নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য উন্মোচিত হোক

দেশ কে ভালবাসি এই যদি হয় আমার অন্যায় তবে আমি অপরাধী

নষ্ট শয়তান

দ্যা হাম্বা এ্যান্ড ছাগু হান্টার। http://www.facebook.com/noshtos.angel.1

নষ্ট শয়তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী কতখানি রাজাকার? ইতিহাস কি বলে?

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৮

আওয়ামী অপশাষনে মিথ্যার বেসাতিতে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা সেটা এক প্রকার ভুলেই গেছি। সব ঠিক ছিল কিন্তু যখন আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান কে রাজাকার প্রমানে মরিয়া হয়ে ঊঠল আর বসে থাকতে পারলাম না। হাত দিলাম ইতিহাসে।



অবাক হয়ে দেখলাম কিভাবে দিনকে রাত রাতকে দিন করা হয়।



সত্যি কথা বলতে আওয়ামী অপপ্রচারে আমিও ছিলাম বিভ্রান্ত শেখ মুজিব মৃত্যু পরবর্তী প্রেসিডেন্ট খোন্দকার মোশতাক কে যে ভাবে আওয়ামীলীগ জনগনের কাছে উপস্থাপন করছে মনে হয় এর থেকে বড় রাজাকার আর বুজি বাংলাদেশে নাই। অথচ আজকের সব আওয়ামীলীগ বিখ্যাত নেতা যেমন ধরুন তোফায়েল আহাম্মদ কিন্তু তখন রক্ষীবাহিনীর রাজনৈতিক নেতা ছিল। কৈ সে তো টুটা আওয়াজ দেয় নাই সেই সময় মুজিব হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে এক মাত্র কাদের সিদ্দীকী এর প্রতিবাদে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে ভারত চলে গিয়েছিল।



এই মোশতাক যদি সেই রকম কোন মাপের বড় অন্যায় কারী হয়ে থাকে কিভাবে মজলুম জননেতা মাওলানা ভাষানী তার সরকার কে স্বাগত জানায়? নাকি মাওলানা ভাষানীও রাজাকার ছিলেন?









আচ্ছা মোশতাকের কথা বাদ চলুন দেখি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কিছু প্রশ্নের উত্তর জানা যায় কিনা। এখানে একটা ব্যাপার পরিস্কার করে যাই সালাহুদ্দীন কাদের চৌধুরীকে নিয়ে আমার কোন অবেগ কাজ করেনা উনার মাঝে মাঝে অশ্লীল মন্তব্যর জন্য।



আজকে আমি যাই লিখব ইতিহাসে নির্মোহ থেকেই লেখার চেষ্টা করব। কিন্তু সালাহ উদ্দীন কাদের চৌধুরী ব্যাপারে যে ব্যাপারগুলো আমার মনে উদয় হয়েছে সেগুলো আমি কোন ভাবেই ব্যাখ্যা করতে পারছি না। সরকার যে ভাবে উনাকে রাজাকার প্রমান করে শাস্তি দেবার চেষ্টা করছে আমার প্রশ্ন সেখানেই।



আর একটা ব্যাপার আরো ক্লিয়ার করি স্বাধীনতা বিরোধীরা আমার কাছে যিরো টলারেন্স। তাতে যেই হোক না কেন। কিন্তু এটাকে রাজনৈতিকী করন করলেই আমার দুটো কথা আছে।



চলুন সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর কয়টা ব্যাপারে জানার চেষ্টা করি। সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীকে যেসব অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হোল দ্বিজাতি তত্ত্বের জন্য। অথচ কি আশ্চর্য শেখ মুজিবের লেখা তার ২৮৮ পৃষ্টার “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” তে দ্বিজাতি তত্ত্ব প্রতিষ্ঠায় তার অবদান কে কি ভাবে প্রশংসিত করা হয়েছে। আমার প্রশ্ন এখানেই যে দ্বিজাতি তত্ত্ব প্রতিষ্ঠাতায় শেখ মুজিব নন্দিত এক ই অভিযোগে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী বিচারের মুখোমুখি!!!!!



সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী ১৯৭১ সালে লন্ডন ছিলেন উনি ১৯৭৪ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে আসেন এবং তৎকালীন একজন আওয়ামীলীগের এম পির সুপারিশে উনি বাংলাদেশী পাসপোর্ট পান। হ্যা তখন বাংলাদেশী পাসপোর্ট পেতে হলে কোন সাংসদের সুপারিশ বাধ্যতামূলক ছিল। ওই সংসদ সদস্যের নাম আব্দুল কুদ্দুস মাখন। কেন আব্দুল কুদ্দুস মাখন এই ধরনের একজন প্রতিথযশা রাজাকার কে বাংলাদেশী পাসপোর্ট দেবার সুপারিশ করেছিল জানতে মন চায়?



আমরা চার নেতার জেল হত্যা কান্ড নিয়ে তুলকালাম কান্ড করে ফেলি অথচ ১৯৭৩ সালের ১৮ই জুলাই সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর পিতা ফখরুল কাদের চৌধুরীকে জেল খানায় হত্যা করা হয়েছিল এ ব্যাপারে কিছু জানতে মন চায়। হ্যা মানলাম ফখরুল কাদের চৌধুরী রাজাকার ছিল তাই বলে তাকে জেল হত্যা করতে হবে? সেক্ষেত্রে আজকে চার নেতার হত্যার মত যারা ফ কা চৌধুরীকে হত্যা করেছিল তাদের কি বিচার হবেনা?



সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীকে রাজাকার প্রমান করার প্রানপন চেষ্টা হিসাবে তাকে পাকিস্তান প্রেমী আর ভারত বিদ্বেষী হিসাবে প্রমান করার চেষ্টা চলে অথচ এই সাকা চৌধুরীর সাথে কিন্ত ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী যশোবন্ত সিং এর প্রায় পারিবারিক সম্পর্ক ছিল যেটা আমরা দেখতে পাই ৯০ এর দশকে যশোবন্ত সিং যখন অটল বিহারী বাজপেয়ীর সাথে বাংলাদেশ সফর করে তখন তাকে রাষ্ট্রীয় অথিতি ভবনে এক ঝুড়ি আম পাঠনোর মাধ্যমে প্রমানিত। যেটা সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর সাক্ষ্যপ্রমানে আদালতে নথিবদ্ধ আছে।



আওয়ামী ইতিহাসে একথা আজকে অনেকেই জানে না আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিবুর রহমানের একজন আইনজীবি ছিলেন ফকা চৌধুরী। না আমি এ তথ্য দিয়ে ফকা চৌধুরীর অন্যায় লাগব করার সুপারিশ করছি না কিন্তু সত্যিকার ইতিহাস মানুষকে জানাতে আওয়ামীলীগের এত অনীহা কেন? শেখ মুজিবের সাথে ফকা চৌধুরীর যে স্বাধীনতা উত্তর কালে যে সুসম্পর্ক ছিল যেটা শেখ মুজিবের “অসমাপ্ত আত্মজীবনী”তে খুব সুন্দর ভাবে লেখা আছে।



কুন্ডেশ্বরীর মালিক যে নতুন চন্দ্র সিংহেকে ১৯৭১ সালের ১৩ই এপ্রিল হত্যা অভিযোগে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীকে অভিযুক্ত করা হয় কিভাবে ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে সেই নতুন চন্দ্র কুন্ড র ছেলে সত্য রঞ্জন কুন্ড বাবার হত্যাকারী সালাউদ্দীন চৌধুর সাংসদ হবার প্রস্তাবক হয়?????????



সবচেয়ে মজার ব্যাপার এটা প্রমানিত ওই সময় মানে ১৯৭১ সালের ১৩ ই এপ্রিল সাকা চৌধুরী পাকিস্তানে ছিলেন।



আসুন এবার একটু অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরাই সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী ফ কা চৌধুরী ধরে নেই রাজাকার যদিও আদালত কর্তৃক এখনো প্রমানিত না তাহলে এই যে দুইজন আছে যাদের একজন



ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন:



ফরিদপুর– ৩ আসনের সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। তিনি শান্তি বাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্বাদের হত্যার জন্য হানাদার বাহিনীদের প্ররোচিত করেন। “ দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগ” বইয়ের ৪৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তার পিতা নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন।




আর একজন যার নাম মুসা বিন শমসের:





গত বছরের ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ প্রকাশ করে ফরিদপুরের নেতাদের কাছে প্রশ্ন করেন, শেখ সেলিম যে তার ছেলেকে ফরিদপুরের রাজাকার মুসা বিন শমসেরর মেয়ে বিয়ে করিয়েছেন তার কথা কেউ বলছেন না কেন? এ খবর ২২ এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, মুসা বিন শমসের গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলের বেয়াই। ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইডিং কমিটির আহবায়ক ডা: এম এ হাসান যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ৩০৭ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। সেখানে ফরিদপুর জেলায় গণহত্যাকারী হিসেবে মুসা বিন শমসের নাম রয়েছে। তিনি নিরীহ বাঙ্গালীদের গণহত্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাসহ নির্মম নির্যাতন করেছেন বলে জানা গেছে।

দেশোদ্রোহী রাজাকার নিয়ে আমার সামান্যতম মমতা নাই এদের প্রকাশ্যে ফাসি দেয়া হোক কিন্তু আপত্তি সেই খানে যে খানে একজন প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়তার সুবাদে চোদ্দশিকের বাইরে সাংসদ সদস্য হিসাবে থাকবে আর বিরোধী দল হলে জেলখানয় বসে ফাসির দিন গুনবে। কেন?



আমার জাতীয়তাবাদীরা কোন পর্নলেখক বা মুরগী ব্যাবসায়ীর মনগড়া লিখিত ইতিহাস নিয়ে লাফালাফি করি না। যা সত্য বলে জানি তাই লিখি।



এই পোষ্টে কোন ভাবেই সাকা চৌধুরী বা ফকা চৌধুরীকে সমর্থন করে কিছু লিখা নাই। যা ইতিহাস তাই নির্মোহভাবে তুলে ধরার প্রচেষ্টা মাত্র।

মন্তব্য ১১৫ টি রেটিং +১৪/-১

মন্তব্য (১১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩০

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: আমার এ বিষয়ে কোন আইডিয়াই নাই। আমি গ্যালারিতে বসলাম ।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২১

নষ্ট শয়তান বলেছেন: বসুন আমিও প্রস্তুত। ধন্যবাদ

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩০

বোকা ডাকু বলেছেন: :-* :-* :-* :-* :-/

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৪

নষ্ট শয়তান বলেছেন: হ্যা এটাই সত্য

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

ব্যাড বয়েজ বলেছেন: তথ্যবহুল ... ঘ্যালারীতে বসলাম ...

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৪

নষ্ট শয়তান বলেছেন: বসেন এইবার দেখেন মজা.........

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪১

খেয়া ঘাট বলেছেন: এবার লও ঠ্যালা...........।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৬

নষ্ট শয়তান বলেছেন: আরে ভাই অনেক দিন পর দেখলাম কেমন আছেন?

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

শিপন মোল্লা বলেছেন: ধন্যবাদ নষ্ট শয়তান ভাই অসাধারন। সত্যকে ডেকে রাখার চেষ্টা যারা করতেছে তাদের সেই অসৎ উদ্দেশের মাঝে আপনি দেখি পানি ডেলে দিলেন। কয়েকটা প্রশ্ন এখানে খুবিই গুরুত্বপূর্ণ আশা ভবিষ্যতে এর ব্যাপক বিশ্লেষণ করবে জাতির বিবেক।

সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীকে যেসব অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হোল দ্বিজাতি তত্ত্বের জন্য। অথচ কি আশ্চর্য শেখ মুজিবের লেখা তার ২৮৮ পৃষ্টার “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” তে দ্বিজাতি তত্ত্ব প্রতিষ্ঠায় তার অবদান কে কি ভাবে প্রশংসিত করা হয়েছে। আমার প্রশ্ন এখানেই যে দ্বিজাতি তত্ত্ব প্রতিষ্ঠাতায় শেখ মুজিব নন্দিত এক ই অভিযোগে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী বিচারের মুখোমুখি!!!!!

পোস্টে প্লাস।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৭

নষ্ট শয়তান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

রাফা বলেছেন: সাবাশ-বিসমিল্লাহতেই গলদ, স্বাধিনতার ঘোষক জিয়া দিয়েই আপনি বুজিয়ে দিয়েছেন আপনি কতটুকু ইতিহাসবিদ।
ফকার হত্যার বিচার..।হা হা হা.পাকিস্তানি জারজদের হত্যা করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার দাবি বাকি রেখেছেন কেনো?

আপনারাই হোচ্ছেন নব্য রাজাকার।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০১

নষ্ট শয়তান বলেছেন: আরে রাফা যে কেমন আছেন? অনেক দিন আপনার মত বড় কোন বিখ্যাত মানুষের পদ ধুলি এখানে পড়েনি।

ও হ্যা আপনাদের ভাষায় তো জিয়া আবার পাকিস্তানের দালাল সে আবার কিভাবে স্বাধীনতা ঘোষনা দেয় তাই না?

কিন্তু উনি যে একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন সেটা কি জানেন না কি তাও জানেন না?

আমিও অনেক কিছু জানতাম না জানতাম না যে লৌহ মানবী বেগম মুজিব স্বাধীনতার সময় ফাকি রেশনে তার সন্তান্দের ভরন পোষন করত জানতাম না স্বাধীনতার তিন মাস আগে উনি মালেকের কাছে মুজিবের মুক্তির আপীল করছিলেন।

না না মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার ও আমি দাবী করছি আমার আগের একটা পোষ্টে তাও যার তার না আপনাদের আইডল শেখ মনি নামের কুলাঙ্গারটার যার হাতে শত শত মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছে একটু কষ্ট দেখে নেবেন আমার ব্লগে।

আর আমাদের রাজাকার বলছেন?????????? এনাফ ইজ এনাফ শোণ হাম্বা আমরা রাজাকার না নব্য রাজাকার তোমরাই রাজাকার পাকিস্তান প্রিতির কারনে জামাত রাজাকার আর বর্তমানে ভারতের চামচামী করার জন্য তোমরা রাজাকার।

১৯৭১=পাকিস্তান=জামাত=রাজাকার
২০১৩=ভারত=আওয়ামীলীগ=রাজাকার।



৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

পিওর গাধা বলেছেন: বেশি কিছু জানিনা, তাই ফোরকান :D আর বিজন সরকারদের :D মন্তব্য দেখার জন্য বসলাম।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৩

নষ্ট শয়তান বলেছেন: সাথে থাকুন

৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫১

জাতির নানা বলেছেন:
সাকা সংসদে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলো, "আমার দিকে ঐ আঙ্গুল দেখাবেন না, ঐ আঙ্গুলে আমার আংটি পরানোর কথা ছিলো"

রহস্য মনে হয় এখানে নিহিত!!!!! B:-/ B:-/ B:-/

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৫

নষ্ট শয়তান বলেছেন: নানা থাক জালে আজকে কয়টা হাম্বা ধরা খাইচে অগো আইজকা রহস্য সব খুলসা করুম। তারপর যথাযথ ভাবে গদাম।

৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

খাটাস বলেছেন: আপনার সাথে বেশ কিছু জায়গায় একমত, তবে অনেক কিছুই জানি না , আপনি রেফারেন্স দেন।
একটা কথা ভাল বলেছেন, যে আওয়ামি লীগ মানুষ কে ইতিহাস জানতে দিতে চায় না। ইতিহাস লুকিয়ে নিজেদের হানড্রেড পারসেন্ট প্রমান করার চেষ্টার প্রবণতা তাদের বেশি।
তবে যারা স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠকারীকে রাজাকার প্রমান করতে চায়, আর যারা স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠকারীকে স্বাধীনতার ঘোষক পাঠ করতে চায়- তারা আলাদা দলের হলে ও একই জাতি উদ্দেশে।

আমার এক বন্ধু ছিল, যে গাজায় আসক্ত ছিল, তাঁকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হলে গাজা মুক্তির চিকিৎসা না দিয়ে হেরোইন মুক্তির চিকিৎসা দেয়া হয়।

সাকা চৌধুরীকে আমার সেই বন্ধুটির মত মনে হচ্ছে। আপনি যদি লিগান্ধ দের চোখের ভারতিয় চশমা খোলার চেষ্টা করেন , তবে পোস্ট ভাল হয়েছে। সকল অন্ধত্তের চিকিৎসা দরকার। কিন্তু সাকা কে নিরপরাধ প্রমান করার চেষ্টা করেন, তবে কিছুই বলার নাই- স্বাভাবিক বিবেক বুদ্ধির প্রসারণ প্রয়োজন। তবু ও ইতিহাস সবার জানা প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় তথ্য সুত্র গুলো পোস্টে যোগ করে দেন। গ্যালারিতে বসলাম।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৫

নষ্ট শয়তান বলেছেন: আপানার চমৎকার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। আমার পোষ্টটা আর একবার কাইন্ডলি চোখ বুলান অন্তত তিন জায়গায় আমি বলছি সাকার ফাসি হইলেও আমার কিছু আসে যায় না আর এক জায়গায় লিখছি আমি সাকাকে পছন্দ করিনা তার অশ্লীল কথার জন্য।

আমি সাকাকে ডিফেনড করি নাই যেটা ইতিহাস সেটাই বলেছি। সত্য বলা কি অন্যায়? নাকি স্বাধীনতা মানে মিথ্যা দিয়ে সত্যকে ঢেকে দেয়া?

