নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি হচ্ছে প্রেমে পড়ার মতন একটা ব্যাপার, কোনো ধরনের কর্তৃত্ব জাহির করা নয়।
'আমরা প্রত্যেকেই তিন ধরনের জীবন যাপন করি- একটা সামাজিক, একটা ব্যক্তিগত আর অন্যটা গোপনীয়'। মানুষের তৃতীয় যে গোপন জীবনযাপন সেখানে একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো 'প্রেম'। প্রেম নামক সম্পর্কের সহজলভ্যতা; সম্পর্কগুলোকে তুলনামূলক কম স্থিতিশীল ও আবেগহীন করে ফেলেছে। একই সঙ্গে বেড়ে যাচ্ছে গোপনীয়তাও। অবিবাহিতদের গোপনীয়তায় থাকে একসঙ্গে একাধিক প্রেম আর বিবাহিতদের জন্য বিবাহ বহির্ভূত প্রেম! প্রচলিত সমাজে যা পরকীয়া নামে বেশি পরিচিত।
অন্য অনেকের মতো আমারও ধারণা ছিল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আধুনিক বিষয়। পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আমদানি কৃত। সামাজিক অস্থিরতা, ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবাদ, নৈতিক অধপাতের কারণে মানুষ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ায়। মধ্যবিত্ত মানসিকতা থেকে এমনটা জানা ও ভাবা অতি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু মধ্য যুগের বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়তে (এবং পড়াতে) গিয়ে রোমান্টিক প্রণয় উপাখ্যান নিয়ে একটু আধটু পড়াশোনার সুবাদে জানলাম, পনের শতকের ইউসুফ-জোলেখা, ষোল শতকের লায়লা-মজনু কিংবা সতের শতকের পদ্মাবতী প্রণয় উপাখ্যানের মূল কাহিনি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক।
সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়াতে বহুল চর্চিত অনুপম-পিয়া-পরম ত্রিকোণমিতি কান পাতলে এখনো শোনা যায়। কোনো কোনো ইউটিউব চ্যানেল তো অনুপমের হয়ে খানিকটা কেঁদেও নিজেকে হালকা করেছে। মনে হওয়াটা অস্বাভাবিক নয় যে, অনুপম-পিয়া-পরম' ই প্রথম যেখানে বিবাহ বহির্ভূত প্রেমের প্রমাণ মিলেছে। এর আগে পৃথিবীতে কখনো এমন ঘটেনি। ঘটেছে। রাধা সমস্ত চোখ ফাঁকি দিয়ে আয়ানের ঘর ছেড়ে অন্ধকার আর আষাঢ়ের ভারি জল ডিঙিয়ে ঠিক কৃষ্ণ'র বাঁশির টানে চলে আসতো। ওয়ার্দ আস সাকফী'র স্ত্রী লায়লা মজনু (কায়েস) এর প্রেম কাহিনিকে যুগ দুর্লভ ছয়টি বৈশিষ্ট্য দিয়ে আলাদা ভাবে চর্চিত। তবুও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে এখনো মধ্যবিত্ত শ্রেণির সিদ্ধান্তে আসতে সময় লাগে, এবং দীর্ঘ আলোচনা সাপেক্ষে তারা এটাকে অত্যন্ত খারাপ বলে রায় দেন।
