নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রেন্ড, ফান, ফ্রাস্টেশন...

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪০



আঠারো থেকে পঁচিশ বছর বয়সের মধ্যে আটকে আছি। শিক্ষক হিসেবে দ্বিতীয় সেমেস্টারে নির্ধারিত কোর্স পড়ানোর মধ্য দিয়ে প্রতিটি ব্যাচের সাথে পরিচিতি শুরু, মাস্টার্সে গিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সমাপ্তি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমার শিক্ষকদেরকে দেখতাম তাড়াহুড়ো করে রুমের তালাখুলে এটেণ্ডেন্সের রেজিস্ট্রার খাতা নিয়ে ক্লাসে ঢুকতেন। ঠিক ৫০ মিনিট পার হলে খাতাটা অফিস রুমে রেখে চলে যেতেন। অথচ একজন শিক্ষকের দরজা তো শিক্ষার্থীদের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মঘন্টা খোলা থাকার কথা। শিক্ষকদের কিসের এত ব্যস্ততা?

ফারদিন ইফতেখার দিহান বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে বাদীর মেয়ে স্কুলছাত্রীকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর ৬৩/৪, লেক সার্কাস ডলফিন গলি, পান্থপথ, কলাবাগানের ফাঁকা বাসায় মেয়েটির সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে। সে সময় প্রচুর রক্তক্ষরণে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়ে। দিহান মেয়েটিকে নিয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যায়। সেখানে মেয়েটির মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা নিহত কিশোরীর যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন। তার শরীরের অন্য কোথাও কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নিহত কিশোরীর সঙ্গে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত দিহানের পূর্ব পরিচয় ছিল। নিহত কিশোরীর এক বান্ধবীর মাধ্যমে দিহানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরেই বাসা ফাঁকা পেয়ে কিশোরী প্রেমিকাকে তার বাসায় নিয়ে যায়। সনদ অনুযায়ী দিহানের জন্ম তারিখ ২০০২ সালের ২৫ মে। ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ১৮ বছর সাত মাস। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ফারদিন ইফতেখার দিহান আমার শিক্ষার্থীর বয়েসি একজন। দিহান যে বিকৃত যৌন রুচির পরিচয় দিয়েছে সে দায় কী কেবল দিহানের একার? নাহ, শিক্ষক হিসেবে এই দায় খানিকটা আমার উপরও বর্তায়। ক্লাসরুম আসলে একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে একজন শিক্ষককে পারফর্মেন্স করতে হয়। ৮/১০টা চ্যাপ্টার পড়লেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, আমার কাজ আরো বৃহত্তর শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন। নাজুক কিংবা দূর্বল শিক্ষার্থীর হাতটা শেষ পর্যন্ত শক্ত করে ধরে রাখাতে হবে। অন্তত সেই নীতিতে আমি বিশ্বাসী। শিক্ষার্থী ক্লাস রুমে অমনোযোগী হলে, ক্লাসে অনিয়মিত হলে কিংবা মানসিক অস্থিরতার ভিতর দিয়ে গেলে সেটা একজন শিক্ষকের চোখ এড়িয়ে যাওয়ার কথা নয়। দিহান’রা কি তাহলে পরিবারে কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিভাবক স্থানীয়দের পূর্ণ মনোযোগিতা পাচ্ছে না?

প্রায়শ শিক্ষার্থীদের ফেসবুক বায়োতে লেখা থাকে ‘I am, what I am’ কিংবা ‘My life, my rules’। বাচ্চারা কেন এতটা ঔদ্ধত্ত্যপূর্ন বাক্য লিখেন? ক্লাসে একদিন কথা ছলে জানতে চেয়েছি এই বাক্য দুটো আসলে কি বার্তা দেয়। প্রত্যেকজন একক আসলেই একক। তবে তার জানা প্রয়োজন আসলেই সে কে। জানা জরুরী ব্যক্তিজীবনে কোন নিয়ম-নীতি সে অনুসরন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষার্থীদেরকে বলি, জীবন হলো ……। শূন্যস্থান পূরণ করেন। বেশির ভাগই নেতিবাচক শব্দ বসায়। অর্থ সংকট আর ইগনোরেন্স সুনির্দিষ্ট এই বয়সটার উপর জেঁকে বসেছে। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়েসীদের কেবল Friend, Fun & Frustration নয়, তরুণরা বরং কথা বলুক Family, fair & Future নিয়ে। Plain Living- High Thinkingকে ছুঁড়ে ফেলে এখন বহুল চর্চিত কনসেপ্ট High living- Plain Thinking। আত্মীয় বন্ধুদের বাসায় দেখি অনেকেই ডাইনিং টেবিলে বসে একসাথে খাবার খায় না। নিজের রুমে কম্পিউটারের সামনে বসে খায়। Dining Table Manner তাহলে শিখছে কোথায়? পারিবারিক সহযোগিতা অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। সামাজিক শাসন কথাটা বইয়ের পাতা থেকেও মুছে যেতে বসেছে!

