নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
সাধারণত কিছু অবসর পেলে কিংবা মন খারাপ থাকলে আমি পার্লারে যাই। সেখানে দু একজন মানুষ আমাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, বিষয়টা আমার ভালো লাগে। কাজ ছিল না তাই পার্লারে গেলাম। নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময় পেডিকিউর নামক সেবা কিনি।
যিনি আজ পেডিকিউর করবেন তার নাম রাবেয়া। কাজের ফাঁকে জিজ্ঞেস করল আপা কী চাকরি করেন? বললাম করি। কী চাকরি? বললাম- শিক্ষাকতা করি। পরবর্তী জিজ্ঞাস: কোথায় পড়ায়। বললাম; চিনতে পারলো। জানতে চাইলো বিয়ে করেছি কিনা? আমি বললাম না এখনো বিয়ে করিনি। এবার সে আমার দিকে তাকিয়ে হাসল, বলল ভালোই করেছেন। আমি বললাম তাই? আমার উত্তরটা রাবেয়াকে কনফিউজড করে দেয়। বলে না একজন কেউ থাকলে ভাল হয়। আমি জানতে চাইলাম তোমার আছে? মাথা নাড়লো হ্যাঁ। (কোথাও একটু দীর্ঘশ্বাস গোপন করে করে রাবেয়া)। আমি আর সে প্রসঙ্গে যাই না।
জিজ্ঞেস করলাম বাড়ি কোথায়। বাড়ির কথা উত্তর দিয়ে নিজে থেকেই বললো বাপ- মায় বিয়া দিছে। আমি আর কিছু জানতে চাই না, ও নিজে থেকেই বলে বিয়া মানেই কষ্ট, নিজের পছন্দে করলে তবু সে কষ্ট মেনে নেয়া যায়।মনে হয় নিজে পছন্দ করে করেছি তো! বাড়ির বিয়ের কষ্ট বেশি। রাবেয়া গোপন একটা দুঃখবোধ আমার কাছ থেকে আড়াল করতে চায়। সেটাকে আড়ালে রাখতে সহযোগিতা করি, কিছুটা সময় চুপ থাকি। চুপ থেকে ভাবতে থাকি কিংবা হিসাব মেলায় রাবেয়া কাউকে পছন্দ করতো, বিয়ের প্রসঙ্গ আসতেই তাদের সম্পর্কটা আর আলোর মুখ দেখেনি। বাঙালি অন্য আর দশটা ছেলের মতোই সেই ছেলেটাও বিয়ের প্রসঙ্গ আসতেই, অপারগতা প্রকাশ করে, কিংবা দায়িত্ব নিতে ভয় পায়। অভিমান নিয়ে রাবেয়া বাবা-মার পছন্দ করা ছেলের সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসে।
আমি দার্শনিক মুখভঙ্গী করে রাবেয়াকে উত্তর দি, সংসার তো হিসেবের জায়গা; কি পেলাম কি পেলাম না। এখানে পছন্দের মানুষের সাথে বিয়ে হলে ভাল, না হলেও ক্ষতি নেই। ভালবাসলে চাওয়া-পাওয়াটা অপার্থিব হয়ে যায়। সারাক্ষণ হারানোর ভয় কাজ করে। তোমার পরে সে যদি অন্য কাউকে ভালোবাসতো এটা তো মেনে নিতে পারতেনা। তার চেয়ে বরং এখন ভালো আছো, এটা ধরে নিয়ে যে তুমি তার থেকে তাকে বেশি ভালোবাসা। একটা সময়ে এইসব গোপন অভিমান বেঁচে থাকার অক্সিজেন। যাকে ভালোবাসো না তার সাথে সংসার করলে নির্ভার থাকা যায়। হারানোর ভয় অন্তত থাকে না! রাবেয়া আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসে। কাজ শেষে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দেয়। রাবেয়া কী আমার জন্য অপেক্ষা করবে, আরেকটু স্বান্তনার জন্য...
বাঁচে তো সবাই, সৎ সাহস নিয়ে বাঁচে ক’জন। সত্য প্রকাশের সাহস না থাকায় কেউ কেউ একটা পুরোজীবন মিথ্যের সাথে কাটিয়ে দেয়। মানুষকে তার মনের সবথেকে শুদ্ধ ইচ্ছেগুলোকেই গোপন রাখতে হয়। একটা তুমুল জীবন কাটানোর পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন আপোষ করে!
