নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে কোনো ভূমিকায় সমানে লড়ে যাই, আপনি যেমন চান আমি ঠিক তাই।

নান্দনিক নন্দিনী

লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।

নান্দনিক নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়ান্ডার এজ…

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫০



বাচ্চাদেরকে যখন good touch- bad touch শেখানে হচ্ছে ঠিক তখন কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী’রা গণমাধ্যমে বারংবার সংবাদ শিরোনাম হচ্ছেন বিকৃত যৌন আচরণ এবং মাদক গ্রহনের সংবাদে শিরোনামে। দিহানের বিকৃত যৌনাচারে ভিক্টিম নিহত আনুশকা এবং মাদক গ্রহণ/ নিয়মিত ডিজে পার্টিতে অংশ নেয়া নিহত মাধুরি, আরাফাত, আটককৃত রায়হান ,তাফসীর ও নেহার নাম সবার এখন সবার জানা। উল্লেখিত এই ৭জনের বয়সই ১৭ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। সদ্য টিন এজ পেরোনো ছেলে-মেয়েদের নিয়ে গণমাধ্যমে উঠে আসছে বেশ হতাশাজনক তথ্য।

১৭ থেকে ২১বছর বয়সটা একটা ওয়ান্ডার এজ। এই বয়সটাকে ঠিক বুঝতে পারা যায় না। ধরা যায় না কী এর গতিপ্রকৃতি। এই বয়সের ধর্মই হল কিছু বুঝতে না দেওয়া। নিজেদেরকে এমন একটা আচরণের মধ্যে রাখা যাতে অন্যরা তাদেরকে বুঝতে না পারে। ওপরে ওপরে হয়তো অনেক কিছু তারা মেনে নেয়, তবে ভেতরে ভেতরে সাপের মতো ফুসতে থাকে। নানান ভাবে নানান কায়দায় উর্ধ্বে তুলে রাখে নিজেদেরকে। এদের সাম্প্রতিক সহিংস আচরণ প্রতিনিয়ত রূপ বদলে আরও নতুনরূপের ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে যে বিষয়টা শক্তিশালী হয়ে উঠছে তা হলো আশংকা।

৭জানুয়ারী ২০২১, বৃহস্পতিবার ফারদিন ইফতেখার দিহান (বয়স ১৮) দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে স্কুলছাত্রীকে মোবাইল ফোনে ডেকে তার বাসায় নিয়ে যায়। এরপর ৬৩/৪, লেক সার্কাস ডলফিন গলি, পান্থপথ, কলাবাগানের ফাঁকা বাসায় ১৭ বছরের মেয়েটিকে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন করে। নির্যাতনের সময় প্রচুর রক্তক্ষরণে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়ে। দিহান মেয়েটিকে নিয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যায়। সেখানে ভিকটিমের মৃত্যু হয়। গণমাধ্যম প্রতিবেদনে বিকৃত যৌনাচারের কথা উঠে এসেছে। কৃত্রিম জননেন্দ্রিয় ব্যবহারের কথাও বলা হয়েছে। ময়নাতদন্তকারী ডা. সোহেল জানান, মাস্টারমাইন্ডের ওই শিক্ষার্থীর যৌনাঙ্গ ও পায়ু পথ— দুই দিক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

৩১ জানুয়ারি ২০২১, রবিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থানায় ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বাবা ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। গত ২৮ জানুয়ারি ২০২১ বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান। মদ্যপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর রোববার তরুণী মারা যায়। এ ঘটনায় গত ৩১ জানুয়ারি চারজনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ওই তরুণীর বাবা। রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগের মামলায় তার দুই বন্ধুকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন, মর্তুজা রায়হান চৌধুরী (২১) ও নুহাত আলম তাফসীর (২১)।