সমাজ কামের দ্বারটি খোলা রাখলেও, প্রেম-ভালোবাসার দ্বারটি বোধহয় অভ্যাস নামক তালায় আবদ্ধ করে রাখতে চায়। তাই বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানে যে দুজন মানুষের পরস্পরের কাছাকাছি পছন্দ, মূল্যবোধ, বিচার-বিশ্লেষণ ক্ষমতা ব্যতীত কোনো গভীর বন্ধন তৈরি হয় না এটা আমার বেমালুম ভুলে যাই। বিশেষ করে বিয়ে ও দীর্ঘমেয়াদে একসঙ্গে বসবাসের জন্য এগুলো অপরিহার্য সেটাকে যথা সম্ভব অশ্রুত এবং অপলাপ করে ভাবি। বিয়ের বাজারে লাভ-ক্ষতি নিয়ে যত ভাবা হয়, শেয়ারবাজারেও ততটা ভাবা হয় কিনা আমার সন্দেহ আছে।
অতঃপর (যারা অসুখী দম্পতি) আজীবন প্রেমহীন কমিটমেন্ট-এ জিইয়ে থাকে দুটো নির্বাক শরীর; যার প্রয়োজন আছে কিন্তু কোনো ভাষা নেই, অনুভব নেই। অদ্ভুত এক মুখোশের আড়ালে কখনো নিজেকে, কখনো অন্যকে ঠকানোর ছলচাতুরির খেলা চলে। এই যে সমাজের এত-শত বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের চর্চা এটা নারী ও পুরুষ উভয়েরই সম্মিলিত আকাংক্ষার ফল। যদিও একসময় এ সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সামনে এসে দাঁড়ায় ব্যক্তির যাপিত দাম্পত্য সম্পর্ক। পারিবারিক অবিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, আইনের বেড়াজাল, আবার কখনো সামাজিক সম্মান বাঁচানো জন্য এই বেশিরভাগ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে আপাত সমাধান খুঁজে দেয়া হয়। কিন্তু সমস্যার শেকড়টা কেন সমাজের গভীরে প্রথিত হলো, কেন এই সম্পর্কের সংখ্যা হু-হু করে বাড়ছে সেটা নিয়ে সঠিক সমাধান জরুরি।
সরল রেখায় দাম্পত্য সম্পর্কে দুজন মানুষ 'বৈধ' শারীরিক সম্পর্ক, উত্তরাধিকার ও সম্পদের মালিকানার জন্যই দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। কিন্তু দাম্পত্য সম্পর্কে বিশ্বাস ও আত্মত্যাগ যখন একতরফা দায়িত্বে পরিনত হয়, তখন দাম্পত্য সম্পর্কটা বোধহয় আর অটুট থাকে না। যেকোনো পক্ষের জন্যই তা 'দাসত্ব' হিসেবে পরিগনিত হয়ে পড়ে। 'দাসত্ব' থেকে মুক্তি কে না চায়?
সামাজিক ভাবে এখনো ভাবা হয়, দাম্পত্যদূরত্ব সন্তান হলে আর থাকে না। দম্পতির মধ্যে ভালোবাসা, একসাথে থাকার আকাংক্ষার ফলাফল হলো সন্তান। আসলেই কি তাই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেটাই হয়তো সত্যি। তবে এমন বক্তব্যও অস্বীকার করা যাবে যে,
'কয়েক মিনিট সময়ের মধ্যে বিনা চিন্তায়, বিনা ইচ্ছায়, বিনা ভালোবাসায় কি স্ত্রীলোকের গর্ভে সন্তান আসে না?' (দোসর চলচ্চিত্রের নায়িকা মালতীর কন্ঠে কালাতিক্রমী স্বাভিমান বাক্য। দাম্পত্যের টানাপোড়েন নিয়ে নির্মিত দোসর চলচ্চিত্রের কাহিনি প্লট বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক)
