![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৌদি আইনজীবী আব্দুল আল রহমান আল লাহিম তার মক্কেলের উপরে সৌদি শরিয়া কোর্টের অমানবিক বিচারের বীরুধে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেছিলো । আল লাহিমের মক্কেল একজন ১৯ বছরের কিশোরী যাকে ৭ জন পুরুষ মিলে গণ ধর্ষণ করে এবং এর বিচার চাইতে সৌদি শরিয়া আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত উল্টা ধর্ষিতাকে ইসলামিক আইন অনুযায়ী ৯০ টা দোররা মারার নির্দেশ দেয়।
আইনজীবী আব্দুল আল রহমান আল লাহিম
কিশোরীটি তার বন্ধুর সাথে গাড়িতে ঘুরতে বেড়িয়েছিল। বন্ধুটি পূর্ব পরিকল্পনা মতো গাড়িটিকে নির্জন স্থানে নিয়ে তার আরও ৬ জন বন্ধুর সহযোগিতায় একের পর এক গন ধর্ষণ করে কিশোরীটিকে। পরবর্তীতে কিশোরী মেডিক্যাল প্রমাণ নিয়ে মামলা করে সৌদি শরিয়া আদালতে। শরিয়া আইন অনুযায়ী ঐ আদালত প্রথমেই কিশোরীকে দায়ী করে যে অবিবাহিত বেগানা পুরুষের সাথে সে কিভাবে ঘুরতে যায়। যার সাথে রক্তের কোন সম্পর্ক বা অধিকার নেই এই রকম একজনার সাথে অবিবাহিত হিসেবে ঘুরতে যাবার অভিযোগে অভিযুক্ত করে ধর্ষিতাকে ৯০ টা দোররা মারার রায় দেয় আদালত।
এই ধরনের অমানবিক রায় নিয়ে একের পর এক আন্তর্জাতিক মিডিয়া গুলোতে ভয়েস রেইজ করতে থাকেন কিশোরীটির আইনজীবী আব্দুল আল রহমান আল লাহিম। কিশোরীর আইনজীবীর এই রকম আদালত অবমাননাকর কার্যকলাপে সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি শরিয়া আদালত কিশোরীটির শাস্তি বৃদ্ধি করে আরও ২০০ দোররা এবং ৬ মাসের জেল দেয়। আর পরবর্তীতে যদি কিশোরীর আইনজীবী আবারও এই রায়ের বীরুধে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে তাহলে কিশোরীটিকে আরও কঠিন শাস্তি পেতে হবে বলে জানানো হয়। এদিকে সাক্ষীর অভাবে ধর্ষকদের এখনো চিনহিত করে শাস্তি দিতে পারে নি সৌদি শরিয়া আদালত।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, শরিয়া আইনে সাক্ষীর মাধ্যমে জেনা প্রমাণিত হবার রয়েছে চারটি শর্তঃ
প্রথমতঃ চারজন পুরুষ সাক্ষী প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দিবে। চারজন পুরুষ যদি সাক্ষ্য দেয়া সম্ভব না হয় তাহলে সর্বনিম্ন দুজন পুরুষ এবং বাকি দুজন পুরুষের বদলে চার জন নারী সাক্ষ্য দিলেও চলবে।
দ্বিতীয়তঃ সাক্ষীগণ অবশ্যই মুসলিম হতে হবে এবং ইসলামী সাক্ষ্য নীতিতে সাক্ষ্য দিতে হবে।
তৃতীয়তঃ সাক্ষীদের স্পষ্ট ভাষায় বলতে হবে যে, “আমরা তাহার পুরুষ অঙ্গকে মেয়েলোকটির স্ত্রী অঙ্গের ভিতর প্রবিষ্ট দেখিতে পাইয়াছি। ঠিক তেমনভাবে যেমনভাবে শলাকা সুর্মাদানির অভান্তরে এবং রশি কুপের ভেতর প্রবিষ্ট হয়।”
চতুর্থতঃ সাক্ষীগণ এই বিষয়ে একমত হতে হবে যে কখন, কীভাবে, কাকে, কার সঙ্গে জেনা করতে দেখেছে। (রেফারেন্সঃ ইসলামে শরিয়া আইন, লেখক - সাদউল্লাহ্)
সৌদি আরবের আলোচিত এই ঘটনাটি বিস্তারিত দেখতে আরও চোখ বুলাতে পারেন ফ্রিথিঙ্কার , এক্সামিনার , ইউরোপ নিউজ , শরিয়া আনভেইলড , গড লাইক প্রোডাকশন , বিফোর ইটজ নিউজ , ইনাগিস্ট প্রভিতিতে।
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সাক্ষীদের স্পষ্ট ভাষায় বলতে হবে যে, “আমরা তাহার পুরুষ অঙ্গকে মেয়েলোকটির স্ত্রী অঙ্গের ভিতর প্রবিষ্ট দেখিতে পাইয়াছি। ঠিক তেমনভাবে যেমনভাবে শলাকা সুর্মাদানির অভান্তরে এবং রশি কুপের ভেতর প্রবিষ্ট হয়।
আরো বলদেও তো (নীল-ছবির অভিনেতা অভিনেত্রী ছাড়া) এমন কইরা আকাম করবে না।
আর এ কারণেই ইসলামে ব্যভিচার বেশি, সাক্ষি নাই বলে তা হালাল। এমন কি আল্লা নিজে একজন সাক্ষি হইলেও প্রমানের অভাবে কাউকে দোষী করতে পারবন না। আল্লা রাব্বুল গানিকে অপেক্ষা করতে হবে সেইদিন পর্যন্ত যেদিন না জেনাকারিদের হাত পা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সাক্ষ্য না দেয়। হায়রে শরিয়ত-মারফত।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: প্রথমতঃ চারজন পুরুষ সাক্ষী প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দিবে। চারজন পুরুষ যদি সাক্ষ্য দেয়া সম্ভব না হয় তাহলে সর্বনিম্ন দুজন পুরুষ এবং বাকি দুজন পুরুষের বদলে চার জন নারী সাক্ষ্য দিলেও চলবে।
দ্বিতীয়তঃ সাক্ষীগণ অবশ্যই মুসলিম হতে হবে এবং ইসলামী সাক্ষ্য নীতিতে সাক্ষ্য দিতে হবে।
তৃতীয়তঃ সাক্ষীদের স্পষ্ট ভাষায় বলতে হবে যে, “আমরা তাহার পুরুষ অঙ্গকে মেয়েলোকটির স্ত্রী অঙ্গের ভিতর প্রবিষ্ট দেখিতে পাইয়াছি। ঠিক তেমনভাবে যেমনভাবে শলাকা সুর্মাদানির অভান্তরে এবং রশি কুপের ভেতর প্রবিষ্ট হয়।”
চতুর্থতঃ সাক্ষীগণ এই বিষয়ে একমত হতে হবে যে কখন, কীভাবে, কাকে, কার সঙ্গে জেনা করতে দেখেছে। (রেফারেন্সঃ ইসলামে শরিয়া আইন, লেখক - সাদউল্লাহ্)
""হাসমু না কাঁদমু , বুঝতাসিনা , যে বই থেকে এই হাস্যকর রেফ্ফেরেন্চে তা দিলেন তার পিডিএফ লিংক থাকলে দেন , পড়তে চাই বই টি। .. এ ধরনের রেফ্ফেরেন্চে আদৌ কোনো প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থে আছে কিনা সন্দেহ , পারলে কোনো প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থ থেকে রেফ্ফেরেন্চে দিন। খুচরা লোকাল বই এর রেফ্ফেরেন্চে কজন মানতে চায় !!!! "'