সময়ও জানিয়ে দিচ্ছে, সময় এখনো আছে সচেতন হওয়ার। এক দিহানের শাস্তি নিশ্চিত হলেই সমাজ শুধরে যাবে না। সন্তানকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন চেনানোর দায়িত্বটা সমাজের সবার। সুদিন আসবেই; আমি আশাবাদী মানুষ। শিক্ষকতা ছাড়া আমার কোনো ব্যস্ততা নেই, আমার কর্মঘন্টার পুরোটা সময় দরজা খোলা থাকে শিক্ষার্থীদের জন্য। যেকোন বিষয় নিয়ে নিঃসংকোচে আলাপ করতে আমি আগ্রহী। বেঁচে থাকলে এই আগ্রহ জারি থাকবে ২০৫০পর্যন্ত, ইনশা আল্লাহ।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:

শিক্ষকতার ১০ বছর পূর্তিতে অভিনন্দন !
পোষ্টের কনটেক্সট ভালো লেগেছে ।


১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মিরোরডডল। ভালো থাকুন।

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা আত্মকেন্দ্রিক যাতে না হয়ে যায় সেদিকে বাবা মা এবং স্কুলে শিক্ষকদের নজর দিতে হবে।সে অন্যের প্রতি যত্নশীল কিনা,সবার সাথে বন্ধুসুলভ আচরন করে কিনা খুব মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষন করতে হবে।ছোটবেলাটা যদি ভালভাবে গড়ে দেয়া যায় তবে আর সমস্যা হবার কথা না।
আমাদের দেশে বাবা মার শিক্ষাটাই ঠিক মত হয় নাই,ছেলে মেয়েরা মানুষ হবে কিভাবে।
আপনার সাফল্য কামনা করি

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বাবা টাকার পেছনে ছুটছেন, মা ব্যস্ত সংসার নিয়ে। বাচ্চাদের মনোজগৎ নিয়ে কেউ ভাবছে না।
ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০০

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: দশ বছর পূর্তিতে আপনাকে অভিনন্দন।
আপনার আশা পূর্ণ হোক সেই কামনা।
মাত্র চল্লিশ মিনিটের ক্লাসে ম্যাম যখন ক্লাসে এসে মাত্রই ছিটকিনি দিয়ে দেয়, আর কাউকে ঢুকতেই দেয় না তখন কি বলার থাকে আমার জানা নেই। পুরো সময় নিঃশ্বাস আটকে বসে থাকো, পাশের বান্ধুবির দিকে তাকালেই রণ হুংকার ছাড়ে, তখন মনে হয় ম্যাম তাদের সাথে যা হয়েছে তার শোধ আমাদের উপর তুলছে। শিক্ষকরা তোতা পাখির মত লেকচার দিয়ে চল্লিশ মিনিট পার করে দিয়ে দিন শেষে কতটা সাফল্য কিংবা মানসিক স্বস্তি পায় আমার জানা নেই।
আপনি সেই চেইন থেকে যেন বেরিয়ে আসতে পারেন সেই শুভকামনা রইলো।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ। ভালো থাকবেন।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




সঠিক ভাবনাচিন্তা

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপু তুমি একজন শিক্ষিকা তা ভাবতেও ভালো লাগে। সংসার, সমাজ এবং দেশে সেবা করে যাচ্ছো।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪০