যাক আপনি রেফারেন্স চেয়েছেন। এক নাম্বার শেখ মুজিবে আত্মজীবনী "অসমাপ্ত আত্মজীবনি" দেখুন আর দ্বিতীয়তঃ সাকার কোর্টে সাক্ষ্য দেখুন ওটা একটু কষ্ট করে কোর্টে গেলেই আপনাকে দেখতে দিবে। আমি দেখছি যে হেতু কোন কিছু লিখতে গেলে যাচাই ছাড়া আমি লিখি না আর কেউ ওখানে কিন্তু সাকাকে মিথ্যা প্রমানিত করতে পারে নি।

এটা সম্ভব না হলে এই বারের ঈদ সংখ্য "মানব জমিন" কিনুন ওখানে সাকার সাক্ষ্য র অনেক কিছু ই তুলে দেয়া আছে।

আমি এখানে একটা পাতা স্ক্যান করে দিলাম।

১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনি যদি লিগান্ধ দের চোখের ভারতিয় চশমা খোলার চেষ্টা করেন , তবে পোস্ট ভাল হয়েছে। সকল অন্ধত্তের চিকিৎসা দরকার। কিন্তু সাকা কে নিরপরাধ প্রমান করার চেষ্টা করেন, তবে কিছুই বলার নাই- স্বাভাবিক বিবেক বুদ্ধির প্রসারণ প্রয়োজন । এই মন্তব্যে ১০০ টি লাইক।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩০

নষ্ট শয়তান বলেছেন: ভাই সাকাকে আমি নিরাপরাধ প্রমান করতে চাই নি আর ব্যাক্তিগত ভাবে সাকার প্রতি আমার কোন আবেগ নাই আমার কথা হোল এক ই অন্যায়ে কেউ পতাকা নিয়ে ঘুরবে আর কেউ ফাসির দিন গুনবে তা কেন হবে।

আর আওয়ামীলীগের ভারত প্রেম ওটা আমি কি ভাবে মুছে দেব? আওয়ামীলীগার যে ভারতীয়।

১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৯

সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলেছেন: তথ্যবহুল পুস্টো ,,, পোপ কর্ণ নিয়া .. কুত্তার ডাক শুনবার বসলাম

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৩

নষ্ট শয়তান বলেছেন: যাবেন না আজকে পাইছি সব কয়টা ধরব একে একে কাউকে নিরাশ করব না। সব কয়টার উত্তর দেব সত্য উন্মোচিত হোক।

১২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২০

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:
১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী কিন্তুক মুক্তিযোদ্ধা ছেল....


ওওওওওওওও নব্য মুক্তিযোদ্ধা রাফা ভাইজান,
আব্বাজানরে জিগান বিচারের দাবী বাকী রাকছেন ক্যান...


২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪০

নষ্ট শয়তান বলেছেন: ভাই কাদের কি দিচ্ছেন এগুলো ওরা কি দেখবে? দেখার চোখ যে ওদের নাই এরা আওয়ামীলীগ ভারতের দালাল। পাকিস্তানী দালাল আর এদের মধ্যে এক বিন্দু পার্থক্য নাই

১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৮

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ক) ১৭ জুলাই ১৯৭১-এ ছাত্রনেতা ফারুককে ধরে এনে পাকবাহিনীর সহায়তায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী হত্যা করেন। ২৬ মার্চ থেকে আত্মসমর্পণের পূর্ব পর্যন্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীদের বাসায় পাকবাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্য মোতায়েন থাকত। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ফজলুল কাদের চৌধুরীসহ তাদের পরিবার প্রায় দেড় মণ সোনাসহ পালানোর সময় মুক্তিবাহিনীর কাছে ১৮ই ডিসেম্বর ’৭১-এ ধরা পড়েন।’ [সূত্র : দৈনিক বাংলা, ৮ জানুয়ারি ১৯৭২]

খ) গুডসহিল (ছালার বাড়ি) স্বাধীনতার সপক্ষের মানুষের নির্যাতন কেন্দ্রে পরিণত হয়। শোনা যায়, এ কেন্দ্র পরিচালনার সঙ্গে তার পুত্র সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। শহরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে স্বাধীনতার সপক্ষের মানুষকে এখানে ধরে এনে ঝুলিয়ে পেটানো হতো। উল্লেখ্য যে, এ বাড়িতে প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুককে হত্যা করা হয়েছে। আল-বদর বাহিনীর একটি বিশেষ গ্রুপ এ বাড়ির নির্যাতনের প্রত্যক্ষ সহযোগী ছিল।’[সূত্র : একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শহর চট্টগ্রামের নির্যাতন কেন্দ্র ও বধ্যভূমি : সাখাওয়াত হোসেন মজনু]

গ) নিজামুদ্দীন ১৮ নবেম্বর চট্টগ্রাম জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। সে বলে আমি ধরা পড়ি ৫ জুলাই। আমাকে ফজলুল কাদেরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পিছমোড়া করে বেঁধে ফজলুল কাদেরের পুত্র সালাউদ্দিন, অনুচর খোকা, খলিল ও ইউসুফ রড, লাঠি, বেত প্রভৃতি হাতে আমাকে পেটাতে থাকে। পাঁচ ঘণ্টা মারের চোটে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। ৬ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় আমাকে স্টেডিয়ামে চালান দেয়া হয়।’ [সূত্র : বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত : মাহবুব-উল-আনোয়ার; পৃষ্ঠা ৬৯]


ঘ) চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, শ্রী কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয় এবং কুণ্ডেশ্বরী বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর বাবু নূতন চন্দ্র সিংহের হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সালাউদ্দিন কাদের বলে কথিত আছে। ২৯ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর প্রায় ৪৭ জন অধ্যাপক সস্ত্রীক আশ্রয় নিয়েছিলেন কুণ্ডেশ্বরী ভবনে। এদের মধ্যে ছিলেন সৈয়দ আলী আহসান ড. এ আর মল্লিক, ড. আনিসুজ্জামান প্রমুখ। পাকবাহিনী চট্টগ্রাম দখলের পর এরা সবাই ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। বাবু নূতন সিংহকেও যাওয়ার কথা বলেছিলেন সবাই। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘যদি মরতেই হয় দেশের মাটিতেই মরব। পরিবারের সবাইকে সরিয়ে দিয়ে নিজে কুণ্ডেশ্বরী মন্দিরে অবস্থান করছিলেন। পাকসেনা আসতে পারে অনুমান করে উঠানে চেয়ার-টেবিলও সাজিয়ে রেখেছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল চারটি ট্যাঙ্কসহ দুটি জিপে করে পাকবাহিনী কুণ্ডেশ্বরী ভবনে আসে। এর একটিতে বসে ছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র পাক সেনাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে নিজের কাজকর্ম ব্যাখ্যা করেন। সন্তুষ্ট হয়ে পাকসেনারা জিপে চলে আসে, কিন্তু সালাউদ্দিন কাদের তাদের জানান যে, তার বাবার আদেশ আছে ‘মালাউন নূতন চন্দ্র ও তার ছেলেদের মেরে ফেলার জন্য’, এরপর পাকবাহিনীর মেজর তাকে তিনটি গুলি করেন। একটি গুলি তার চোখের নিচে বিদ্ধ হয়, একটা গুলি তার হাতে লাগে এবং তৃতীয় গুলিটি তার বুক ভেদ করে চলে যায়। তিনি চিৎকার করে মায়ের নাম নিয়ে মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে যান।’ [সূত্র : একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায় : মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেন্দ্র]

ঘ) ১৯৭২ সালে নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যা মামলা হয়েছিল। নূতন চন্দ্রের ছেলে সত্যরঞ্জন সিংহসহ মোট ১২ জন সাক্ষী ছিলেন মামলায়। মামলার এফআইএর নং ইউ/এস/৩০২/১২০ (১৩)/২৯৮ বিপিসি। ৭২ সালের ২৯ জানুয়ারি বিচার শুরু হয়। আসামিদের মধ্যে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ পলাতক ছিল ৫ জন। পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরীসহ ৫ জন ছিল কারাগারে। চট্টগ্রামের একজন শহীদের সন্তান শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর গণতদন্ত কমিশনকে জানান, তার পিতা শহীদ শেখ মুজাফফর আহমদ ও ভাই শহীদ শেখ আলমগীরকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার সহযোগীরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল হাটহাজারী ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং পরে তাদের মেরে ফেলা হয়। স্বাধীনতার পর শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরও বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী গংয়ের বিরুদ্ধে। [সূত্র : একাত্তরের ঘাতক দালাল ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় রিপোর্ট]

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৩

নষ্ট শয়তান বলেছেন: পেছনে আগুন লেগে গেছে? ঠিক উদভ্রান্ত হয়ে ছুটে এসেচ? ভাল। আমি কিন্তু এক বারো এই পোষ্টে বলি নাই ফকা চৌধুরী বা সাকা চৌধুরী নিরাপরাধ প্রমান করে দিয়েছি।

যেসব রেফারেন্স দিয়েছ সেগুলোর স্ক্যান কপি দাও আগে। খ) তে লিখছ শোনা যায়.................. শোনা যায় কথা কবে কোথায় রেফারেন্স হিসাবে আসছে বল?

বাদ দাও কচি হাম্বা আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দাও এই নতুন চন্দ্র কিভাবে ১৯৭৯ সালে সাকা চৌধুরীর পক্ষে সাংসদ নির্বাচনে প্রস্তাবক হয় যদি তার বাবার খুনী সাকা চৌধুরী হয়? রেফারেন্স সাকা চৌধুরীর আদালতে সাক্ষ্যতে পরিস্কার বলা আছে কোন রাষ্ট্রপক্ষ আইন জিবী এর বিপরিতে কোন প্রমান আনতে পারে নাই যা আদালতে নথি ভুক্ত আছে। এখানে আমি ২০১৩ সালের "মানব জমিন" পত্রিকায় সাকার সাক্ষ্যর উল্লেখ্য যোগ্য অংশের স্ক্যন করে দিলাম তোমার মত শোনা কথা বা কিছু টাইপ করা কথা দিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত করব না

১৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩০

অর্থব আমি বলেছেন: ভালো লেখছেন। কিছু ভালো তথ্যও দিছেন। কিন্তু সাকার প্রতি কি যেন একটা টান আছে।

ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইডিং কমিটির আহবায়ক ডা: এম এ হাসান যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ৩০৭ জনের নামের লিস্টে কি সাকার নাম নাই?????

আমি ওই ৩০৭ বেজন্মার প্রত্যেকটার বিচার চাই।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২০

নষ্ট শয়তান বলেছেন: আবারো আপনাকে অনুরোধ করব পোষ্ট টি পড়ার জন্য অন্তত তিন জায়গায় আমি লিখছি আমি সাকা বা ফকা চৌধুরীকে পছন্দ করিনা কিন্তু তাই বলে তো ইতিহাস উল্টে যাবে না।

সত্য উন্মোচিত হোক

১৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৪

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: গণহত্যায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী


সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি গণহত্যার ঘটনাগুলোতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। এমনকি তিনি প্রায় প্রতিটি ঘটনায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেছেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন।

সোমবার তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন তিনি। চেয়ারম্যান ‍বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থায় মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন।

দ্বিতীয় দিনে প্রসিকিউশন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোট ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ছয়টিতে যুক্তি উপস্থাপন সম্পন্ন করেছেন। এর আগে রোববার প্রথম দিনে শেষ হয় প্রথম তিন অভিযোগে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন।

চার, পাঁচ এবং ছয় নম্বর অভিযোগে যুক্তি উপস্থাপনকালে প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন এসব অভিযোগ প্রমাণে ট্রাইব্যুনালে দেওয়া রাষ্ট্রপক্ষের ১০ জন সাক্ষী এবং তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া আরো তিনজন সাক্ষীর বক্তব্য উদ্ধৃত করেন।

এসব সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তিনটি অভিযোগেই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেন প্রসিকিউটর সীমন।

যুক্তি উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের হিন্দু অধ্যুষিত জগৎমল্লপাড়া, সুলতানপুরের বণিকপাড়া এবং ঊনসত্তরপাড়ায় গণহত্যা সংঘটিত করেছেন।

এসব ঘটনায় অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। এমনকি তিনি প্রায় প্রতিটি ঘটনায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

চার, পাঁচ, ছয়নং অভিযোগের সাক্ষীরা হলেন, আশীষ চৌধুরী, অরুণাংশু চৌধুরী, জ্যোৎস্না বালা, সিরু বাঙালি, অনীল বরণ ধর, বাদল বিশ্বাস, জানকি বালা, চপলা রাণী দাস, সুজিৎ মহাজন এবং আব্বাস উদ্দিন।

দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে করা দু’টি আবেদনই শুনানি না করে খারিজ করে দেন ট্রাইব্যুনাল।

আবেদন দু’টি হলো, হাইকোর্টের বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে সাকা চৌধুরীর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেওয়া এবং বিচারপতি শামীম হাসনাইনের সাক্ষ্যগ্রহণ না করা পর্যন্ত সাকা চৌধুরীর মামলার কার্যক্রম মুলতবি রাখার আবেদন।

এর আগে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি ট্রাইব্যুনালে এসে সাক্ষ্য দিতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্ত জানতে চেয়ে তার বরাবর আবেদন করেন হাইকোর্টের বিচারপতি শামীম হাসনাইন। এ মর্মে একটি চিঠি সম্বলিত আবেদন করেন সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম।

রোববার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীদের কাছ থেকে পাওয়া বিচারপতি শামীম হাসনাইন স্বাক্ষরিত একটি চিঠিও দেওয়া হয় সাংবাদিকেদের। এ চিঠির অনুলিপি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছেন আসামিপক্ষ।

সাকা চৌধুরীর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্যের বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ পুনর্বিবেচনা করতেও একটি আবেদন করেন তার আইনজীবী। এতে বিচারপতি শামীম হাসনাইনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মূলতবির আবেদন করেন তিনি। সোমবার দু’টি আবেদনই খারিজ করে দেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউশনকে মঙ্গলবার পর্যন্ত এবং আসামিপক্ষকে ৩১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সময় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনাল ৫ জন নির্ধারণ করে দিলেও সাকা চৌধুরীর পক্ষে তিনি নিজেসহ মোট ৪ জন সাক্ষী সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। অন্য তিন সাফাই সাক্ষী হচ্ছেন তার কলেজ জীবনের বন্ধু নিজাম আহমেদ, এশিয়া-প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কাইয়ুম রেজা চৌধুরী এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোমেন চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষ তাদের জেরা সম্পন্ন করেছেন।

অন্যদিকে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ নূরুল ইসলাম ঘটনা ও জব্দ তালিকার সাক্ষী মিলিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের ৪১ জন সাক্ষী। আর ৪ জন সাক্ষীর তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিকেই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রত্যুষে গ্রেফতার করা হয় গাড়ি ভাংচুর ও পোড়ানোর মামলায় সাকা চৌধুরীকে। পরে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে। গত বছরের ৪ এপ্রিল সাকার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এতে তার বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৩টি মানবতাবিরোধী অপরাধের উল্লেখ করা হয়।


কার সাথে কে কোনদিন কি আলাপ করছে সেগুলো নিয়ে ছাগবানী কম হলেই ভালো হয় বরং কার কি অপরাধ সেটাকে, এজ ইন্ডিভিজুয়াল নেয়াই বেস্ট (প্রতিবন্ধীদের সেই ক্ষমতা থাকে না), ছাগুরা ডিফেন্ড করে কোরআনের পাখী, রাজাকার লইট্টা ফিশ সাইদী - গো আজমকে, আর আমাদের ছাগিয়তাবাদী বন্ধুরা কোমর বেঁধে নেমেছে সাকার মতো কাশিমপুরের আতংক সৃষ্টিকারী শিশু ধর্ষক সাকাচৌ এর পক্ষে বয়ান দিতে। থুঃ! থুঃ!

সবাই বলুন একসাথে,

বিএনপি আর রাজাকার,
মিলে মিশে একাকার!

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৮

নষ্ট শয়তান বলেছেন: দিকভ্রান্ত এটা ব্লগ দেখে বেচে গেলে যে কথাগুলো বিএনপি কে নিয়ে বলছ না হলে তোমাকে এমন কিছু কথা বলতাম যাতে তোমার ঠীক জ্ঞান ফিরে আসত।

সাকা চৌধুরীর আত্মপক্ষ সমর্থনে সে সমস্ত কিছুর জবাব দিয়েছ কেউ সেখানে কোন প্রতিবাদ করতে পারে নাই কেন?

আর বিএনপি রাজাকার তাইলে এরা কারা?





রাজাকারের পুত্র দিকভ্রান্ত মুখ সামলাইয়া। গালি কিন্তু তুমি শুরু করছ

১৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৬

নূর আদনান বলেছেন: জাতির নানা বলেছেন:
সাকা সংসদে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলো, "আমার দিকে ঐ আঙ্গুল দেখাবেন না, ঐ আঙ্গুলে আমার আংটি পরানোর কথা ছিলো"

রহস্য মনে হয় এখানে নিহিত!!!!! B:-/ B:-/ B:-/


নানা এইডা কি শুনাইলেন.... @_@ ভাববার বিষয় তো.........

