![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৯২ সাল থেকে নেতানিয়াহু বলে আসছেন ইরান খুব শিগগিরই পারমাণবিক বোমা বানিয়ে ফেলবে। তিনি এটা বলেছেন ২০০২, ২০০৯, ২০১২ এবং আবার এই বছরেও। কিন্তু প্রতিবারই প্রমাণ নেই, বোমা নেই, শুধু আরও যুদ্ধ, আরও ভয়, আরও শিরোনাম।
আর আমরা আবারও একই জায়গায় ফিরে এসেছি।
এই সপ্তাহে ইসরায়েল নাটকীয়ভাবে হামলা বাড়িয়েছে, ট্রাম্প বলছেন আয়াতুল্লাহকে সরিয়ে দেওয়ার কথা, এবং আবারও উঠে আসছে ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের (WMD) গল্প। পরিচিত লাগছে
২০০৩-এ ছিল সাদ্দাম ও WMD
২০২৫-এ ইরান ও পারমাণবিক বোমা
একই যুক্তি, একই আগুন, একই ধোঁয়া। কিন্তু এখনও কোনো সত্যিকারের প্রমাণ নেই।
যদি গোয়েন্দা সংস্থা এতই নিখুঁত হয় যে তারা জানে “আয়াতুল্লাহ কোথায় লুকিয়ে আছেন”, তাহলে নিশ্চয় তারা এটাও জানতেন বোমাটি কোথায় যদি সত্যিই এমন কিছু থাকত।
আমাদের বলা হচ্ছে: “এখনই হামলা চালাতে হবে, কারণ একদিন তারা বোমা বানাতে পারে।” এটা প্রমাণ নয় এটা ভয়কে নিরাপত্তার ছদ্মবেশে প্যাকেট করা। ২০০৩ সালে ঠিক এমনটাই করেছিল আমেরিকা।
এদিকে, টিভি চ্যানেলে হামলা, মানুষদের রাজধানী ছাড়ার নির্দেশ, আর যে মূল কারণ দেখিয়ে হামলা চালানো শুরু হয়েছিল সেই বোমার কথা সংবাদে আসেই না আর।
তা হলে প্রশ্ন হচ্ছে এটা কি সত্যিই পারমাণবিক হুমকি? নাকি শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের (regime change) পুরনো খেলা?
আর যদি সেটা-ই হয় বলুন তো, ইতিহাসে এর ফলাফল কখনও ভালো হয়েছে?
ইরাক, লিবিয়া, আফগানিস্তান, সিরিয়া প্রতিটিই ধ্বংসের দিকে গেছে। প্রতিটিই শুরু হয়েছিল “বিপদ আছে” বলে। পরে দেখা গেছে কিছুই ছিল না, শুধু ধ্বংস।
আমরা আগেও এই যুদ্ধের গান শুনেছি। এবার কি অন্তত আমরা শেখা শুরু করব?
১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:১০
নুর-এ-আলম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। মধ্যপ্রাচ্য যেন একটি দাবার বোর্ড, যেখানে স্থানীয় রাজনীতিকরা নিজেরাই নিজেদের ঘুঁটি বানিয়ে ফেলেন।
২| ১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ২:৪৮
Sulaiman hossain বলেছেন: ইরান নিরাপত্তার জন্য পারমানবিক বোমা বানাতেই পারে।আমি মনে করি সবারই তা বানানো উচিত।বাংলাদেশেরও বানানো উচিত।ইসরাইল এবং পশ্চিমাদের এতে সমস্য কোথায়?পারমানবিক বোমাতো আজকে বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রই বানিয়ে রেখেছে নিরাপত্তার স্বার্থে।
১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩১
নুর-এ-আলম বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং সাহসী। সত্যি বলতে, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যখন একপাক্ষিকভাবে কিছু রাষ্ট্র পারমাণবিক শক্তি রাখে অথচ অন্যদের জন্য তা নিষিদ্ধ করে তখন বৈষম্যের ধারণা স্বাভাবিকভাবেই আসে। তবে, যদি সবাই পারমাণবিক শক্তিধারী হয়ে যায়, তবে সংঘাতের মাত্রা ও পরিণতি হয়ে উঠতে পারে অবর্ণনীয়। এর চেয়ে বরং একটা বহুপাক্ষিক নিরস্ত্রীকরণের ব্যবস্থা যা শুধু দুর্বলদের নয়, সকল রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেই দিকেই এগুনো উচিত।
৩| ১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৩:৩১
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: যুদ্ধের গল্প মানে মন খারাপ করা ব্যাপার।
১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২৮
নুর-এ-আলম বলেছেন: একেবারেই ঠিক বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বিশ্ব রাজনীতিতে কিছু মানুষ যুদ্ধকে কেবল একটি "নীতিগত পদক্ষেপ" হিসেবে দেখেন, কিন্তু তাতে যারা ভোগে তারা সবসময় সাধারণ মানুষ এবোং নিরপরাধ, নিরস্ত্র, এবং নীরব।
৪| ১৯ শে জুন, ২০২৫ ভোর ৫:৩৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ডিরেক্টর তুলসি গ্যাবার্ড আগেই বলেছেন যে, ইরান পরমাণু বোমা তৈরী করার মতো উপযোগী ইউরোনিয়াম পরিশোধন করছে না। আয়াতুল্লাহ সে ধরনের কোন অনুমোদনও দেন নি। সুতরাং মোটাদাগে ধরে নেয়া যায় ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরী করছে না বা তাদের কাছে পরমাণু বোমা নেই। নেতানিয়াহু সে বিষয়টিও জানে, তদুপরি এ ধরনের সামরিক আক্রমণের মূল কারণ মূলত ইরানে রেজিম পরিবর্তন করে তাবেদারি কোন প্রশাসন স্থাপন করা। সে ক্ষেত্রে ইরানের রেভুলেশনের পূর্বের শাহ-এর ছেলে-কেও যদি দিন শেষে ইরানের ক্ষমতায় দেখা যায় তাতে আমি অবাক হবো না।