স্যাডিস্ট বা ধর্ষকামী দিহান তার সম্পর্ক বেছে নিয়েছে নিখুঁত স্বতঃস্ফুর্ততায়। যেমনটা বলা হয়, স্যাডিস্টদের বেশিরভাগ ভিক্টিম হলো তারা যারা অনোন্যপায় বা স্বেচ্ছায় তাদের কাছে গিয়ে হাজির হয়। তাদের লালসা তৈরি হয় সেইসব মানুষদের প্রতি যাদেরকে তারা প্রায়শ দেখে। নিয়মিত ডিজে পার্টিতে অংশ নেয়া মাদকাসক্ত আরাফাত, মাধুরি, রায়হান, তাফসীর এবং নেহা একে অন্যের বন্ধু। তথাকথিত এই বন্ধুরা রাতের আধারে একে অন্যের ঘনিষ্টজন হয়ে যান। এই অস্থির সময়ে বন্ধুত্ব নামক সম্পর্কটা একটা টাইম বোমায় রূপ নিয়েছে। বন্ধু! ক্রমশ হয়ে যাচ্ছে যৌন নিপীড়ক এবং হত্যাকারী।

আমার স্নাতক কোর্সের শিক্ষার্থী’রা বেশিরভাগই মুভি দেখে না। দেখে নেটফ্লিক্সের সিরিজ। গুটিকয়েক যারা মুভি দেখে তারাও ইংলিশ থৃলার দেখে। তো ক্লাসের একঘেয়েমি কাটানোর জন্য কিংবা ক্লাসের শুরুতে ‘আইস ব্রেকিং’ সেশনের জন্য রকমারী থেকে বেশ কিছু থৃলার নিয়েছি। স্টিগ লারসনের ‘দ্যা গার্ল উইথ দ্যা ড্রাগন ট্যাটু’ শেষ করলাম। এই দ্যা গার্ল হলেন লিসবেথ সালান্ডার, বয়স ২৬। একজন প্রাইভেট গোয়েন্দা, দক্ষ হ্যাকার। লিসবেথ নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিলস বুরম্যানের সঙ্গে যৌনকর্ম করতে বাধ্য হয়। এডভোকেট নিলস বুরম্যান বয়স ৫০। ডিভোর্সি। সন্তান নেই। তিনি গ্রিনপিস এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সদস্য। বুরম্যান লিসবেথের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার প্রোটেকশন গার্ডিয়ান। একজন ভয়াবহ মর্ষকামী লোক। সহজ করে বললে, বিশুদ্ধ মানসিক বিকারগস্ত বা সোশিওপ্যাথ। বুরমান লিসবেথকে ব্যাংক চেকে সাইন নেয়ার জন্য নিজের ফ্ল্যাটে ডেকে এনে বিকৃত যৌন আচরণ করে। বুরম্যান ডিলডো নামের কৃত্রিম জননেন্দ্রিয় আর রাবারের মুখোশ ব্যবহার করেছিল। সাথে হাত বাধার জন্য হ্যান্ডকাফ এবং চাবুক। এক পর্যায়ে এনাল প্লাগটা পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেয়।

কারোনায় বেশখানিকটা অবসর জুটে যাওয়ায় নেটফ্লিক্সে বেছে বুছে কয়েকটা সিরিজও দেখলাম। সিরিজগুলো প্যাটার্ন্ড। ঘুরেফিরে মূল বিষয় ৩টি। এক- যৌনসংসর্গ। দুই- প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা। এবং তিন- হত্যা। হিউম্যান বডি একটা অবজেক্ট। মুড আসলে ক্যাজুয়াল সেক্স। প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বিকৃত যৌনাচার কিংবা পাশবিক নির্যাচন। আর হত্যা ব্যাপারটা হলো ক্ষমতার স্বাদগ্রহন। প্রতিপক্ষকে নাশ করে লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে যে। বিচ্ছিন্নতা, আধুনিক নিঃসঙ্গতা, মোহ, ভুল পন্থার ব্যবহার বিরামহীনভাবে উঠে আসছে পর্দায়। একটা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে তার থেকে অপেক্ষাকৃত আরেকটা যন্ত্রণা আমদানি করবার দরকার হয়ে পড়ছে। সুকৌশলে সিস্টেমেটিক পাশবিকতাকে দেখনো হচ্ছে ডিটেইলসে। সিরিজগুলো দেখে বুঝলাম, আত্মকেন্দ্রিকতা, আদর্শহীনতা, অস্থিরতা, অতৃপ্তির মতো ‘অসহ্য জটিলতা’ সমূহ প্রযুক্তি ছাড়া এত দ্রুত আর কোথাও ছড়াতে পারে না।