আমিও গ্যালারিতে

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৪

নষ্ট শয়তান বলেছেন: সাথে থাকুন আর আওয়ামী বুদ্ধিহীনতা দেখুন

১৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪০

ব্যাড বয়েজ বলেছেন:
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ফজলুল কাদের চৌধুরীসহ তাদের পরিবার প্রায় দেড় মণ সোনাসহ পালানোর সময় মুক্তিবাহিনীর কাছে ১৮ই ডিসেম্বর ’৭১-এ ধরা পড়েন।’ [সূত্র : দৈনিক বাংলা, ৮ জানুয়ারি ১৯৭২]


পোস্টে আছে: সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী ১৯৭১ সালে লন্ডন ছিলেন উনি ১৯৭৪ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে আসেন এবং তৎকালীন একজন আওয়ামীলীগের এম পির সুপারিশে উনি বাংলাদেশী পাসপোর্ট পান।



এই পয়েন্টেই রহস্য নিহিত আছে। কোনটা সত্য ??? তথ্য-প্রমান চাই।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪১

নষ্ট শয়তান বলেছেন: এখানে দেখুন সাকার এই কথাকে কেউ ডিফেন্ড করতে পারে নি আদালতে

১৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০০

পাহাড়ি জাহিদ বলেছেন: বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাইউম রেজা চৌধুরী। ১৯৭১ সালের ২৯শে মার্চ গাড়িতে করে সালাউদ্দিন কাদেরকে তেজগাঁও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়ার দাবি করেছেন তিনি। নটর ডেম
কলেজে পড়ার সময় থেকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, সালমান এফ রহমান ও নিজাম আহমেদের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের বর্ণনা দিয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরীর ভাই কাইউম রেজা চৌধুরী। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে করাচিতে সালমান এফ রহমানের বাসায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আসার কথাও বলেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতারও বর্ণনা দিয়েছন। বলেছেন শেখ কামালের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা। মুক্তিযুদ্ধের শুরুর সময়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বেগম মুজিব তাকে বলেছিলেন, বাবা তুমিই প্রথম আমাদের দেখার জন্য এসেছো। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল ১-এ গতকাল তিনি এ জবানবন্দি দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব আমিনুল হক বাদশা এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০০

নষ্ট শয়তান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তথ্যটি দেবার জন্য

১৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আচ্ছা, ব্লগটায় এতো প্রতিবন্ধী কেন? ছাগু খোঁয়াড় থেকে বেড়িয়ে একটু সভ্যভব্য হবারও সময় নেবে না!? কথা হচ্ছে সাকাকে নিয়ে! মোশারফকে আনতে চাইলে অবশ্যই তার নাম সহ পোস্ট দিয়ে আনতে হবে। তার মানে কি মোশারফ রাজাকার হলে সাকা নিরপরাধ এবং তার বিচার করা ভুল? B:-) B:-) বিএনপি যদি আদৌ কোনদিন ক্ষমতায় আসে লীগে থাকা রাজাকারদের অবশ্যই বিচার করুক, এটা আমার দাবী!! সাকা চৌধুরী একটা বেজন্মা রাজাকার, পাকিপুত্র এইটা নিয়ে কথা বল! আর ছাগলের একটা বৈশিষ্ট্য কি জানিস? লাইন ছেড়ে খালি বেলাইনে আলাপ করে, সোজা পথে না হেঁটে ডাইনে বামে ল্যাদিয়ে বেড়ায়। তাই তুই যাদের নিয়ে ল্যাদাচ্ছিস, চালিয়ে যা! আর রাজাকারকে রাজাকার ডাকতে শিখ! জিয়া এই সামান্যটাও পারে নাই, তুই চেষ্টা করে দেখ! শেখ হাসিনার মুখের কথায় রাজাকার নির্ধারণ হয় নি, ইতিহাস দিয়ে হয়েছে। ইতিহাস বলে সাকা একজন ঘৃণ্য নরপিশাচ, তার বিচার হতেই হবে এবং ফাঁশি দাবী করি এই বেজন্মার।

আর তোমরা ম্যাতকার চালিয়ে যাও, ছাগলের ম্যতকারের গুরুত্ব খোঁয়াড়ে থাকলেও ব্লগে নাই। ওয়ামীও ম্যাতকার দিয়েছিল! তাতে কি এসে যায়।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৯

নষ্ট শয়তান বলেছেন: আপাতত এইটা চিবাও নব্য রাজাকার ছাগু বান্ধব পরে তোমাকে আরো দেব

উল্লেখ্য,৭১এ শেখ মুজিবের অনুপস্থিতিতে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িতে বেগম মুজিব, রেহানা সহ সকলের পাহারা দেয়া এবং বাজার সহ সকল খরচ চালিয়েছিল পাকিস্থানী আর্মি। যেই ডক্যুমেন্ট প্রয়োজনে প্রকাশ করা সম্ভব। শেখ হাসিনা এবং ডঃ ওয়াজেদও ছিলেন পাকিস্তানী আর্মির পাহারায় ধানমন্ডির অন্যবাড়িতে এবং তাদেরও বাজার খরচ, হাসপাতালের খরচ সহ প্রয়োজনীয় খরচ চালাতো পাকিস্থানী আর্মি। ঐ সময়ে আই এস আই এর মেজর মুস্তাফা খান(পাঠান বংশদ্ভুত) ছিলেন হাসিনাদের যত্ন নেওয়ার বিশেষ তত্ত্বাবধানে।

রাওয়ালপিন্ডি হতে এদের দেখভালের পুরো দায়িত্ব মনিটর করতেন মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট ফজলুল কাদের চৌধুরী। সেপ্টেম্বরে মুক্তিবাহিনীর আক্রমনের ধারাবাহিক চাপের মুখে পাকিস্থানীদের পরাজয় মোটামুটি পরিস্কার হয়ে উঠলে রক্ষক মেজর মুস্তাফা খান ভক্ষকের ভূমিকা নেয়। বিজ্ঞানী স্বামীর সামনে হাত ধরে টেনে বের করে নিয়ে যায় তাদের ভাষায় গাদ্দার রাজনীতিকের কণ্যাকে। যার একমাত্র পুত্র সন্তানটির বয়স ছিলো মাত্র ২ মাস। তখন পাকিস্থান আর্মির মধ্যে সর্বত্রই বিশৃঙ্খলা-কমান্ড কাঠামোয় নেমে এসেছিলো হতাশা। যুদ্ধকালীণ নিষ্ঠুরতার চরম অধ্যায়। পাকিস্থানীযোদ্ধারা প্রতি দিনরাত মরছিলো আর বাদবাকীরা পালাচ্ছিলো এক জায়গা হতে অন্য জায়গায়। বাঙ্গালীর উপর সে সময় নিপীড়ণ বেড়েছিলো বর্ণনাতীত হারে।

এই সময় পিশাচ হায়েনার কাছ থেকে শিশু সন্তানের মাকে উদ্ধার করে জীবন রক্ষা ছিলো এক অকল্পনীয় কঠিন চ্যালেঞ্জ। চারিদিকে ভয় আতংক বিভীষিকা। তারপরও পিন্ডি হতে মুজিব কণ্যাকে উদ্ধার করার দায়িত্ব আসে পূর্ব পাকিস্থানে সেনাবাহিনীর জিওসির উপর। সেনাবাহিনীর জিওসি দেখলেন তাদের কমান্ড কাঠামো ভেঙ্গে গেছে। অতঃপর কাজটি সমাধা করেন বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকারের জেলখানায় যুদ্ধাপরাধের তথাকথিত অভিযোগে বন্দী থাকা সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী। যে কেউ তাকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নিতে পারেন তার এই আত্নীয়ের নাম কি এবং কি অবস্থায় তিনি কত টাকা দিয়ে ও কাদের পাহারা সহযোগীতা নিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর বংশধর রক্ষায় ঝুঁকি নিয়েছিলেন তার পিতার আদেশে?

ভোর রাতে ধানমন্ডির বাসা হতে এই কম বয়সী মাকে স্বামীর উপস্থিতিতে তুলে নেবার পর পশ্চিম পাকিস্থানে খবর পৌঁছতে দেরী হলেও পূর্ব পাকিস্থানের গভর্ণর মালেকের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্থানের জিওসি রাও ফরমান আলী খান কে দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। যদিও গভর্ণর এঘটনার জন্য পরে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন ফজলুল কাদের চৌধুরীর কাছে এই কথা বলে যে,সে সময় পাকিস্থানী সেনা বাহিনীর চেইন অব কমান্ড আর আগের মতো নিয়ন্ত্রণে ছিলোনা(খবর গোয়েন্দা সংস্থার)।

(মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ,বর্তমানে নিউইয়র্কে বসবাসরত)

এখনে দেখ হাম্বা ছাগু। কি লিখা আছে

Click This Link

২০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৩

পাহাড়ি জাহিদ বলেছেন: লৌহ মানব সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে বিচারপতির আবেদন

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি শামীম হাসনাইন। রবিবার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীদের কাছ থেকে পাওয়া বিচারপতি শামীম হাসনাইন স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়। চিঠিটির অনুলিপি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে আসামিপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল যে আদেশ দিয়েছেন- তা পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়।
প্রসঙ্গত, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে যে পাঁচজনকে সাফাই সাক্ষ্য দেয়ার অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল, সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শামীম হাসনাইন অন্যতম। ট্রাইব্যুনাল অপর চারজনের বিরুদ্ধে সমনও জারি করেছিলেন। আসমিপক্ষে ইতোমধ্যে চারজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। চিঠিতে বিচারপতি শামীম হাসনাইন বলেন, মাননীয় প্রধান বিচারপতি আমি জানতে পেরেছি যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষের সাক্ষী হিসেবে আমার নাম দেয়া হয়েছে। এটা সত্য যে, ট্রাইব্যুনালে আটক আসামি সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী লাহোরের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ক্লাসমেট ছিলেন। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ১৯৭১ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগস্ট পর্যন্ত পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছিলেন। একজন সিটিং বিচারক কোনো আদালতে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত হতে পারে কিনা সে বিষয়ে হাইকোর্টের একাধিক বিচারকের সঙ্গে কথা বলেছি। এর মধ্যে একজন আমাকে বলেছেন, হাইকোর্টের একজন বিচারক যেকোনো আদালতে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত হওয়া উচিত হবে না বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। চিঠিতে বিচারপতি শামীম হাসনাইন বলেন, পেশাগত বিষয়ে একদিকে যেমন আমার বাধ্যবাধকতা রয়েছে- তেমনি আমার বিবেকের কাছেও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিশেষ করে এ বিষয়টি যা সত্য- তা আপনাকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে আপনার যেকোনো সিদ্ধান্তে আমার সম্মতি থাকবে। রবিবার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলার রায়ের দিন ধার্য করা হবে। সোমবার আবার যুক্তি উপস্থাপন করা হবে। -

Click This Link

২১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৪

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ব্যাড বয়েজ বলেছেন:
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ফজলুল কাদের চৌধুরীসহ তাদের পরিবার প্রায় দেড় মণ সোনাসহ পালানোর সময় মুক্তিবাহিনীর কাছে ১৮ই ডিসেম্বর ’৭১-এ ধরা পড়েন।’ [সূত্র : দৈনিক বাংলা, ৮ জানুয়ারি ১৯৭২]


পোস্টে আছে: সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী ১৯৭১ সালে লন্ডন ছিলেন উনি ১৯৭৪ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে আসেন এবং তৎকালীন একজন আওয়ামীলীগের এম পির সুপারিশে উনি বাংলাদেশী পাসপোর্ট পান।



এই পয়েন্টেই রহস্য নিহিত আছে। কোনটা সত্য ??? তথ্য-প্রমান চাই।

এবং, তথ্যসূত্র আপনি চেক করেন। সহজ বিষয়।

২২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৯

রাফা বলেছেন: যে মুক্তিযোদ্ধারা সাকাকে হত্যার মিশনে গিয়েছিলো তারা এখনও জিবিত আছে।
কিছুদিন পুর্বেও তাদের সাক্ষাতকার প্রচার হোয়েছে টিভি-তে।
আর এতবড় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার পরও এই ইতিহাসবিদের উপর আস্থা দেখে আমি কি বলবো বুজতে পারছিনা।

না ভাই আমি মুক্তিযোদ্ধা নই..তবে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত বহন করে চলেছি এই শরিরে।@ভুমিপুত্র।
১৫ ই আগস্ট আর ২১ শে আগস্ট কিভাবে ঘটাতেন আপনারা যদি বিচার হোয়ে যেতো?
একজন জিয়া কোথায়ই বা পেতেন?

২৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৪

দরিদ্র তারা বলেছেন: বিএনপি আর রাজাকার,
মিলে মিশে একাকার!

২৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫১

রাফা বলেছেন: ্জি আপনাদের তথ্য শতভাগ সঠিক সাকা ৭১-থেকে ৭৪ পর্যন্ত পাকিস্তানে ছিলো।
নতুন চন্দ্র সিংহকে হত্যা করেছিলো সাকার প্রেতাত্মা।

২৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০১

শিপন মোল্লা বলেছেন: এক ই অন্যায়ে কেউ পতাকা নিয়ে ঘুরবে আর কেউ ফাসির দিন গুনবে তা কেন হবে।

এটা আসলে নিরপেক্ষ না। এখানে এই বিচারের দুর্বলতা।

২৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২১

shomoyerdam বলেছেন: যুদ্ধপরাধীদের বিচার নিয়ে আমার চুলকানী নেই। কিন্তু আওয়ামীপন্থিরাই তো সাকার পক্ষ্যে সাক্ষ্য দিয়েছে। বলেছে সাকা পাকিস্তানে ছিল। এখন কি সাকা সেখা থেকে মিসাইল ছুড়ে মানূষ হত্যা করেছিল!!!

নষত ভাই অসাধারণ পোষ্ট

২৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২২

এস আর সজল বলেছেন: সাকা কি ছিল এই রিপোর্টটা দেখলেই টের পাওয়া যাবে। সবাইকে দেখার অনুরোধ করলাম। বিশেষ করে গেলমানদের। ধন্যবাদ।

২৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২২

shomoyerdam বলেছেন: পাহাড়ি জাহিদ বলেছেন: বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাইউম রেজা চৌধুরী। ১৯৭১ সালের ২৯শে মার্চ গাড়িতে করে সালাউদ্দিন কাদেরকে তেজগাঁও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়ার দাবি করেছেন তিনি। নটর ডেম
কলেজে পড়ার সময় থেকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, সালমান এফ রহমান ও নিজাম আহমেদের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের বর্ণনা দিয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরীর ভাই কাইউম রেজা চৌধুরী। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে করাচিতে সালমান এফ রহমানের বাসায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আসার কথাও বলেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতারও বর্ণনা দিয়েছন। বলেছেন শেখ কামালের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা। মুক্তিযুদ্ধের শুরুর সময়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বেগম মুজিব তাকে বলেছিলেন, বাবা তুমিই প্রথম আমাদের দেখার জন্য এসেছো। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল ১-এ গতকাল তিনি এ জবানবন্দি দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব আমিনুল হক বাদশা এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।

২৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৭

এস আর সজল বলেছেন:

৩০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৮

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:
@ ইঁন্দুর,
থাউক "ছাগীভ্রান্ত পাকী"রে কিছু কইয়েন না,এমনেই "বইনের" এইরাম "ইজ্জত হানীর" খবরে এই "যুদ্ধাপরাধীর বাচ্চা"র মাথা খারাপ,ইয়ার মইধ্যে আমনে আবার "মরিচডলা" দিয়েন না,ছ্যাদা ফাইট্যা যাইবো........

@ "ছাগীভ্রান্ত পাকীছাগী" এলা "বানান" কইর‍্যা পড় তো........

উল্লেখ্য,৭১এ শেখ মুজিবের অনুপস্থিতিতে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িতে বেগম মুজিব, রেহানা সহ সকলের পাহারা দেয়া এবং বাজার সহ সকল খরচ চালিয়েছিল পাকিস্থানী আর্মি। যেই ডক্যুমেন্ট প্রয়োজনে প্রকাশ করা সম্ভব। শেখ হাসিনা এবং ডঃ ওয়াজেদও ছিলেন পাকিস্তানী আর্মির পাহারায় ধানমন্ডির অন্যবাড়িতে এবং তাদেরও বাজার খরচ, হাসপাতালের খরচ সহ প্রয়োজনীয় খরচ চালাতো পাকিস্থানী আর্মি। ঐ সময়ে আই এস আই এর মেজর মুস্তাফা খান(পাঠান বংশদ্ভুত) ছিলেন হাসিনাদের যত্ন নেওয়ার বিশেষ তত্ত্বাবধানে।

রাওয়ালপিন্ডি হতে এদের দেখভালের পুরো দায়িত্ব মনিটর করতেন মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট ফজলুল কাদের চৌধুরী। সেপ্টেম্বরে মুক্তিবাহিনীর আক্রমনের ধারাবাহিক চাপের মুখে পাকিস্থানীদের পরাজয় মোটামুটি পরিস্কার হয়ে উঠলে রক্ষক মেজর মুস্তাফা খান ভক্ষকের ভূমিকা নেয়। বিজ্ঞানী স্বামীর সামনে হাত ধরে টেনে বের করে নিয়ে যায় তাদের ভাষায় গাদ্দার রাজনীতিকের কণ্যাকে। যার একমাত্র পুত্র সন্তানটির বয়স ছিলো মাত্র ২ মাস। তখন পাকিস্থান আর্মির মধ্যে সর্বত্রই বিশৃঙ্খলা-কমান্ড কাঠামোয় নেমে এসেছিলো হতাশা। যুদ্ধকালীণ নিষ্ঠুরতার চরম অধ্যায়। পাকিস্থানীযোদ্ধারা প্রতি দিনরাত মরছিলো আর বাদবাকীরা পালাচ্ছিলো এক জায়গা হতে অন্য জায়গায়। বাঙ্গালীর উপর সে সময় নিপীড়ণ বেড়েছিলো বর্ণনাতীত হারে।

এই সময় পিশাচ হায়েনার কাছ থেকে শিশু সন্তানের মাকে উদ্ধার করে জীবন রক্ষা ছিলো এক অকল্পনীয় কঠিন চ্যালেঞ্জ। চারিদিকে ভয় আতংক বিভীষিকা। তারপরও পিন্ডি হতে মুজিব কণ্যাকে উদ্ধার করার দায়িত্ব আসে পূর্ব পাকিস্থানে সেনাবাহিনীর জিওসির উপর। সেনাবাহিনীর জিওসি দেখলেন তাদের কমান্ড কাঠামো ভেঙ্গে গেছে। অতঃপর কাজটি সমাধা করেন বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকারের জেলখানায় যুদ্ধাপরাধের তথাকথিত অভিযোগে বন্দী থাকা সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী। যে কেউ তাকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নিতে পারেন তার এই আত্নীয়ের নাম কি এবং কি অবস্থায় তিনি কত টাকা দিয়ে ও কাদের পাহারা সহযোগীতা নিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর বংশধর রক্ষায় ঝুঁকি নিয়েছিলেন তার পিতার আদেশে?

