| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাঈদ নওশাদ
শুধু দেখা নয়, বোঝারও চেষ্টা, মানুষ, প্রকৃতি আর নিজেকে।
নোংড়ামি শুরু!
বিশ্বকাপ এখনো শুরু হয়নি। ভাগ হয়ে গেলাম দুই দলে। পি এস সি দেয়া ছোটভাই থেকে শুরু করে লেগুনার হেল্পার, সবাই সবার জায়গা থেকে যে যেভাবে পারে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার খেলোয়ারদের নিয়ে শুরু করে দিয়েছে নোংড়ামি। কুকুরের শরীরে মেসির চেহারা থেকে শুরু করে নেইমারের উপর হাগু করা এহেন কোন কিছু বাদ নাই যা আমরা করিনাই। করেই ক্ষাত নই, তা আবার আপলোড দিচ্ছি সোশাল মিডিয়াতে। আবার সেই তর্ক বিতর্ক সেই নোংড়ামি! একজনের ফেসবুক স্ট্যাটাস পড়েছিলাম অনেকদিন আগে। ব্যপারটা এমন ছিলো আমরা কেন আগাইতে পারিনা বা এইরকম কিছু নিয়া। আমরা এই ছাপ্পান হাজার বর্গমাইলের ছোট দেশের মানুষকে ভাগ করি "বরিশ্যাইল্লা" আর "নোয়াখাইল্লা" বানিয়ে। আমরা ভাগ হই রাজনীতির মাঠে, ভাগ হই ভালো কোন উদ্যগে, শরণার্থী নিয়ে ভাগ হই, ভাগ হই প্যারিসের আক্রমন নিয়ে, নববর্ষ পালনেও এক থাকতে পারিনি। ২১শে ফেব্রুয়ারিতেও ভাগ হয়ে যাই ফুল দেয়া নিয়ে। সুন্দরবন নিয়েও তো কম দলনীতি দেখাইনি! সাকিব-অপু, তাহসান-মিথিলার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও তো ভাগ হয়েছিলাম। ১৩ সালের গনজাগরণ মঞ্চ নিয়েও শেষ পর্যন্ত এক থাকতে পারিনি আমরা! মেয়েদের পোষাক নিয়েও আমাদের বৈপরিত্য সবার মাঝে। ৭১নিয়েও আমরা নোংরামি করেছি অনেক। শহীদদের সংখ্যা নিয়েও আমরা বিতর্ক তুলে ফেলি। তখনো আমাদের বুক কাঁপেনা। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে মোটিভেশনাল স্পিচ দেয়ার জন্য ইনভাইট পাওয়া লোকটাকে নিয়েও আমরা এখন দুইভাগে ভাগ হয়ে আছি। সম্প্রতি এক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ নিয়েও তো এক থাকতে পারলাম না।
বৈপরিত্য থাকবে। তাইতো পৃথিবীটা সুন্দর। কিন্তু বৈপরিত্য কেন নোংড়ামিতে চলে যাবে?
লাতিন আমেরিয়ার দুইটা দেশ, আমি মোটামোটি বলতেই পারি তাদের ৫০% মানুষও হয়তো আমাদের চেনেই না, সেইখানে তাদের সুপারহিরোকে আমরা একদম ধুলোতে না মিশিয়ে ছাড়ছিনা। ওয়ার্ল্ডকাপে আমাদের সাকিবকে নিয়ে ইন্ডিয়ানরা কি বাজে মিম বানিয়েছিলো, তারা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো! আমরাও খুব ভালোভাবে কোন জবাব দেইনি। হাতের বদলে হাত ফরমূলাতেই বিশ্বাসী। কিন্তু নেইমার মেসিরাওতো তাদের দেশে সাকিবের মতোই সুপারহিরো। তারা তাদের দেশে মারভেলের থর কিংবা ডিসি কমিকস এর ব্যাটম্যানের চাইতেও বড় কিছু! সেইখানে আমরা এশিয়ার ছোট্ট একটা দেশের মানুষ কোন স্বার্থ ছাড়াই তাদের টেনে একদম নিজেদের কাতারে নিয়ে এসেছি।
কে যেনো বলেছিলো অনেকটা এমন ভাবে যে ই দেশে মহাপুরুষদের মুল্যায়ন নেই সেই দেশে মহাপুরুষ জন্মায় না। আসলেও তাই! এখনো আমরা এখনো ফুটবলে ২০৭টা দেশের মাঝে ১৯৭!!!
২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৫১
সাঈদ নওশাদ বলেছেন: তাইতো দেখলাম। আমাদের পরে পাকিস্তান আছে মনেহয়!
২|
২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ২:১১
রসায়ন বলেছেন: দুই দলের কামড়াকামড়িও খেলার একটা অংশ। এসব উন্মাদনা আছে বলেই না ফুটবল এতটা জনপ্রিয় । ক্রিকেট কেন্দ্রিক দেশ থেকে বেরুতে ফুটবল নিয়ে আরো মাতামাতি কামড়াকামড়ির দরকার আছে
২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৫০
সাঈদ নওশাদ বলেছেন: কামড়াকামড়ি করুক, কিন্তু যেইখানে আমাদের স্বার্থই নেই সেইখানে এতো মাতানোটা কি একটু স্টুপিডিটিই না?
৩|
২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "যেই দেশে মহাপুরুষদের মুল্যায়ন নেই,সেই দেশে মহাপুরুষ জন্ম নেয় না"।
-আপনার বেলায় ব্যতিক্রম, আপনি ঠিকই এই দেশে জন্ম নিয়েছেন!
২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৩
সাঈদ নওশাদ বলেছেন: মহাপুরুষ এতোই সোজা কিছু? যারে তারে এই ট্যাগ দেয়া থেকে বিরত থাকুন!
৪|
২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেক লোক নিজকে ইডিয়ট হিসেবে প্রমাণ করার জন্য একটা উপলক্ষ খোঁজে; বিশ্বকাপ এদেরকে সেই সুযোগ দিচ্ছে।
২৬ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:১৪
সাঈদ নওশাদ বলেছেন: দেশে এতো মানুষ ইডিয়ট হবে কেন? আর সেই দেশটা আমার দেশই হবে কেন?
৫|
২৫ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: অনেক লোক নিজকে ইডিয়ট হিসেবে প্রমাণ করার জন্য একটা উপলক্ষ খোঁজে; বিশ্বকাপ এদেরকে সেই সুযোগ দিচ্ছে।
সহমত।
৬|
২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:০৩
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বৈপরীত্য কেন নোংরামিতে চলে যাবে! কঠোরভাবে সহমত পোষণ করছি।
আপনার পুরো পোষ্টটিই মনের সব কথা লিখে দিয়েছে। যখনই কাউকে অদরকারী বিষয় নিয়ে পাগলের মতো তর্ক করতে দেখি এসবই মাথায় চলে।
বিশ্বকাপ আসলে মানুষ খেলাটিকে যুদ্ধের পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে যা শুরু করে তা দেখলে বোকা বনে যাই। তাও আবার নিজের দেশ না অন্যের দেশের জন্যে এত মাতামাতি, লাফালাফি, চিল্লাচিল্লি! অদ্ভুত!
সুন্দর বিষয় নিয়ে লেখার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা।
২৬ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:১৩
সাঈদ নওশাদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ! ♥
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৪৭
অনুতপ্ত হৃদয় বলেছেন: এতটা পিছিয়ে