নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কমিউনিস্ট সত্তা, ফাসিস্ত সত্তা, হিন্দু সত্তা, খ্রিস্টিয়ান সত্তা বলে কোনও সত্তার অস্তিত্ব আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। ধর্মীয় গোঁড়ামির কোনও একটা শাসনে সসাগরা পৃথিবী সর্বকালে শাসিত হবে, এ অবাস্তব কল্পনা। হিন্দু পারেনি, বৌদ্ধ পারেনি, খ্রিস্টিয়ান পারেনি, মুসলমান পারেনি, ফাসিস্ত পারেনি, নাৎসি পারেনি। কমিউনিস্টই বুঝি এর ব্যতিক্রম হবে?
রাত ১০ঃ৩০, বিক্রয় ডট কম থেকে একটা পিউরইট কিনে বংশাল থেকে রিক্সা থেকে কলাবাগান যাচ্ছি, একপাশে বিশাল পিউরইট এর কার্টুন আরেকপাশে একটু জায়গায় কোনরকম আসুস ল্যাপটপের ব্যাগটা কোলে নিয়ে বসে আছি। এই রাতে ব্যাস্ত নগরী রাতের খাবারের প্লেটের সামনে বসে আছে। রিক্সা তখন নীলক্ষেত অতিক্রম করলো। পাশে প্রেয়সী থাকলে হয়তো কাধে মাথা রেখে একটু প্রেমের খোজ করতো অন্ধকারের ভাজে। সিটিকলেজেরদিকে এসে আবার একটু কোলাহল, গাড়ির ঝাঝালো ধোয়া ব্যস্ততা চোখে পড়লেও একটু ঠান্ডা বাতাসে নেশার ভেতর থেকে বের করতে পারেনি। হটাঠ পাশে একটা মোটরবাইক, কিছু বুঝে উঠার আগে দেখি আমার কোলের ব্যাগটি তাদের হাতে চলে গিয়েছে! একটু আয়েশে থাকলেও এই বিষাক্ত মানুষে ঘেরা শহরে চুরির ভয়ে ব্যাগের ফিতাটি হাতে আড়মোডা করেই বসেছিলাম। রিং ফিংগারে একটু চোট তখনো বুঝিনি, এতো অল্প সময়ে সব হয়ে গিয়েছিলো গাড়ির নাম্বারপ্লেটের দিকেও তাকাতে পারিনি । তবে স্পষ্ট দেখেছি তাদের । ছেলেদুইটার একজন ফর্সা , গড়নে আমার থেকে রোগা হবে। বাসের কন্ট্রাকটারদের মতো একটি গুন আমারো আছে, মানুষ দেখলে হয়তো বুঝি। দেখে বুঝাই যাচ্ছিলো উচ্চশিক্ষার দুই এক পাতা তাদেরও পড়া। কি এক কারনে যেনো তারা আমার থেকেই টাকা হাতানোর ফন্দি করলো!
আচ্ছা, আমিও তো কষ্টে দিনযাপন করি মাসের শেষের দিনগুলোয়, প্রতিদিন ৭০ টাকায় সকালের নাস্তা, বিকালের খাবার খাই। খাই না খেতে হয়। আমারো ইচ্ছে করে একদিন ভালো খাই, প্রেমিকাকে নিয়ে তোমাদের অন্ধকার খাবারের দোকানে বসি। আমারো টাকার অভাব থাকে। আমিও কষ্টেই দিন কাটাই। কাটাই না ঠিক, সারভাইভ করি। একটা মানুষ এতো কষ্ট করে রোজকার করবে আরেকজন ধারালো ছুড়ি দেখিয়ে সেই টাকা কেড়ে নিবে এমন মানোষীকতা তো মানুষের ভেতর থাকা উচিত না।
সোহাগ ভাইয়ের একটা ভিডীও দেখেছিলাম,সে বলেছিলো মানুষ নাকি ক্রাইম জন্মগত ভাবে করেনা, কিংবা এইটা কোন সাধারন বিহেভিওর ও না। এইটা একটা রোগ। মানোষিক রোগ। এদের আসলে চিকিৎসা দরকার । আমাদের আসলে চিকিৎসা দরকার।
২| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩১
পলাশবাবা বলেছেন: বিজ্ঞপ্তি ?
৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪০
পলাশবাবা বলেছেন: ব্যস্ত !!!
খোঁজ !!!
ভাঁজে!!!
ঝাঁঝালো!!!
হঠাত!!! বা হঠাৎ !!!
আড়মোড়া!!!
রোজগার!!!
মানসিকতা !!!
বানানগুলো ঠিক করে দেবেন আশা করি।
৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:২৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ঢাকা শহর সহ পুরো বাংলাদেশটাই চোর বাটপারে ভরে গেছে।
৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২৩
সুমন কর বলেছেন: দুঃখজনক !!
৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩২
বনসাই বলেছেন: সোহাগ ভাই কে?
কিছুক্ষণ আগেই নিচের মন্তব্যটি আরেকটি ব্লগে করেছিলাম, এখানেও যা প্রাসঙ্গিক-
বর্তমানে বাসের জানালা দিয়ে কিংবা রিকশা থেকে ব্যাগ টেনে নেয়ার জন্যে ছিনতাইকারীর একার দোষ দেয়া ঠিক হবে না। সেই যাত্রীর বেখেয়ালীপনাকেও দুষতে হবে।
কেন ভোর রাতে সদরঘাটে লঞ্চ থামার সাথে সাথেই জনশূন্য পথে নামতে হবে!
কেন ভোরে কোচ থেকে বাসার কাছেই নামতে হবে যেখানে নিয়মিত ছিনতাই হয়!
কেন বাসে জানালার পাশের সিটে বসেই মোবাইল ফোনে বুঁদ হতে হবে!
কেন রিকশায় ব্যাগটি কোলে বা ঘাড়ে ঝুলিয়েই বসতে হবে!
লেখায় আরো ধীর হোন, বানান ভুল ও টাইপো থেকে মুক্ত থাকবেন।
সমবেদনা জানাই।
আচ্ছা, আসুস ল্যাপটপের ব্যাগে কি ছিল?
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
সোহাগ ভাইয়ের ২য় ভিডিও দেখার সময় হয়েছে।