আমরা যদি 'প্রতারণাবিহীন' 'পরকীয়াবিহীন' সমাজ সত্যিই কামনা করি, তাহলে দেখতে হবে এ সমস্যার মূল কোথায়। ব্যাপারগুলোকে কেবল 'অপরাধ', 'ভুল করে অন্যায়' 'বিশ্বাসঘাতকতা' কিংবা 'ওটা খারাপ' এই ধরনের অপবাক্য আওড়ে ব্যাখ্যার চেষ্টা করে খুব একটা ভালো ফল যে পাওয়া যাবে না সেটা প্রমানিত।
ব্যক্তি মানুষ শূন্যতার এক অসীম শৃঙখলে বন্দি হয়ে পড়ছে। জীবনের মোহে পড়ে ছুটে চলছে। নিজের অবস্থার উন্নতির জন্য, ‘ভালো’ বেতনের কাজের সন্ধানে, আরও অনেক অনেক ‘ভালো’ কিছু খুঁজতে খুঁজতে ব্যক্তি মনের শূন্যতার দিকে হেলে পড়ে; ফলত অন্যদিকে অবহেলা জুড়ে বসে। তখন অবহেলিত যে তার মনে যে অভাব তৈরি হয়, তা পূরণের জন্য প্রয়োজন হয় নতুন আরেকটি সম্পর্ক। অভাব বোধের কাছে আত্মসমর্পণ করে অনেক বিবাহিত ব্যক্তিই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে যান। শুরু হয় মোরাল ডিলেমা বা নৈতিক সংকট।
পুঁজি প্রাধান্যশীলতার আজকের দিনে এই 'নৈতিক সংকট' মানুষের নিত্য দিনের সংগী। সিদ্ধান্তহীনতার সমস্যা। যখন প্রায় সমগুরুত্ব সম্পন্ন দুটি অবস্থানের মধ্যে যথোপযুক্ত একটিকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বেছে নিতে হয়, তখনই এই সমস্যার উদ্ভব ঘটে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক অবস্থান বেছে নেওয়াটা জটিল। কারণ দুটি অবস্থানের তাৎপর্য প্রায় অভিন্ন।
লিভিং টুগেদার সেপারেটলি' তত্ত্ব মতে, কেবল যে বৈবাহিক সম্পর্কে বিচ্ছিন্নতা তৈরি হচ্ছে ব্যাপারটা এমন নয়। বাবা, মা, ভাই, বোন, স্বামী স্ত্রী সবাই একে অন্যের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। একই বাড়িতে (পরিবারের সবাই) সম্পূর্ণ ভিন্ন রুচিবোধ সম্পন্ন অন্তঃকরণ নিয়ে কয়েকটা মানুষ একসঙ্গে বসবাস করে 'ঠিকই তবে মেরুকরণের মধ্যে দিয়ে প্রত্যেকেই বিচ্ছিন্ন।
'ফেইলড ম্যারেজ' সমস্যাটি কি সবসময় কেবল বিচ্ছিন্নতার? নাকি সমস্যা অন্য কোথাও? সমস্যাটা কি কোনো অনুর্বর জমিতে জন্ম নেওয়া অপ্রত্যাশিত কোনো বৃক্ষের ; যার অনাকাঙ্ক্ষিত শিকড় ছড়িয়ে গেছে সর্বত্র। সেদিন হয়তো বেশি দূরে নয় যেদিন; এখন গাড়ি যেভাবে মেকারের কাছে ঠিক করা হয়, পারিবারিক এবং বৈবাহিক সম্পর্কগুলোও তেমনই মেকারের কাছে ঠিকঠাক করে নিতে হবে। একটা ফুলকে আরো কয়েকটা দিন ফুলদানিতে সাজিয়ে রাখতে...
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: যদি সেটা সততার সাথে করা যায়...
