রেন্ড গালফ্রেন্ডের সংঙ্গা না জেনেই সবাই বয়ফ্রেন্ড গালফ্রেন্ডের হতে চায়। কিছু নারী এবং পুরুষ প্রতারিত হয় এবং তাদের মাঝে কিছু নারী ধর্ষনের অভিযোগ করেন।

আমার মনে হয় না যদি কোন ছেলেকে ভালোবেসে তার সাথে সম্পর্ক করে । পরে তার সাথে ব্রেক আপ হলে ধর্ষনের অভিযোগ করা উচিত।

যদি বল পূর্বক ধর্ষন করে সেটা যেই করুক অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু প্রেম ভালোবাসার সম্পর্কের ব্রেকআপ এর পরে ধর্ষনের অভিযোগ ঠিক না।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমিও সেটাই ভেবেছিলাম যে, প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে শিরোনামটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত। পরে দেখলাম আইনে এই অভিযোগের সুযোগ আছে। তাহলে এমন শিরোনাম গণমাধ্যম করতে পারে।

আর বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ড পরিচয়! যে দেশে 'লোকাল বাস' গান নিয়ে আরবানে মাতামাতি হয় সেখানে মানুষ কি বোঝে আর কি বোঝে না; সেটাও গবেষণার বিষয়।

আমিও আপনার সাথে একমত নতুন ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমিও সেটাই ভেবেছিলাম যে, প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে শিরোনামটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত। পরে দেখলাম আইনে এই অভিযোগের সুযোগ আছে। তাহলে এমন শিরোনাম গণমাধ্যম করতে পারে।
আর বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ড পরিচয়! যে দেশে 'লোকাল বাস' গান নিয়ে আরবানে মাতামাতি হয় সেখানে মানুষ কি বোঝে আর কি বোঝে না; সেটাও গবেষণার বিষয়।আমিও আপনার সাথে একমত নতুন ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।


আইনটা আগের দিনে করা তাই তখন প্রলোভন টাকে ক্লজে রেখেছিলো। এখন সমাজিক প্রক্ষিতে এখন প‌্রলোভন শব্দের অপব্যবহার বেশি হবে।

অনেক নারীও কিন্তু কয়েক বছরের রিলেসনের পরে বাড়ীর পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করেছে এবং সেই ছেলেও কিন্তু প্রচন্ড মানুষিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। এখানে কি ঐ ছেলে ধর্ষনের অভিযোগ করতে পারবে? আইনে কিন্তু সেই সুযোগ রাখেনাই।

If educated and over 18-yrs, woman can’t allege rape after consent: HC
If a woman is educated and above 18 years of age and yet does not exercise her right to say ‘no’ to a sexual relationship then she cannot allege rape later when the relationship turns sour, the Bombay High Court has held.
https://www.hindustantimes.com/india/educated-women-cant-agree-to-physical-relationship-and-cry-rape-later-hc/story-sRvEg4rqG6E4pfigOhBHkJ.html

ম্বুবাইয়ের একটা আদালত সম্পভবত এই রকমের একটা কেসে বলেছে যে রিলেসন খারাপ হলে ধর্ষনের মামলা করা যাবেনা।

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: নতুন ভাই, আইন করে আচরন বদলানো বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই আমাদের মগজের চিন্তাধারা বদলানো আগে দরকার। নিজেকে নিজে প্রস্তুত করতে হবে।

মুম্বাইয়ের আদালত প্রচলিত ভাবধারাকে একটু হলেও নাড়া দিতে পেরেছে। মানুষকে বোঝাতে পেরেছে সহানুভূতি নেয়ার দিন শেষ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

২০| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

নতুন বলেছেন: Click This Link

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!

২১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: কে কি মন্তব্য করেছে সে দেখতে এলাম।

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: এমন আচরণ আপনাকেই মানায় রাজীব নুর...

২২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: নতুন ভাই, আইন করে আচরন বদলানো বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই আমাদের মগজের চিন্তাধারা বদলানো আগে দরকার। নিজেকে নিজে প্রস্তুত করতে হবে।

যখন আইনে এমন বিয়ষগুলি ধর্ষন বলে আমলে নেবেনা তখন ঠিকই এমন অভিযোগ আসবেনা।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: যে কারো সুবিধাবাদী মনোভাব পরিহার করতে হবে।

ধন্যবাদ নতুন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.