![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্যা হাম্বা এ্যান্ড ছাগু হান্টার। http://www.facebook.com/noshtos.angel.1
আওয়ামীলীগের ভারতের তোষন নীতি কবে থেকে এর মূল খুজতে গেলে আপনাকে একটু পেছনে ফিরে যেতে হবে। ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের সাথে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের একটি গোপ্ন চুক্তি হয়। এ ব্যাপারে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের দিল্লী মিশন প্রধান হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী মাসুদুল হক কে একটি সাক্ষাতকার দেন যেটি তার “বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে র এবং সি আই এ” বিশদ ভাবে সন্নিবেশিত আছে।
শোনা যায় এই চুক্তিতে সই করে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম মুর্ছা গিয়েছিলেন। চলুন দেখি কি ছিল সেই সাত দফায়ঃ
১। প্রশাষনিক বিষয়ঃ যারা সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছে তারাই শুধু মাত্র প্রশাসনিক পদে নিয়োজিত থাকতে পারবে। বাকীদের শূন্য জায়গা পূরন করবে ভারতীয় নাগরিক বৃন্দ।
২।সামরিক বিষয়ঃ বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশে অবস্থান করবে। ১৯৭২ সনের নভেম্বর মাস থেকে প্রতি বছর এ সম্পর্ক পুনরীক্ষনের জন্য দু দেশের মধ্যে বৈঠক অনুষ্টিত হবে।
৩। সামরিক বাহিনীঃ বাংলাদেশের নিজস্ব কোন সেনাবাহিনী থাকবে না। অভ্যান্তরীন আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মুক্তিবাহিনীকে কেন্দ্র করে একটি প্যারামিলিশিয়া বাহিনী গঠিত হবে। (রক্ষী বাহিনী নামে পরে যেটা তৈরী হয়)
৪। ভারত-পাকিস্তান সর্বাত্মক যুদ্ধ বিষয়কঃ সম্ভাব্য ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে অধিনায়কত্ব দেবে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান। এবং যুদ্ধ চলাকালীন সময় মুক্তি বাহিনী ভারতীয় বাহিনীর অধীন থাকবে।
৫। বানিজ্য বিষয়কঃ খোলা বাজার ভিত্তিতে চলবে দু দেশের বানিজ্য তবে বানিজ্যর হিসাব নিকাষ হবে বছর ওয়ারী এবং যার যা প্রাপ্য সেটা পরিশোধ করা হবে ষ্টার্লিং পাউন্ডে।
৬। পররাষ্ট্র বিষয়কঃ বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রশ্নে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবে আর যতদুর পারে ভারত এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে।
৭। প্রতিরক্ষা বিষয়কঃ বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বিষয়ক দায়িত্ব গ্রহন করবে ভারত।
এই ছিল সাত দফা চুক্তি, আমি এই চুক্তি নিয়ে কোন মন্তব্য করলাম না আপনাদের কাছ থেকে মন্তব্য আশা করি।
“সম্ভাব্য ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে অধিনায়কত্ব দেবে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান। এবং যুদ্ধ চলাকালীন সময় মুক্তি বাহিনী ভারতীয় বাহিনীর অধীন থাকবে” এই অনুচ্ছেদের কথা মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীকে জানানো হলে তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এর প্রতিবাদে তিনি রেসকোর্সে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পন অনুষ্ঠান বয়কট করেন।
পরবর্তী কালে এই সাতটি চুক্তি সামান্য পরিমার্জন করে ১৯৭২ সালের ১৯শে মার্চ বঙ্গভবনে বিশাল মহাসমারোহে ২৫ সালা “বন্ধুত্ব সহযোগিতা ও শান্তি চুক্তি” নামে স্বাক্ষতিত হয় ইন্দিরা ও শেখ মুজিবের মধ্যে। ততকালীন বাংলাদেশ জাতীয় লীগ ইহাকে “দাসত্ব” চুক্তি নামে আখ্যায়িত করে।
ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত হতে বিশ মাইলের মধ্যে অবস্থিত এলাকায় অবাধ বানিজ্য প্রচলনের মানসে ২৭শে মার্চ ১৯৭২ সালে সীমান্ত অবাধ বানিজ্য চুক্তি সম্পাদন মুজিব সরকারের আর একটি বিরাট কলঙ্কময় অধ্যায়।