‘ইদানিং নাকি অসহ্য রকম জটিল হয়ে যাচ্ছি!
কথার ঘুরপাকে, গল্পের উপসংহারে শূন্য শূন্যতা খুঁজি
সরল পথে ড্রেজার হয়ে পাথরে পাথর খুঁড়ি!’
১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ
১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: প্রামানিক ভাই! অনেকদিন বাদে আপনাকে দেখলাম।
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৯
আকন বিডি বলেছেন: এক জোড়াকে জানি, দীর্ঘ ১৪ বছরের প্রেম, তার পর বিয়ে, কিন্তু অসুখী দাম্পত্য জীবন।
আবার প্রেম বিয়ে সংসার সন্তান সব কিছুই হয়েছে, কিন্তু জোড়ার এক জন আগেই পরপারে পারি জমিয়েছে।
অন্য এক জোড়া জোড় বাধেঁ নাই কিন্তু তাতে তাদের নিজেদের সুখের ঘাটতি হয় নাই ।
সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ভাল থাকবেন আকন বিডি
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০০
শেরজা তপন বলেছেন: খানিকটা এলোমেলো আলোচনা- তবুও ভাল লাগল।
বিয়ে শাদি করে সংসারে থিতু হওয়াই উত্তম আমার মত!
১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ!
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জীবন তো এমনই।
১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তাই তো
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: বোন আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন? নিশ্চয়ই ভালো আছেন।
সময় পেলে আপানর প্রিয় গানটা শুনে নেবেন।
গানটা শুনুন।
১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: Click This Link
আপনি এই গানটা শুনুন
৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এমন প্রেম কি দেখেছেন দুজন দুজনকে ভাল বাসে কিন্তু বলতে পারেনি কোন দিন সুধু হারানোর ভয়ে।
ভাল লাগলো কিছু অন্যের কথা কিছু নিজের কথা।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: না দেখিনি
৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ইস রাবেয়ার দুঃখ মরণ পর্যন্ত বযে বেড়াবে । আর গান শুনবে তুমি কি সেই আগের মত আছো খুব জানতে ইচ্ছে করে...
১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৩৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ঈশ্বর তাকে শক্তি দিন এমন বিষয় মেনে নিতে যা সে বদলাতে পারবে না।
৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ইচছার সাথে প্রতিনিয়ত আপোষ করে বেঁচে থাকার নামই জীবন, যা শুধু হতাশা ও দীর্ঘশ্বাসে ভরপুর।
ভালবাসার বিয়ে- পারিবারিক ব্যবস্থায় বিবাহ , দু দিকেই 100% শান্তি নেই।আর বিয়ে না করলেও যে সুখের মোয়া পাওয়া যায় তাও না ।
ত্যাগ ও সমঝোতা ই জীবন,তা বিবাহিত কি অবিবাহিত ।আর যেখানে সুখের প্রকৃত সংজ্ঞাই নেই সেখানে প্রকৃত সুখের আশা বৃথা।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ
১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জীবন বড় জটিল, মেয়েদের মানিয়ে নেয়া অভ্যাস। অনেক কিছুই মেয়েরা মুখ বুজে হজম করে নেয়। সংসারে তাই শান্তি বিরাজ থাকে।
ভালো লাগলো লেখা
১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ আপু
১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার শিরোনামের গানটা খুব সুন্দর। কেমন একটা আলসে-আলগোছে ভাব আছে, আমার ভাল্লাগে।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ পদ্ম পুকুর
১২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৩
নিউটন বিশ্বাস বলেছেন: কোথায় জেন তীব্র যন্ত্রনাবোধ আছে লিখনিতে।।
১৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: পাঠকের মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ...
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫০
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ‘ইদানিং নাকি অসহ্য রকম জটিল হয়ে যাচ্ছি!
কথার ঘুরপাকে, গল্পের উপসংহারে শূন্য শূন্যতা খুঁজি
সরল পথে ড্রেজার হয়ে পাথরে পাথর খুঁড়ি!’
---অসাধারণ !