ভোর রাতে ধানমন্ডির বাসা হতে এই কম বয়সী মাকে স্বামীর উপস্থিতিতে তুলে নেবার পর পশ্চিম পাকিস্থানে খবর পৌঁছতে দেরী হলেও পূর্ব পাকিস্থানের গভর্ণর মালেকের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্থানের জিওসি রাও ফরমান আলী খান কে দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। যদিও গভর্ণর এঘটনার জন্য পরে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন ফজলুল কাদের চৌধুরীর কাছে এই কথা বলে যে,সে সময় পাকিস্থানী সেনা বাহিনীর চেইন অব কমান্ড আর আগের মতো নিয়ন্ত্রণে ছিলোনা(খবর গোয়েন্দা সংস্থার)।


(মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ,বর্তমানে আমেরিকায় বসবাসরত)
পাকী মেজরের হাত থিক্যা "ছাগীভ্রান্ত পাকীছাগী"র বইনের ইজ্জত সালাহউদ্দীন কাদের চৌধূরীর দ্বারা উদ্ধারের কাহিনী

৩১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১৯

আমি রিয়াদ বলেছেন: প্রথমেই বানান ভুলের জন্য ক্ষমা চাই। বহুদিন ব্লগে লিখি না। কিন্তু এরকম গাঁজাখুরি লেখা দেইখা বাধ্য হইলাম।

আপনি কোথাকার আমি জানি না। তবে যারা চটগ্রামের স্থানীয় তারা বা অনেক বছর ধরে আছে তারা নিতিহীন না হইলে নিশচিত আপনার কথায় হাসবে।

পুরা পোস্ট এ সাকা রাজাকার ছিল নাকি ছিল না এইটা নিয়া শুধু তিনটা যুক্তি দিলেন তাও আবার গরমিল। বাকি সব লীগ নিয়া। শিরোনাম আর বিবরণ তাইলে মিলে কেমনে????
ইতিহাস চর্চা কারে কয় বুঝলাম!!!!!

লিখলেন সাকা ১৯৭১-১৯৭৪ পর্যন্ত পাকিস্তানে ছিলেন এটা প্রমানিত। এইটা কে কোথায় প্রমাণ করন????? আপনি বা কোথায় প্রমাণ করল্বেন????


আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিবুর রহমানের একজন আইনজীবি ছিলেন ফকা চৌধুরী।
জানি। এও জানি এইটা আয়ুব খার আমলে। তখনও বিভেদ ছিল না। তখন পাকিস্তানর সকল রাজনৈতিক দল একজোট ছিল আয়ুব খাঁর বিরুদ্ধে।

এই পোষ্টে কোন ভাবেই সাকা চৌধুরী বা ফকা চৌধুরীকে সমর্থন করে কিছু লিখা নাই। যা ইতিহাস তাই নির্মোহভাবে তুলে ধরার প্রচেষ্টা মাত্র।
সমর্থন করে কিছু লিখা নাই!?!?!?!?কোথায় তুললেন!?!?!?!

আপনি এইটা জানেন তো জিয়া, কর্নেল অলিকে নির্দেশ দিয়্বেছিল সাকাকে হত্যার জন্য। কর্নেল অলি নিজেই বহুবার বলেছেন এখন হয়ত স্বীকার করে না। আচ্ছা জিয়াউর রাহমান স্বাধীনতার ঘোষক নাকি এম এ হান্নান? এম এ হান্নান তো ২৬ তারিখ সকালেই ঘোষণা করেছিলেন!!!!!!!
হুম, তিনি কেন হবেন তিনি তো পরবর্তীতে আলাদা রাজনৈতিক দল করেন নাই!!!!!

সাকা বিএনপি তে কেন যোগ দিসে সেটা জানেন তো!?

৭১র পর কম অত্যাচার করে নাই। একসময় ফটিকছড়ি, রাউজান, সাতকানিয়া সন্ত্রাসের জন্য সর্বাধিক কুখ্যাত ছিল।মানুষ রাতে ঘুমাত অস্ত্রের শব্দে। দিনেও ঐদিক যাবার সাহস করত না। এখনো দুরনামটা আছে। গডফাদার কিন্তু ১ জনই সাকা!!!! জানেন তো???? তাঁর বিরুদ্ধ্বে মুখ খুলতে এখনো মানুষ ভয় পায়।

আমার ১ পরিছিত ভাই আছে তাঁর আব্বা ফটিকছড়িতে লীগ করত। এলাকায় অনেক জনপ্রিয় ছিলেন। ১৯৯৬ তে তাঁকে খুন করা হয়। তাঁরা এরপর শহরে চলে আসেন। তাঁর পরিবার আজও মামলা করার সাহস করেনি।এরকম আরও অনেকে আছেন।

এই পোষ্টে কোন ভাবেই সাকা চৌধুরী বা ফকা চৌধুরীকে সমর্থন করে কিছু লিখা নাই। কেও যদি লিখে তাঁর মানসিকতায় ঘৃণা জানান ছারা কিছু করার নাই। এই খানে যারা সাকা চৌধুরীকে সমর্থন জানায় তাদের বলি লীগ কে গালি দেন সমস্যা নাই কিন্তু সাকা চৌধুরীকে সমর্থন দেন!!!!! ঘৃণা জানানোর ও ভাষা নাই.।.।

৩২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৪২

স্বাধীকার বলেছেন:

একই যাত্রায় ভিন্নফল কাম্য নয়,
সকল রাজাকারের বিচার চাই,
বিচারের স্বচ্ছতার জন্য নিজ দলীয় রাজাকার গুলোর বিচার শুরু হওয়া উচিত ছিলো, তাহলে বিচারের ভিতর রাজনৈতিক আওয়ামী ধান্ধাটি ঢাকা পড়তো।
সাকার যে বিষয় গুলো ‍তুলে ধরেছেন সে বিষয়ে আম্লীগের ব্লগাররা যাচ্ছেন না, তারা বরাবরের মতোই ভাঙ্গা ক্যাসেট বাজাচ্ছেন। কোনো কিছুতেই যুক্তিতে সত্য দিয়ে কারো সাথে না পারলে আম্লীগ তাকে স্বাধীনতা বিরোধী হিসাবে ট্যাগ করবে-। যেমন লাল সালু উপন্যাসে ভন্ড মজিদ জেতার জন্য আধুনিক যুবক আক্কাছের স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে ভেস্তে দিতে বলে, ঐ মিয়া তোমার দাড়িঁ কই? যদিও স্কুল প্রতিষ্ঠার সাথে দাড়িঁর কোনো সম্পর্ক নেই। না পারলেই রাজাকার ট্যাগিং দেওয়া আম্লীগের ‘মজিদি কৌশল” ।

লেখককে ধন্যবাদ, যৌক্তিক একটি নতুন প্রজন্ম আমাদের দরকার-যারা সত্যের জন্য লড়াই করে, যদি সে সত্য তাদের বিপক্ষেও যায়। আওয়ামী প্রপাগান্ডা আর চেতনার জারিগান এর বিপরীতে এ ধরণের আলোচনাপূর্ণ পোস্ট আমাদেরকে যুক্তির দিকে নিয়ে যাবে। অপরাধ প্রমানের দায়িত্ব বিচার-আইনের। কিন্তু আমরা লজিকের সাথে তা বিশ্লেষন করবো, সত্যটা জানবো-সেজন্যই ব্লগ। লিখতে থাকুন, আছি সাথে।

৩৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:২৭

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: সাকার ঘেটুপুত্ররা ব্লগ লেখে ডেখি B-)

৩৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: সাকার ঘেটুপুত্ররা ব্লগ লেখে ডেখি


হাসতে হাসতে মরে গেলুম মাইরি! =p~ =p~ =p~ =p~

৩৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন: দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: সাকার ঘেটুপুত্ররা ব্লগ লেখে ডেখি


হাসতে হাসতে মরে গেলুম মাইরি! =p~ =p~ =p~ =p~

৩৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:
@ আ িম িরয়াদ,
আচ্ছা জিয়াউর রাহমান স্বাধীনতার ঘোষক নাকি এম এ হান্নান? এম এ হান্নান তো ২৬ তারিখ সকালেই ঘোষণা করেছিলেন!!!!!!!
আপনের জইন্য এইখানে কিছু গিয়ান আছে.......
জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নাকি এম এ হান্নান?
এও জানি এইটা আয়ুব খার আমলে। তখনও বিভেদ ছিল না। তখন পাকিস্তানর সকল রাজনৈতিক দল একজোট ছিল আয়ুব খাঁর বিরুদ্ধে।
তো ভাইজান এইগুলান কুন আমলের....পাকী আমলের না বাংলাদেশ রক্তাক্ত যুদ্ধের মাধ্যনে স্বাধীন হওনের মাত্র ২ বছরের মইধ্যের ???

এইটাও কী পাকী আমলের ???

আপনি এইটা জানেন তো জিয়া, কর্নেল অলিকে নির্দেশ দিয়্বেছিল সাকাকে হত্যার জন্য। কর্নেল অলি নিজেই বহুবার বলেছেন এখন হয়ত স্বীকার করে না।
কর্নেল অলি এখন স্বীকার করে না ক্যান ? স্বীকার করে না দেইখ্যাই কী আদালতে মাইর দিতে গেছিলেন নি এই মুক্তিযোদ্ধারে?

@ ছাগ-নাগরিক + ছাগীভ্রান্ত পাকীছাগী,

দাঁত বন্ধ কইরা বইনডির "পুটু"তে বরফ লাগাউগা যাউ
বরফ কইলাম আস্তে আস্তে দিও,নাইলে জ্বলবার পারে..... ;) ;)

৩৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

হাসিব০৭ বলেছেন: হাম্বা আর রাজাকার,
মিলে মিশে একাকার!



হাম্বা আর রাজাকার,
মিলে মিশে একাকার!

৩৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

ইঁন্দুর বলেছেন: দায়িত্ববান – দিকভ্রান্ত – ইন্ডাস্ট্রি

তিন তিনটা রাজাকারের বাচ্চা একত্রে একই সুরে ঘেউ ঘেউ করা শুরু করছে । এই তিনটারে তিন পিস হাড্ডি দেয়া হোক ।

@ হাসিব ০৭

এই ভাবে বলেন -

হাম্বা আর রাজাকার

বিয়ের পর বিছানায় একাকার

৩৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

আমি অপদার্থ বলেছেন:

গ্যালারিতে বসলাম ।
দেখি কি ঘটে !!!

৪০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২২

অেসন বলেছেন: "উল্লেখ্য, মুসা বিন শমসের গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য।" !
এই হলো আপনার সত্য জানা ও লেখার নমুনা।
ফকা চৌধুরী হত্যার! বিচার করবে পাকিস্তান। কারন উনি পাকিস্তানের পক্ষের লোক।
একবার বললেন সাকা চৌধুরী ৭১ সাল থেকে লন্ডনে ছিলেন। আবার বললেন নুতন চন্দ্র সিংহ হত্যার
দিন উনি পকিস্তানে ছিলেন। নুতন চন্দ্র সিংহও কিন্ত ততকালীন পাকিস্তানেই ছিল।আর দ্বিজাতি তত্ত্বের
জন্য সাকা চৌধুরীর বিচার হচ্ছে না।

৪১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

একজন আরমান বলেছেন:
আপনার লেখার সবটাই পড়লাম।

প্রথমেই আপনি লিখেছেন -

সব ঠিক ছিল কিন্তু যখন আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান কে রাজাকার প্রমানে মরিয়া হয়ে ঊঠল আর বসে থাকতে পারলাম না। হাত দিলাম ইতিহাসে।

বিসমিল্লাহয় গলদ করলেন যে ভাই !

জিয়াকে রাজাকার কেউ বলে না। কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষক কে? জিয়ার সেই এনাউন্সটা আবার ভালো করে শুনে দেখবেন। জিয়া শুরুতেই কিছু শব্দ বলেছিল - "অন বিহাফ অফ" !
আশা করি এর বাংলা অর্থ জানেন।
যাই হোক শুভকামনা।

৪২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

জানা বলেছেন:



পোস্টটিতে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। তবে, অনুগ্রহ করে যুক্তিযুক্ত, গঠনমূক এবং শোভন মন্তব্যের দিকে নজর রাখুন। এইরকম পোস্টেতো আলোচনা হতে হবে। অবশ্য মিথ্যচার এবং প্রপাগান্ডামূলক নয়, বরং সত্য উদঘাটন এবং প্রমান স্বরূপ হাজারও তথ্য দিয়ে লেখক এবং মন্তব্যকারী বল্গাররা এই পোস্টকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারেন। বিষয়টিতে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ এবং রাজনৈতিক ভূত টেনে এনে নিজেদের ছোট করার কোন যুক্তি নেই। মূল বিষয় হলো, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমদের সচেতনতা এবং জানাজানির গভীরতার প্রকাশ ও প্রসার। কোনভাবেই ব্যক্তি আক্রমণ নয়।


পোস্টের শেষের বোল্ড করা বাক্যগুলো অত্যন্ত অশালীন এবং গুরুত্বহীন। এখনই মুছে দেবার অনুরোধ থাকছে।

ধন্যবাদ।

৪৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২০

প‌্যাপিলন বলেছেন: সাকা একবার বিএনপি থেকে উষ্টা খাইয়া বলছিল ' এতদিন কুকুর লেজকো নাড়তো, এবার লেজ কুকুরকে নাড়বে'

এখন দেখি ব্লগারদেরও নাড়ছে



৪৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২১

প‌্যাপিলন বলেছেন: সাকা একবার বিএনপি থেকে উষ্টা খাইয়া বলছিল ' এতদিন কুকুর লেজকে নাড়তো, এবার লেজ কুকুরকে নাড়াবে'

এখন দেখি ব্লগারদেরও নাড়ছে



৪৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এই পোস্টের সাথে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিউয়ার রহমান এবং মাওলানা ভাসানী কে টেনে এনে মূলত তাদের অসন্মান করা হল।

সাকা রাজাকার কি রাজাকার না সেটার প্রমান নিয়ে আমি কিছু বলতে চাইনা। তবে যদি প্রমাণিত হয় সাকা রাজাকার তবে তার ফাঁসি চাই। তবে যতটুকু জেনেছি সাকা ওইসময়ের একজন চিহ্নিত রাজাকার তাই তাকে নিয়ে আলোচনা করার বিন্দু মাত্র ইচ্ছে আমার নেই। বাংলাদেশ হোক ছাগু আর রাজাকার মুক্ত।

তবে যদি কেউ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিউয়ার রহমান এর স্বাধীনতার ঘোষনা নিয়ে কথা তুলে তবে কিছু তথ্য রেখে যাচ্ছি।



১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর বর্বরের মতো ঘৃণ্য হামলা চালায়। সে রাতে পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে পূর্ব পাকিস্তানের জনপ্রিয় বাঙালি নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বন্দী হন। মার্চ এর ২৬ তারিখ দিনের প্রথম প্রহরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ চলে যান আত্মগোপনে। জনগণ তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। এই সঙ্কটময় মুহূর্তে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় পশ্চিম পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বর আক্রমণের পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল মেজর জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করে বিদ্রোহ করেন এবং ২৬শে মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। তারপর থেকে আজো ২৬শে মার্চ এই দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালিত হয়। ঘোষণাটি নিম্নরুপ:

প্রিয় দেশবাসী,আমি মেজর জিয়া বলছি।...আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আপনারা দুশমনদের প্রতিহত করুন। দলে দলে এসে যোগ দিন স্বাধীনতা যুদ্ধে। গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েট ইউনিয়ন, চীনসহ বিশ্বের সব স্বাধীনতাপ্রিয় দেশের উদ্দেশে আমাদের আহ্বান, আমাদের ন্যায়যুদ্ধের সমর্থন দিন এবং স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিন।...ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের অবধারিত।

২৭শে মার্চ প্রত্যুষে কালুরঘাটে অবস্থিত চট্টগ্রাম বেতারের বিপ্লবী কর্মীরাও অদূরে বাঙালী সেনাদের অবস্থানের খবর পেয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে। সেখানে তারা মেজর জিয়াকে বেতারে একটি ঘোষনা দিতে এবং ট্রান্সমিশন কেন্দ্র পাহারা দিতে কয়েকজন সৈনিক দেবার অনুরোধ করে। মজের জিয়া এতে রাগান্বিত হয়ে তাদের ফিরিয়ে দেন। অবশ্য কিছুক্ষন পরে তিনি কালুরঘাট ট্রান্সমিশন কেন্দ্র পাহারার জন্য ৮জন সৈনিক পাঠান। তারপর হঠাৎ করে নিজে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন এবং ট্রান্সমিশন কেন্দ্র থেকে নিজেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ঘোষনা করে স্বাধীনতার ঘোষনা প্রদান করেন। তার এই ধরনের ঘোষনায় নেতৃবৃন্দ হতভম্ব হয়ে পড়েন। পরে সর্বজন শ্রদ্বেয় ব্যক্তিত্ব প্রাত্তন কেন্দ্রীয় শিল্পমন্ত্রী জনাব,এ.কে. খান সাহেবের বাসায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে নিজ হাতে মেজর জিয়ার মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন যেটা আজ আমরা শুনে থাকি।

তার এই ঘোষণা পত্রটিতে যেহেতু বঙ্গবন্ধুর পক্ষথেকে ঘোষণা করছেন কথাটি উল্লেখ ছিলনা তাই তিনি পরবর্তীতে সেই ভাষণ সংশোধন করেন এবং পুনরায় ২৭ শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে সকাল ১১টায় স্বাধীনতার আরেকটি ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। ঘোষণাপত্রটির ভাষ্য নিম্নরুপ:

his is Swadhin Bangla Betar Kendra. I, Major Ziaur Rahman, at the direction of Bangobondhu Mujibur Rahman, hereby declare that Independent People's Republic of Bangladesh has been established. At his direction , I have taken the command as the temporary Head of the Republic. In the name of Sheikh Mujibur Rahman, I call upon all Bengalees to rise against the attack by the West Pakistani Army. We shall fight to the last to free our motherland. Victory is, by the Grace of Allah, ours. Joy Bangla.