আরো ন্যাক্কার জনক অধ্যায় সূচিত হয় ১৯৭৪ সালের ১৬ই মে দীল্লী শীর্ষ সন্মেলনে বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ বেরুবাড়ী ইন্দিরার পদ যুগলে নৈবদ্য হিসাবে সমর্পন।
উপরোক্ত চুক্তির আওয়ামী প্রতিবাদ স্বরূপ হয়ত আওয়ামী লীগ প্রশ্ন তুলতে পারে কই স্বাধীনতার পরতো ভারতীয় সেনাবাহিনী এই দেশে থাকেনি, বঙ্গবন্ধু তাদের ফেরত পাঠিয়েছে, তাদের অবগতির জন্য সামান্য কিছু তথ্যঃ
১। ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব জ়ে এন দীক্ষিত ৪-৭-৯৫ সালে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় তার লিখিত নিবন্ধ্যে প্রকাশ করে যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব চেয়েছিলেন যেন আরো এক বছর ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশে অবস্থান করে কিন্তু ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক প্রতি ক্রিয়ার আশংকায় এই প্রস্তাব মেনে নেন নি।
২। লেঃ জেনারেল জগজিত সিং আরোরা এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে নিখিল চক্রবর্তীর এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন “ভারতীয় বাহিনীর ইষ্টার্ন হেডকোয়ার্টার ছিল কোলকাতায়, ঢাকা অভিমুখে মার্চ করার আগে আমরা ভাবলাম ঢাকায় কতদিন থাকব? আমি ঢাকায় আমাদের অবস্থান নির্ধারন করলাম সর্বোচ্চ তিন মাস, এটা এই জন্যই ঠিক করলাম এর বেশী থাকলে আমরা আর লিবারেশন আর্মি হিসাবে অভিনন্দিত হব না পরিচিত হব অকুপেশনাল আর্মি হিসাবে ( দৈনিক ইনকিলাব ১২-৩-৯৪)
উপরোক্ত আলোচনায় পরিস্কার প্রতীয়মান হয় ভারতীয় বাহিনী নিজের গরজেই ভারতে ফিরে যায় কারো নির্দেশে না।
আওয়ামীলীগের এই রাজনৈতিক কালচারের পরম্পরায়, ফারাক্কা বাদ দেয়া হল যে কারনে বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ মরুভূমি।
সীমান্তে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১০০০ মানুষ মারা যায় অথচ এই আওয়ামী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন সীমান্তে নাকি বিএসএফ শুধু চোরাচালানীদেরই হত্যা করে।
নিকট অতীতে চাকমা বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষন দিয়ে তাদের অস্ত্র সরবারহ করে এই ভারত আমাদের দেশে অস্থিতিশীলতা চালাচ্ছিল এখনো বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের নামে সুযোগ বুজে পায়তাড়া চালায়।
আসলে আওয়ামীলীগ দের মতে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত ই যত নষ্টের গোড়া এই সীমান্ত না থাকলে এত মানুষ মারা যেত না, সীমান্ত না থাকলে কোন করিডোর এর প্রয়োজন হত না, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যাবহারের জন্য কোন দেন দরবার করতে হতনা। ভারতের ক্রমবর্ধমান জ্বালানী চাহিদার কিছুটা তাদের ভাষায় এপার বাংলার গ্যাস ও কয়লার সাহায্যে মেটানো যেত, ত্রিদেশীয় গ্যাস পাইপ লাইন দ্বিদেশীয় পাইপ লাইন হত, আমাদের অর্থমন্ত্রীতো ইন্ডিয়ায় যেয়ে পরিস্কার বলেছে দুই দেশে অভিন্ন মুদ্রা রুপি চালু হোক।
এত ঝামেলা আর ভাল লাগে না সে ক্ষেত্রে সীমান্ত উঠীয়ে দেয়া হোক আনুষ্ঠানিক ভাবেই আমরা ভারতের করদ রাজ্য পরিনত হই।
আর কতটুকু হলে আমরা ভারতীয় হব?
নারায়নগঞ্জের কনটেইনার টারমিনাল টেন্ডার হয় ভারতে যেটা আমাদের কোন মন্ত্রনালয় জানে না।মেগালয়ে যে কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র হবার কথা সেটা পরিবেশগত বিবেচনা করে ভারতে না করে বাংলাদেশের রামপালে করা হচ্ছে কেন?
এই কেন গুলোর জবাব কিন্তু আপনাকেই দিতে হবে নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে। পাকিস্তান থেকে থেকে আমরা আলাদা হয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম একটি জাতি হিসাবে বেচে থাকার জন্য আওয়ামী দালালীতে কি আমরা আবার ভারতীয় করদ রাজ্যে পরিনত হব?
তবে কি স্বাধীনতা বিক্রি করে স্বাধীনতার দায় শোধ দিতে হবে?