আমেরিকার প্রাক্তন ও প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ (সিনিয়র) বহু আগেই ইরান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়াকে "এক্সিস অফ ইভিল" বলে আক্ষ্যায়িত করে গেছে। ইরানের রেজিম পরিবর্তনে আমেরিকার সমর্থন মূলত তারই ধারাবাহিকতায় হচ্ছে। মনে রাখা জরুরী অতীতে ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়াতে যে এক নায়নতান্ত্রিক প্রশাসনগুলো (গাদ্দাফি, সাদ্দাম, আসাদ) ছিলো তাদের সবাইকেই ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে আমেরিকায় প্রত্যক্ষ সমর্থন ছিলো। এখানে নেতানিয়াহু আগ বাড়িয়ে আক্রমণ করার অন্যতম একটা কারণ হলো গাজা থেকে সবার দৃষ্টি সরিয়ে নেয়া। মাত্র ক'দিন আগেই ইসরায়েলের সেনা বাহিনী খাবার নিতে আসা প্রায় অর্ধশত প্যালেস্টেনিয়ান লোকজন গুলি করে মেরেছে। দ্বিতীয়ত নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে সে দেশে বেশ কিছু আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অনেক ইসরায়েলিও তাকে অপছন্দ করে, সেগুলো থেকেও জনগণের দৃষ্টি সরিয়ে জাতীয় ইস্যুতে দাঁড় করিয়ে সমর্থন আদায় করাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ইরানের বিরুদ্ধে পরমাণু ইস্যুতে তাদের হাতেও অকাট্য কোন প্রমাণ নেই। তারা নিজেরাও জানে যে তারা মিথ্যে বলছে।
আমেরিকায় বিগত কয়েক দিনে, বেশ কিছু ট্যাঙ্কার বিমান আমেরিকা থেকে ইউরোপে নিয়ে এসেছে। আমি নিজেও ফ্লাইটরাডার২৪-এ সেটা দেখেছি। আমি মোটামুটি নিশ্চিত আমেরিকা প্রত্যক্ষভাবে এই ইস্যুতে সামরিক শক্তি নিয়োগ করবে। এগুলোে মূলত সবই আমেরিকার ইশারায়ই হচ্ছে। ইসরায়েলের বিমানবন্দর সাধারণের জন্য বন্ধ থাকলেও বেশ কিছু কার্গো বিমান সেখান থেকে আমেরিকায় এসেছে ও গেছে। বিষয়টি সম্ভবত অস্ত্র ও সরঞ্জাম স্থানান্তরের দিকেই ইঙ্গিত করে। ফ্লাইটরাডার২৪-এ আমি নজর রাখছি এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মোটামুটিভাবে ধরে নেয়া যায়, খুব সম্ভবত ইরাক দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে।
তথ্যের সুর্নিদিষ্ট কোন সূত্র ছাড়া কোন কিছু ঘটার আগে কিছু বলে ফেলা অনেকটাই বোকামি তবে ইতিহাস বলেও একটা ব্যাপার আছে। সেখান থেকে আমরা কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারি। ধন্যবাদ।
১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮
নুর-এ-আলম বলেছেন: প্রিয় ইফতেখার ভাই, আপনার বিশ্লেষণ একেবারে তথ্যভিত্তিক এবং সমৃদ্ধ। নেতানিয়াহুর ঘরোয়া রাজনৈতিক চাপ, গাজার ঘটনাকে আড়াল করা, এবং আমেরিকার সামরিক প্রস্তুতির চিত্র সব মিলিয়ে বিষয়টি যে ইরাক ২০০৩-এর ছায়ার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে, সে আশঙ্কা একেবারেই অমূলক নয়। তবে একটা ব্যাপার দিন দিন আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে এই যুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে, ততই পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। কারণ, এখানে কেবল একদেশ আরেক দেশকে আক্রমণ করছে না; বরং অন্যান্য রাষ্ট্রও ‘কূটনৈতিকভাবে’ ও ‘গোপন সামরিক সমর্থন’ দিয়ে পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ছে।
৫| ১৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: পুরো বিশ্ব ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে।
১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২
নুর-এ-আলম বলেছেন: যাদের জীবন চিরদিনের জন্য পাল্টে যায় তারা হচ্ছে শিশু, মা, সাধারণ মানুষ—যাদের কোনো যুদ্ধেই অংশ নেয়ার সুযোগ বা ইচ্ছা থাকে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: আরও ইরাক-ইরান-সৌদি প্রত্যেকে প্রত্যেকের লুঙ্গি ধরে টানাটানি করুক!
এমন করেই নিজেরাই নিজেদের অপমান ও দূর্বল করে। এর পরিণতি এখন তারা ভোগ করছে। ইরান নিজেও একদিন ইরাকের পারমাণবিককেন্দ্র ধ্বংস করতে যুদ্ধ বিমান পাঠিয়েছিল বাকি কাজ ইসরায়েল ও আম্রিকা যৌথভাবে করেছে।