অনুবাদ: আমি,মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির প্রাদেশিক কমাণ্ডার-ইন-চিফ, শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আমি আরো ঘোষণা করছি যে, আমরা শেখ মুজিবর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম ও আইনসিদ্ধ সরকার গঠন করেছি যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের সরকার জোট-নিরপেক্ষ নীতি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। এ রাষ্ট্র সকল জাতীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং বিশ্বশান্তির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আমি সকল দেশের সরকারকে তাদের নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। শেখ মুজিবর রহমানের সরকার একটি সার্বভৌম ও আইনসম্মত সরকার এৰং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাবার দাবিদার। জয় বাংলা।

১৯৭১ সালে এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে যা নয় মাস স্থায়ী হয়। মেজর জিয়া এবং তাঁর বাহিনী সামনের সারি থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। তাঁরা বেশ কয়েকদিন চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চল নিজেদের নিয়নত্রণে রাখতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অভিযানের মুখে কৌশলগতভাবে তাঁরা সীমান্ত অতিক্রম করেন। ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে তিনি ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন। তিনি সেনা সদস্যদের সংগঠিত করে পরবর্তীতে তিনটি সেক্টরের সমন্বয়ে জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে যুদ্ধপরিচালনা করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমান, যুদ্ধ পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালের জুন পর্যন্ত ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ও তারপর জেড-ফোর্সের প্রধান হিসেবে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বের জন্য তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।


এখন অনেকেই বলতে পারেন উনিত অন বিহাফ অফ শব্দটি বলেছেন তাহলে উনি ঘোষক কিভাবে হলেন?

কথা হল ঘোষণা বলতে কি বোঝায় । বি এন পি সবসময় ঘোষক বলেই দাবি করে আসছে অন্য কিছু নয়। ঘোষণা পত্রটি যেহেতু তিনিই ঘোষণা করেছেন অতএব তাকে ঘোষক হিসেবে মেনে নিতে কোথায় এত সমস্যা আমার বোধ গম্য নয়।

আর অন বিহাফ অফ মানেই হল কারও অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করা। এখানে তার হয়ে করাকে বোঝায় না।

ধরুন আপনি একটি অফিসের কর্মকর্তা। সেখানে আপনার কলিগ যদি অনুপস্থিত থাকে তবে তার জায়গায় যদি ওইদিন আপনি কাজ করেন তবে সেখানে অন বিহাফ অফ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ ওইদিনের কাজের জন্য কৃতিত্ব তার কারণ সে তার কলিগের ছুটিতে কাজ করেছেন তার কলিগ কিন্তু নয় কোন ভাবেই।


যাই হোক সাকা প্রসঙ্গে ফিরে আসি। সাকা যেহেতু বিতর্কিত একজন মানুষ তাকে নিয়ে দেয়া এই পোস্টে দেশের মহান নেতাদের নাম বাদ দিয়ে দিলেই খুশি হব।


রাজাকারদের ফাঁসি চাই।

৪৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

দখিনা বাতাস বলেছেন: ৭১এ যুদ্বের সময় সাকা লন্ডন ছিল, রাউজান ছিলনা। সাকা কিছুই করে নাই-- এমন কৌতুক রাউজানবাসীর সাথে তাদের পালিত গরু ছাগলগুলাও হাসতে হাসতে মরবো। :D :D :D :D

গোলাম আজমও তো বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাইছে ৯২এ। পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়া বাংলাদেশে আসছে ৭৬এর পরে- তাইলে তো মনে হইতাছে গোলাম আজমও দেশে ছিলনা। ৭১এ রাজাকারি করা দুরের কথা/

নিজামী মুজাহিদরা দেশের মন্ত্রি ছিলে ২০০১এ। একটা সাধ্বীন দেশে রাজাাররা কিভাবে মন্ত্রি হয়? তাইলে ওরা রাজাকার ছিলনা-- যুক্তি কেমন হইলো ভাই? ভালো তো, ভালনা? B-) B-) B-) B-) B-)

৪৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



১৯৭২ সালের ৮ই জানুয়ারী প্রকাশিত দৈনিক বাংলায় একটি রিপোর্টে সাকা চৌধুরীর যুদ্ধবিরোধী কর্মকান্ড প্রকাশিত হয়, “সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী এবং তার বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরী শত শত যুবকদের ধরে এনে চট্টগ্রামে তাদের গুড হিল বাংলো-তে নিয়ে আসতো এবং তাদেরকে নির্দয়ভাবে নির্যাতন করতো। সেইসব হতভাগ্য লোকদের মধ্যে ছিলেন শহীদ ডাঃ সানাউল্লাহ্‌র পুত্র। ১৯৭১ সালের ১৭ই জুলাই সাকাচৌ ছাত্রনেতা ফারুককে ধরে আনে এবং পাকিস্তানী সেনাদের সাহায্যে তাকে হত্যা করে। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ থেকে আত্মসমর্পনের দিন পর্যন্ত পাকিস্তানী সৈন্যদের একটি দল তার বাংলো পাহারা দেয়ার জন্য নিয়োজিত ছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালের ১৮ই ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা ফজলুল কাদের চৌধুরীকে তার পরিবারের সদস্যসহ চট্টগ্রাম থেকে ১২০ পাউন্ড লুটকৃত স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে। ”


মাহবুব আল আনোয়ার তাঁর রচিত The history of Bangalee’s war of liberation বই-এর ৬৯নং পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ১৮ই নভেম্বর চট্টগ্রাম কারাগার থেকে নিজামুদ্দীনকে ছেড়ে দেয়া হয়। তিনি উল্লেখ করেন… “৫ই জুলাই আমাকে ধরে নেয়া হয়। তারপর আমাকে ফজলুল কাদের চৌধুরীর কাছে নেয়া হয়। সেখানে ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে সালাউদ্দীন তাদের অন্যান্য সঙ্গী খোকা, খলিল এবং ইউসুফ মিলে পেছন দিক থেকে আমার হাত বেঁধে ফেলে এবং মোটা লাঠি এবং বাঁশ দিয়ে আমাকে মারতে শুরু করে।পাঁচ ঘন্টা আমি জ্ঞান না হারানো পর্যন্ত তারা এই কাজ চালাতে থাকে। ৬ই জুলাই রাত ১১টার সময় তারা আমাকে মাঠে ফেলে রেখে যায়। তখন পর্যন্ত আমাকে খাওয়ার জন্য কিছু দেয়া হয়নি, পান করার জন্য এক ফোঁটা পানিও দেয়া হয়নি।যখনি আমি পানি চেয়েছি তারা জবাব দিয়েছে, “তুমি হিন্দুতে রূপান্তরিত হয়েছ, তোমাকে এমনকি পানিও দেয়া যাবেনা।” ১৩ই জুলাই আমাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এই সময়কালে তারা আমার পা ঝুলিয়ে আমাকে নিয়মিত মারধর করতো। সারা দিনের জন্য একমাত্র খাবার ছিল দুই টুকরো হাতে বানানো রুটি এবং পানি। তারা যেকোন অজুহাতে আমাকে লাথি মারতো। এই পরিস্থিতিতে একজন মুসলমান হিসেবে আমার নামাজে আমি আল্লাহ্‌র কাছে স্বান্তনা প্রার্থনা করেছি। আমি নামাজরত অবস্থায়ও তারা আমাকে পেছন থেকে লাথি মারতো আর বলতো, “তুমি হিন্দু হয়ে গেছ, নামাজ তোমার জন্য না।” ”

বইটিতে আরেকটি ঘটনার বর্ণনা আছে, “১৩ই এপ্রিল অধ্যক্ষ নতুন চন্দ্র সিংহকে হত্যা করা হয়। গহিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাদে স্থাপিত মেশিনগান থেকে পাকিস্তানী সেনারা চতুর্দিকে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। প্রচুর গুলি কুন্ডেশ্বরী ভবনে আঘাত করে। এর আগে শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ উদ্ভূত পরিস্থিতি রোধ করার জন্য ভবনটির বাসিন্দাদের সরিয়ে দেন। কিন্তু তিনি নিজে কুন্ডেশ্বরী ভবনের মন্দির আঁকড়ে ধরে সেখানে থেকে যান। সৈন্যদের তাঁর সাথে দেখা করতে আসার প্রত্যাশা করে তাদেরকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য তিনি চত্বরে টেবিল-চেয়ার বিছিয়ে রাখেন। দুইটি জীপে করে সৈন্যরা এসেছিল। তার একটি জীপে ফজলুল কাদের চৌধুরীর সন্তান সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী আরোহণ করছিল। তাদের পেছনে চারটি ট্যাংক কুন্ডেশ্বরী রোডে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত ছিল।অধ্যক্ষ সেনাসদস্যদের অভ্যর্থনা জানালেন এবং তাদের আপ্যায়ন করলেন। তিনি তাদেরকে তাঁর কল্যাণমূলক কাজের বর্ননা দিলেন এবং সেগুলো চালিয়ে নেয়ার ব্যাপারে তাঁর ইচ্ছার কথা জানালেন। এতে সন্তুষ্ট হয়ে সৈন্যরা চলে গেল। কিন্তু সালাউদ্দীন তাদেরকে পুনরায় ফেরত আনলো, কারণ তার বাবা তাকে এই নাস্তিককে জীবিত ছেড়ে দিতে নিষেধ করেছিল। ক্ষমতাবান একদল বীর সৈন্যের জন্য এই দিনটি স্মরণীয় নয়, বরং ৭০ বছর বয়স্ক একজন নিরস্ত্র বৃদ্ধ যিনি তার লোকদের শান্তি ও ভালোবাসার পক্ষে সংগ্রাম করেছিলেন, তার জন্য স্মরণীয়। তিনি মন্দিরের সামনে মৃত্যুকে বরণ করার জন্য দাড়িয়ে পড়লেন।তারা তিনবার তাঁর দিকে গুলিবর্ষণ করল। একটি গুলি ঠিক তার একটি চোখের নিচে বিদ্ধ হয়। আরেকটি গুলি তাঁর হাতে লাগে এবং তৃতীয় গুলিটি তাঁর বুকে বিদ্ধ হয়। মায়ের জন্য ক্রন্দনরত অবস্থায় তিনি মাটিতে পড়ে যান। তাঁর জন্য হিন্দু, মুসলমান সকলেই শোকার্ত হয়ে গিয়েছিল। শোকার্ত মুসলমানদেরকে সালাউদ্দীন বিদ্রুপাত্নক সুরে বলল, “ কেন তোমরা কষ্ট পাচ্ছ? এটা তো শুধুমাত্র একজন মালাউন মারা গেছে!” ”


১৩ই এপ্রিল দিনটি আরেকটি করুণ মৃত্যুর জন্য স্মরণীয় থাকবে। সালাউদ্দীনের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত গহিরার একজন বিশিষ্ট অধিবাসী চিত্তরঞ্জন বিশ্বাসের ঘরে সকাল সাড়ে দশটায় প্রবেশ করে, বিশ্বাসের পুত্র ছাত্রনেতা দয়াল হরি বিশ্বাসকে তুলে আনে এবং তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

১৯৭১ সালে তৎকালীন পাকিস্তানী শক্তিকে সমর্থনের সময় প্রথম বিবাদী স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে সবচেয়ে অমার্জনীয় এবং জঘন্য ভূমিকা পালন করেছিল। বহু লুটপাট ও হত্যাকান্ডের সাথে সে জড়িত ছিল। ১৯৭২ সালের ১৩ই এপ্রিল চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় তার বিরুদ্ধে দালাল আইনে মামলা করা হয়,মামলার ক্রমিক নাম্বার ছিল ১৭। সমাজসেবক নুতন চন্দ্র সিংহকে হত্যার অভিযোগে রাউজান থানায় বিবাদীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, মামলাটির ক্রমিক নম্বর ছিল ৪১(১)৭২ এবং ৪৩(১)৭২।

নুতন চন্দ্র সিংহ হত্যা মামলার শুনানি ১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত হয়। নুতন চন্দ্র সিংহের পুত্র সত্য রঞ্জন সিংহ সহ মোট ১২জন এই মামলার সাক্ষী ছিল।এই মামলার ক্রমিক নাম্বার হচ্ছে বাংলাদেশ দন্ডবিধির অধীনে U/S302/120(13)/298 । ১৯৭২ সালের ২৯শে জানুয়ারী মামলার শুনানী শুরু হয়। সাকা চৌধুরী এবং অন্য পাঁচ আসামী পলাতক ছিল। অন্যদিকে তার বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরীসহ বাকী আসামীরা হাজতে ছিল। মামলার চার্জশীটে উল্লেখ ছিল যে, সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী ও অন্যান্য আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত সত্য।

চট্টগ্রামের আরেকজন শহীদের সন্তান শেখ মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর জনগণের তদন্ত কমিশনে জানায় যে, ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সহায়তায় সাকা চৌধুরী এবং তার সহযোগীরা তার বাবা শহীদ শেখ মোজাফফর আহমেদ এবং তার ভাই শহীদ শেখ আলমগীরকে হাটহাজারীর একটি সড়ক থেকে তুলে নেয় এবং নিকটবর্তী পাকিস্তানী সেনাক্যাম্পে নিয়ে যায়। এবং পরবর্তীতে তাঁদেরকে ঐ ক্যাম্পে হত্যা করা হয়।

স্বাধীনতার পর অভিযোগকারী শেখ মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর সাকা চৌধুরী এবং তার দোসরদের বিরুদ্ধে মামলাও করে। হারুনুর রশীদ খান চট্টগ্রামে জাতীয় পার্টির নেতা । ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে মুক্তিসেনাদের একজন জনসংযোগ কর্মকর্তা(১ নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর রফিকুল ইসলাম তাঁকে ঐ পদে নিয়োগ দেন)ছিলেন। হারুনুর রশীদ তাঁর দায়িত্বের অংশ হিসেবে একটি প্রচার সেল গঠন করেন এবং সংবাদদাতাদের সাহায্যে তিনি সালাউদ্দীন ও তার হত্যাযজ্ঞ, লুটপাট ও অন্যান্য কর্মকান্ডের তথ্য সংগ্রহ করেন। তথ্যগুলো একত্রিত করে তিনি ১ নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর রফিকুল ইসলাম ও যুদ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক নেতাদের কাছে রিপোর্ট পেশ করতেন। এই কাজ করার সময় তিনি জানতে পারেন সাকা, তার বাবা ফকা এবং তাদের বিশ্বস্ত বাহিনীরা কিভাবে শত শত মুক্তিযো্দ্ধা ও বাংলাদেশকে সমর্থনকারী লোকদের তুলে আনতো এবং তাদের গুড’স হিল এর বাসায় এনে নির্যাতন করে হত্যা করতো।

সাকা/ফকা বাহিনী মহিলাদেরকেও ধরে আনতো এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের দৈহিক প্রশান্তি লাভের জন্য তাদের কাছে হস্তান্তর করতো। স্বাধীনতার ঠিক পূর্বে সাকা চৌধুরী দেশ থেকে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা তাকে ধাওয়া করার সময় সে অল্পের জন্য হাত ফসকে যায়। যাই হোক, এটা বিশ্বাস করা হতো যে তাকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া গুলির একটি তার পায়ে বিদ্ধ হয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাকিস্তানে চলে যান এবং ১০ এপ্রিল পাকিস্তানের করাচিতে সালমান এফ রহমানের বাসায় যান বলে দাবি করেছেন এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ট্রাস্ট্রি বোর্ডের সদস্য কাইয়ুম রেজা চৌধুরী। একাত্তরের ২৯ মার্চ নিজে গাড়িতে করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ধানমণ্ডি থেকে তেজগাঁও বিমানবন্দরে নিয়ে যান বলেও জানান তিনি।

৪৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:
@ দরিদ্র তারা,
আব্বাজান এইরাম করে ক্যা....