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১২
ডার্ক ম্যান বলেছেন:
আমার এক বন্ধুকে জিজ্ঞেসা করেছিলাম। ভাবীর সাথে সেপারেশনে আছিস। প্রেম কর।
সে উত্তর দিয়েছিলো। আমার পক্ষে এটা সম্ভব না। আমি যতই খারাপ হয় না কেন। এটা আমি করতে পারবো না। ওর সাথে সংসার শেষ পর্যন্ত টিকবে না। ডিভোর্স এর পরে এটা নিয়ে ভাববো।
মনে মনে বললাম। তুই একটা বলদ।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অন্যের ব্যাপারে মতামত দেয়া সহজ ডার্ক ম্যান।
৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: ইসলামে যেহেতু প্রেমের সম্পর্কের অনুমোদন নাই, যেটা আছে সেটা হলো এতো টাকায় রাজি আছে কিনা।বিবাহের মুল সর্ত কিন্তু সেটাই।
সামাজিক জীবনে দুটি লোক সর্ত সাপেক্ষে সোটা বিবাহই হোক বা প্রেমেই হোক মিলিত হয়,যখন শর্তগুলো সিথিল হতে থাকে তখন বিচ্ছেদ অনির্বায্য।
পরকিয়া হলো নতুন করে দুটি মানুষের সম্পর্ক।সমাজ অনুমতি দেয় না বলেই চলতে থাকে গোপনে।যে সমাজে অনুমতি আছে সেখানে গোপনে থাকে না।তবে প্রথম জনের সাথে সম্পর্ক রাখা চলবে না।
বাচ্চা জন্ম দেয়ার সাথে বৈজ্ঞানিক কারণ ছাড়া অন্য কোন কারণ যুক্ত না।
সম্পদের বিষয়টা ইসলামে স্বীকৃত না।কেবল মাত্র স্বামাী মারা গেলেই সামান্য কিছু পাবে। আইনে কি আছে জানি না।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: কামাল১৮, বিয়ের মূল শর্ত দেনমোহর এমন ধারণা হওয়ার কী কারণ?
৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:০১
কাছের-মানুষ বলেছেন: ভাল লেখা।
আমি জানিনা এই লেখার সাথে আমার কমেন্টটি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায় কিনা!
মানব ইতিহাসে শত-শত বছর এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়ে বিবাহ নামক সম্পর্কটি দাড় হয়েছে। বিবাহ একটি সম্পর্কই নয়, এটি একটি সামাজিক আচরণ, দুজন নরনারীর মাঝে একটি প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ববোধ দাড় করায় বিবাহ! সহস্র বছর আগে বিবাহের আগের ব্যবস্থা কি ছিল? নিশ্চয় অনুমান করতে পারি নারী পুরুষ অবাধ-বিচরণ, বহু-গামিতা বাঁ লিভ-টু-গেদার! নারী সন্তান জন্মদানের পর পুরুষের অন্য নারীতে আসক্ত হওয়া, ফলাফল প্রকৃতির নিয়মে বাচ্চা লালন-পালনের দায়িত্ব নারীর উপর পরা! নারী হয়ে পরে অসহায়, একে-তো সন্তান পালন অন্যদিকে জীবিকার জন্য নিরাপত্তা হীনতায় ভুগা! আর যেহেতু নারী সন্তান জন্ম-দান করে তাই শারীরিক অবস্থার ভঙ্গুর হয় সন্তান জন্ম দানের মধ্যদিয়ে! আমরা জানি মানব শিশুর মস্তিষ্ক পরিপূর্ণ হতে প্রায় ৮-৯ বছর লাগে, এর আগে দরকার ছায়া, তাকে পালন করা! তাহলে সমাজের এই সমস্যা বাঁ বিশৃঙ্খলার সমাধান কি?
সমাজের এই বিশৃঙ্খলাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দরকার একটি সামাজিক স্বীকৃতি যেটি নর-নারীকে একটি কমিটমেন্টে আবদ্ধ করবে সম্মিলিতভাবে বাচ্চা-পালনে, নিজেদের ভবিষ্যৎ অর্থনীতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, রাষ্ট্রের মাঝে পরিবার নামক অসংখ্য রাষ্ট্র থাকবে, সামাজিক দায়ত্ববোধ তৈরি করবে। এই সামাজিক স্বীকৃতিই হল বিবাহ নামক সম্পর্ক, এটা হাজার বছরের ট্রায়াল এবং ইরোরের মাঝে দিয়ে গড়ে উঠেছে! তবে সব সিস্টেমের-মত বিবাহ নামক সিস্টেমেরও সমস্যা আছে, নর-নারী বিবাহের পর অন্য কারোতে প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে, পরকীয়া ইত্যাদি। তবে প্রশ্ন হল, এই সমস্যা সত্ত্বেও কি বিবাহ নামক সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার কি কোন ভাল বিকল্প আছে? লিভ টু-গেদার কি সামাজিক দায়িবোধত্ব তৈরি করে? সামাজিক স্বীকৃতি আছে! এটা কি বিবাহ নামক সিস্টেমের আগের ব্যবস্থা নয়, যেটি অলরেডি ফেইল করেছে! ভাবনার বিষয়!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সমাজে বিবাহ নামক সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নাই। এখনো অনেকের ধারণা কোনো মতে একবার বিয়েটা হয়ে গেলেই হলো, আর কোনো চিন্তা নাই। অথচ চিন্তার শুরু হয় বিবাহের পর থেকে। একজন ভিন্ন মানসিক সাথে সবকিছু শেয়ার করা খুব সহজ না।
৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নরনারীর জৈবিক মেলামেশা হলে সন্তান আসতেই পারে।
এটা বিজ্ঞানসম্মত।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বিজ্ঞানসম্মত এতে কারো দ্বিমত নাই। বিষয়টা হচ্ছে দাম্পত্য সম্পর্কে ভালোবাসার অনুপস্থিতিও মেনে নিতে হয় মাতা-পিতার দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে।
৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৭
নতুন বলেছেন: মানুষ যতই বন্ধন ছাড়া সম্পকের কথা মুখে বলুক এবং শুধু যৌন চাহিদা পুরুন করুক লিভ ইন বা অন্য যে কোন নামে।
একটা সময়ে এসে মানুষ ঠিকই একজন সঙ্গী চায় যেন একা থাকতে না হয়।
ভালোবাসার মানুষের পাশে বসে থাকাও সুখকর।
মানুষের ভালোবাসার মতন কেউ আছে এই নির্ভরতা মানুষের জীবনে একটা তৃপ্তি এনে দেয় যেটা ক্ষনস্থায়ী রোমান্টিক সম্পর্কে পাওয়া যাবে না।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন, পৃথিবীর সব সম্পর্ক হয়ে উঠুক নির্ভরতার।
৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: মূলত মানুষের জীবন হওয়ার কথা ছিলো সহজ সরল সুন্দর। কিন্তু আমরাই জীবনকে জটিল করছি। তাই মৃত্যুর আগে কর্মফল ভোগ করেই যেতে হবে।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আপনার বর্ণিত এই 'আমরা'র মধ্যে থেকে আমাকে বাদ দিবেন প্লিজ
৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাঙালি জাতি বিয়ে ম্যানিয়ায় আক্রান্ত এক জাতি, যার ভূরি ভূরি প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে।
অন্যের ব্যাক্তিগত বিষয়ে মানুষের প্রচন্ড আগ্রহ। একজনের ব্যাক্তিগত বিষয় অন্যজন নির্ধারণ করে দেয়।
লেখাটি ভালো লেগেছে।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: লেখা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো জ্যাক স্মিথ
৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭
নীলসাধু বলেছেন: এই পৃথিবী দ্রুত বদলে যাচ্ছে, সাথে মানুষগুলোও। এখন আমরা যা কিছু নিয়ে ভাবছি লিখছি তা আর কিছুদিন পর অসার প্রমাণ হবে। এই সব অসারতার তালিকায় প্রথম দিকে থাকবে প্রেম ভালোবাসা এবং এই নিয়ে বিবিধ বিষয়াবলী।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ নীলসাধু।
১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
মিরোরডডল বলেছেন:
নন্দিনী, অনেকগুলো ভিন্ন বিষয় আছে লেখায় যা আলোচনা করাই যায়।
একজন কথা সাহিত্যিক বলেছেন
"একটা সময়ের পর Love making between husband and wife is the most painful."
যে সম্পর্কটা হওয়া উচিত সবচেয়ে প্লেফুল, ইঞ্জয়েবল, ফুল অভ পাগলামি, সেটাই হয়ে যায় আনন্দহীন, শুধুমাত্র শরীরের জন্য শরীর যেটা কখনোই কাম্য না। এটা হচ্ছে বিয়ের নেগেটিভ দিক।
পজিটিভ দিক অবশ্যই অনেক আছে একটা ফুলটাইম ফ্রেন্ড, শেয়ারিং কেয়ারিং, পরস্পরের ওপর নির্ভরতা, মায়া, ভালোবাসার স্পর্শ এরকম অনেক। ফিজিক্যাল লাভ একটা বয়সের পর থাকেনা, তখন সেই বাকি বিষয়গুলো দিয়ে আজীবন কেটে যায়।
কিন্তু কথা থেকেই যায়, ফিজিক্যাল লাভ ইগ্নর করাতো যাবে না, this is also very important.