এই প্রজন্মের সামনে কোনো নীতি নেই, নাই কোনো দিকনির্দেশনা। নেই কোনো নৈতিক ফ্রেমওয়ার্ক। সবনীতির মূল নীতি যে নৈতিকতা, সে কথা সতর্কতার সাথে এড়িয়ে যাওয়া হয়। সমন্বয়হীনতা, লোভ, নীতিহীনতা শক্তিশালী ভাইরাসের রূপ নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে। জীবাণুর চেয়েও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের অপরাধ প্রবনতা। জিঘাংসায় ভরা উঠেছে মানুষের মন। অবিশ্বাস এত দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে যে কোথায় এর সীমারেখা টানা হবে বাস্তবতা তা বুঝতে পারছে না।‘ওয়ান্ডার এজ’ এর সাম্প্রতিক বেপরোয়া জীবনপদ্ধতির ব্যাপারটা হয়ে উঠেছে একটি সামাজিক গ্রেনেডের মতো, যা কেউ স্পর্শ করতে চাইছে থেকে এরা অর্জন করছে কেবলই শূন্যতা। আমরা এতটাই সংকীর্ণ যে গানিতিক হিসাবের বেড়াজালের বাইরে আর কিছু ভাবতে পারছি না। প্রতিটি বিপর্যয়কে আমরা হিসাবে করছি সংখ্যা দিয়ে, কতটা -কতবার।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০০

নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক এই বিষয়ের উপর লিখেছিলাম, পড়ে দেখতে পারেনঃ
নষ্ট সমাজ ব্যবস্থা ১১ঃ আর কত অধঃতন হলে আমাদের বোধদয় হবে?
আজকালকার বাবা মা সন্তান জন্ম দিয়ে দিয়েই খালাস। আর এদের কোন দায় দায়িত্ব নেই!
আকাম কুকাম করে মরে গেলে থানায় যেয়ে একটা ধর্ষনের কেস করে দিয়ে আসে নিজের আর পরিবারের মান সম্মান বাচানোর জন্য। চ্যাপ্টার ক্লোজ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অবশ্যই পড়ে দেখবো নীল আকাশ।

বাবা-মায়েদের উপর ক্ষুব্ধ হবেন নয়া প্লিজ। তারা তাদের মতো করে চেষ্টা করেন।
সন্তানদেরকেও নিজেদের ভালো-মন্দ নিয়ে তাদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যৌন বিষয়গুলো শিখাতে হবে স্কুল থেকেই বিজ্ঞান সম্মত ভাবে।ছেলে মেয়েদের সাথে বাবা মায়ের সম্পর্ক হবে বন্ধুর মতো।

আদর্শগুলো জট পাকিয়ে গেছে।একদল বলছে ধর্মীয় আদর্শ,অন্যদল বলছে মানবিক আদর্শ।ইন্টারনেট এর কারনে যুক্তি পাল্টা যুক্তির কোন অভাব নাই।সমস্ত মানব জাতী আছে একটা বিরাট পরিবর্তনের যুগে।এই পরিবর্তনটা চলবে একটা লম্বা সময় ধরে।
নতুন আর পুরাতনের মধ্যে একটা সংঘর্ষ চলছে।এই সময়টায় সমাজকে রক্ষনশীলতা থেকে আরেকটু বেরোতে হবে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম।
বানান করে পড়তে এলাম। কেমন আছেন?