৪৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

প্রথমে এই মন্তব্যটি করলেও

সাকা রাজাকার কি রাজাকার না সেটার প্রমান নিয়ে আমি কিছু বলতে চাইনা। তবে যদি প্রমাণিত হয় সাকা রাজাকার তবে তার ফাঁসি চাই। তবে যতটুকু জেনেছি সাকা ওইসময়ের একজন চিহ্নিত রাজাকার তাই তাকে নিয়ে আলোচনা করার বিন্দু মাত্র ইচ্ছে আমার নেই। বাংলাদেশ হোক ছাগু আর রাজাকার মুক্ত।


পরের মন্তব্যে আবার সাকার বিরুদ্ধে আনিত কিছু অভিযোগ এখানে সূত্র সহ দিয়ে গেলাম। এই সব অভিযোগ কিভাবে মূল্যায়ন করবেন সেটাই জানতে চাওয়া আমার মুল লক্ষ্য।

৫০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

জানা বলেছেন:


বিষয়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে পোস্টটি আমরা নির্বাচিত পাতায় রেখেছি একটি দরকারী আলোচনা তৈরীর লক্ষে।

পোস্টটির সুষ্ঠু আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং গঠনমূলক আলোচনা/বিতর্ক বাঁচিয়ে রাখার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে পোস্ট লেখকের। আবারও বলছি, পোস্টের শেষের দিকে বোল্ড করা "আমার জাতীয়তাবাদীরা কোন পর্নলেখক বা মুরগী ব্যাবসায়ীর মনগড়া লিখিত ইতিহাস নিয়ে লাফালাফি করি না। যা সত্য বলে জানি তাই লিখি।" এই বাক্যগুলো অমূলক এবং আক্রমণাত্বক। এখনই মুছে দিন এবং আপনার পোস্টটি লেখার যে উদ্দেশ প্রকাশে সততার পরিচয় রাখুন।



৫১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

dream111rocks বলেছেন:
এই পোস্টের মূল্য কত?

জানা মনে হয় মগবাজার এর বিল আর এখন পান না! এই কারণে সাকা কাগুর পোস্টকে প্রমোট করতেছেন । এই পোস্টে উনার দু বার দৃশ্যমান পদধূলিতে মন কয় 'ভাল ম্যা কুচ কালা হ্যায়!!'

৫২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

dream111rocks বলেছেন: আর স্বাধীনতা পক্ষের যে সব ব্লগার আছেন তাদের অনুরোধ এই পোস্টে কোন আলোচনায় অংশ না নিতে। এটা বিচারাধীন মামলা। যা ফয়সালা হবার তা হবে আদালতে। এখানে প্রমাণ দেওয়ার কিছু নাই।

সামুর অনলাইনে এমন কোন প্রভাব বা গ্রহণ যোগ্যতা নেই যা মানুষকে (ছাগু নয় কিন্তু) বিভ্রান্ত করবে।

ছাগলের ম্যাৎকারে কান দেওয়ার কোন প্রয়োজন নাই।

৫৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

গারো হিল বলেছেন: জেনারেল হয়ে গেলাম এই পোস্টে কমেন্ট করার সুবাদে :( :( :(

৫৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

মামুন রশিদ বলেছেন: বিএনপি হাইকমান্ড যেখানে কুখ্যাত রাজাকার সাকা'র ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে, সেখানে পোস্টদাতা সাকা'র সাথে জিয়াউর রহমান আর মৌলানা ভাসানী জড়িয়ে বিষয়টি গুলিয়ে ফেলেছেন । একই সাথে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে কাজ করছেন, তাদের মুরগী ব্যাবসায়ী উপাধী দিয়ে প্রকারন্তরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকেই অপমান করেছেন ।

এটা পরিষ্কার, পোস্ট লেখক কোন সততার জায়গা থেকে পোস্ট লিখেন নি । যখন যেকোন মুহূর্তে কুখ্যাত রাজাকার সাকা'র যুদ্ধপরাধের রায় ঘোষিত হবে, তখন সাকার মত কুখ্যাত দেশবিরোধীকে প্রমোট করে পোস্ট দেয়া কখনোই সৎ উদ্দেশ্য থেকে হতে পারে না ।

তাই কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ থাকবে অবিলম্বে পোস্ট মুছে দেয়া হোক এবং স্বাধীনতাযুদ্ধের বিপক্ষে পোস্ট দেয়ার জন্য পোস্টদাতাকে ব্যান করা হউক ।

৫৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬

জানা বলেছেন:


dream111rocks বলেছেন:
এই পোস্টের মূল্য কত?

জানা মনে হয় মগবাজার এর বিল আর এখন পান না! এই কারণে সাকা কাগুর পোস্টকে প্রমোট করতেছেন । এই পোস্টে উনার দু বার দৃশ্যমান পদধূলিতে মন কয় 'ভাল ম্যা কুচ কালা হ্যায়!!'


ইন্টারেস্টিং মন্তব্য। মুছে না দেবার জন্য ব্লগটিমকে অনুরোধ করছি



অন্যান্য সব ব্লগারদের উদ্দেশ্যে আরেকবার বলছি, এই পোস্টটি নির্বাচিতের তালিকায় রাখা এবং আমার মন্তব্যগুলোয় নজর দিন। হাবিজাবি অমূলক এবং যাকেই হোকনা কেন, গায়ের জোরে ব্যক্তি আক্রমণ না করে বুদ্ধির জোরে এই পোস্ট সামনে রাখার যুক্তিযুক্ত কারণ খুঁজে নিন। লক্ষ্য করুন, পোস্ট লেখকের উপস্থিতি, মন্তব্যের ধরণ, যৌক্তিকতা এবং বুঝে নিন পোস্টের আসল উদ্দেশ্য। উড়ো কথা শোনার আগে নিজের হাতেই কানের অবস্থান পরখ করুন।

পোস্টটি নির্বাচিত করা সফল হয়েছে দেখছি :)

৫৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

আমি অপদার্থ বলেছেন:

dream111rocks বলেছেন:
এই পোস্টের মূল্য কত?

জানা মনে হয় মগবাজার এর বিল আর এখন পান না! এই কারণে সাকা কাগুর পোস্টকে প্রমোট করতেছেন । এই পোস্টে উনার দু বার দৃশ্যমান পদধূলিতে মন কয় 'ভাল ম্যা কুচ কালা হ্যায়!!'


@dream111rocks আমি আপনাকে বলছি!!!!!

আপনার উপরের মন্তব্য দেখে আমার মনে হল আপনি বোধয় মগবাজারের টাকায় ছোট থেকে বড় হয়েছেন। মগবাজারে আপনার নাড়ীর টান । তাই আপনার মগবাজার সম্পর্কে এত জ্ঞান।




৫৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

অেসন বলেছেন: লেখক ও অনেক মন্তব্যকারী সাকা চৌধুরীকে নির্দোষ প্রমানের জন্য সাকার
পরিবারের সাথে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সম্পর্ক টেনে আনছেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাথে সম্পর্ক থাকলেই রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায় না। শেখ হাসিনার বেয়াই যদি যুদ্ধাপরাধী হয় আলীগ বিচার না করলে বিএনপি বিচার করুক, অন্তত আমার সমর্থন থাকবে।
বঙ্গবন্ধুর সাথে ফকা চৌধুরী বা ভুট্টৌর ছবি দিয়ে কি প্রমান করতে চাচ্ছেন? বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের একজন রাজনৈতিক নেতা ও ৬৯ এর নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো অবস্থানে ছিলেন। সেক্ষেত্রে তখনকার পাকিস্তানের নেতাদের সাথে ছবি থাকাটাই স্বাভাবিক। বঙ্গবন্ধু কোন গেরিলা নেতা ছিল না।

৫৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


@ dream111rocks

ভাই আপনিও এই পোস্টে দুবার মন্তব্য করলেন। বেশ এখন যদি আমি বলি আপনি টাকা পেয়েছেন এবং সামুকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেই এমন মন্তব্য করলেন তবে কি ভুল বলা হবে। আপনার প্রথম মন্তব্য ও দ্বিতীয় মন্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে আপনি নিজেই বিভ্রান্ত। চাইছেন না এখানে সাকা সম্পর্কে সত্য উন্মোচিত হোক। যদি আবার কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসে তবে হয়ত আপনার জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।


এই পোস্টে আরও অনেকেই দুই তিন বার করে মন্তব্য করে গেছে। সেসব কি আপনার মতে টাকার জন্য মন্তব্য করে গেলো। তবে বিনোদন পেলাম বেশ অনেকদিন পর।

যাই হোক আপনার মন্তব্যটি আক্রমণাত্মক এবং সুস্থ আলোচনার জন্য ক্ষতিকারক।

৫৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

প্রকৌশলী আতিক বলেছেন: আওয়ামীলীগ হচ্ছে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা তৈরীর মেশিন।

একপাশ দিয়া রাজাকার ঢুকাইয়া তারা অন্যপাশ দিয়া মুক্তিযোদ্ধা বাহির করে। এমন একটা পরিবার এই মেশিন টার দায়িত্বে আছে, যারা মুক্তিযুদ্ধ নিজের চোখে দেখেনি। হায় কপাল...................... ফাকি রেশনে তাদের ভরন পোষন চলত, কি সেলুকাস!!!!

এই দেনা কি আর শোধ করা যায়? তাইতো ছবি কথা বলে। আহা কত দরদ.......... ফাকি গো লগে কি সেই হাসাহাসি, গলায় গলায় পিরিত......।

৬০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০

এরশাদ বাদশা বলেছেন: u tried so much to hide your LANJA, but at last it shows, GODAM er upre kono kotha nai, vahe,

৬১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

dream111rocks বলেছেন: @ অথর্ব

আপনি জানা আর অ-জানা'র মাধ্যে যে একটা পার্থক্য আছে এটা জানেন।

আর উনার কমেন্ট কিন্তু উপদেশ মূলক। আলোচনার মোটিভ কি হবে তা একজন ব্লগ মালিক বা ব্লগ মডারেটর ঠিক করে দিতে পারে না, তারা যেটা করতে পারে সেটা ব্যবস্থা নেওয়া নীতিমালা অনুযায়ী ।

আর ব্যাক্তি আক্রমণ একটা বায়বীয় কথা। এই কথার কোন ভিত্তি নেই।

আমি এখানে আপনাকে আলোচনা না করতে অনুরোধ করি নাই। আপনি এখানে যত প্রমাণ নথি আছে তা দিয়ে দেন তাতে আমার কোন আপত্তি নাই। আমি অনুরোধ করেছি স্বাধীনতা পক্ষের লোকদের কাছে তারা যেন এই ফালতু ত্যানা প্যাচানো পোস্টে না অংশ গ্রহণ করেন। কারণ এটা বিচারাধীন মামলা। প্রমাণ -অপ্রমাণ আদালতে হবে।

@ অপদার্থ

জী ভাইয়া, মগবাজারের প্রতি আমার খুব টান। আইলাবিউমগবাজার!
কোনো প্রোব্লেম!

@ জানাপা

পোস্টটি নির্বাচিত করা সফল হয়েছে দেখছি

ভাল্গাছে, যে আপনার সিদ্ধান্তে কাম হইছে জাইন্যা।

৬২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫২

খাটাস বলেছেন: লেখক আমি জানি না আপনি সাকা কে রাজাকার মনে করেন কিনা? আপনি পোস্টে যেসব তথ্য দিয়েছেন, তা মুলত আপনার দুই ধরণের চিন্তা ইঙ্গিত করতে পারে।
১। সাকা রাজাকার ছিলেন, তবে লীগ তা নিজের স্বার্থে ভুল অভিযোগে প্রমান করছে ।
অথবা,
২। সাকা রাজাকার ছিল না।
আপনি যাই বলেন, ইঙ্গিত অপরের বলা ২ টা বিশ্বাসের যে কোন একটা কে ইঙ্গিত করে।

আপনি শুনে খুশি হবেন কিনা জানি না, আপনার পোস্ট যে জানা আপু বেশ গুরুত্ত দিয়েছেন, তা কমেন্ট এই দেখছেন। আর আপনার পোস্টে কমেন্ট করার পর ব্লগ নিতি মালার কোন নিতি অমান্য হউয়ায় ব্লগার দিকভ্রান্ত ভাই কে জেনারেল করা হয়েছে, যাকে আপনি হাম্বা বলছেন। আপনার যুক্তির বিপক্ষে যুক্তি দেয়ায় তাকে হাম্বা নামকরন করেছেন কিনা তা আপনি ভাল জানেন, যদি ব্লগার দিকভ্রান্ত নিজে কে লিগার বলে কখনই দাবি করেন নি। তিনি সব সময় জামাত শিবিরের দোসরদের মুলত রাজাকার হিসেবে স্বীকৃত দের সমর্থক দের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। নিঃসন্দেহে সাহসী এবং যৌক্তিক পদক্ষেপ। তবে হয়ত তার উত্তেজনা টা বেশি ছিল। তবে আপনি বলুন, তার উদ্দেশ্য যদি সুধুই রাজাকারের সমর্থক দের পেছনে লাগা হয়, টা অধিক উত্তেজনা বেতিত কোন উদ্দেশে খারাপ?
আপনি অনেক তত্থের জ্ঞান রাখেন, তা সত্য না মিথ্যা তা পড়ে প্রমান হবে। কিন্তু আপনি যেহেতু সত্য প্রকাশের ( আপনার মত অনুযায়ী) উদ্দেশে এই পোস্ট দিয়েছেন- তাহলে জেনে রাখুন সত্য প্রকাশের পথে বাধা আসলেও ধৈর্য হারান উচিত নয় । আমি এত জ্ঞান রাখি না, তাই সত্য কোনটা জানি না। এটুকু মনে প্রানে মানি। সাকা মোটেই নিস্পাপ নয়, সে বিরাট রাজাকার। আপনার পোস্ট এ কমেন্ট বিপক্ষে গেলে ও দয়া করে যৌক্তিক আলোচনার পরিবেশ কে আপনি নিজে উত্তেজিত হয়ে গাল্গালি করে , পরিবেশ টা নষ্ট করবেন না।
কাণ্ডারি ভাই অনেক যৌক্তিক কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। আপনার জবাব দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। ধৈর্য ধরেন। ভাল থাকবেন।

৬৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫২

আমি রিয়াদ বলেছেন: @ আমি ভূমিপুত্র

প্রথম লিঙ্ক টা দেয়ার কারণ বুজলাম না!! আপনি আমার কথার বা প্রশ্নের মানে বুঝতে পারসেন বলি মনে হয় না।

আমি আমার কমেন্টে বলসি লীগকে গালি দেন সমস্যা না। তারপরও আপনি লীগ টানলেন। আপনি আমারে ছাত্রলীগ ট্যাগও দিলেন!!!! আপনারা পারেনও!!!!!

শুধু সাকার না লীগ আগে কারোই বিচার করতে আন্তরিক ছিল না শুধু নিজেদের স্বার্থর কারণে। তাঁর মানে এই না তারা নির্দোষ।আমি আপনার মত একচোখা না। ভাল কে ভাল, খারাপ কে খারাপ বলি।

বিএনপি ছাড়ার পর কর্নেল অলির উপর ছাত্রদল ও হামলা করেছিল মনে আছে? আর আপনি ভাল কোন সোর্স পাইলেন না!?!?! ব্লগস্পত'র কোন ১টা লিঙ্ক দিলেন!!!

তিন নম্বর লিঙ্কঃ কারো বেক্তিগত মতামত তাই ঐটা নিয়া এইখানে জায়গা নষ্ট করার মানে নাই।

শেসে কোন বইর রেফারেন্স দিলেন বুজলাম না!! লেখক কে? ২৫ মারচ গ্রেপ্তার করার সময় শেখ মুজিবকে চড় দেয়া হয়েছিল পরেছি। এই প্রথম শুনলাম স্যালুট করার কথা!!!!!