লিভ ইনে রোম্যান্স লং রানে থাকে, লাভ লাইফ এঞ্জয়েবল হয়। কারণ বিয়ের মতো পেয়ে গেছি, নিজস্ব সম্পত্তি, এখন আর আকর্ষণ নেই এ বিষয়গুলো লিভ ইনে হয়না। এই সম্পর্কে চার্ম থাকে, স্পার্ক থাকে।
remaining everything as it is like married life.
দুটো সম্পর্কেই এক্সেপশন হতে পারে।
লিভ ইন অনেকসময় এডজাস্ট হচ্ছে না, ব্রেকআপ হয়ে যাচ্ছে, আবার বিয়ে করেও কেউ হ্যাপিলি একজীবন পার করে দিচ্ছে।
there are no blanket rules, varies from person to person.
যে যেভাবে হ্যাপি থাকে।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: এক 'সঠিক' মানুষ আজীবনের জন্য নিজের করে পাওয়ার নাম সৌভাগ্য।
পৃথিবীতে অসংখ্য অসংখ্য অসংখ্য সৌভাগ্যের বসতি গড়ে উঠুক।
১১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
প্রামানিক বলেছেন: লিভ টুগেদারে পরস্পর মিলেমিশে আর্থিক, মানসিক, শারীরিক ভালো থাকলে অনেক দিন টিকতে পারে তবে পরস্পরের মাঝে যে কেউ যদি সক্ষমতা হারায় তখন সেই সম্পর্ক টিকে থাকবে কিনা বলা যায় না। কিন্তু বিয়ে নামক সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকলে স্বামী স্ত্রী পরস্পর আজীবন পাশে থাকার সম্ভাবনা সম্পর্কে অনেকটা নিশ্চিত থাকে।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৩
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আজীবন পাশে থাকার সম্ভাবনা আজকাল আশংকায় রূপ নিয়েছে।
১২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২
কামাল১৮ বলেছেন:
আমি ইসলাম ধর্মের বিবাহের কথা বলেছি।অন্য ধর্মে এই বিষয়টা আছে কিনা জানা নাই।আবার মিলন ওওয়া ছাড়া তালাক দেওয়া যাবে না।এটাও ইসলামের আইন।
“ইসলামী শরিয়ত স্ত্রীর মোহর পরিশোধ করা স্বামীর ওপর ফরজ করে দিয়েছে। আর মোহর পরিশোধ করা ছাড়া বিয়েই হতে পারে না। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন, 'তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের থেকে যে স্বাদ গ্রহণ করো তার বিনিময়ে অপরিহার্য ফরজ হিসেবে তাদের মোহর পরিশোধ করো'- সূরা নিসা : ২৪।”
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৬
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মূল কথা হল, সম মানসিকতা সম্পন্ন মানুষেরই পরস্পরের শয্যাসঙ্গী হওয়া উচিত।
১৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৪
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মূল কথা হল, সম মানসিকতা সম্পন্ন মানুষেরই পরস্পরের শয্যাসঙ্গী হওয়া উচিত।
...................................................................................................................
