নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
সময়ের স্রোত যেদিকে নিয়ে চলেছে তার উল্টো দিকে কোথায় যেন বাঁধা পড়ে আছে আমার হৃদয়। নিজের গভীরে গুটিয়ে থাকা আমি প্রায়শই অনুভব করি, নিজের সাথে একটা বিভাজন তৈরি হয়েছে আমার। জেনেছি জীবনে একবার হলেও মানুষকে দুঃখের স্বাদ পেতে হয়। সেই দুঃখটা মানুষ কিভাবে যাপন করে সেটাই মুখ্য। দুঃখটা কার কাছ থেকে; কিভাবে পেয়েছিল সেটা মুখ্য নয়।
পরিস্থিতি যখন কোনো কিছু কেড়ে নেয়, এমন কিছু যা কোনোভাবেই প্রতিস্থাপন করা যায়না; তখন আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। মানিয়ে নেয়ার জন্য নিজের সাথে লড়তে থাকি প্রতিদিন। তারপর একসময় বেঁচে থাকার জন্য বাস্তবতাকে মেনে নিতে শিখে যাই। সহ্য করতে শিখি ক্ষতস্থানের ব্যথা। নিজের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যা কিছু, তার থেকে হঠাৎ বঞ্চিত হওয়ার অনুভূতি অনেকটা মৃত্যুকে মেনে নিতে শেখার মতো।
কিছু আঘাতের দাগ কোথাও থাকে না। সারাক্ষণ নিজের চাপা অনুভূতিগুলোর সাথে সময় কাটানোর চেয়ে ক্লান্তিকর জীবনযাপন আর কিছু হতে পারেনা। অপ্রাপ্তির সক্রিয় বেদনাবোধের কাছে মানুষ জীবনের ছন্দ হারিয়ে ফেলে। ভালোবাসার যথাযথ অনুভূতি তাকে আর আবেগি করেনা। মানুষ যদি সত্যিই মুক্তি চায়, তার জন্য হয় তাকে ছেড়ে দিতে হয়, অথবা চলে যেতে দিয়ে হয়। নতুবা সমস্ত জীবন একটা মস্ত শূন্যতার অংশ হয়ে বেঁচে থাকতে হয়।
'আপাত সফল কিন্তু প্রেমে ব্যর্থ একজন অধ্যাপক প্রায়শই স্বপ্নে পরাবাস্তব জগতে চলে যান। সেখানে ঘড়ি আছে কিন্তু কাঁটা নাই। মানুষের অবয়ব আছে কিন্তু শরীর নেই। ভিনদেশি একটি চলচ্চিত্রে দেখা এই দৃশ্যটা আমাকে ভীষণরকম বিষন্ন করে। প্রপঞ্চক আবেগের জন্ম নয়, একজনের অনুভূতির সাথে আরেকজন কিভাবে প্রতারণা করে সেই চিত্রায়ণ আমাকে ব্যথিত করে। এরকম কিছু দুঃস্বপ্নকে এড়িয়ে যেতে নিজের সাথে সমঝোতার সংকল্প করি।
চিন্তার জালে হারিয়ে ছুরিটা আমার নিজের দিকেই ফিরে আসে। অতঃপর নারী হিসেবে আমার বেদনাবোধ ও ক্ষমা। এবং পুরুষের অবস্থান থেকে শুভ'র অপরাধবোধ ও উপায়হীন অবস্থা নিয়ে ভাবতে বসে; জানালার বাইরে একটা দীর্ঘ জীবন তাকিয়ে থাকি...
০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:১৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮।
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন।
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: নান্দনিক নন্দিনী,
বরাবরের মতোই দুঃখবোধ কথন।
সময়ের স্রোতে ভেসে যাওয়াই জীবন, কোথাও আটকে থাকা নয়! আসলে যখন একটি জানালা রূদ্ধ হয়ে যায় তখন অবারিত হয় আরেকটি । কিন্তু সেই রূদ্ধ জানালার দিকে চেয়ে চেয়েই আমাদের সময় পার হয়ে যায় , অবারিত আরেকটি জানালার দিকে চোখ পরেনা কখনও। এভাবে বারবার জীবনের পুরোনো অধ্যায়গুলোই যদি পড়ে যেতে হয় তবে জীবনের নতুন অধ্যায় গড়া শুরু হবে কি করে!
০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।
৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:১০
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। জানিয়ে গেলাম তা।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: দিলেনতো কষ্টবোধ জাগিয়ে। তবে দু:খ সহ্য করাও যেনো সুখকে আহ্ববান করা মাত্র।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দিন চিরদিন খারাপ যায় না। ধন্যবাদ সুজন ভাই।
৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩৭
অধীতি বলেছেন: শহীদুল জহিরের একটা গল্পে খানিকটা এরকম পেয়েছিলাম। আপনার লেখা ভাল লাগে।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: শহীদুল জহির আমার প্রিয় লেখকদের একজন।
ধন্যবাদ অধীতি!
৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাস্তবতা নিয়ে সুন্দর লেখা। সব ধরণের ঝড়ঝঞ্ঝা দুরে সরিয়ে চলাই জীবন। এইটাই জীবনের সৌন্দর্য ।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:০০
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি!
৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৪২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লাগল।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ সোহেল।
৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৯
সোহানী বলেছেন: নন্দিনী, তুমি যা বলছো তাকে আমি বলি দু:খ বিলাশ। এ দু:খ বিলাশ উপভোগ কিংবা দুক্ষভোগ করতে সবাই পারে না। কিংবা বলতে পারো অনেকেরই সে মনই থাকে না নিয়ে বোধ জাগার। অথবা বাস্তবতার কঠিন কষাঘাত তাকে বাধ্য করে সব কিছু ভুলে থাকতে। তারপরও অনেকেই সে দু:খগুলো খুব যত্ন করে সিন্ধুকে ভরে রাখে। তারপর গভীর কোন রাতে একাকী সে সিন্ধুকের তালা খুলে তা একটু একটু করে বের করে।............
১০ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:১৪
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কিছু দুঃখ, জীবনের কাছে চির জীবনের সম্পদ হয়ে যায়।
আর সেইসব দুঃখ নিয়ে বিলাসিতা করবো না তা কি হয়!
১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫৪
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: বেদনাবোধ ও ক্ষমা vs অপরাধবোধ ও উপায়হীন অবস্থা মানবজীবনের এই দ্বান্দ্বিক অবস্থা বোধহয় চিরন্তন।
কিছু দুঃখ আসে এক জীবন লালন করার জন্যই বোধহয় । লেখা ভালো লেগেছে।
১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ।
'আমি
দুঃখ গুলো
টাকার মতো
গুনে দেখতে চাই'- রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
১১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৪৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: অনুভূতির সাথে প্রতারণা !
বাগ দারুণ বলেছেন তো!
১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:০৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কত্ত দিন বাদে ব্লগে এলেন!
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৩১
কামাল১৮ বলেছেন: আপনার সকল লেখাতেই গভীর একটা মনস্তত্ত্ব থাকা।থাকে একটা দুঃখবোধ।