সোহানী বলেছেন: সহমত। কিন্তু এরকম অবস্থায় সমাজ একদিনে পৈাছায় নাই। অস্তে অস্তেু পচেতে শুরু করে এখন গ্যাংগ্রিন পর্যায়ে আছে। এ নিয়ে আমার মনে হয় বেশ ক'টি লিখা আছে। কিন্তু এককভাবে আমি আপনি কিছু করতে পারবো না। রাস্ট্র এগিয়ে আসতে হবে, আইন নিরপেক্ষ হতে হবে, পারিবারিক বন্ধন ঠিক করতে হবে। তারপর সমাজ আপনা আপনি ঠিক হয়ে যাবে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সোহানী আপু, আপনি তো আমাকে তুমি বলে সম্বোধন করেন!
চোখের সামনে এই ধীরে ধীরে পঁচে যাওয়া দেখতে আর সহ্য হয় না।
সবাই পৃথিবী বদলে দিতে চায়, অথচ কেউ নিজেকে বদলাতে চায় না।

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: নান্দনিক নন্দিনী,





একটা নষ্ট সময়ের পিঠে দাঁড়িয়ে একজন সচেতন শিক্ষিকার সঠিক মানসিকতা নিয়ে প্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ লেখা । অবশ্য আপনার অনেক লেখাতেই সমকালীন সময়য়ের দ্বিধা-দন্ধের কথা লেখা থাকে , দেখেছি।

সকল শিক্ষক যদি আপনার মতো হতেন তবে এমনটা মনে হয় আমাদের দেখতে হতোনা! দুঃখ হয়, আমাদের শিক্ষকেরা পাঠ্যদানের গতানুগতিকতার বাইরে কিছুতেই যেতে চাননা বা যাওয়া যে যায় তা জানেনই না।

আপনার শিক্ষকতার ১০ বছর পূর্তিতে অভিনন্দনের পাশাপাশি কামনা, এমন করে একজন দায়িত্বশীল, সচেতন মানুষ হয়েই বোধ ও প্রাজ্ঞতার পথে এগিয়ে যাবেন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।
ভালোবাসা দিয়েই সব অন্ধকার দূর করতে হবে। মমতা দিয়ে ক্ষতগুলো সারিয়ে তুলতে হবে।
সবাই মিলে ভালো থাকার আনন্দ আর কিছুতে নেই। সুদিনের অপেক্ষায়...

৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: একজন দিহান একদিনে তৈরি হয়নি। আর আমাদের অসুস্থ সমাজই দিহান'কে তৈরি করেছে।
দিহানের বাবার অবৈধ সম্পত্তির হিসাব দেখেছেন পত্রিকায়?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দেখলাম। পারিবারিক নানাবিধ বিষয় নিয়ে মিডিয়া বেশ সরব।
বিলাপ কিংবা বিদ্রুপ নয়, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আশু কার্যকারিতা বয়ে আনবে।

৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: দশ বছর অনেক লম্বা সময়।
আপনাকে অভিনন্দন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: তা তো বটেই!
ধন্যবাদ।

১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সময়ও জানিয়ে দিচ্ছে, সময় এখনো আছে সচেতন হওয়ার।
.......................................................................................
শব্দটি অর্থ ব্যাপক, সময়কে অতিক্রান্ত করে যায়, তবে এর সাথে
লাল টকটকে ছবির সর্ম্পক কি বুঝলাম না ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সবকিছু বুঝতেই হবে, এমন তো নয়।

১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩২

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: আপনাকে অভিনন্দন দারুন একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মেহেদি_হাসান

১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৩৯

রানার ব্লগ বলেছেন: চারিদিকে যেখানে সবাই মিলে এই ব্যাপারটা কে নিয়ে মসলা মাখিয়ে মজাদার বানানোর চেস্টায় ব্যাস্ত সেখানে আপনার এই সুচিন্তিত মতামত কে সাদুবাদ জানাই।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ রানা। ভালো থাকবেন।

১৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৩৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপুনি ! তোমায় অন্তর হতে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
প্রায় ২১ বছর ধরে শিশু সুরক্ষা/ শিশু অধিকার/ জেন্ডার/জেন্ডার বেজড ভাইয়োলেন্স/ইয়ুথ এ্যান্ড ওমেন এমপাওয়ারমেন্ট/পজিটিভ ডিসিপ্লিন নিয়ে কাজ করছি। আমার অভিজ্ঞতায় বলে পরিবার, সমাজের এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা দ্বায়িত্ববাহক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং পরিচালনা পর্ষদ যদি সঠিক ভূমিকা পালন করে তবে সেখানে শিশু এবং নারী নির্যাতন অনেক কমে--কারণ তারাই তখন জবাবদিহিতার ভেতর চলে আসে----তাছাড়া বেশির ভাগ পরিবারের বাবা-মাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যগন সচেতন নয়, এটা শুধুমাত্র কম শিক্ষিত, নিরক্ষর পরিবারেই নয় অনেক তথাকথিত শিক্ষিত পরিবারের শিশুরাও বখে যায়--- আমাদের সময় স্কুলে যখন শিক্ষক আসতেন তখন অন্তত ৫-১০ মিনিট ডিসিপ্লিন শেখাতো গল্পের ছলে-- আমরা স্যার/ম্যাডামের কথাগুলোকে মনের ভেতর গেথে নিতাম এবং চর্চা করতাম------ একজন শিশু অন্যায় করলো তাকে শাস্তি দেয়া হলো-- কিন্তু পেছনে পড়ে থাকলো আরো লক্ষ শিশু !!! তাদের কি হবে !! তাদেরকে কে ভয়হীন পরিবেশে সুন্দর করে বেঁথে থাকার ও বিকাশের অধিকার দেবে !! আপু ! সময়উপযোগী একটি পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানাচ্ছি ----

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ লায়লা আপা। ভবিষ্যতে আপনার সাথে বাস্তবে দেখা করার এবং আলাপ করার ইচ্ছা থাকলো। [email protected] আমার ঠিকানা।

১৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: তা তো বটেই!
ধন্যবাদ।

আমার একজন প্রিয় শিক্ষক আছেন। প্রফেসর আলতাফ। স্যারের বাড়ি রাজশাহী। কিন্তু উনি থাকেন ফরিদপুর। স্যার ঢাকা এলে আমার বাসায় আসেন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই

১৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: একজন শিক্ষককে বুঝতে হয় তার পড়া রপ্ত করার জন্য
আর একজন লেখককে বুঝতে হয় তার লেখা হৃদায়ঙ্গম করার জন্য,
একজন কবিকে বুঝতে হয় তার কবিতার গভীরে যাবার জন্য

....................................................................................
আমি কি ভূল বলেছি ???

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ভূল বলে কিছু নাই, তবে ভুল আছে।
বুঝতে পারার জন্য মস্তিষ্ক থাকতে হয়, এবং সেটার ব্যবহার করে উত্তরটাও বের করা সম্ভব।
কোনো ধরনের অবান্তর প্রশ্ন না করলেই খুশি হবো। ধন্যবাদ।

১৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শিক্ষকতার ১০ বছর পূর্তিতে অভিনন্দন ! নন্দিনী

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপা।

১৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: ইতোমধ্যেই এই বিষয়টা থিতিয়ে এসেছে। আমাদের সমাজের নানা অনুষঙ্গের মধ্যে এই দ্রুতই সবকিছু মিলিয়ে যাওয়ার ধারাটা অনেককেই অবাঞ্ছিত কাজ করতে উৎসাহ যোগায়। সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি এ যায়গা থেকেও আমাদের বের হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

শেষে এসে আপনার আশাবাদ এবং আহ্বানটা ভালো লাগলো। 'ছেলের হাড়হাড্ডি আমার আর বাকি সব আপনার' শিক্ষককে শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বলা এমন কথার দিন চলে গেছে, এখন তাই শিক্ষকের বন্ধুত্বই পারে শিক্ষার্থীকে সঠিক শিক্ষা পৌঁছুতে।

ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ পদ্ম পুকুর, ১৮ থেকে ২৫ বছরের ছেলেমেয়েদের জন্য কাউন্সিলিং করতে গিয়ে কতকিছু যে জানতে পেরেছি!
এবং Love is the best Medicine।

১৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৫

রামিসা রোজা বলেছেন:

অভিনন্দন জানাতে বড্ড দেরী হয়ে গেলো ।
ভালো থাকুন সবসময় ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ রামিসা। আপনিও ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.