এই বিবেচনায় যদি আমাদের সমাজ, সংসার চলত তাহলে
বাংলাদেশে জনসংখ্যার হার ১০ কোটির নীচে চলে আসত ।
আমাদের গ্রাম বাংলায় এবং অধিকাংশ শহরে দেখতে পাই, পরিবারের পিতা মাতা
মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন নিজ বিবেচনায় । সেখানে বর যদি প্রবাসী হয় তাহলে
কোন প্রশ্নই আসেনা । বলা হয়ে থাকে , বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে।
আমি একটা মেয়েকে জানতাম, তার বিয়ে হয়ে ছিলো বাবা মার চাপে । ছেলে বিদেশ ফেরত ,
বিয়ে করে ১৫দিন পর বিদেশ চলে যায় । অজ্ঞাত কারনে প্রায় ৭ বৎসর যাবত দেশে আসেনা ।
মেয়েটির শশুর শাশুড়ী জীবিত তারাও কোন ব্যবস্হা নিচ্ছেনা। এসব কারনে মেয়েটি দিন দিন
অসুস্হ হয়ে পড়ছে , কোন ভাবে লুকিয়ে একদিন আমার কাছে সাহায্যর জন্য আসল, ঐ সময়ে প্রত্যন্ত
অন্চলে আমার পক্ষে দরকারী সাহায্য করার সুযোগ ছিলনা, শুধু এটুকু বলতে পেরেছিলাম ............
সম্ভব হলে উকিল নোটিশ করে ডিভোর্স নিয়ে নুতন জীবন শুরু করো, ইসলামে এই সুযোগটি দেয়া আছে ।
পক্ষান্তরে, আমার বন্ধুর এক মেয়ের ঢাকা শহরে বিয়ে হলৈা খুব বড় অনুষ্ঠান করে , আমি শুধু জানতে চেয়েছিলাম,
সর্ম্পকটা কি ভাবে করলে ?
বন্ধু আর বন্ধু পত্নী জোর গলায় বল্ল কেন আমরা নিজেরা দেখে নিয়েছি । দুর্ভাগ্য কাকে বলে , সেই মেয়ে ১৫ দিন
ঘর করেনি , বাবার বাড়ী ফেরত আসল, আর কোন দিন বরের সাথে সংসার করে নাই ।
ইউরোপে তাই বিয়ের পূর্বে লিভ টু গেদার কে বেশী প্রশ্রয় দেয় ।
যা আমাদের মুসলিম সমাজে গ্রহনযোগ্য নয় ।
আবার পর্যবেক্ষণে বলা চলে, সময় ও সমাজের বির্বতনে দুটোরই প্রয়োজনীয়তা প্রমান করেছে ।
আবার বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রয়োজন শেষে থাকেনা তাই বিভিন্ন দেশে জন্মহার
নিম্নমুখী হতে চলছে । পূর্বে বিবাহ দ্বারা মেয়ের সারাজীবন খরপোষ ও সম্পত্তির নিশ্চয়তা প্রদান করে তাই
এখনও আমাদের সমাজ এটাকেই ভালো দিক মনে করে ।
যদি ও আজকালের প্রজন্ম তা বিশ্বাস করতে রাজী নয় ।
এতসব কারনে, দেশে দেশে মুতা বিবাহ আর পরকীয়ার বিস্তার ঘটছে আর ইউরোপ সমাজে ''পারিবারিক সংসার''
বলতে কিছুই থাকছে না ।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমার বিবেচনায় আমি নিজে চলতে পারছি, পুরো পৃথিবীর জন্য এটাই উল্লেখযোগ্য পাওয়া।
১৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৭
মহিউদ্দিন হায়দার বলেছেন: বেঁচে থাকার জন্য মানুষের একটা অবলম্বন দরকার। সেটা বিয়ে হোক, প্রেমে হোক যেভাবেই হোক না কেন. জীবন হয়তো যেকোন ভাবেই কেটে যাবে কিন্তু কোন বন্ধন ছাড়া জীবনের পথ পাড়ি দেয়া জীবন হতে পারেনা।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৮
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সত্যি তাই।
উপভোগের জন্য জীবনটা হয়তো ছোট,
পাড়ি দিতে গেলে তখন বোঝা যায় জীবন আসলে অনেক দীর্ঘ।
ধন্যবাদ মহিউদ্দিন হায়দার।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১২
রানার ব্লগ বলেছেন: লিভিং টুগেদারে আমি খারাপ কিছু দেখি না।