আবার বলি আমি লীগার না। সুতরাং অহেতুক ট্যাগ দিয়া মেজাজ বিগড়ায়েন না। আমি লীগ এর দালালি করতে উত্তর দেই নাই।সাকার দালালির বিরুদ্ধ্বে কমেন্ট দেই। আশা করি কথা গুলা বোঝার ক্ষমতা আসে।

বানান ভুলের জন্য ক্ষমা চাই

৬৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২০

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: খন্দকার মোশারফ রাজাকার সেটার বিচার হচ্ছেনা বলে বাকি রাজাকর গুলোকে জামাই আদর করার কোন যুক্তিতে বলেন?
আওয়ামিলীগের বেয়াই বলে তারা যদি মোশারফ কে সাজা না দেয় বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তাকেই আগে ফাঁশিতে ঝুলাক।

সোজা কথা বিএনপি এসে আওয়ামি রাজাকারের বিচার করুক,আর আওয়ামীলীগ এসে বিএনপি রাজাকারের বিচার করুক,আমাদের দরকার এদের বিচার হওয়া,যারা গ্রেফ্তার হয়েছে তারা রাজাকার বলেই হয়েছে। যারা হয়নি তারা ক্ষমতার বদলে হবে।আমরা সেটাই চাই।

আপনি একরাজাকারের জন্য আরেক রাজাকারের ইতিহাস টেনে আনলেন আবার বলছেন আপনি সাকা কে বাঁচাতে বলেননি।
এমন পত্রিকার গায়ে কলমের দাগ আর ইতিহাসের গায়ে সময়ের দাগ সত্য কি মিথ্যা আছে কি মুছে গেছে সেসব নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু ফটিকছড়ির উত্তরে হেঁয়াকো বাজার থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যন্ত শতশত মানুষের মনের দাগ আর গায়ের চামড়ার জীবন্ত দাগ কিভাবে মুছবেন ভাই সাহেব? ফটিকছড়ির প্রতিটি বালু কনার উপর দিয়ে আমি হেটেছি, দেখেছি শুনেছি ক্ষত বিক্ষত মানুষ গুলোর মনের কথা যারা রাজনীতি জানেনা,যারা ইতিহাস লেখেনা ,যাদের কলমের কারসাজি নেই।

সাকা নিজেকে নিজেই রাজাকার বলে মিডিয়াতে বক্তিতা বক্তব্য দিয়েছে আর আপনি আসছেন তাকে নিয়ে সাফাই গাইতে।এর চেয়ে হাস্যকর কান্ড এই ব্লগে আর কোনটা আছে জানা নাই।

এবার আপনার নাম নিয়ে বলি- নষ্ট শয়তান, শয়তান যে নষ্ট সেটা বলার অপেক্ষা রাখে এটাও জানা ছিলোনা।

৬৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: @ইন্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন

৬৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:

@ আ িম িরয়াদ,

@ আমি ভূমিপুত্র
প্রথম লিঙ্ক টা দেয়ার কারণ বুজলাম না!! আপনি আমার কথার বা প্রশ্নের মানে বুঝতে পারসেন বলি মনে হয় না।
-------------------------------------------------------

আপনেরে প্রথম লিঙ্ক টা দেয়া হইছে,
"আচ্ছা জিয়াউর রাহমান স্বাধীনতার ঘোষক নাকি এম এ হান্নান? এম এ হান্নান তো ২৬ তারিখ সকালেই ঘোষণা করেছিলেন!!!!!!!"
আপনের করা এই উক্তি/কোয়েরীর জবাব হিসাবে,যেইটাতে কিছু ইনফো দ্যাওন আছে যা থাইক্যা আপনের কোয়েরী/কোশ্চেন এর এন্সার আপনে পাইতে পারেন........আপনের/আমার এই রিলেটেড কমেন্ট ২ টা আবার দ্যাখেন।


আর আপনি ভাল কোন সোর্স পাইলেন না!?!?! ব্লগস্পত'র কোন ১টা লিঙ্ক দিলেন!!!
-------------------------------------------------------
মুক্তিযোদ্ধা বীর বিক্রম কর্নেল (অবঃ) অলির উপর চট্রগ্রাম আদালতে হামলার খবর "প্রথম আলো" সরাইয়া ফ্যালানির কারনে "ব্লগস্পত'র কোন ১টা লিঙ্ক" পাইয়া দিলাম ......ওইটা ও একটা নিউজপেপারেই(আমার দেশ ২৫/১১/২০১১) ছাপা হওন নিউজের ই লিঙ্ক......নিউজটা আবার পড়েন,সহজেই বুঝবেন।২৫/১১/২০১১ এর অনেক পত্রিকায় ই তো নিউজটা আসছে।।

আমি আমার কমেন্টে বলসি লীগকে গালি দেন সমস্যা না। তারপরও আপনি লীগ টানলেন। আপনি আমারে ছাত্রলীগ ট্যাগও দিলেন!!!! আপনারা পারেনও!!!!!
-------------------------------------------------------
ভাই আপনে লীগ/দল/জাপা/জাসদ/জামাত/বাম যাই হউন/না হউন আমার এইটা মোটেই সমস্যা না,আমি নিজেও দলরে/জাতীয়তাবাদরে সাপোর্ট করি এবং তা লুকাই ও না(লুকামু ক্যান ?) আমার কতা একটাই ইনফো সত্য হওন চাই।এইজন্যই আমি নিজে না কইয়া সাধারন্ত ইনফোর লিংক দিয়া দেই,যেইটা সহজেই যাচাইযোগ্য।।

তিন নম্বর লিঙ্কঃ কারো বেক্তিগত মতামত তাই ঐটা নিয়া এইখানে জায়গা নষ্ট করার মানে নাই।
-------------------------------------------------------
"তিন নম্বর লিঙ্কঃ কারো বেক্তিগত মতামত" না এইটা একজন বর্তমানে আম্রিকা থাকা একজন মুক্তিযোদ্ধার জানা এবং বয়ানে ইতিহাসের সত্যি ঘটনা।তবে এইটা নিয়া আমি ও আগ্রহী না,কিন্তুক ঘটনা নিঃসন্দেহে সত্য এবং সহজেই যাচাইযোগ্য।।

শেসে কোন বইর রেফারেন্স দিলেন বুজলাম না!! লেখক কে? ২৫ মারচ গ্রেপ্তার করার সময় শেখ মুজিবকে চড় দেয়া হয়েছিল পরেছি। এই প্রথম শুনলাম স্যালুট করার কথা!!!!!
----------------------------------------------------------
শেসের রেফারেন্স শেখ হাসিনার ১৭ বছরের সেক্রেটারি মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টুর লেখা "আমার ফাঁসি চাই" বইয়ের এবং হাসিনার নিজের বয়ানে সেইটা বইতেই দ্যাখা যাইতাসে।
বঙ্গবন্ধুরে ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে গ্রেফতারের আগে এক পাকী হাবিলদার মেজর খান ওয়াজির চড় দেয়ার ঘটনা ও সত্য(ব্রিগেডিয়ার জেড এ খান এর বই "দ্যা ওয়ে ইট ওয়াজ")।
"I later learnt that after telling Major Bilal to break down the closed door upstairs when I went to check on the vehicles, someone had fired a pistol shot into the room where Major Bilal’s men were collected, luckily no one was hit. Before anyone could stop him a soldier threw a grenade into the veranda from where the pistol shot had come and followed it with a burst from his sub-machine gun. The grenade burst and the sub-machine gun fire made Sheikh Mujib call out from behind the closed room that if an assurance was given that he would not be killed he would come out. He was given an assurance and he came out of the room. When he came out Havaldar Major Khan Wazir, later subedar, gave him a resounding slap on his face."

=================================
আবার বলি আমি লীগার না। সুতরাং অহেতুক ট্যাগ দিয়া মেজাজ বিগড়ায়েন না। আমি লীগ এর দালালি করতে উত্তর দেই নাই।সাকার দালালির বিরুদ্ধ্বে কমেন্ট দেই। আশা করি কথা গুলা বোঝার ক্ষমতা আসে।
-----------------------------------------------------------
আপনেরেও আবার বলি ভাইজান,আমারে ভুল বুঝিয়েন না......আমার লীগ/দল কাউরো ব্যাপারে এলারজি নাই......এলারজি খালি তথ্যের সত্যতা/অসত্যতা নিয়া।।

ভাল থাইক্যেন......।।

৬৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫০

আমি রিয়াদ বলেছেন: @ কান্ডারী অথর্ব

আপনি স্বাধীনতার ঘোষনা ঘটনার বর্ণনা দেয়া শুরু করলেন ২৬ মার্চ সন্ধ্যা থেকে। এর আগের ঘটনা অনেকটাই এড়িয়ে গেলেন। আমার ১ম কমেন্টে ১টা প্রশ্ন ছিল একটু দেখবেন।

বি এন পি সবসময় ঘোষক বলেই দাবি করে আসছে অন্য কিছু নয়। ঘোষণা পত্রটি যেহেতু তিনিই ঘোষণা করেছেন অতএব তাকে ঘোষক হিসেবে মেনে নিতে কোথায় এত সমস্যা আমার বোধ গম্য নয়।

এম এ হান্নান, আবুল কাশেম সন্দীপ কে ঘোষক বলতে সমস্যা কই!?!?!?! বিএনপি ঘোষক বলতে কি শুধু ঘোষণাকারী হিশেবেই বুঝাতে চায়!?!?!?
মউদুদ;র বইটা পড়তে পারেন।

৬৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০০

জাতির নানা বলেছেন:
মডারেটরগন, লেখকের পোস্টকে নির্বাচিত পাতায় নিয়ে লেখককে ব্যান করে রেখেছেন কোন আক্কেলে??? লেখক এখন কমেন্টের উত্তর দিবে কিভাবে??? এটা কোন ধরনের তামাশা???

জানা ম্যাডাম, আপনি কি কিছু ছাগল দিয়ে হালচাষ করাচ্ছেন না ???

৬৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১২

আমি রিয়াদ বলেছেন: @

আপনি আমার প্রথম প্রশ্নের যে উত্তর দিয়েচেন আমি সে ধরনের উত্তর চাইনি। যাই হোক।

এলারজি খালি তথ্যের সত্যতা/অসত্যতা নিয়া

প্রশ্ন তাইলে এইখানে- সাকা রাজাকার ছিল এটার সত্যতা নিয়ে আপনার কি সন্দেহ আসে? আপনি কি সত্যকে অসত্য প্রমাণ করতে চান? নাকি অসত্যকে সত্য প্রমাণ করতে চান?

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট এর সাথে আমি একমত.।.।

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: খন্দকার মোশারফ রাজাকার সেটার বিচার হচ্ছেনা বলে বাকি রাজাকর গুলোকে জামাই আদর করার কোন যুক্তিতে বলেন?
আওয়ামিলীগের বেয়াই বলে তারা যদি মোশারফ কে সাজা না দেয় বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তাকেই আগে ফাঁশিতে ঝুলাক।

সোজা কথা বিএনপি এসে আওয়ামি রাজাকারের বিচার করুক,আর আওয়ামীলীগ এসে বিএনপি রাজাকারের বিচার করুক,আমাদের দরকার এদের বিচার হওয়া,যারা গ্রেফ্তার হয়েছে তারা রাজাকার বলেই হয়েছে। যারা হয়নি তারা ক্ষমতার বদলে হবে।আমরা সেটাই চাই।

৭০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৩

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:
@ সামু......

লেখকরে কী কমেন্টের এন্সার দ্যাওনের "সুযোগ না দ্যাওনের" লাইগ্যাই "ব্যান" করা হইছে ???

সাব্বাশ বাংলাদেশ......।অবাক পিরিথিবী তাকাইয়া থাক।।

==================================

@ আ িম িরয়াদ,

আপনে স্বাধীনতা ঘোষণা নিয়া আমার করা "৩৯ নং কমেন্টের ১ম লিঙ্কটা" একটু পড়েন প্লিজ......।পুস্ট/কমেন্ট না পইড়া বার বার একই কোয়েরী/বিবাদ কুনু কামের কতা না।।

মওদুদের খ্যাঁতা পুড়েন......ঐ লিঙ্কে দ্যাওন বইগুলান মওদুদের বাপেরা লেখছে এবং অনেকগুলাই বঙ্গবন্ধুর সময়ে লেখা......প্লিজ কষ্ট কইর‍্যা একবার অন্তত পড়েন।।

৭১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪১

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:
@ আ িম িরয়াদ,

ভাই আমারে কী আপনে দ্যাখাইতে পারবেন,কুনু কমেন্টে আমি কইছি সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরী রাজাকার ছিল/ছিল না ???
আমি খালি কইছি ব্যাডায় ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মুনে অয় মুক্তিযোদ্ধা ছিল নাইলে একত্রে ক্যাম্বায় "মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির" মইধ্যে হান্দাইল...নগদে ছবি ও দিছি।।মিছা কুনটা কইলাম ???

হাসিনা তার বেয়াই রে বিচার করবো না ক্যা ?পরের বারের লাগি রাখবো ক্যা ?বিচার ই যদি না করবো তাইলে কইলো ক্যা "বেয়াই রাজাকার,মাগার যুদ্ধাপরাধী না" ? সে ক্যাম্বায় জানে ?সে কী লগে লগে ঘুরছিলো ঐ সময়ে বেয়াইর লগে যখন রাজাকারগিরি/যুদ্ধাপরাধ চলতাছিলো ? বিচার কী হাসিনার বেয়াইর না একজন রাজাকারের ???

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট রে সালিশ মাননের তো কিছু নাই ভাইজান।।

ইস্যু লজিক্যাল না ইল্লজিক্যাল সেইটা কন ???

৭২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

আমি রিয়াদ বলেছেন: ভাইরে না পইড়া বলতাসি না।
আপনি আমার কথা আসলেই বুঝেন নাই।

মওদুদের খ্যাঁতা পুড়েন!!!!! জাতীয়তাবাদীর নেতার খ্যাঁতা আমি কেমনে পুড়াই!!!! সন্ধ্যা ০৭:৪৫ এর আগের কথা বলেন।

আর শেষ কমেন্টের প্রশ্নের উত্তর বোধয় ভুলে দেন নাই।

৭৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

আমি রিয়াদ বলেছেন: সরি আগের কমেন্টটা নেট শমসসার কারনে দেরীতে পোস্ট হইসে। ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট রে সালিশ মানতাসি না। তিনি যেইটা বলেছেন আমি সেটাই বলতে চাই।

৭৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

আমি রিয়াদ বলেছেন: সরি আগের কমেন্টটা নেট শমসসার কারনে দেরীতে পোস্ট হইসে।
আমি আগেই বলসি শুধু সাকার না লীগ আগে কারোই বিচার করতে আন্তরিক ছিল না শুধু নিজেদের স্বার্থর কারণে।
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট রে সালিশ মানতাসি না। তিনি যেইটা বলেছেন আমি সেটাই বলতে চাই।

৭৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৮

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: এই যে এখানে পক্ষ-বিপক্ষ নিয়া যারা তুবড়ি ছুড়ছি এদের কয়জন মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি বা কে কে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত বহন করছি? আমরা কতোটুকু জানি মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে??
একজন বলছে মুজিব সব জিয়া কিছুনা, অন্যজন ঠিক উল্টো !!!

এ দেশের জন্য ২জনেরই অবদান কখনো অস্বীকার করার উপায় নাই। আমরা একজনকে উঠানোর জন্য অন্যজনকে পায়ের নিচে পিষ্ট করছি, এভাবে কাউকে সম্মানীত করা যায়না। যার যার সম্মান তাকে তা দিতে হয়, এটা কেন বুঝছিনা!!
শেখ সাহেব তার জায়গায় আর জিয়া তার জায়গায় সেরা এটা মানতে হবে। শেখ মুজিব আর মেজর জিয়া দু'জনই দেশের মঙ্গল কামনা করেছেন তাতে সন্দেহ থাকার কথা না।

সোনার বাংলা ৪২ বছর পরেও কাঙ্খিত লক্ষে পৌছাতে পারেনি তার অন্যতম কারন আমরা আজো এক কাতারে দাঁড়াতে পারিনি।
পাকি প্রিতি ও অতি ভারত প্রিতি কোনটাই বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়, এই সাধারন ব্যাপার আমরা কেন বুঝিনা!!!!
আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা, তাই বলে আমাকে আওয়ামীলীগ করতে হবে এমন কোন কথা আছে কি? আমি বিএনপি করলেই রাজাকার হিসেবে আখ্যায়িত কেন করা হবে?
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি আজ নাকি নব্য রাজাকার কেন? আলীগ ছেড়ে অন্যদল করলেই রাজাকার আর রাজাকার আত্মীয় বলে এখন কি নব্য মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেল!!

আমি বাবা, চাচার মুখে অসংখ্যবার শুনেছি মুক্তযুদ্ধের ঘোষক জিয়াউর রহমান। বাবা জিয়ার সেই ঘোসনা শুনেছেন নিজ কানে। এখন সেই ঘোসনা নিয়ে মহা ক্যাঁচাল শুনছি, বিশেষ করে বাংলা ব্লগে। যারা এগুলো করছে তার কি মুক্তিযোদ্ধা?? দিগভ্রান্তের মতো যার জিয়াকে ঘোষক বলে মানতে নারাজ ৭১ এ এদের বয়স কতো ছিলো? এরা কি বাবা ,চাচা বা অন্যকোন মুক্তিযোদ্ধাকে জিজ্ঞেস করেছে যে মেজর জিয়ার সেই ঘোসনা শুনেছে কিনা??

আবালের মতো এই ৪২ বছর পর যারা চিতকার করে জিয়ার অবদানকে খাটো করতে ব্যস্ত এদের জ্ঞাণপাপি ছাড়া আর কিছু বলতে চাইনা।এরা দেশের উপকার না করে ১২টা বাজাচ্ছে।
ক'দিন পর এই ব্লগে একটা দল হলেও অবাক হবোনা, দলটার নাম হবে হয়তো "বাংলাদেশ ব্লগার'স লীগ"!! এবং বিরুদ্ধ মন্তব্যকারী "নব্য রাজাকার" আখ্যায়িত হবে তা বলাই বাহুল্য.....................
আজব এক দেশ, এখানে রাজাকার আত্মীয় জায়েজ আর আলীগ না করা মুক্তিযোদ্ধা নাজায়েজ.....কি চমৎকার ভন্ডামী!!!!!!!!!!!!!!!!!!

৭৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৯

এস আর সজল বলেছেন: সাকা চৌধুরীকে শাস্তি দেয়ার জন্য এই বইটাই যথেষ্ট। পড়ে দেখার জন্য সবাইকে অনুরোধ করলাম। ধন্যবাদ।

৭৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩০

বাংলার হাসান বলেছেন: ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন:

ফরিদপুর– ৩ আসনের সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। তিনি শান্তি বাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্বাদের হত্যার জন্য হানাদার বাহিনীদের প্ররোচিত করেন। “ দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগ” বইয়ের ৪৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তার পিতা নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন।
আপনার দেয়া এই তথ্যটি সঠিক নয়।

সঠিক তথ্যঃ

ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সদ্য পাশ করা যুবক ছিল। আর সেই সময় তার যে বয়স ছিল শান্তি কমিটির মত গুরুত্ব পূর্ন একটি জায়গায় তাকে নেয়ার মত তার অবস্থানও ছিল না। ইঞ্জিনিয়ার মোশারফের বাবা নুরুমিয়া ছিল বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার শান্তি কমিটির ১৩ নাম্বার লিডার ও যুদ্ধাপরাধী। তাদের বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় এক প্লাটুন হানাদার বাহীনির ক্যাম্প ছিল। এবং এটাও সত্য যে ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ তার বাবার সাথে শান্তি কমিটির বিভিন্ন মিটিং এ অংশ নিতেন ও পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য, অর্থাৎ রাজাকার।

তথ্য সূত্রঃ

বর্তমানে জীবিত ও ফরিদপুরের অধিবাসী তৎকালীন "সর্ব দলীয় ছাত্র সংগ্রামেপরিষদের" একজন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনেক তিক্ত সত্যের সাক্ষী, স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেয়ার কারনে "ছাত্র ইউনিয়ন" থেকে ১৯৭০ সালে বহিস্কৃত, মাওলানা ভাসানীর নাতীন জামাই মুক্তিযোদ্ধা জহির শামশেরী।


৭৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৩২

রামন বলেছেন:
কে কতটুকু রাজাকার সেটা বিচার করা হবে রাজাকারটি কতগুলো মানুষ খুন করেছে, কতটুকু মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তার উপর ভিত্তি করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এমন অনেক রাজাকার ছিল তারা কোনো জ্বালাও পড়াও, লুন্ঠনে অংশগ্রহণ করেনি। বাঙালির রক্তে হাত রঞ্জিত করেনি। স্বাধীনতার পর এসব রাজাকরদের বঙ্গবন্ধু ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তবে সাকা চৌধুরীর মামলা আলাদা। সে সাইদী ,মুজাহিদ নিজামীর মত আত্মস্বীকৃত রাজাকার ও চিন্হিত অপরাধী। এদের হাতে অসংখ্য নিরীহ বাঙালির প্রাণ হারাতে হয়েছে। এদের সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

৭৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৪৬

প্রকৌশলী আতিক বলেছেন: এইটা কেমন গেম খেলতেছেন আপনারা?