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫১
নষ্ট শয়তান বলেছেন: দেখার জন্য আছি।
২| ০৯ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২
নেয়ামূল হক বলেছেন: ভারত পাকিস্থানের বাইরে আলাদা রাস্ট্রের কথা ভেবেছে এই দেশের আপামর জনগন ও জিয়াউর রহমান। এই স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও স্বাধীন বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষের মুক্তি মিলে নি কারন ভারত পন্থি আওয়ামী লীগ ও পাকি পন্থি জামাতের জন্যে। এই দুইটার মধ্যে ভারত পন্থি আওয়ামী লীগ বারবার ক্ষমতায় এসে দেশকে ভারতে অংগরাজ্যে পরিনত করেছে। এবার সেটা স্থায়ী রুপ নিতে যাচ্ছে।
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫১
নষ্ট শয়তান বলেছেন: এখন সবাই বিচার করুক তারা কি করবে।
৩| ০৯ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: ভারত মাতা কি জয় হে
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫২
নষ্ট শয়তান বলেছেন: হা হা হা আমরা বেচে থাকতে না
৪| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:১৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: কি বিপদজনক কথা!
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫২
নষ্ট শয়তান বলেছেন: যা সত্যি তা চাইলেই মুছে ফেলা যায়না
৫| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১১
আলতামাশ বলেছেন: একটি দেশকে দখলে না নিয়েও যে সেই দেশের মানুষকে পরাধীন করে রাখা যায়, তার প্রমাণ বাংলাদেশ।
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
নষ্ট শয়তান বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই
৬| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২১
মিতক্ষরা বলেছেন: "বাংলাদেশের নিজস্ব কোন সেনাবাহিনী থাকবে না। "
এই ধরনের একটি কথা হরহামেশা আওয়ামীদের মুখে একসময় শুনতাম। বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর কি দরকার।
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
নষ্ট শয়তান বলেছেন: তাই তো ক্ষমতায় এসে ৫৭ জন অফিসার খুন হয়।
৭| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২১
নীল_সুপ্ত বলেছেন: জয় বাংলা !
ভারত-ই আমাদের কেবলা ??
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
নষ্ট শয়তান বলেছেন: ভাল বলেছেন
৮| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৮
আকাশপানে বলেছেন: আর ও ১টি ১৫ আগষ্ট দরকার..
কিন্তু আপসোস, সেই সেনাবাহিনী আর নেই , এখন যেগুলা আছে সবি পা চাটা কু্ত্তা, সবগুলাই হিজরা..
ভারতের র' আর আওয়ামী দালালরা এদের বিচি ফেলে দিছে।
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪১
নষ্ট শয়তান বলেছেন: আফসোস
৯| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২১
ধ্রুব মহাকাল বলেছেন: বাঙালী কিতবে বুঙ্গা বুঙ্গা খেয়েই যাবে!!!!!
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
নষ্ট শয়তান বলেছেন: তাইতো মনে হয় ব্রো
১০| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:১১
বৈরাম খাঁ বলেছেন: আপনারা আসলেই অনেক খারাপ আমরা আস্তে আস্তে ভারত হইতে ছিলাম আপনেরা খালি বাধা দেন
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
নষ্ট শয়তান বলেছেন: হে হে হে যা বলছেন দাদাবাবু
১১| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:৩১
গেস্টাপো বলেছেন: বারতীয় হইতে মুঞ্চায়
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
নষ্ট শয়তান বলেছেন: খুব বেশী দেরী নাই
১২| ২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭
যাযাবরমন বলেছেন: ভারতীয় হইতে মুঞ্চায়
২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
নষ্ট শয়তান বলেছেন: খুব বেশী দেরী নাই
১৩| ২৬ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
যাযাবরমন বলেছেন: ভারতীয় হইতে মুঞ্চায়, ঠিক তবে মনে রাইখেন, মুসলমানরা ৪০০ বছর ভারত শাসন করেছে!!
১০ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
নষ্ট শয়তান বলেছেন: ঠিক ভ্রাতা
১৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
ননদালীনাজ বলেছেন: হা্য় স্বাধীনতা ! তবে কি স্বাধীনতা বিক্রি করে স্বাধীনতার দায় শোধ দিতে হবে?
১০ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
নষ্ট শয়তান বলেছেন: তাই হবে আর এক টার্ম আওয়ামীলিগ কে আনুন তাই হবে।
১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪৯
শুভখান বলেছেন:
গেস্টাপো বলেছেন: বারতীয় হইতে মুঞ্চায়
১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
নষ্ট শয়তান বলেছেন: এই বাংলা কেউ দখল রাখতে পারে নাই এখানে ছিল তীতুমীর, খুদিরাম, ঈসা খাঁ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২
মেহেদী হাসান '' বলেছেন:
আরো কত কি দেখিবেন, ,, ওয়েট এন চি,,,,