এক পোষ্টে অনেক গুলো বিষয় উঠে এসেছে। অবশ্য সব কিছুর সাথে সব কিছুর একটা সামঞ্জস্য আছে। মানুষ অনেক কথা বললে, এক কথা থেকে আরেক কথায় চলে যায়। আমি নিজেও এমনটা করি।

আসলে পরিবার থেকে খেয়াল রাখলে ছেলেমেয়ে বিপথে যেতে পারে না। বাবা মা অনেক গুলো সন্তান জন্ম দেয়। কিন্তু সঠিক খেয়াল রাখতে পারে না। জন্ম দেওয়া সহজ। কিন্তু সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করা অনেক কঠিন।
আজকাল মুভি থেকে ওয়েব সিরিজ গুলো দূর্দান্ত হচ্ছে। আমি নিজেও দেখি মুগ্ধ হয়ে।
বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের আমি বুঝি না। এদের কর্ম কাণ্ড দেখলে মনে হয় এরা নষ্ট হয়ে গেছে।
আপনি দশ মিনিট টিকটক দেখলেই বুঝবেন, বর্তমান প্রজন্মের অবস্থা কি।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৬

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৪৬

কোলড বলেছেন: You are mixing up sadism with masochism. Burman in "Girl with the Dragon Tattoo" was a sadist not masochist as you have written. I don't see anything wrong with Sadism or Masochism.
You might want to watch a wonderful Polanski movie, " Venus in the Fur" which is all about masochism. The original book was written by Leopold Masoch and I'm sure you know the origin of the word Masochist.

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: Thank you very much!
Have edited this copy.

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার প্রতি মন্তব্য পড়ে আবার ফিরে আসলাম।
এই মেয়ের বাবার দাবী তার মেয়ের চেয়ে ভাল মেয়ে আর হয় না। তার কোন বয়ফ্রেন্ড ছিল না। অতিশয় লক্ষী মেয়ে। অথচ এই মেয়ের ছবি সোশাল মিডিয়াতে আপলোড করা হয়েছে নাকি নিজের পেজ থেকেই। ভদ্র একটা ছবি দিলাম। যেহেতু মৃত বাকি আর দিলাম না। কোন পরিবারের মেয়ে রাতের নিজের বাসায় না ফিরে বন্ধুর বাসায় চলে যায়, ফামিলির কোন খবরও থাকে না? পরের দিন টনক নরেছে মরার পর।

(এই ছবি খুব ক্ষিপ্ত হয়ে দিয়েছি, কেউ আঘাত পেলে লজ্জিত।)

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বাবা-মা নিষেধ করলেই যে তারা লক্ষ্মীবাচ্চা হয়ে যেত ব্যাপারটা তেমন নয়।
ফ্যামিলির খবর থাকে/রাখে, এবং নিরুপায় হয়ে চুপ থাকে।

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন । করোনা থেকে সাবধান থাকুন। ঘরে বাইরে সব সময় সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিবেন। বাইরে গেলে মাস্ক মাস্ট।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ (আবারও)

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনাম বদলে ভালো করেছেন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ (পুনঃপুনঃ বার)

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: প্রসঙ্গত বলে রাখি আমি ওয়ান্ডার এজে আছি!