জানা আপা কমেন্ট করলেন, আপনি লেখকের অনুপস্থিতিকে কটাক্ষ করলেন। অথচ আপনারা তার লগ ইন ব্যান করে রেখেছেন।

একদম পুরোনো যুগের সিনেমার কাহিনি। নায়িকাকে আটকে রেখে, নায়ককে ফাইট করতে বলা আরকি

৮০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

হাসিব০৭ বলেছেন: বাপ দাদার জমিদারি আর কি!!!! =p~ =p~

৮১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

জানা বলেছেন:






নাহ্‌, এটা এর ওর আমার আপনার কারোরই বাপ-দাদার জমিদারি নয় বা যা খুশি তাই করার জন্যও তৈরী হয়নি। (১০৬ নং মন্তব্যের উত্তরে বলেছি)


একাধিক মন্তব্যে লেখকের প্রতি অনুরোধে নজর দেয়া এবং এই পোস্টে তাঁর উপস্থিতির সুযোগের জন্য দীর্ঘ সময় দেবার পর গতকাল রাতে 2013-08-25 20:47:01 এই সময়ে ব্লগারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অথচ আমার মন্তব্যের কিছুক্ষণ আগেও যিনি এই পোস্টে উপস্থিত ছিলেন তিনি না আমাদের অনুরোধ রক্ষা করেছেন না এই পোস্টে এসে দায়িত্বের পরিচয় রাখেননি। পোস্টে আক্রমণাত্বক মন্তব্য মুছে দেবার অনুরোধও আমার ছিল একাধিকবার।

আপনার নাটক-সিনেমা সংক্রান্ত বিশেষ অভিজ্ঞতা, দর্শন বা বিশ্লষণের সাথে এখানকার পুরো বিষয়টির কোন মিল-অমিল খোঁজার সুযোগ নেই। (১০৫ নম্বর মন্তব্য প্রকৌশলী আতিক ভাইকে বলছি)।



অন্যের ক্ষতি করার আনন্দে যাঁরা অপপ্রচারে নামেন তাঁদের নিজেদেরই কিন্তু ক্ষতিটা বেশী হয়, বলতে চাইছি যে দিন শেষে তাঁদেরই অস্বস্তি/লজ্জা এবং দায়ভারের বোঝা বইতে হয় বেশী (অবশ্য সেই বোধ যদি সত্যিই তাদের থেকে থাকে)। তাই খামাখা ওসব দুঃখজনক/লজ্জাষ্কর কাজগুলো করে লাভ কি!! (সবার জন্য বলছি)।

ধন্যবাদ।









৮২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

জানা বলেছেন:


পোস্টটি আপলোডের সুবিধার জন্য আমরা এই পোস্টে মন্তব্যের ঘরে দেয়া কিছু বড় ছবি মুছে দিচ্ছি।

৮৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: r koidin por post ashbe golam azom kotokhani rajakar? Shedin r beshi dure nay...

৮৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: r koidin por post ashbe golam azom kotokhani rajakar? Shedin r beshi dure nay...

৮৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

ব্যাড বয়েজ বলেছেন:
জানা ম্যাডামের উদ্দ্যেশ্য "নষ্ট শয়তান" এর ফেবু পোষ্ট >>

"সামু ব্লগের ব্লগ কত্রী সুপ্রিয় জানা ম্যাডামের উদ্দেশ্যে =========================

জানা ম্যাডামের দৃষ্টি আকর্ষন করছি আমার লাষ্ট পোষ্টে এ ১০৭ নং মন্তব্যে আপনি লিখেছেন " একাধিক মন্তব্যে লেখকের প্রতি অনুরোধে নজর দেয়া এবং এই পোস্টে তাঁর উপস্থিতির সুযোগের জন্য দীর্ঘ সময় দেবার পর গতকাল রাতে 2013-08-25 20:47:01 এই সময়ে ব্লগারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অথচ আমার মন্তব্যের কিছুক্ষণ আগেও যিনি এই পোস্টে উপস্থিত ছিলেন তিনি না আমাদের অনুরোধ রক্ষা করেছেন না এই পোস্টে এসে দায়িত্বের পরিচয় রাখেননি। পোস্টে আক্রমণাত্বক মন্তব্য মুছে দেবার অনুরোধও আমার ছিল একাধিকবার। "

জানা ম্যাডাম ব্লগিং করি নিজের দায়িত্ববোধ থেকে মনের আনন্দে। একটা পোষ্ট দিতে হলে কতখনি খাটাখাটনি করতে হয় সেটা আপনার থেকে আর কে বেশী জানে। যদিও অনেকে মাত্র ১৫ মিনিটে ব্লগ নামায় আর সেটা নির্বাচিতে যায়।

জীবন জীবিকার তাগিদে দিনের বেশীর ভাগ সময় ই আমাকে ব্যাস্ত থাকতে হয় যেহেতু নিজের ক্ষুন্নিবৃত্তি সাথে পরিবারের ও ব্যাপার আছে।

আপনার ব্লগের অনেক বিতর্কিত পোষ্ট ই ডিলিট দেন অনেক অনেক দেরী করে যেখানে আপনার মোডারেশন প্যানেল নামে একটা বাহিনী আছে। আমি একা মানুষ আমার মত সাধারনের পোষ্ট দেখার জন্য আমি কোন মোডারেশন প্যানেল রাখতে পারি না যেহেতু আমি কারো পেইড না যেটা কিন্তু ওই ব্লগে আপনাকে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। আপনি নিশ্চয় ই বলতে পারবেন না আপনি কমেন্ট করার পর আমি অন্য কারো কমেন্ট এর উত্তর দিয়েছি বা ব্লগে গিয়েছি।

না জানা, আপনি আমাকে ব্যান করায় আমার কিছুই আসে যায় না। কিন্তু দুঃখ জনক ভাবে যারা সামুকে ভালোবাসে তারা দেখল লেখা নির্বাচিত পাতায় নিয়ে আপনি একটা টাইম ফ্রেমের দোহাই দিয়ে আমাকে ব্যান করে আমার পোষ্টে আমাকে অপমান করার সুযোগ দিয়ে দিলেন।

রাজাকারের ব্যাপারে একটা বিষয় সবাই কে ক্লিয়ার করে দেই যেটা আমার পোষ্টে কয়েকবার করেছি তাদের যিরো টলারেন্স। এদের শুধু ফাসি না এদের প্রকাশ্যে ফাসি হোক। নিশ্চয় ই বুজতে পারছেন আমার চেতনা জাতীয়তাবাদ। সামনের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আমি বা আমরা ই কিন্তু এদের ফাসির দাবীতে দলমত নির্বিশেষে সোচ্চার থাকব। সেটা বিএনপির হলেও।

আমার পুরা পোষ্টে আমাকে সাকা চৌধুরী পক্ষে সাফাই গাওয়া প্রমান করার চেষ্টা করছে একটি বিশেষ দলের অনুসারীরা। পুরা পোষ্টের বক্তব্য কিন্তু সেটা না বক্তব্য আরো বিস্তৃত। একটু দেখবেন কি মনটা মুক্ত রেখে।

আমি মনগড়া কিছু লিখি না আমার অন্য পোষ্ট গুলো ঘুরে আসলেই সেটা দেখবেন।

আমাকে হাস্যকরভাবে ব্যান করে বিশেষ দলের অনুসারীদের নির্বিচারে আমার পোষ্টে একতরফা ভাবে সুবিধা দেয়া কে কোনভাবেই আপনার মুক্ত চিন্তার বহিঃপ্রকাশ না।

আমি আরো তিক্ত ভাবে আপনাকে এই কথাগুলো বলতে পারতাম কিন্তু এখনো আপনার প্রতি আমার ব্যাক্তিগত শ্রদ্ধাবোধ থেকে আপনার মঙ্গল কামনা করি।

আমাকে হাত পা আটকে (ব্যান করে) আমার পোষ্টে যারা বীরত্ব দেখাচ্ছে তাদের কে (এমন কি আপনি ও জানা) বলছি এটাই আপনাদের বীরত্ব। আমি যে কয়টা মন্তব্যর উত্তর আর ডকু দিয়েছি সেগুলোর বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার ক্ষমতা কিন্তু দেখায় না।

যে মন্তব্য আমার ব্লগে জানা ম্যাডাম মুছে দিতে বলেছিলেন আপনার সন্মানার্থে আমি সেটা অবশ্য ই দিতাম। কিন্তু যেহেতু আপনি ব্লগের কত্রী কোন সুযোগ ই না দেখিয়ে একটা পাব্লিক প্লাটফর্মে নিজেকে একচোখা প্রমান দিলেন।

ব্লগে আমার মন্তব্য ছিল "আমার জাতীয়তাবাদীরা কোন পর্নলেখক বা মুরগী ব্যাবসায়ীর মনগড়া লিখিত ইতিহাস নিয়ে লাফালাফি করি না। যা সত্য বলে জানি তাই লিখি।" কথা কিন্তু মিথ্যা না আমি কোণ পর্নলেখক বা মুরগী ব্যাবসায়ী না।

আমাকে ইনবক্স দিয়ে লাভ নাই। লীগের সুযোগ্য অনুসারীদের দলবদ্ধ আক্রমনে আমার ইনবক্স ব্যান। ভালো থাকুন।

৮৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩০

আমি রিয়াদ বলেছেন: @মতিউর রহমান মিঠু

এই যে এখানে পক্ষ-বিপক্ষ নিয়া যারা তুবড়ি ছুড়ছি এদের কয়জন মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি বা কে কে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত বহন করছি? আমরা কতোটুকু জানি মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে??

মুক্তিযুদ্ধ আমরা অনেকেই দেখিনি। অনেকের শরিরেই নেই মুক্তিযুদ্ধার রক্ত। তাঁর মানে তো এই না যা সত্য মানি তা চেপে যাব। আর মুক্তিযুদ্ধার রক্তের কথা বলছেন, সকল মুক্তিযুদ্ধাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি সকল মুক্তিযুদ্ধাই যদি নীতিবান হত রাজাকারের গাড়িতে কখনো জাতীয় পতাকা উঠত না। সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর ডালিম, খালেদ মোশাররফ, কর্নেল তাহের, মেজর মঞ্জু তারা যেমন মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন তেমনি সাদেক হোসেন খোকা, করনেল অলি, কাদের সিদ্দিকি, মহিউদ্দিন চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদরাও মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন।

সোনার বাংলা ৪২ বছর পরেও কাঙ্খিত লক্ষে পৌছাতে পারেনি তার অন্যতম কারন তাঁরাই। তাঁরা সকলেই যদি স্বাধীন দেশে নিজ স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে কাজ করতেন তাহলে রাজাকার মুজাহিদ মন্ত্রীসভার বৈঠকে বলতে পারতনা "কিছু লোক নারী ও সম্পদের লোভে মুক্তিযুদ্ধে গেছে।" আমাদের অনেক মুক্তিযোদ্ধাই নিজ স্বার্থে পরবর্তীতে নীতিহীন হয়েছেন।

কিন্তু তাই বলে কারো অবদান অনস্বীকার্য না। কাউকে ছোট করে কাউকে বড় করা যায় না।

আমি বাবা, চাচার মুখে অসংখ্যবার শুনেছি মুক্তযুদ্ধের ঘোষক জিয়াউর রহমান। বাবা জিয়ার সেই ঘোসনা শুনেছেন নিজ কানে। এখন সেই ঘোসনা নিয়ে মহা ক্যাঁচাল শুনছি, বিশেষ করে বাংলা ব্লগে। যারা এগুলো করছে তার কি মুক্তিযোদ্ধা?? দিগভ্রান্তের মতো যার জিয়াকে ঘোষক বলে মানতে নারাজ ৭১ এ এদের বয়স কতো ছিলো? এরা কি বাবা ,চাচা বা অন্যকোন মুক্তিযোদ্ধাকে জিজ্ঞেস করেছে যে মেজর জিয়ার সেই ঘোসনা শুনেছে কিনা?

মেজর জিয়ার ঘোষণা পাঠ নিয়ে আমি কোথাও প্রশ্ন করি নাই। আমি তার আগের ঘটনার সঠিক বিবরণ তুলে ধরতে বলেছি। মেজর জিয়ার যে ঘোষণা শোনা যায় সেটা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ২৭ তারিখ রাতে দেয়া। আপনি কি তাইলে পাঠককে মূল ঘোষণা কারী বলবেন।

আপনি নিশ্চয়ই বলবেন এর আগে ২৬ তারিখ সন্ধ্যায়ও তিনি ঘোষণা দিয়েছেন। যদি সেটা জেনেই থাকেন তবে এও নিশ্চয়ই জানবেন স্বাধীনতার ঘোষণা একি দিন আবুল কাশেম সন্দীপ, এম এ হান্নান ও দিয়েছেন। তাহলে জিয়া কে স্বাধীনতার ঘোষক প্রমাণ করতে আপনি কাকে ছোট করতে চাবেন।

৭১এ আমার জন্ম হয় নাই। আমার বাপ, চাচা, মামা, ফুফা বা অন্য অনেক মুক্তিযোদ্ধার মত আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার মূল ঘোষক। এবং আপনাকে নিশ্চিত করছি আমার বাপ, চাচা, মামা, ফুফা, খালুর মধ্যে কেউ না কেউ জিয়ার ঘোষণার অবশ্যই শুনেছেন এবং এর আগের পরের ঘতনাবলি সম্পর্কে অবহিত আছেন।

৮৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫১

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: সালাউদ্দীন কাদের এক নরপিশাচের নাম, কারনঃ

আল্লাহর কোরানের আয়াত " যদি তুমি ইচ্ছাকৃত ভাবে একজন নিষ্পাপ মানুষকে হত্যা কর তবে তুমি যেন পুরা মানব জাতিকে হত্যা করেছ "

বহুল আলোচিত এইট মার্ডারের কথা মনে আছে ? আট জন মানুষকে চট্রগ্রামের রাহাত্তারপুলে গুলি করে মেরে ফেলেছিল জাশি । এখানে ছাগুরা যুক্তি দেখাবে । লীগ নাস্তিক । লীগ মারা জায়েজ ।

"তাদের জন্য সুরা কাফিরুনঃ বলে দাও হে কাফেররা আমরা তাদের ইবাদাত করিনা যাদের ইবাদাত তোমরা কর আর না না তোমরা তার ইবাদাত কর যার ইবাদাত আমরা করি । আর না আমরা তাদের ইবাদাত করব যাদের ইবাদাত তোমরা করে আসছ আর না তোমরা তার ইবাদাত করবা যার ইবাদাত আমি করি । তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্য আমাদের ধর্ম আমাদের জন্য । "

আওয়ামি হত্যা করার কথা কোথায় লেখা আছে কোরানে আমাকে একটু দেখান ।

তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম আওয়ামিলীগ মারা জায়েজ । কিন্তু সে আট জনের মধ্যে একজন নিরিহ মাইক্রো ড্রাইবার ছিল যে কিনা টাকার বিনিময়ে ভাড়া কেটে তার পরিবার চালায় ।

এখানে ছাগুরা বলবে আওয়ামিলীগের ভাড়া মারছে কেন ? সেও আওয়ামিলীগ ।

তাদের জন্য করুনা ছাড়া আর কিছুই নেয় । একজন মাইক্রো ড্রাইবারের আওয়ামিলীগ বি এন পি সবার ভাড়া মারার অধিকার আছে।

সে আট জন মানুষকে যারা হত্যা করেছিল তাদেরকে সেদিন সাকা তার মহসিন কলেক সংলগ্ন পেট্রোলপাম্পের পাশে অবৈধ টাকায় বানানো বিশাল বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল ।

সে সময় সাকার বাস ভবনে ছাগুদের আনাগোনা ছিল দেখার মত।

খুনি রাজাকারদের যে সাকা ২০০০ সালে আশ্রয় দিতে পারে সে সাকা ৭১ এ রাজাকারগিরি করেনি সেটা বিশ্বাস শুধু ছাগুরাই করবে ।

কোন সাকার কথা বলছেন ? যে সাকা বেগম জিয়াকে নোংরা ভাবে ইঙ্গিত করেছিল আগে কুকুর লেজ নাড়ত এখন লেজে কুকুর নাড়ায়"

তার কথা ? সত্যি সেলুকাস ।

পরবর্তী পোস্ট সম্ভবত নিজামী কতখানি রাজাকার ছিল সে বিষয় নিয়ে। পরবর্তী পুষ্টের অপেক্ষায় থাকলাম ।

৮৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৯

চলতি নিয়ম বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন:
ফরিদপুর– ৩ আসনের সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন


রেফারেন্স বা বইয়ের লিঙ্ক দেয়ার রিকোয়েস্ট করলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.