স্টিগ লারসনের "দি গার্ল উইথ ড্রাগন দ্যা ট্যাটু" পড়েছি ওটার সিকুয়েল দ্বিতীয় বই "দ্য গার্ল হু প্লেইড উইথ ফায়ার" ও পড়েছি। লিসবেথ সালান্ডার নরম্যানকে পরে কঠিন শাস্তি দেয়। ব্লমকোভিস্টের চরিত্রটি ভালো লেগেছে।

নেটফ্লিক্সের সব সিরিজ খারাপ না কিছু কিছু ভালো রয়েছে।
থ্রিলার পছন্দ করলে "মানি হাইস্ট" এবং "প্রিজন ব্রেকার" দেখতে পারেন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সিকুয়েল দ্বিতীয় বই 'দ্য গার্ল হু প্লেইড উইথ ফায়ার' পড়া হয়নি। খুব শীঘ্রই পড়ে ফেলবো।

জ্বী নেটফ্লিক্সের সব সিরিজ খারাপ না কিছু কিছু ভালো রয়েছে।

ধন্যবাদ!

৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৩৯

সোহানী বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লিখেছো। আমার প্রতিটি লিখাই বলতে গেলে এদেরকে নিয়ে লিখি। কিন্তু আজকাল নিজেই খুব অসহায় বোধ করি। কারন কেমন যেন অস্থির একটা সময় পার করছে সবাই। কোনটা ভালো কোনটা মন্দ তা বোঝার মতো বোধ শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। এর থেকে সমাধান চাই, সমাধান। আমার সন্তানদেরকে বাঁচানোর জন্য কোন ঐশ্বরিক শক্তি চাই কারন সামাজিক শক্তি সব ধ্বংস হয়েগেছে........................

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সমাজটা শুধু নষ্ট হয়ে যায়নি, বলা ভালো পঁচে পোকা কিলবিল করছে।
কোথাও কোনো ভালো খবর নাই।
মাঝে মাঝে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।

১০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৬

অজ্ঞ বালক বলেছেন: খুবই জরুরী পোস্ট, এই সময়ের হিসাবে। দুই বাচ্চার বাপ। এই সময়টা ভবিষ্যতে আমারও ফেইস করতে হইবো ভাবলে পেটের ভাত চাউল হইয়া যায়।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৯

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: 'নেমসেক' নামে হিন্দি ভাষায় একটি চলচ্চিত্র আছে। ইরফান খান এবং টাবু অভিনীত। এই মুভিতে ইরফান খান প্রবাসে বসবাস করেন পরিবার নিয়ে। তিনি তার ছেলের হোষ্টেলে যান ছেলের সাথে খানিকটা সময় কাটাতে। ছেলে তখন তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে মেয়েটার পরিবারে পরিচিত হতে গিয়েছিল। তাই ইরিফান গিয়ে তাকে পয়ান না। ইরফানের কাছে রুমের ডুপ্লিকেট চাবি থাকায় ইরফান বাসায় ঢুকে ছেলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকাকালীন সময়ে ছেলের বিছানাতে শুয়ে মারা যান।

মোট কথা, সেদিন বেশি দূরে নয়; আমাদেরকেও ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে এপোয়েন্টমেন্ট নিয়ে সাক্ষাত করতে হবে।

১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:২৬

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: দেরিতে হলেও আপনার পোস্ট পড়া শেষ করলাম।

সুন্দর কিছু বিষয়ের উপর আপনি আলোকপাত করেছেন। আশাকরি - এই পোস্টের সুবাদে আমরা পরবর্তী সিরিজ নির্বাচন করতে সাহায্য করবে।

বইয়ে দোকানে কাজ করার সুবাদে আমার এই তিনটা বই (দি গার্ল উইথ ড্রাগন দ্যা ট্যাটু" "দ্য গার্ল হু প্লেইড উইথ ফায়ার" এবং "দ্য গার্ল হু কিকড হর্নেস' নেসট";) পড়ার সৌভাগ্য হয়েছলো ২০১০ সালের দিকে।

ভালো থাকুন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: যেহেতু ২০২১ আমার থ্রিলার পড়ার বছর...
আশা করছি ' দ্যা গার্ল গু প্লেইড উইথ ফায়ার' এবং দ্য গার্ল হু কিকড হর্নেস নেসট' পড়ে ফেলতে পারবো ইনশা আল্লাহ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.